কয়রা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে শাকবাড়িয়া নদী সংলগ্ন পাউবোর ১৩-১৪/১ পোল্ডারের আংটিহারা বেড়িবাঁধের এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর আংটিহারা বেড়িবাঁধের যে অংশটি সংস্কার করেছিল সেই অংশে নুতন করে ভয়াবহ ফাটল ধরেছে। নদীর প্রবল স্রোত ও তুফানের ঢেউ কূলে আছড়ে পড়ায় বেড়িবাঁধ ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে পুরো বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আংটিহারা, জোড়শিং, ঘড়িলাল, চরামুখা এলাকা লোনা পানিতে তলিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পাক শাসন আমলে ১৯৬৮ সালে আংটিহারা গ্রামে যে আইবি ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছিল তার পশ্চিম দিকের ওয়াপদা বাঁধের সোয়া কিলোমিটারের বেশী জায়গা শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত বছর বাঁধে মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর কিনার অংশের বাঁধে ঠিকমতো স্লোভ না করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে মাটি ফেলে মোটা কাপড় ও বাঁশের তরজা দিয়ে স্লোভ ঢেকে দেয়। কয়েক মাস যেতে না যেতে তুফানে বাঁশের তরজা নষ্ট হয়ে পুরো বাঁধে ফাটল দেখা দেয়।
স্থানীয় সমাজ সেবক মিজানুর রহমান খোকা ও গাজী আব্দুস সোবহান বলেন, নদীর কিনার ড্যাম্পিং করে ব্লক বসানো সম্ভব হলে ভাঙনের হাত থেকে মানুষ পরিত্রাণ পেতে পারে।
দক্ষিণ বেদকাশির আংটিহারা এলাকার নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানিয়েছেন, নতুন করে বেড়িবাঁধে ভাঙন লাগায় মানুষ চরমভাবে ভীত হয়ে পড়েছে। বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট পোল্ডারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাউবোর খুলনাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বজলুর রশিদ বলেন, বেড়িবাঁধের ভাঙন ঠেকাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ মিললে কাজ করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।