Saturday, April 25, 2015

ভ‍ূূমিকম্পে পাইকগাছায় পুকুরের পানিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়

ছবি তুলেছেন :: রানা ঘোষ


ভ‍ূূমিকম্পে ২ বার কাঁপলো পাইকগাছা’সহ গোটা দেশ। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। প্রায় মিনিট খানেক স্থায়ী থাকে কম্পন। প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিলো ৭.৫। এরপর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে আবারও পাইকগাছা’সহ গোটা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২য় বার কম্পনের মাত্রা ছিলো ৫.৪।

এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় নেপালের পোখারার কাছে। নিমিষেই তা ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়। কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। তবে মানুষজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে অবস্থান নেন। 


Friday, April 24, 2015

আগামীকাল জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন

পাইকগাছায় ২৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা


বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং শিশুমৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামীকাল শনিবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পাইকগাছায় ২৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’১৫ উপলক্ষে ৬ থেকে ১১ মাসের ২ হাজার ৮৩৮ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ (আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের ২১ হাজার ৬৭৭ শিশুকে, লাল রঙের ২ লাখ (আইইউ) ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৪০টি স্থায়ী কেন্দ্রে, ২৫টি অতিরিক্ত কেন্দ্রে ও দুর্গম এলাকায় ১৬টি টিকা কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পেইনে দায়িত্ব পালন করবেন স্বেচ্ছাসেবী ৭৬৯, ব্র্যাক ১৫০, স্বাস্থ্য সহকারী ৪৫, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ৫০, সিএইচসিপি ৩৬, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ২, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৮, চিকিৎসা সহকারী ৮, সেনিটারী ইন্সপেক্টর ১, এমটি (ইপিআই) ১ ও ১০ জন চিকিৎসক।

Tuesday, April 21, 2015

বাংলালিংক 3G এখন পাইকগাছায়

পাইকগাছায় চালু হয়েছে বাংলালিংকের থার্ড জেনারেশান (3G) ইন্টারনেট সেবা। পাইকগাছাতে আপনার 3G মোবাইলে/ডিভাইসে এখন মোবাইল ব্রডব্যান্ড অভিজ্ঞতা দিতে বাংলালিংক নিয়ে এলো বাংলালিংক 3G।

বাংলালিংকের সবচাইতে ফাস্ট 3G দ্বারা এখন আপনি উপভোগ করতে পারবেন উচ্চমানের ভিডিও স্ট্রিমিং, ডাউনলোড, উন্নত ভিডিও কলিং, হাই স্পীড ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ পাইকগাছায় গ্রামীনফোনের থার্ড জেনারেশান (3G) ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।

এখন থেকে গ্রামীনফোন ও বাংলালিংক 3G এর সাথে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র সেবা আরও গতিময় !

Saturday, April 18, 2015

বাশরি সিনেমা হল (শহীদ এম এ গফুর মিলনায়তন), পাইকগাছা পৌরসভা

ইতিহাসে কপিলমুনির হজরত জাফর আউলিয়া’র মাজার

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে রয়েছে জাগ্রত পীর হজরত জাফর আউলিয়ার মাজার। দক্ষিণ বঙ্গে যে ক'জন পীর-আউলিয়া রয়েছেন তার মধ্যে হজরত জাফর আউলিয়া অন্যতম। তাকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য কীর্তিগাথা। আর মাজার ও পীরকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য ইতিহাস-ঐতিহ্য। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আজ থেকে শত শত বছর আগে সাধক হজরত জাফর আউলিয়া (রহ.) কপিলমুনিতে সাধনার জন্য আসেন। তখন এ অঞ্চল ছিল বনজঙ্গলে ভরা সুন্দরবনের একটি অংশ। এই নির্জন স্থানেই সাধনা আশ্রম গড়ে তোলেন হজরত জাফর আউলিয়া। 

কপিলমুনিতে পীর হজরত জাফর আউলিয়ার মাজার
জানা যায়, হজরত জাফর আউলিয়া (রহ.) হজরত খাজা খানজাহান আলী (রহ.)-এর সম্ভবত শিষ্য ছিলেন। তবে কোন সময় কত সালে এখানে (কপিলমুনি) আসেন এর সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রথম কোথায় তিনি সাধনা স্থল তৈরি করেন তাও জানা যায়নি। তবে সে সময় বেতবনে ঘেরা কপিলমুনিতে যে সাধনা আশ্রম গড়ে তোলেন তার স্মৃতিচিহ্ন এখনো রয়েছে। 

তার অসংখ্য শিষ্য ও ভক্ত ছিল। আর সাধনা আশ্রমেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। সেখানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। সেই সমাধিস্থলে সুদর্শন হজরত জাফর আউলিয়ার মাজার গড়ে তোলা হয়েছে। জীবদ্দশায় তার মানবসেবা আজও এ অঞ্চলের মানুষ স্মরণ করে। হজরত জাফর আউলিয়ার মাজারে প্রতিদিন আসছে অসংখ্য ভক্ত। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ মানত ও শিরনি নিয়ে আসেন করুণা প্রত্যাশার আশায়। 

তাছাড়া চৈত্র মাসে কপিলমুনি কপোতাক্ষ নদে বারুনি স্নান উপলক্ষে মাসব্যাপী মাজারের চার পাশে বসে রকমারি দোকান নিয়ে মেলা। তার স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে মাজারের সামনে গড়ে উঠেছে সিনিয়র মাদরাসা, মসজিদ, কপিলমুনি-কাঠামারী সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে 'জাফর আউলিয়া সড়ক'। 

হজরত জাফর আউলিয়াকে (রহ.) ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনী। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি থেকে জানা যায়, একদিন তিনি তাঁর অন্যতম শিষ্য ছালাওয়ালা ফকিরসহ দুর্গম এলাকায় যান। সেখানে কিছুদিন অবস্থানকালে এক বৃদ্ধা তাকে পানের জন্য দুধ দিতেন। হঠাৎ বৃদ্ধার গাভীটি মারা যায়। এদিকে প্রতিদিনের মতো পীর সাহেবের শিষ্য ছালাওয়ালা বৃদ্ধার বাড়ি যান দুধ আনতে। তিনি বৃদ্ধার গরুর মৃত্যু খবর শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। দুধ না হলে হুজুর কি খাবেন? তিনি বৃদ্ধার কাছ থেকে জেনে নেন মরা গাভীটির কোথায় ফেলা হয়েছে। এরপর ছালাওয়ালা ফকির মরা গাভীটি লেজ ধরে টেনে বলেন, এই গাভী ওঠ। অমনি জীবিত হয়ে ওঠে গাভীটি। আর ওই মৃত গাভীর দুধ এনে পান করান পীরকে। বিষয়টি আধ্যাতিক দৃষ্টিতে পীর কেবলা বিষয়টি অবগত হন। তিনি ছালাওয়ালাকে ধমক দিয়ে বলেন, 'তুই আমাকে মরা গরুর দুধ খাওয়াবি'। সঙ্গে সঙ্গে এহেন অপরাধে অন্য শিষ্যরা ছালাওয়ালাকে বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়। পুরো এলাকায় কানাঘুষা শুরু হয়, 'পীর কেবলা তার এক শিষ্যকে বস্তাবন্দী করে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছেন'। 

হুজুরে অলৌকিক শক্তিবলে সম্ভবত তিনি চমক দেওয়ার জন্যই ওই এলাকা ত্যাগ করে কপিলমুনি ফিরে আসেন এবং শিষ্যদের নিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে তিনি স্থায়ী স্থান তৈরি করেন। তিনি ইসলাম প্রচার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাতিক বলে মানুষের খেদমত শুরু করেন। নদীভাঙন, খালের বাঁধ, বনে বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে তদবির দিতেন। এ ধরনের অসংখ্য অলৌকিক শক্তির কথা শোনা যায় এ জাগ্রত পীর জাফর আউলিয়া সম্পর্কে।

প্রতিবেদনটি 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় প্রথম প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি ২০১৩

Tuesday, April 14, 2015

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা !

আসুন অনেক ভালো থাকি ১৪২২-এ.... 


আবার এলো পহেলা বৈশাখ, নতুন ভোরের আলো....
অন্ধ মনের বন্ধ কপাট, খুলে ফেলাই ভালো....

ছবিতে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র বৈশাখী আলপনা। (ফাইল ফটো)

চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব

ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্তকাল। পত্র পুষ্পে নতুন পল্লবে সজ্জিত হয়ে বৃক্ষরাজী রূপ ধারন করে শ্যামল বর্ণ। চৈত্র মাস হলো বছরের শেষ মাস। নববর্ষের প্রারম্ভিক ধর্মকার্য বিষুবকৃত্য। পূর্বদিনের সংক্রান্তির নাম মহাবিষুব সংক্রান্তি।

বিষুবকৃত্যে শক্তুদান, জলদান, ফলদান, অন্নদান ইত্যাদি পূর্ণ কর্মরুপে বিবেচিত হয়। আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে “শরৎ গ্রীষ্মে, শীত” গ্রীষ্মকালে পিত্ত প্রকোপিত হয়। তাই বসন্তরোগের প্রার্দুভাব ঘটে। শুক্তু ও নিমপাতা পিত্ত প্রকোপ নাশ করে। বিষুব সংক্রান্তির পরে নববর্ষ শুরু হয়।

চৈত্র সংক্রান্তি শেষ দিনে শুরু হয় চৈত্র সংক্রন্তির শুভ আয়োজন। বাংলাদেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠিত হয় শিব-কালীর পূজা। কোন অঞ্চলে চড়ক পূজা, কোন অঞ্চলে ক্ষেত্রপাল পূজা। কারণ চৈত্র সংক্রান্তির পূর্ণ লগ্নে শিব ও কালীর মিলন হয় বলে বৃহত্তর আঙ্গীকে পূজার আয়োজনে ব্যস্ত থাকে ভক্তবৃন্দরা।

এটিকে কোন এলাকায় ক্ষেত্রপাল পূজা বলে। ক্ষেত্রপাল অর্থ হলো ক্ষেত্রের অধিপতি ও সৃষ্টির অধিপতি বা মঙ্গলের ধারক ও বাহক। তাই শিবের এক নাম মঙ্গলেশ্বর। তাই বলা হয় ‘‘যত্র জীব তত্র শিব”। অর্থাৎ যেখানে জীব সেখানে শিব। এই পৃথিবী ক্ষেত্র বা প্রকৃতি রূপে কালী আর ক্ষেত্রের অধিপতি শিব। এখানে চড়ক পূজা হলো শিব ও কালীর প্রতীক। চড়ক পূজার গাছটি হলো শিবের প্রতীক, আর ঘুরানো চড়ক হলো কালীর প্রতীক। শিব আর কালীর মিলন স্বরুপ হলো কালী পূজা।

চড়ক পূজা উপলক্ষে ৭, ৯, ১৫ দিন আগে বিভিন্ন এলাকার পূজারীদের মধ্যে ২০-৩০ জন সন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিব-গৌরী নিত্যগীতি সহকারে মাগন করে। চড়ক পূজা পর্যন্ত তারা পবিত্রতার সাথে সন্যাস ব্রত পালন করে এবং নিরামিষ খাদ্য ভক্ষণ করে। সারাদিন উপবাস পালন করে।

পূজার ২ দিন আগ থেকে পুজারীরা শ্মশানে গিয়ে পূজা অর্চনা করেন ও শেষে গৌরির বিয়ে, গৌরি নাচ ও বিভিন্ন ধর্মীয় পালাগান গেয়ে ঢাক, ঢোল বাজনা সরগম করে গোটা এলাকা প্রদিক্ষণ করে। ছেলেরা গৌরি সাজে, ঘুঙুর পরে নিত্য করে। চৈত্র মাসের শেষ দিন সন্যাসীরা পূজা করে পান বাটা দিয়ে চড়ক গাছকে নিমন্ত্রণ জানায়। বালিচ্ছেদ দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য, কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। 

চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন সন্যাসীরা খেঁজুর গাছে উঠে খেঁজুর নৃত্য করে এবং দর্শকদের মধ্যে খেঁজুর ছিটিয়ে দেয়। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত পূজার চৈত্র মাসের শেষ দিন পূজা শেষে অগ্নী নৃত্যের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠিকতা শেষ হয়। আদি পূরাণে বর্ণিত রাজা দক্ষের এক কন্যা ছিল চিত্রা। চিত্রার নাম অনুসারে এক নক্ষত্রের নাম করা হয় চিত্রা নক্ষত্র এবং চিত্রা নক্ষত্র থেকে চৈত্র মাসের নামকরা হয়। তাই হিন্দু ধর্মে চৈত্র মাসের বিশেষ স্থান।

প্রাচীনকাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পুজা ও মেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র মাসের শেষ দিন চড়ক পূজার মেলা অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তির শুভ দিনে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণি সুখী হোক এবং মহাবিশ্ব শান্তিধামে পরিণত হোক। স্বার্থক হোক মহাবিষুর সংক্রান্তি।

--প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা।

কপিলমুনিতে বর্ষবরণে আজ থাকছে নানা আয়োজন

নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে পাইকগাছার কপিলমুনি সম্মিলিত নববর্ষ উদ্যাপন কমিটি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গন হতে র‌্যালী, ৮টায় পান্তা-ইলিশ আসর ও সকাল ৯টায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে কেকেএসপি’র সাধারণ সম্পাদক এম আজাদ হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সকলের সহযোগীতায় অন্য বছরের তুলনায় এবছর অনুষ্ঠানের আরো বেশি শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

শুভ নববর্ষ !

Monday, April 13, 2015

পাইকগাছায় চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বৈশাখী উৎসব শুরু

পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের বাজারখোলা নামক স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সোমবার থেকে ৩ দিনব্যাপী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। চড়ক পূজা উপলক্ষ্যে বাজারখোলা সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে বসেছে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা। 

চৈত্র সংক্রান্তি মেলার মধ্য দিয়ে চড়ক পূজার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। চড়ক পূজা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী সন্যাস ব্রতের মধ্য দিয়ে সন্যাসী দল নগর ও গ্রামে শিবের গাজন ব্রতীনিত্য করছে। খেঁজুর ভাঙা উৎসব ও বছরের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি মেলার মধ্য দিয়ে চকড় পূজা শেষ হবে।

প্রায় ২ শত বছরের পুরোনো এ চড়ক পূজা ও মেলা চলে ৩ দিন ধরে। চৈত্র সংক্রান্তির মেলার পরের দিন বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখী উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তির মেলা রূপ নেয় বৈশাখী মেলা ও উৎসবে। 

চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সোমবার চৈত্র সংক্রান্তির মাঙ্গলিক ক্রিয়া, মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বুধবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিগানের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হবে। 

মেলার আয়োজনে রয়েছে, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বেশাখী উৎসব উদযাপন কমিটি। এ চড়ক পূজার মেলা দক্ষিন খুলনার ঐতিহ্যবাহী মেলা হিসাবে সুপরিচিত। অনুরূপভাবে, উপজেলার কপিলমুনি চৈত্র সংক্রন্তি পূজা ও বৈশাখী উৎসব চলছে।

পাইকগাছায় নববর্ষ উদযাপনে বৈশাখী মেলা’সহ ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচী

বাংলা নববর্ষ-১৪২২ উদযাপন উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী। অপরদিকে নববর্ষ উপলক্ষে উপকূল সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ স্মরণিকা ধুমকেতু।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা, সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পান্তা ভোজ, ৯টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রামীণ খেলাধুলা, একই স্থানে সকাল ১০টা থেকে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা।

এছাড়া দুপুরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পরিবেশন করা হবে উন্নত মানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার। সন্ধ্যা ৬টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জারি, সারি, ভাটিয়ালী, পল্লীগীতি, লালনগীতি, বাংলা নববর্ষের গান, নাচ ও কৌতুক পরিবেশন করা হবে।

২য় দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বালুর মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা’সহ ৩ দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী। ইতোমধ্যে বর্ষবরণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'কে জানিয়েছেন।

অপরদিকে অন্যান্য দিবসের ন্যায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে উপকূল সাহিত্য পরিষদ থেকে বাংলা নববর্ষ স্মরণিকা-১৪২২ ”ধুমকেতু” প্রকাশ করা হয়েছে বলে উপকূল সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী জানান।

ঝর্ণা, পাহাড়, হরিন, বাঘ আর পানির ফোয়ারা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশ চৌগাছা পৌরসভা চত্বরে

পাইকগাছা পৌরসভা‬'য় কি পৌরবাসী এমন পরিবেশ আশা করতে পারে না? আফটার আল, পাইকগাছা পৌরসভা এখন সাপৌরসভা‬ ! আই মিন ১৮ বছর বয়স। (সাবালক/সাবালিকা > সাপৌরসভা) 


দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টিকর্ম মানুষকে আকৃষ্ট করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যখন তিক্ত হয় ঠিক তখন নৈস্বর্গিক এবং মনোরম পরিবেশে গিয়ে আনন্দ আর সুখের খোঁজ করে। আর সেই ছোট্ট শান্তি নিকেতন গড়ে তুলেছে চৌগাছা পৌরসভা। পৌরসভা চত্বরে ঝর্ণা, পাহাড়, হরিন, বাঘ, পাখি, পুকুর আর পানির ফোয়ারা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশ সকলকে আকৃষ্ট করছে। 

প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি পৌরবাসী এখানে ছুটে আসছেন আর অবলোকন করছেন অপরুপ সৌন্দর্য। মহৎ এই কাজটি করেছেন চৌগাছা পৌরসভার বারবার নির্বাচিত মেয়র পৌরপিতা সেলিম রেজা আওলিয়ার।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট সীমান্তবর্তী চৌগাছা উপজেলা সদরকে পৌরসভায় রুপান্তরিত করা হয়। মাত্র ৭ বছরের মধ্যেই ৩য় শ্রেণির পৌরসভা ২য় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। 

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের শেষের দিকে শুরু করা হয় পায়রা চত্বর নির্মাণের কাজ। শুধু পায়রা চত্বর না, এর সাথে নির্মিত হতে থাকে কৃত্রিম পাহাড়, ঝর্ণা, পাখি, হরিণ, বাঘ এমনকি পাহাড়ের উপর বসবাসরত পাহাড়ীদের ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। নির্মাণাধীন এই পাহাড়ের ভিতর দিয়ে নেমে আসছে ঝর্ণা। এই ঝর্ণার পানি রাখার জন্য সেখানে নির্মিত হয়েছে পুকুর। পহাড়ের তৃষ্ণার্থ হরিণ তৃষ্ণা মেটাতে এই পুকুরে পানি পানের জন্য বের হয়ে আসছে। আর হরিণকে শিকার করতে ক্ষুধার্ত বাঘ বনের মধ্যে লুকিয়ে হরিণের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। 

অপরুপ এই সৌন্দর্যময় স্থাপনা নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন চৌগাছার শিল্পী আতিয়ার রহমান। দর্শনীয় এই কৃত্রিম পাহাড় ও পায়রা চত্বর দেখতে সেখানে প্রতিদিনই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েসহ সাধারণ পৌরবাসী ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার বলেন, পৌরসভা জনগণের সেবাদান প্রতিষ্ঠান ঠিকই, তবে সেবার পাশাপাশি তারা নতুন কিছু উপভোগ করবে এটিই স্বাভাবিক। এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করলে শুধু দেখায় শেষ না, এর ফলে এলাকার সৌন্দর্য অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি এ ধরনের স্থাপনা আরও বেশি বেশি নির্মাণের পাশাপাশি পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এই অপরুপ সৌন্দর্যের কারুকার্য দেখতে আসা দর্শণার্থীরা বলছেন, পৌরসভা এখন শুধু জনগণের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি জনগণের দর্শনীয় একটি প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে।

কয়রায় কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকল্প অনুমোদনের আগেই বাস্তবায়ন দেখিয়ে খাদ্যশস্য লোপাট


কয়রা উপজেলায় কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক আগে করা মাটির কাজ চলতি প্রকল্পে অনুমোদন নিয়ে তাতে বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ বরাদ্দ আত্মসাতের কৌশল হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি করেছেন। 


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসূচির আওতায় কয়রা উপজেলা কমিটির প্রস্তাবকৃত ৩৫টি প্রকল্প ১৫ জানুয়ারি জেলা কমিটির সভায় অনুমোদন পায়। এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৩৭৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের অর্ধেক এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং অর্ধেক বরাদ্দ রাস্তা সংস্কারে ব্যয় করার কথা। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের আগেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে দাবি করে সেখানে ৩৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ছাড় করা হয়েছে। 

অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ও মহারাজপুর ইউনিয়নে কয়েক মাস আগে কাজ করা তিনটি রাস্তায় বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছে। এর মধ্যে মহারাজপুর ইউনিয়নের ‘লোকা ইউনুস গাজীর বাড়ি হতে বেলায়েত হাওলাদারের বাড়ি অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কার’ প্রকল্পটি পাঁচ মাস আগে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। অথচ এখানে বরাদ্দ হয়েছে আট মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মোট চারটি প্রকল্পের মধ্যে ২৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দের দুটি প্রকল্পের কাজও কয়েক মাস আগে শেষ হলেও তা বর্তমান প্রকল্পের তালিকায় অনুমোদন পেয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে দায়সারা গোছের কাজ দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দের অধিকাংশ খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করেছিল। 

মহারাজপুর ইউনিয়নের এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আঃ সামাদ মোল্লা বলেন, ‘পিআইও’র নির্দেশ মত প্রকল্প অনুমোদনের আগে মাটির কাজ শেষ করা হয়েছে।’ 

দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান অনুমোদনের আগে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হাতের কাছে সব সময় মাটি পাওয়া যায় না এ জন্য সুবিধামত সময়ে মাটির কাজ শেষ করা হয়েছে।’ 

কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘এলাকাটি লোনাপানি অধ্যুষিত হওয়ায় সব সময় মাটি পাওয়া যায় না। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এমন একটু-আধটু অনিয়ম করতেই হয়।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কমিটির অনুমোদনের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা। অনুমোদনের আগে কোন প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

কয়রায় কাবিখা প্রকল্পের ডিও লেটার আটকে দেয়া হয়েছে

অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের ছাড়পত্র (ডিও লেটার) আটকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করেছেন। তবে কাজের মান সন্তোষজনক না হলে বরাদ্দ ছাড় করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আ.খ.ম তমিজ উদ্দীন জানান, প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, প্রকল্পগুলি পরিদর্শনে গিয়ে বরাদ্দের সঙ্গে কাজের যথেষ্ট অমিল পাওয়া গেছে। প্রকল্পের সভাপতিরা শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিয়েছেন। তাতে বরাদ্দের তিনের এক অংশও ব্যয় করা হয়নি। তাছাড়া প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সাইনবোর্ড টানানোর কথা থাকলেও কোন প্রকল্প এলাকায় তা দেখা যায়নি। এতে বরাদ্দের বেশিরভাগ খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলেও কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বরাদ্দ ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘উনি যদি বুঝে থাকেন কাজে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে সে মতই তিনি ব্যবস্থা নেবেন, এতে আমার করণীয় কিছু নেই।’’ 

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার অনেক আগে অফিসের দেওয়া নক্সা ও পরিমাপ ঠিক রেখে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের লাভ-লোকসান হিসেব করে বরাদ্দ আটকে রেখে তাদের সঙ্গে খামখেয়ালিপনা করা হচ্ছে। 

সদর ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘‘উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকল্প এলাকার শ্রমিকদের কাছে জেনে বরাদ্দ আটকে দিয়েছেন। আমি শ্রমিকদের কত টাকা দিলাম সে প্রশ্ন নয়, প্রকল্পের কাজ শতভাগ সঠিক করেছি কিনা সেটা যাচাই না করে বরাদ্দ আটকে রাখা ঠিক হবে না।’’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এসব প্রকল্পের অনুকূলে উপ-বরাদ্দকৃত ৩৭৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ বরাদ্দ ছাড় পেয়েছে।

কয়রায় উৎসবের আমেজে কালীপুজার সমাপনি অনুষ্ঠান

কয়রায় নানা উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্যেদিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মের কালীপুজা উৎসব। উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১নং কয়রা মাঝের আইট সার্বজনীন কালীমন্দিরে ৩দিন ব্যাপি চলা কালীপুজার সমাপনি অনুষ্ঠান রবিবার বিকাল ৫টায় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মন্দিরটির সার্বিক খোজ-খবর নেন এবং তিনি তার ব্যাক্তিগত তহবীল থেকে মন্দীর উন্নয়নে নগদ অর্থ প্রদান করেন। ভবিশ্যতে মন্দিরটি আরো সুন্দর করতে সার্বিক সহযোগিতার ও আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান।

১নং কয়রা মাঝের আইট সার্বজনীন কালী মন্দিরের সভাপতি মাষ্টার মিহীর কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে পুজা সমাপনি উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাশিয়াবাদ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্য মোঃ শারাজাহান, ইউপি সদস্য মোঃ রেজাউল করিম, মাঝের আইট সার্বজনীন কালীমন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী কানাই লাল মন্ডল, সাংবাদিক শেখ সিরাজুদ্দৌলা লিংকন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবীর টুলু, সাংবাদিক রহমতুল্লাহ উজ্জল, উপজেলা যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মাষ্টার হাবিবুল্যাহ (হাবীব মাষ্টার), কয়রা সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান খোকন।

Sunday, April 12, 2015

আর্সেনিকোসিস ঝুঁকিতে পাইকগাছার ৬৭.৫% ও কয়রার ১১.৩৬% মানুষ

পাইকগাছা-কয়রা’সহ খুলনার ৩০ শতাংশ টিউবওয়েলের পানি পানের অযোগ্য


খুলনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় সুপেয় পানির জন্য ব্যবহৃত ৩১ হাজার ১৫৪টি নলকূপের মধ্যে ৯ হাজার ১১৭টি নলকূপের পানিতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক। এ হিসাবে জেলার প্রায় ৩০ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিই পানের অযোগ্য। 

সর্বশেষ ২০১২ সালে চালানো ওই জরিপই প্রমাণ করে খুলনা অঞ্চলের মানুষ কতটা আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। সারা দেশে আশির দশকে আর্সেনিক বিষক্রিয়া নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ওই সময়ে দেশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাজের হিড়িক পড়লেও বর্তমানে তা একেবারেই ঝিমিয়ে পড়েছে। এখন আর সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তর খোঁজ রাখে না আর্সেনিকে আক্রান্ত মানুষদের।

খুলনা পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের তথ্যমতে, খুলনার পাইকগাছা‬ উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ৩ হাজার ১টি। আর্সেনিকোসিস ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাইকগাছার ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। 

কয়রা‬ উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ৬৩০টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ২৯৮টি। এতে আর্সেনিকোসিস ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কয়রার ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ। 

খুলনার রূপসা উপজেলায় মোট টিউবয়েলের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯০টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ২৩৭টি। রূপসার ৬৮ শতাংশ মানুষ আর্সেনিকোসিস ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। 

দীঘলিয়া উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ৩ হাজার ৮১টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ৯১৪টি। দীঘলিয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ। 

ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ৫ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ১ হাজার ১৬৭টি। ডুমুরিয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ মানুষ। 

তেরখাদা উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৯টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ৫১৭টি। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ। 

ফুলতলা উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ১৭১টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ৩৭৬টি। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ মানুষ। 

দাকোপ উপজেলায় মোট হস্তচালিত টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৪টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ৩৩৯টি। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ মানুষ। 

বটিয়াঘাটা উপজেলায় মোট টিউবওয়েলের সংখ্যা ২ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের সংখ্যা ১৬৮টি। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ মানুষ। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় খুলনা অঞ্চলের মানুষকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। 

খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উদয় বরণ ম-ল সাংবাদিকদের জানান, রূপসা এলাকায় কোনো আর্সেনিকোসিস রোগী নেই। তার কাছে কখনো কোনো আর্সেনিকোসিস রোগী আসেননি। এ ছাড়া গত ৩ বছরে তাদের কাছে কখনো কোনো ওষুধ পৌঁছায়নি। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওষুধ আসেনি জানালেও বর্তমানে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ হাজার পিস ওষুধ মজুদ রয়েছে।

পাইকগাছায় মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ওয়াজ মাহফিল

পাইকগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে (কোর্টের পার্শ্বে) ‪‎আগামীকাল‬ ১৩ এপ্রিল সোমবার‬ বাদ আছর মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ৫ম বার্ষিক "বিরাট ওয়াজ মাহফিল" এর আয়োজন করা হয়েছে। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনে করছে পাইকগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবসমাজ।

ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বনাম ধন্য আলোচক মাওলানা খন্দকার মাহবুবুল হক (জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম)। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আলহাজ্ব হযরত মাওঃ এস,এম, শফিকুল ইসলাম নিজামী,হাফেজ মাওঃ শামছুদ্দীন আহম্মেদ, মাওঃ আব্দুল হান্নান ওমর ও মাওঃ কবিরুল ইসলাম (বিলালী)।

পৌর (৬নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর মোঃ কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ‘এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন ও পাইকগাছা পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

দলমত নির্বিশেষে সবাই মাহফিলে দলে দলে যোগদান করে দো-জাহানের অশেষ নেকী হাসিল করুন।
 
বিঃ দ্রঃ‬ :: মা-বোনদের পর্দা সহকারে মাহফিল শোনার সুব্যবস্থা আছে।

Friday, April 10, 2015

অভিভাবকহীন পাইকগাছার কপিলমুনি ও সোলাদানা ইউনিয়ন

পাইকগাছা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ২নং কপিলমুনি ও ৫নং সোলাদানা এখন অভিভাবকহীন। ২নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন ডাবস্নু এবং ৫নং সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক রাজনৈতিক ও অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি ইউনিয়ন। ফলে পরিষদ সংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে চরম বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইউনিয়নের উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১১ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ২নং কপিলমুনি ও ৫নং সোলাদানা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিন হন শাহাদত হোসেন ডাবস্নু ও এসএম এনামুল হক। এরপর পরিষদ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম এগিয়ে চললেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয়। ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন ডাবস্নু ও এসএম এনামুল হকদ্বয়ের শক্ত অবস্থানের কারণে সার্বিক বিষয় নিয়ে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি।

ঘটনাক্রমে দেশে চলমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিরামহীন অবরোধ ও ধর্মঘাটের কারণে স্বক্রিয় বিএনপি রাজনীতিতে জড়িত থাকা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ দুই চেয়ারম্যানই গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন পূর্বে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে পরিষদ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে থাকে। ফলে ইউনিয়ন দুটি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। 

এমতাবস্থায় ইউনিয়নে বিচারপ্রার্থীসহ পরিষদ সংশিষ্ট সার্বিক কার্যক্রমে চরম বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নামমাত্র প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হলেও তাতে আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটেনি। 

ইউনিয়নে দুটিতে চলছে ভূমি দখল আর ডিসিআর বাণিজ্যের হলিখেলা। বর্তমানে কপিলমুনিতে কপোতাক্ষের জেগে ওঠা চর দখলে চলছে প্রতিযোগিতা। একইভাবে এসব সরকারি সম্পত্তির বন্দোবস্ত নিয়ে দলিল প্রক্রিয়ার নামে ও প্রাথমিক পর্যায় ডিসিআরের নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। লোপাট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি ইউনিয়ন দীর্ঘদিন অভিভাবক শূন্য অবস্থায় বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছেন কুম্ভকর্ণের ন্যায় ঘুমে আচ্ছন্ন। ফলে একদিকে যেমন ইউনিয়নের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পরিষদ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। অভিজ্ঞ মহল ইউনিয়নের ভাবমূর্তি রক্ষাসহ সার্বিক কার্যক্রম সমুন্নত রাখতে ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চলতি মৌসুমে পশ্চিম সুন্দরবনে মধু ও মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

২২৫০ কুইন্টাল মধু ও ৬৬৫ কুইন্টাল মোম 


সুন্দরবনের মধু আহরণের মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। চলতি মৌসুমে বাঘের আক্রমনের ঝুঁকির পাশাপাশি বনদস্যুদের হামলার ভয় মাথায় নিয়ে তাদের বনে যেতে হচ্ছে। বনে ঢোকার আগেই বনদস্যুদের নৌকা প্রতি ২০ হাজার করে টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে মৌওয়ালদের। তবে বন বিভাগের দাবি মৌওয়ালরা কোন অভিযোগ না করায় এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না

সুন্দরবনের মধু সু-মিষ্টি, এ বনের মধু মহাঔষধ ও প্রাকৃতিক সম্পদ। মধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে মৌয়ালরা মধু আহরণ করতে গিয়ে বাঘ, সাপ, কুমিরের সাথে জীবন বাজি রেখে এবং ভয়ংকর বন দস্যুদের চাঁদা, মুক্তিপণ মাথায় নিয়ে সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে হচ্ছে। তা ছাড়াও বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিতে তাদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ এপ্রিল থেকে মধু আহোরণের মৌসুম শুরু হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত মধু আহরণ চলবে। বন বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন থেকে মৌয়ালরা পাশ পারমিট নিয়ে বনে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরাসহ উপকূল এলাকার ১৯-২০টি উপজেলার মৌয়ালরা বিভিন্ন মহাজনের অধিনে মধু সংগ্রহ করতে বনে প্রবেশ করে।

সুন্দরবন বনবিভাগে পশ্চিম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পশ্চিম বন বিভাগ থেকে মধু ২২৫০ কুইন্টাল ও ৫৫৬ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা রেঞ্জে মধু ৭৫০ কুন্টল ও ১৯০ কুইন্টল মোম এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে ১৫০০ কুইন্টল এবং ৩৭৫ কুইন্টাল মোম। এ বছর বড় ধরণের কোন বিপর্যয় না হলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি মধু আহরণের আশা করছে বনবিভাগ।

মধু সংগ্রহের জন্য যে সব বনজীবি মাওয়ালীরা বনে প্রবেশ করেছে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের জন্য সব থেকে বড় আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে সুন্দরবনের মুর্তিমান আতঙ্ক বনদস্যু। মৌয়ালরা জানায়, সুন্দরবনের বাঘ, কুমিরের মুখ থেকে রেহাই পেলেও রেহাই পাওয়া যায় না মানুষ রূপী ভয়ংকর বনদস্যুদের হাত থেকে। বনদস্যুরা নৌকা প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্তা চাঁদা মৌয়ালদের কাছ থেকে আদায় করছে।

মৌয়ালরা আরো জানায়, তারা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে বনে মধু আহরণের জন্য প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দেওয়ায় বন থেকে মধু সংগ্রহ শেষে হিসাব করে দেখা যায় তাদের আয়ের থেকে খরচ বেড়ে গেছে। তারপরও মৌয়ালরা নানা সমস্যা মাথায় নিয়ে সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ করছে। 

এ ব্যাপারে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগীয় কর্মকর্তা জহির উদ্দীন আহম্মেদ জানান, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মধু আহরণ চলবে। মৌয়ালদের নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগের পাশাপাশি কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। সুন্দরবনে বনজীবি মৌয়ালরা মধু আহরণে বনের ভিতর নিবিঘ্নে চলাচল করতে পারে তার জন্য প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য বনবিভাগের নিকট দাবী করেছে।

পাইকগাছায় তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতান

জরিমানা করার পরও প্রচারনা মূলক বিজ্ঞাপন অব্যাহত রেখে তামাক কোম্পনী গুলো রীতিমত সরকারের সাথে চ্যালেঞ্জ করছে 


পাইকগাছায় তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতানগুলো। তামাক নিয়ন্ত্রন আইনে তামাক জাত দ্রব্যের প্রচারনা মূলক বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও আইনের যথাযত প্রয়োগ না থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তামাক কোম্পানী গুলো। ফলে আকর্ষনীয় নজর কাড়া বিজ্ঞাপনে উৎসাহিত হয়ে ধুমপানে আকৃষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। 

সম্প্রতি পৌর সদর সহ সরল বাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, বানিজ্যিক শহর কপিলমুনি, বাঁকা বাজার, কাশিমনগর, চাঁদখালী’সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থান সমূহের বিপনী বিতান গুলো তামাক কোম্পানির বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেটের প্যাকেট ও লিফলেটে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। 

ইতোপূর্বে কয়েকজন দোকান মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলে বেশ কিছু দিন বিজ্ঞাপন গুলো সরিয়ে রাখে দোকান মালিকরা। পরবর্তীতে তামাক কোম্পানীর লোকজন দোকান মালিকদের ওপর ধার্য্যকৃত জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দেয়ার ফলে আবারও তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতান গুলো। 

নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর জানান, তামাকের ব্যবহার থেকে সাধারন মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে ধুমপান বিরোধী কার্যক্রম শক্তিশালী করন ও তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে প্রচার-প্রচারনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 

তামক বিরোধী সংগঠন সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ জানান, সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রন আইন (সংশোধিত) ২০১৩ এর বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। আইনে তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানী গুলো প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে। এ ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা’সহ আইনের যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। 

উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রন টাস্ক ফোর্স কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন জানান, জরিমানা করার পরও প্রচারনা মূলক বিজ্ঞাপন অব্যাহত রেখে তামাক কোম্পনী গুলো রীতিমত সরকারের সাথে চ্যালেঞ্জ করছে। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Thursday, April 9, 2015

পাইকগাছার জিরোপয়েন্ট টু পৌর বাজার রাস্তাটি অভিভাবকহীন

কে করবে সংস্কার কাজ? পৌরসভা নাকি সড়ক ও জনপদ বিভাগ?


২০১১ সালে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের শিববাটী ব্রীজ উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকে পাইকগাছা পৌর বাসষ্ট্যান্ড জিরোপয়েন্ট থেকে বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা এক প্রকার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। 

ছবি :: ফাইল ফটো (বর্তমান অবস্থা আরও করুণ)
ব্রীজ চালু হবার আগ পর্যন্ত রাস্তাটির দেখভাল করতো সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বিগত সাড়ে তিন বছরেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ রস্তাটি পৌরসভা বা উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর না করায় এর সংস্কার কাজ কে করবে তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। 

মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার এতটুকু জায়গা ভালো নেই যেখান থেকে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারে। পৌর শহরের প্রধান সড়কটির বেহাল দশা কবে ঘুচবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনা।

অবশেষে পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগি হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অত্র সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসের সময় মাত্র ২ ঘন্টা ২০ মিনিট বেঁধে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ।

প্রথম থেকেই 'ভয়েস অফ পাইকগাছা' এই সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। সড়কটি সংস্কারে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রামও করেছিল। এক পর্যায়ে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে সরকার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।

আপাতত অত্রাঞ্চলের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে রয়েছে নানা আশংকা। কেননা সংস্কার কাজ শেষ নামতে না নামতেই রাস্তার অনেকাংশে পিচ-খোয়া উঠে যেতে দেখা গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমেই ভেঙ্গেচুরে রাস্তাটি ফের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। 

এদিকে রাস্তা ভাঙ্গার বড় একটি কারণ-ভারী যানবাহন যেমন বাঁশ ও পাথরবাহী ১০ চাকার ট্রাকগুলো যাতে আঠার মাইলের পর থেকে অত্র সড়কে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, আশির দশকে রাস্তা পাকা হবার পর পাইকগাছা-আঠার মাইল সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। সেই শুরু থেকেই অবহেলিত এই দক্ষিণ জনপদের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই যানবাহন চলাচল করে আসছে। 

বিগত ২০১১ সালের আগস্ট মাসে কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধি ও অতি বর্ষণের কারনে অত্র সড়কের তালা থেকে পাইকগাছার কাশিমনগর পর্যন্ত রাস্তা ৮/১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় অত্র সড়কের যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। প্রায় দু’মাস পর রাস্তা থেকে পানি সরে গেলেও রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।

Wednesday, April 8, 2015

৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ভয়েস অফ পাইকগাছার পক্ষ থেকে ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাইকগাছা-কয়রার সকল পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন ! সাথে সাথে পরবর্তী ধাপের জন্য শুভকামনা !


মঙ্গলবার ৩৫তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)র ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৩৫তম বিসিএসে এক হাজার ৮০৩টি শূন্য পদের বিপরীতে রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন আবেদন করেন। গত ৬ মার্চ প্রথমবারের মতো ২০০ নম্বরের ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল পিএসসির ওয়েবসাইটে http://www.bpsc.gov.bd/upload/docs/bcs_result_0408171508.pdf পাওয়া যাচ্ছে। 

পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ফোনেও ফলাফল জানা যাবে। মোবাইল ফোনে ফলাফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে পিএসসি লিখে স্পেস দিয়ে ৩৫ লিখে আবার স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি খুদে বার্তায় ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ওয়েবসাইট থেকে বিপিএসসি ফরম-২ সংগ্রহ করে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাইকগাছার রবিউল মোড়ল সবজি ও ফলদ বৃক্ষের চারা ফেরি করে সাবলম্বী

পাইকগাছায় ফেরি করে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সবজির চারা ও ফলদ বৃক্ষের চারা বিক্রি করে রবিউল মোড়ল সাবলম্বী হয়েছেন। বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের শাক সবজি ও ফলদ বৃক্ষের চারার ভ্রাম্যমান বিক্রেতা কৃষক রবিউল মোড়ল পাইকগাছা উপজেলার সুপরিচিত মুখ। 

রবিউল মোড়ল পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল সাক সবজি যেমন, পেঁপে, কাঁচা ঝাল, লাউ, মিষ্টি কুমড়া সহ বিভিন্ন মৌসুমে সবজি বীজ ফেলে চারা উৎপাদন করেন।

তাছাড়া কলা গাছ সহ বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা উৎপাদন করে উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন। 

উপজেলায় কোন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় চারার প্রয়োজন হলে রবিউল মোড়লকে সংবাদ দিলে সে চারা নিয়ে ক্রেতার বাড়ীতে গিয়ে রোপন করে দেন। 

ভ্রাম্যমানভাবে চারা বিক্রি করে রবিউল মোড়ল তার সংসারে সুখের ছায়ায় রয়েছে। তার ১ ছেলে খুলনা বি,এল কলেজে অনার্স পড়ছে এবং ১ মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে। রবিউল মোড়ল ফেরি করে চারা বিক্রি করে নিজে সাবলম্বী হয়েছে এবং সংসারে সুখ ফিরে এসেছে।

এসএ ম্যাপ অনুযায়ী কপোতাক্ষ খননের দাবি; কপিলমুনিতে মানববন্ধনে বক্তারা

কপোতাক্ষ নদের খনন কাজ এসএম্যাপ অনুসারে বাস্তবায়নের পরিবর্তে এমন ভাবে করা হচ্ছে যে তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ তাদের ভিটামাটি হারাতে বসেছে। ইতোপূর্বে নদী ভাঙ্গন ও পূণর্গঠনের কারণে মৌজার সীমানা নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। 

কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছা অংশের দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গা পয়েন্টে ইতোপূর্বে ভাঙ্গনের ফলে রহিমপুর গ্রামটি একেবারে নিশ্চিহৃ হয়েছিল, দেয়াড়া উলুডাঙ্গার অবস্থাও বর্তমানে তাই। কপোতাক্ষে পলি ভরাটের কারণে ইতোপূর্বে ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলো নতুন করে জেগেছে, হতদরিদ্র মানুষ তাদের জমি ফিরে পেয়েছে। তারা পুরনো গ্রামে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। 


আমরা দেয়াড়া-রহিমপুর-উলুডাঙ্গাবাসী সহ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট মৌজার মানুষ লক্ষ্য করেছি কপোতাক্ষ খনন কাজ আমাদের রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। যে নকশা বরাবর নদী খনন চলছে তাতে আমরা আমাদের ভিটেমাটি হারাবো, আমাদেরকে আবারও পথে বসতে হবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দেয়াড়া, রহিমপুর, উলুডাঙ্গাও হরিদাশকাটী গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের প্রধান সড়কে মানববন্দন ও পথসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

কপিলমুনি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নির্মল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সালাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম মহবক্ষত, প্রেসক্লাব কপিলমুনি’র সাঃ সম্পাদক পলাশ কর্মকার, যুবলীগ নেতা আঃ রাজ্জাক রাজু, মুজিবর রহমান ফকির প্রমুখ।

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ভিটেছাড়া হতে যাচ্ছে পাইকগাছার কয়েকশ’ পরিবার


কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছা অংশের খনন কাজে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে পাইকগাছার হরিঢালী ইউনিয়নের দেয়াড়া, রহিমপুর ও উলুডাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার ভিটেমাটি হারাতে বসেছে। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার হরিঢালী এলাকা থেকে কয়েকশ’ মানুষ যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন। এর আগে তারা বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ফাইল ফটো

ভুক্তভোগীরা জানান, কপোতাক্ষের ভাঙনের ফলে পাইকগাছা উপজেলার রহিমপুর গ্রাম একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। একই অবস্থা তৈরি হয় দেয়াড়া ও উলুডাঙ্গা গ্রামেও। এ তিন গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার তাদের রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে পলি ভরাটের কারণে উল্লিখিত গ্রাম তিনটি নতুন করে জেগে ওঠে। আশায় বুক বাঁধে ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ। তারা নিজস্ব জমিতে ফিরতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে বর্তমান সরকার যশোর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত কপোতাক্ষ খননে ২২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেবল তাই নয়, খনন কাজও চলছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা অংশে খনন কাজ চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড পাইকগাছা অংশে কপোতাক্ষ খনন কাজ এসএ রেকর্ড অনুযায়ী নদের জায়গা দিয়ে না করে রেকর্ডীয় ব্যক্তি মালিকানার জমির উপর দিয়ে করার জন্যে ডিজাইন তৈরি করেছে।
এটি করা হলে রহিমপুর, দেয়াড়া, উলুডাঙ্গা, হরিঢালীসহ কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ ফের ভিটেছাড়া হবে। একইসাথে এই অংশে খনন কাজে সরকারের দ্বিগুণেরও বেশি খরচ হবে। অপরদিকে, এসএ রেকর্ড অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদ যেদিক দিয়ে প্রবাহমান ছিল সেখানে খনন কাজ করছে খরচ অর্ধেকের বেশি কমে যাবে। পাশাপাশি কপোতাক্ষ তুলনামূলক বেশি মাত্রায় প্রাণ ফিরে পাবে। 

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে হরিঢালী এলাকার মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা যে কোনো মূল্যে পাউবোর এ কাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

মঙ্গলবার মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আন্দোলনের নেতা উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, নির্মল কুমার মজুমদার, মুজিবর রহমান, আমজাদ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেখানে বলা হয়, জীবন থাকতে কোনো রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে খনন কাজ করতে দেয়া হবে না।

Tuesday, April 7, 2015

বহু প্রতিক্ষার পর অনার্স (২য় বর্ষের) পরীক্ষার কেন্দ্র পাইকগাছায়

পাইকগাছা কলেজের শিক্ষার্থীদের সন্তোষ প্রকাশ 


অবশেষে স্থানীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের হস্তক্ষেপে অনার্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের কষ্ঠ লাঘব হচ্ছে। বহু প্রতিক্ষার পর ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজের অনার্স (২য় বর্ষের) কেন্দ্র নিজ এলাকায় হচ্ছে এবং ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ২য় বর্ষের পরীক্ষা থেকেই নিজ এলাকায় পরীক্ষা দিবে শিক্ষার্থীরা। 


এ উপজেলার ৩টি কলেজ অনার্সভূক্ত হওয়ায় প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের খুলনায় যেয়ে পরীক্ষা দিতে হতো। এতে করে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হতো। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা অনার্স কেন্দ্র নিজ এলাকায় দাবী করে আসছিল। উপজেলায় পাইকগাছা কলেজ, কপিলমুনি কলেজ ও খান সাহেব কোমর উদ্দিন কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স অন্তভূক্ত রয়েছে। 

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি সভা পাইকগাছা কলেজে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরণ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনার্স বিভাগের কর্মরত শিক্ষকরা পর্যায়ক্রমে শুধুমাত্র ২য় বর্ষ নয় প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা যাতে নিজ এলাকায় পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় এমপি’র দৃষ্টি আকর্ষন করে দাবী জানান। 

এখন থেকে কপিলমুনি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থীরা পাইকগাছা কলেজ কেন্দ্রে, পাইকগাছা কলেজের শিক্ষার্থীরা কপিলমুনি কলেজে এবং খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের শিক্ষার্থীরা পাইকগাছা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে। 

সভা শেষে পাইকগাছা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের পুত্র শেখ রফিকুলের দ্রুত রোগমুক্তির জন্য কলেজে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী, পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তা’সহ শিক্ষার্থী অভিভাবকরা বিবৃতি প্রদান করেন।

পাইকগাছায় পুলিশকে লক্ষ করে বোমা বিস্ফোরণ; ২ কনেস্টেবল আহত; আটক ৩

পাইকগাছায় আসামী ধরতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের ২ কনেস্টেবল আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীকন্ঠপুর এলাকায়। 

ছবি‬ :: ‪প্রতীকী‬
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার সরদারের ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী শামীম সরদার (২৬) মাদক সরবরাহ করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাতে রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এস.আই লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ শামীমকে আটকের উদ্দেশ্যে অভিযানে যায়।

শামীমের বাড়ী সংলগ্ন অহিদুলের তেলের দোকানের সামনের সড়কে পৌছানো মাত্রই পুলিশকে লক্ষ করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শামীম ও তার লোকজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশের কিবরিয়া ও আফজাল নামে দু’কনেস্টেবল আহত হয়। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা সদৃশ্য সরঞ্জাম উদ্ধার এবং শামীম ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ও আলমতলা গ্রামের গণি ঢালীর ছেলে ধোনাই ঢালীকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি গোলাম রহমান জানান।

পাইকগাছায় স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত

৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা হচ্ছে ৩১ প্রকার ঔষধ


৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ দিবস। স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রতি বছর এ দিন সারা দেশে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ খাতে সরকারের অর্জিত সাফল্য তুলে ধরে র্যালী, আলোচনা সভাসহ আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচী। এদিকে স্বাধীনতা পরবর্তী যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের বাস-বমুখী পদক্ষেপে বিগত ৫ বছরে স্বাস্থ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ দিবসকে সামনে রেখে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় এমপিসহ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা।


তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে হুমকির মুখে পড়ে স্বাস্থ্য সেবা। একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপর নির্ভর করতে হতো গোটা উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা। বিপুল পরিমাণ এ জনসংখ্যার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হতো কর্তৃপক্ষের। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতো স্বাস্থ্য সেবা। 

স্বাস্থ্য খাতে এ দুরাবস্থার দৃশ্য পাল্টে যায় বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর। ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর ৩০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল, জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ সরবরাহ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌছে যায় স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলায় ১টি ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ১টি ১০ শয্যার হাসপাতাল, ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ১টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। 

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি মঞ্জুরীকৃত প্রথম শ্রেণীর পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১১জন কর্মকর্তা। দ্বিতীয় শ্রেণীর ১৬ পদের বিপরীতে ১২, তৃতীয় শ্রেণীর ১৫৬ পদের বিপরীতে ১২৪ এবং চতুর্থ শ্রেণীর ৩২ পদের বিপরীতে ১৫। অর্থাৎ মোট ২২৫ পদের বিপরীতে কর্মরত ১৬২জন। শূন্য রয়েছে ৬৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ। 

অপরদিকে মোট ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সচল রয়েছে ৩৬টি। নির্মাণ কাজ শেষে হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে সোনাখালী কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়াও কুমখালী ও পাতড়াবুনিয়ার ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩৬ জন সিএইচসিপি সার্ভিস প্রোপ্রাইটর হিসেবে সেবা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রত্যেকটি ক্লিনিকে প্রতিদিন ১ জন সিএইচপি, সপ্তাহে ৩ দিন ১ জন এইচএ ও একজন এফডব্লিউএ সেবা প্রদান করে থাকেন। 

লতার তেতুলতলা এলাকার গৃহবধু সবিতা রাণী জানান, এক সময় স্বাস্থ্য গত যেকোন সমস্যার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হতো উপজেলা সদরে। যেকোন ধরণের স্বাস্থসেবা এখন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ ও প.প. কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল করার ফলে প্রত্যন- অঞ্চলের মানুষ বেশি এর সুবিধা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ প্রসবপূর্ব ও প্রসবোত্তর সেবা, মাতৃ স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা, সাধারণ ডেলিভারী, রক্ত স্বল্পতা, সাধারণ সর্দিজ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ইপিআই, শিশু ও মায়েদের পুষ্টি সেবাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। 

স্থানীয় এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক জানান, বিগত ৫ বছরে সরকারের বাস-বমুখী পদক্ষেপে স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। 

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল করা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে এমপি হক বলেন, এর মাধ্যমে সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ সেবা দৌড়গোড়ায় পৌছে দিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে ৩১ প্রকার ঔষধ সরবরাহ করে সরকার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী যেকোন সময়ের চেয়ে স্বাস্থ খাতে সরকারের অর্জিত এ সাফল্য অব্যাহত রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানান। 

--আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা।

Monday, April 6, 2015

শোক সংবাদ ::

পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব এস এম আলী আকবর (৮৮) আজ সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৩ পুত্র’সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রবীণ এ শিক্ষককে সোমবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

তার জেষ্ঠ্য পুত্র পাইকগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টি ও নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, মেজো পুত্র পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু এবং কনিষ্ঠ পুত্র ফসিয়ার রহমান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মুশফেকা হুমায়ুন কবীর পিন্টু।

এখন পাইকগাছা থেকে খুলনা ২ ঘন্টা ২০ মিনিটের পথ !

পাইকগাছা-খুলনা রুটে বাস চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রিপের জন্য সর্বোচ্চ সময় নির্ধারন করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। পাইকগাছা জিরো পয়েন্ট থেকে খুলনা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত পৌছাতে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সময় ২ ঘন্টা ২০ মিনিট। বিলম্ব হলে প্রতি মিনিটের জন্য জরিমানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার থেকে এ নিয়ম চালু হয়েছে বলে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নির্ভরযোগ্য সূত্র 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'কে নিশ্চিত করেছে।


# পাইকগাছা থেকে প্রথম ট্রিপ ছাড়ার সময় :: ভোর ৫টা ৫০ মিনিট
# পাইকগাছা থেকে শেষ ট্রিপ ছাড়ার সময় :: সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট
# এছাড়া প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একটি করে ট্রিপতো রয়েছেই।

পাদটিকা :: যেহেতু বর্তমানে পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক চলাচল উপযুক্ত, তাই আশাকরি এই নিয়ম শুধু নামের নয় কামেরও হবে।

Sunday, April 5, 2015

পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে ভাইরাসের প্রকোপ

অর্ধেকে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য; হতাশ চিংড়ি চাষীরা 


পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে দেখা দিয়েছে ভাইরাসসহ ব্যাপক রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ। বাজারজাত করার আগেই অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরের চিংড়ি মরে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বিগত বছরের চেয়ে অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য। ফলে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি চাষীরা। চলতি বছর মোটা অংকের টাকা লোকসানের আশংকায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য ও মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী চিংড়ি চাষীরা।

সূত্রে মতে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ৮০’র দশকে শুরু হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ। শুরুর দিকে চিংড়ি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে এ চাষ ব্যবস্থা। ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে দেখা দেয় ভাইরাসসহ নানাবিধ রোগ বালাইয়ের প্রকোপ। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চিংড়ি শিল্পকে এগিয়ে নেয় এ শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। রোগবালাই চিংড়ি চাষের প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও বিগত বছর বাজার মূল্য অধিক পাওয়ায় লাভের মুখ দেখে চিংড়ি চাষীরা।

উপজেলা মৎস্য বিভাগের সুত্র মতে বর্তমানে উপজেলায় ১৭.০৭৫ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। ছোট বড় মিলিয়েই ঘেরের সংখ্যা ৩,৯৪৯ টি। এ দিকে চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে ভাইরাস সহ বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে বিগত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে চিংড়ির বাজার মূল্য।

ফলে চড়ামূল্যে হারির টাকা দিয়ে ঘের করতে গিয়ে বিপাকে রয়েছেন ঘের মালিকরা। ঘের ব্যবসায়ী মোঃ দাউদ শরীফ জানান, গত বছর যে চিংড়ির কেজি ১ হাজার ৮শ টাকা মূল্য ছিল। সেখানে এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা দরে।

এছাড়াও মৌসুমের শুরুতেই চাহিদা বেশি থাকায় পোনা হ্যাচারী মালিকরা পোনার দাম বাড়িয়ে দেয়। চিংড়ির এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে ভবিষ্যতে চিংড়ি চাষ ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হবে ঘের মালিকদের। জলবায়ু পরিবর্তন, তাপমাত্রা উঠা-নামা, দুর্বল নার্সারী ও ঘের ব্যবস্থাপনা এবং চাষাবাদে ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার না করা ও উন্নত পদ্ধতি অনুসরণ না করায় চিংড়ির রোগ-বালাইয়ের অন্যতম কারণ বলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এসএমএ রাসেল জানান।

জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চিংড়ি চাষী আলহাজ্ব মোঃ ফসিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের অন্যতম খাত হচ্ছে হিমায়িত চিংড়ি। যা রপ্তানী করে সরকার প্রচুর পুরমান বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু চলতি বছর রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি, চিংড়ির বিক্রয় মূল্য কম ও ভাইরাসমুক্ত পোনা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে চিংড়ি শিল্প।

এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলার চিংড়ি চাষীরা।

জিআইএফ ইমেজ সহজেই বলে দিবে কখন আপনার চশমা দরকার (ভিডিও)

বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।

একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।

ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।

এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।

এবং এখানে আইনস্টাইনের ছবিতে আপনি স্পষ্টভাবে তার গোঁফ এবং বলিরেখার মতো মুখের সূক্ষ্ম বিবরণ দেখতে পারেন।  


সমস্যা হল আপনি যদি আইনস্টাইনের ছবির বিস্তারিত দেখতে না পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে। জিআইএফ ইমেজ জত বড় হবে ছবি তত স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।
একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।
ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।
এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।
- See more at: http://tech.priyo.com/news/2015/4/05/27929-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93#sthash.kJ4i2Kgs.dpuf
বিটম্যাপ ইমেজ ফরম্যাট হল জিআইএফ(গ্রাফিক্স ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাট) ইমেজ। আর এই ইমেজ দিয়েই পরীক্ষা করা যাবে যে আপনার চশমার দরকার আছে কিনা।
একটি জিআইএফ ইমেজে প্রথমে অভিনেত্রী মেরিলিন মনোরো'র ছবি দেখা যায় আর আস্তে আস্তে তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিতে রূপান্তরিত হয়। এএসএপি সায়েন্স, একটি ভিডিও'র মাধ্যমে দেখিয়েছে এই ব্যাপারটি কিভাবে সংগঠিত হয়। ব্যবহৃত ইমেজটি একটি হাইব্রিড ইমেজ। যেখানে রয়েছে দুটি আলাদা ছবির সংযোগ। এখানে একটি ছবি মেরিলিন মনোরো'র আর অন্যটি আইনস্টাইনের।
ইমেজ রুপান্তর প্রদর্শিত হবে কারণ এখানে একটি ইমেজ (আইনস্টাইন) সুপার ঘন পিক্সেল দিয়ে গঠিত যেখানে তার খুঁটিনাটি সব রয়েছে। যেমন- গোঁফ এবং মুখের বলিরেখা। আর অন্যটিতে (মেরিলিন মনোরো) শুধুমাত্র তার মৌলিক বৈশিষ্ট্য দেখানোর জন্য অনেক কম পিক্সেল দিয়ে গঠিত হয়েছে।
এখানে মেরিলিনের ইমেজে আপনি সহজেই তার মুখের আকৃতি এবং মৌলিক মুখের বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন কিন্তু এর বেশী কিছু না।
- See more at: http://tech.priyo.com/news/2015/4/05/27929-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%AB-%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93#sthash.kJ4i2Kgs.dpuf

রক্ত দান নিয়ে কিছু কথা

কেন রক্তদান করবেনঃ 


১। প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে !

২। হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে।

৩। নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন।

৪। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্ত প্রবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস, জন্ডিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা।

৫। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেড়ে যায়।

৬। নিজের মাঝে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন। "আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম" এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি।



কাদের রক্তের প্রয়োজন হয়ঃ


১. দূঘর্টনাজনিত রক্তক্ষরণ - দূঘর্টনায় আহত রোগীর জন্য দূঘর্টনার ধরণ অনুযায়ী রক্তের প্রয়োজন হয়।

২. দগ্ধতা - আগুন পুড়া বা এসিডে ঝলসানো রোগীর জন্য পাজমা/রক্তরস প্রয়োজন। এজন্য ৩-৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৩. অ্যানিমিয়া - রক্তে R.B.C. এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তে পযার্প্ত পরিমাণ হিমোগ্লোবিনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে R.B.C. এর ভাঙ্গন ঘটে ফলে রক্তের প্রয়োজন হয়।

৪. থ্যালাসেমিয়া - এক ধরনের হিমোগ্লোবিনের অভাবজনিত বংশগত রোগ। রোগীকে প্রতিমাসে/সপ্তাহে  ১-২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়।

৫. হৃদরোগ - ভয়াবহ Heart Surgery এবং Bypass Surgery এর জন্য প্রায়৬-১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৬. হিমোফিলিয়া - এক ধরনের বংশগত রোগ। রক্তক্ষরণ হয় যা সহজে বন্ধ হয় না, তাই রোগীকে রক্ত জমাট বাধার উপাদান সমৃদ্ধ Platelet দেয়া হয়।

৭. প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ - সাধারণত প্রয়োজন হয় না তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১-২ বা ততোধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

৮. ব্লাড ক্যান্সার- রক্তের উপাদানসূমহের অভাবে ক্যান্সার হয়। প্রয়োজন অনুসারে রক্ত দেয়া হয়।

৯. কিডনী ডায়ালাইসিস - ডায়ালাইসিস-এর সময় মাঝে মাঝে রক্তের প্রয়োজন হয়।

১০. রক্ত বমি - এ রোগে ১-২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

১১. ডেঙ্গু জ্বর - এ রোগে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ Platelet পৃথক করে রোগীর শরীরে দেয়া হয়।

১২. অস্ত্রপচার - অস্ত্রপচারের ধরণ বুঝে রক্তের চাহিদা বিভিন্ন।

কারা রক্ত দিতে পারবেন/রক্ত-দানের যোগ্যতাঃ


• শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন।

• রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

• শারীরিক ওজনঃ- মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি  বা এর বেশি হতে হবে। তবে, উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
• রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।

• শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না।

• মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্ত-দান করা যায়।

• রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।

• মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।

• কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। যেমন- এ্যান্টিবায়োটিক।

• তিন মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি।

কিভাবে রক্ত-দান করতে হয়ঃ


রক্ত-দান করার জন্য ইচ্ছা শক্তি-ই যথেষ্ট। তবুও কিছু নিয়ম মানা উচিত।

১. আপনারা স্বেচ্ছায় রক্ত-দান করবেন, বিনিময়ে কোন টাকা নিবেননা। কারণ বিনিময়ে কোন টাকা চাওয়া হারাম।

২. রক্ত-দানের পূর্বে অবশ্যই রোগি দেখবেন এবং ডাক্তারের রিকোজিশান ফরম ছাড়া রক্ত-দান করবেন-না।

৩. রক্ত-দান করতে গেলে, কোন বন্ধুকে আপনার সাথে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ একা না যাবেন না।

৪. রক্তদানের উপযোগিতা যাচাই করার জন্য কতকগুলো পরীক্ষা করা জরুরি। যেমনঃ- হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইচআইভি (হিউমেন ইমিউনোডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস) বা এইডস, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। আপনি রক্ত-দান/রক্ত-গ্রহণের পূর্বে এই পরিক্ষাগুলোর রিপোর্ট অবশ্যই দেখবেন।

৫. রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। এতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। সব মিলিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে রক্ত-দান করে আসতে পারবেন।

রক্তদানের উপকারিতাঃ


১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।

২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।

৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

৪.সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।

৫. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম ।

৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’