Friday, May 3, 2013

পাইকগাছায় ঝুকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে ৩শ শিক্ষার্থী

পাইকগাছায় ঝুকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩শ শিক্ষার্থী। বিশাল আকারের কয়েকটি গাছ স্কুল ভবনে হেলে পড়ায় ভবনটি’র বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে যেকোন মুহুর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ আশংকা করছে। বিষয়টি অবহিত করার পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।


জানা যায়, ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয় মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট স্কুল ভবন। ভবনের চারপাশ দিয়ে রয়েছে বিশাল আকারের অসংখ্য গাছ। যারমধ্যে বড় আকারের একটি শিশু গাছ কয়েকমাস পূর্বে স্কুল ভবনের উত্তর-পূর্ব কর্নারে হেলে পড়ায় ভবনের কিছু অংশ মাটিতে ডেবে গেছে এবং ছাদ, পিলার, ভিমসহ অসংখ্য স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন জানান-বিকল্প কোন ভবন না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মরত ৭ শিক্ষক। বিদ্যালয়ের সভাপতি জিএম মাহফুজুল হক কিনু জানান-গাছটি কর্তনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। দ্রুত গাছটি অপসারণ করা না হলে যেকোন মুহুর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান জানান, এখনও পর্যন্ত কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হালনাগাদ

পাইকগাছার মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহতাব উদ্দিনকে শহীদের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করনে তদন্ত সম্পন্ন করেছেন খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. আব্দুল হাকিম। শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১ এর উপজেলা সভাপতি শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি, মুক্তিযোদ্ধা তোকাররম হোসেন, রনজিৎ সরকার ও স.ম আব্দুল বারেক। 


সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান গণপূর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মনজুর কাদিরের উপজেলা পরিষদে নির্মাণ করা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সুত্রমতে, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহতাব উদ্দিন ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই উপজেলার আগড়ঘাটা খেয়াঘাটে শত্রুপক্ষদের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন।

পাইকগাছায় চিংড়ী ঘের দখলের চেষ্ঠা; বোমা বিষ্ফোরণ

পাইকগাছায় চিংড়ী ঘের দখলকে কেন্দ্র করে বোমা বিষ্ফোরন ও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের স্বসস্ত্র লোকজন স্থানীয় ঘের মালিকদের দখলে থাকা চিংড়ী ঘের দখলের চেষ্ঠা করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় ঘের মালিকদের লোকজনের বাধার প্রতিপক্ষের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নের গঙ্গারকোনা, মাঝেরাবাদ ও তেতুঁলতলা এলাকার ২২শ বিঘার একটি চিংড়ী ঘের নিয়ে বর্তমান দখলে থাকা নির্মল ঠাকুর গংদের সাথে প্রতিপক্ষ দখলচুত্ত্য প্রভাবশালী ঘের মালিক সাইফুল ইসলাম ডুয়েলের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক হামলা, মামলা, দখল পাল্টা দখল ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য গত মাস খানেক পূর্বে নির্মল ঠাকুরগংরা চিংড়ী ঘেরের দখল বুঝে নিয়ে চিংড়ী ঘেরের নিয়ন্ত্রন করে আসছে। সর্বশেষ শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ৩টি ট্রালার ও ১০টি মটরসাইকেলযোগে সাইফুল ইসলাম ডুয়েলের স্বসস্ত্র শতাধিক লোকজন চিংড়ী ঘেরের ভিতরে প্রবেশ করে দখলের চেষ্ঠা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় কয়েকটি বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্মল ঠাকুরের দু’জন ও সাইফুল ইসলাম ডুয়েলের ১ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।

শুক্রবার থেকে খুলনাসহ ১৮ রুটে পরিবহন ধর্মঘট

খুলনাসহ ১৮ রুটে শুক্রবার ভোর থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ নসিমন, করিমন, আলমসাধু ও শ্যালো ইঞ্জিন যানবাহন বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় খুলনাস্থ রূপসা বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হক লিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


এ সময় তিনি বলেন, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের চারটি বাস মালিক সমিতি ও চারটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে এ অঞ্চলের পরিবহন মালিকরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এসব যানচলাচল বন্ধে এ অঞ্চলের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে যাচ্ছেন।কিন্তু প্রশাসন তথা সরকারের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে আবারও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিকে ধর্মঘট সফল করতে রূপসা বাসস্ট্যান্ডসহ খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে মাইকিং করতে দেখা গেছে।