Friday, May 31, 2013

বিদ্যুৎতের মেইন তার ছিড়ে স্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধু মারাত্মক আহত

পাইকগাছায় শুক্রবার দুপুরে সরলস্থ হাসপাতাল রোডে বিদ্যুতের মেইন তার ছিড়ে পড়ে এক গৃহবধু আহত ও একটি ছাগল মারাগেছে। সুত্রমতে-পাইকগাছা উপজেলার বিদ্যুৎ এর নাজুক অবস্থা ও সরবরাহ নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একটু ঝড় বৃষ্টিতেই দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে সরলস্থ হাসপাতাল রোডে বিদ্যুতের মেইন তার ছিড়ে পড়লে নিচে অবস্থানরত গৃহবধু কুলসুম (৩৬) এর বাম হাত স্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হয়। পাশেই অবস্থারত একটি ছাগল স্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে ছাগলটি মারা যায়।

এলাকাবাসী জানায় যদি ঘটনার সময় বেশি লোকের চলাচল থাকতো তাহলে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো। অবিলম্বে বিদ্যুতের নাজুক অবস্থা দূর করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানায়।

পাইকগাছায় ৪ দিনের ভারী বর্ষনে শতাধিক কাঁচা-ঘরবাড়ি বিধস্ত

নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ঝড়োহাওয়া ও ৪ দিনের ভারী বর্ষনে পাইকগাছায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিধস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচাঘরবাড়ি, অসংখ্য চিংড়ী ঘের ভেসে ও হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি তলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

সুত্রমতে, সম্প্রতি বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিনত হলে এর প্রভাবে গত মঙ্গলবার হতে শুক্রবার পর্যন্ত ৪দিনের টানা ভারী বর্ষন ও ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৪দিন কাজ করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ। উপজেলার গড়ইখালীর বাইনবাড়ী, কুমখালী ও হোগলারচক এলাকায় প্রায় শতাধিক কাঁচাঘরবাড়ি বিধস্ত, অসংখ্য চিংড়ী ঘের ভেসে ও ফসলী জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান।

অপরদিকে দেলুটি ইউনিয়নের দারুনমল্লিক, হরিনখোলা, কালিনগর, শহীদখালী, গোপিপাগলা, সেনেরবেড়, হাটবাড়ি, বিগরদানা, দূর্গাপুর ও ফুলবাড়ি এলাকার হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমি তলিয়ে তিল, ডাল, শষা, মিষ্টিকুমড়া ও তরমুজ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার জানান। এছাড়াও পৌর সদরসহ চাঁদখালী, রাড়ুলী, গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি এলাকার নিচু এলাকা তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সবিমিলিয়েই ৪দিনের ভারী বর্ষনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

কপিলমুনিতে টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, কর্মহীন মানুষ

জৈষ্ঠ মাসের তীব্র দাবদাহের মধ্যে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, স্কুল, মৎস্যঘেরসহ ফসলি জমি। এতেকরে কপিলমুনিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেকে থেকে বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়া বইছিল এলাকাজুড়ে। তবে আবহাওয়ার এমন বৈরীতা সম্পর্কে বিশ্লেষকদের প্রাথমিক ধারণা যে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে এমনটি সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, আবহাওয়ার নিন্মচাপের ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সর্বত্র থেকে থেকে হালকা বৃষ্টি ও মৃদু হাওয়া বইতে শুরু করে। এরপর গত দু’দিন যাবৎ মাঝারী থেকে ভারী বর্ষন শুরু হয়। এতেকরে উপজেলার সর্বত্র পুকুর, ডোবা, খালবিল, জলাশয়, এমনকি রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে একাকার হয়ে যায়। উপজেলার গুরুত্বপূর্ন বানিজ্যিক উপশহর কপিলমুনি এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। এমতাবস্থায় এলাকার অনেক স্কুল ও ফসলিজমি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারনে কৃষকের বোরো ধান এখনও পর্যন্ত জমিতে পড়ে আছে। সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি ঘেরের অবস্থা একই রকম। মৎস্য ঘেরের বাধ ছেপে সর্বত্র একাকার হয়ে গেছে। এদিকে বিরামহীন বৃষ্টির কারনে কাজে বের হতে পারেনি নিন্ম আয়ের মানুষ। একপ্রকার কর্মহীন হয়ে পড়েছে সকল পেশাজীবি মানুষ। সারাদিন বৃষ্টি আর বৃষ্টির মধ্যে বেরুবার চেষ্টা করেও আটকে পড়তে হয়েছে অনেকবার। এমনি অবস্থায় আবহাওয়ার বৈরীতা নিয়ে বিশ্লেষকদের ধারনা এ বছর আগাম বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যে কারনে ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। তবে ধারনা করা হচ্ছে, আগাম বৃষ্টিপাতের ফলে ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। যা আমন ধান উৎপাদনের উপর প্রভাব পড়তে পারে!