Wednesday, February 12, 2014

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ফলাফল

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তৃতীয় বর্ষ অনার্স পরীক্ষার ২৭ বিষয়ের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.du.bd এবং www.nubd.info থেকে এ ফলাফল জানা যাবে। এ ছাড়া মোবাইলফোনের মাধ্যমে NU H3 Roll লিখে 16222 নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফলাফল জানা যাবে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিমের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করা হয়।

পাইকগাছায় জমে উঠেছে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

পাইকগাছায় জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তফশীল ঘোষনার পর ইতোমধ্যে ছোট খাট রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করলেও আ’লীগ ও বিএনপি এখনও পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত না করায় বড় দু’দলের একাধিক প্রার্থী চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। ফলে একাধিক প্রার্থীর কারণে বিপাকে রয়েছেন এ দু’দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রার্থীদের পদ চারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে পাইকগাছার ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

সূত্র মতে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ৩য় দফায় গুরুত্বপূর্ন এ উপজেলার তপসিল ঘোষনার পর জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। সম্ভাব্য প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগ করার মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। অনেকেই আবার দলীয় মনোনয়ন পেতে ছুটে চলেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দ্বারে দ্বারে। এতে দীর্ঘ দিন পর হলেও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গুরৃত্ব বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

এদিকে জামায়াত ও সিপিবি’র মত কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করলেও আ’লীগ ও বিএনপি এখনও পর্যন্ত তাদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত না করায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বড় এ দু’দলের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তবে ২১ ফেব্রয়ারী তৃণমূল সভার মাধ্যমে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এ বারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের ভার প্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ ও শেখ সোহরাওয়ার্দী।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মজিদ, জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি এ্যাডঃ স.ম বাবর আলী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক।

জাতীয় পার্টি ঘোষনা না করলেও সংগঠনের একক প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলার জাপা ও নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এাডঃ লিয়াকত আলী সরদার, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল।

আ’লীগের ভাইস-চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগ নেতা বিজন বিহারী মন্ডল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস.এম সামছুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি দেবব্রত রায় দেবু, যুব লীগ নেতা ডাঃ টিকেন্দ্র ও কুমারেশ মন্ডল।

বিএনপি’র এ্যাডঃ এস.এম মুজিবর রহমান, সাংবাদিক জি.এ গফুর, শেখ সামছুল আলম পিন্টু, জামায়াতের উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল হোসেন, সিপিবি’র উপজেলা সাধারন সম্পাদক সুভাষ সানা মহিম।

মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ইউপি সদস্য দিপ্তী রানী চক্রবর্ত্রী, বিএনপি’র উপজেলার মহিলা দলের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য লক্ষ্মী রানী গোলদার, বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন, জামায়াতের মহিলা নেত্রী হাবিবা আক্তার রুমকি।

পাইকগাছায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার

পাইকগাছায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের কাশিমনগর এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এ গাঁজা উদ্ধার করে।

থানার ওসি এম. মসিউর রহমান জানান, বুধবার সকালে মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র গাঁজা নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাদেরকে ধাওয়া করলে কাশিমনগর ইটভাটা সংলগ্ন পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের উপর গাঁজা ফেলে রেখে চক্রটি মটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসমত আলী ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে বলে তিনি জানান।

পাইকগাছায় অবাধে নিধন হচ্ছে অতিথি পাখি

পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন বিলে অবাধে নিধন হচ্ছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। তা আবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশা বিক্রি করছে শিকারীরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবছরও শীতের শুরুতে সুদূর হিমালয় ও সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ পাইকগাছা উপজেলা ও এর আশেপাশের খালে বিলে আসতে শুরু করেছে। আর এই অতিথি পাখির আগমনের কারণেই স্থানীয় শিকারীরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাঠে নেমে মেতে উঠেছে পাখি নিধনের মহোৎসবে।

শীত মৌসুমে হাজার হাজার পাখির কলকাকলীতে এ অঞ্চলের ছোট ছোট বিল-ঝিল মুখরিত হয়ে উঠে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অসংখ্য অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে গেলে তারা পূর্বের স্থানে ফিরে যায়। এদের মধ্যে বালিহাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদাখোঁচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, আশির দশকে এদেশে আসা অতিথি পাখি ছিল প্রায় সাড়ে ৩শ প্রজাতির। কিন্ত বর্তমানে এর সংখ্যা নেমে ৭০/৮০তে চলে এসেছে। প্রচন্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার্থে লাখ লাখ মাইল পথ উড়ে চলে আসে এ অঞ্চলে।

তাই শীতের পাখির আগমনে পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবারও তৎপর হয়ে উঠেছে অসাধু শিকারী দল। এ শিকারীরা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খাল, বিল, নদী ও মাঠ থেকে সুকৌশলে অতিথি পাখি নিধন করে এলাকায় এনে নির্দিষ্ট ক্রেতাকে পৌঁছানোসহ প্রকাশ্যে দেদারছে বিক্রি করে চলেছে।

জানা গেছে, এসব পাখি শিকারীরা নাইলনের সুতা দিয়ে ছোট-বড় ফাঁদ তৈরি করে পাখির চলার পথে পেতে রাখে। রাতের বেলায় পাখিরা যখন উড়ে বেড়ায় তখন এই ফাঁদে শত শত পাখি আটকা পড়ে। এছাড়াও চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতে এসব পাখি শিকার করে থাকে। শিকারীরা সারা রাত ধরে নিধন করা পাখি অবাধে বিক্রি করছে, বিভিন্ন এলাকায়।

অতিথি পাখি নিধন বন্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।