Wednesday, September 3, 2014

পাইকগাছায় লতিফা খানম স্মরণে বনানী সংঘের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

পাইকগাছায় বনানী সংঘের উদ্যোগে প্রাক্তন অধ্যাপিকা লতিফা খানম স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার সন্ধ্যায় বনানী সংঘের নিজস্ব কার্যালয়ে সংঘের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রায়ত অধ্যাপিকা লতিফা খানমের জ্যেষ্ঠ পুত্র দৈনিক আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার ও সমকালীন অর্থনীতি বিভাগের এডিটর মিথুন মাহফুজ, উপাধ্যক্ষ সরদার মোহাম্মদ আলী, এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, জি,এম, আজহারুল ইসলাম, ডাঃ নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শেখ শহিদুল ইসলাম বাবলু, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, এ্যাডঃ মোজাফফার হাসান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, জি,এ রশীদ, শিক্ষক দীলিপ কুমার, আব্দুল খালেক, গাজী শহিদুল ইসলাম খোকন, আবু জাফর, এস,এম, ইমদাদুল হক, শেখ আব্দুল গফফার, গাজী শফি কামাল (গফুর) সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, নিজাম উদ্দীন, রোকনুজ্জামান, গাজী আব্দুস সামাদ, শেখ আজিজ, মহিউদ্দীন, প্রণব সরদার, জামিনুর ইসলাম সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওঃ নুরুজ্জামান।

কয়রা মহিলা কলেজের নবীন বরন অনুষ্ঠিত

কয়রা মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত ছাত্রীদের উপস্থিতিতে এক নবীন বরন অনুষ্ঠান ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় কলেজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের প্রভাষক ঢালী দিদারুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ রুহুল কুদ্দস, গোপাল চন্দ্র মন্ডল, মোস্তফা অলিউল্লাহ, বাবুল আক্তার, রবিউল ইসলাম, ছাত্রী তানিয়া আক্তার, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

হৃদরোগে আক্রান্ত ৭ মাসের শিশু বিথিকার রোগমুক্তি কামনা

পাইকগাছার মঠবাটীস্থ প্রতিবন্ধী কমিউনিটি কমপ্লেক্স ও ব্রতিত রায় শিশু ও প্রতিবন্ধী কল্যান ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন ব্যাংক কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায়ের পৌত্রি বিথিকা রায় (৭ মাস) এর রোগ মুক্তি কামনা করে পাইকগাছা সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় মন্দিরে বুধবার বিকালে এক প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সম্পাদক মুক্তিপদ মন্ডল (এসপিআর) এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দু সানা, প্রভাষক সুফল মন্ডল, ব্যাংক কর্মকর্তা তাপস মন্ডল, শিক্ষক অনিল ঢালী, শিক্ষিকা রীনা মন্ডল, সংগীত সুকলা মন্ডল, ডাঃ তাপস রায়, ডাঃ নিরাপদ কবিরাজ, প্রমতেশ রায়. সুশান্ত সরকার, হিল্লোল রায়, সন্দীপন রায়, পরামনন্দ ঢালী, জগন্নাথ দেবনাথ, কাকন মজুমদার, সুভাষ সরকার, রিংকু স্বর্ণকার, তৃপ্তি রানী রায়, তনুশ্রী রায়, সুদর্শন দেবনাথ, স্বপন রায় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিথিকা রায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাস্থ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ডাঃ এন,এন, ফাতেমার অধীনে চিকিৎসাধীন আছে। তাকে ভারতের বাঙ্গালোরে ডাঃ দেবী প্রসাদ শেটি কর্তৃক ওপেন হার্ট সার্জারী করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিথিকা রায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে গমণ করবে।

পাইকগাছায় একমি কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ মৃতদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির এক মৎস্য ঘের থেকে একমি কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ লিটন দাশ ওরফে কিনা (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আত্মহত্যা না হত্যা তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। 

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, লিটন দাশ উপজেলার কপিলমুনি দিনমুজুর সুকুমার দাশের পুত্র। প্রায় ৪ বছর আগে বিবাহ হয় তার। বিবাহিত জীবনে তিনি দেড় বছর বয়সে এক কন্যা সন্তানের জনক। বিবাহ পরবর্তী সময় স্ত্রীর সাথে তার ছোট ভাই মায়ের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। তার স্ত্রী বর্তমানে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজে অস্থায়ীভাবে শিক্ষকতা করছেন।

ঘটনার দিন স্ত্রী, কন্যা ও লিটন দুপুরের খাবার এক সাথে খান। এরপর সন্তানকে বাবার কাছে রেখে লিটনের স্ত্রী স্কুলে চলে যান। বিকাল থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান লিটনের স্ত্রী পার্বতী বনিক। লিটনের মেজ ভাই সুমন দাশ জানান, দাদা কাজে যাবার কথা বলে মেয়েকে আমার কাছে দিয়ে যায়।

লিটনের সহকর্মীরা নাছিরপুর গ্রামে কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকা থেকে লিটনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন কিটনাশক পানে তার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সকালে থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোট করে লাশ মর্গে পাঠান। মৃত্যুও সঠিক কারন পরিবারের লোকজন জানাতে পারেনি। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পারিবারিক কোলাহলের কারনে লিটন আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা তা নিয়ে এলাকায় রহস্য ঘুরপাক খাছে।

পাইকগাছায় অপহরণের দুই সপ্তাহ পর ভিকটিম স্কুল ছাত্রী উদ্ধার; আটক ২

পাইকগাছায় অপহরণের দুই সপ্তাহ পর পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অপহরণকারীসহ দু’যুবককে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে আটক করা হয় বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। 

জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট মাহমুদকাটি গ্রামের মারুফ গাজীর ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা অপহৃত হয়। ঘটনার একদিন পর ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে একই এলাকার রামপদ দাশের পুত্র রনজিত কুমার দাশ (২০) সহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় অপহরণ মামলা করেন। যার নং- ২৮।

ঘটনার দুই সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার ঢাকার দারুস সালাম থানা পুলিশ গাবতলীর বড় বাজার এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী রনজিত এবং তার সহযোগী দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মৃত উদয় শিকদারের পুত্র দিপংকর শিকদারকে আটক করে পাইকগাছা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বুধবার আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ ও ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছায় সরকারি খাল ও জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার পাইকগাছার বিভিন্ন সরকারি খাল ও জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বুধবার দুপুরে উপজেলার লতা ইউনিয়নের হানি মুনকিয়া বদ্ধ জলাশয় ও দেলুটি ইউনিয়নের পারমধুখালী সরকারি খালে ১২০ কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সবুজ কুমার মিস্ত্রী, পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,এ রাসেল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পাইকগাছায় শরিক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় সুশীলন শরিক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট এণ্ড কো-অপারেশনের সহায়তায় ও হেলভেটাস সুইস ইন্টারকো অপারেশন-বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শরিক প্রকল্প, খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিলকিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। 


বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন। অনুষ্ঠানে শরিক কর্মসূচীর পটভূমি এবং ভৌগলিক প্রেক্ষাপটের উপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন শরিক প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার আশফাকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি অফিসার বিভাস চন্দ্র সানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ল্ল কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়াদ্দার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সমবায় কর্মকর্তা এফ,এম, সেলিম আকতার, নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী, জনস্বাস্থ্য ও উপসহকারী প্রকৌশলী শেখ সরফরাজ আলী, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, শহীদুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, রুহুল আমিন বিশ্বাস, সমর কান্তি হালদার, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, আলহাজ্ব মুনছুর আলী, কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন, কাজল কান্তি বিশ্বাস, শরিক প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার ফিরোজ আহম্মেদ, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন, সুশীলনের টিম লিডার শিপক চন্দ্র দে, প্রদীপনের কামরুন্নাহার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

স্বপ্নের শিববাটী ব্রীজ আর গুরুত্বহীন হয়ে পড়া একটি ফেরির গল্প !

পাইকগাছায় যখন প্রথম শিববাটী ফেরিঘাটে ফেরি চালু করা হল তখন এই ফেরির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কারণ, পাইকগাছা থেকে কয়রায় বাস চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই ফেরি।

কালের পরিক্রমায় পাইকগাছাবাসী পেল স্বপ্নের (টোলযুক্ত) শিববাটী ব্রীজ ! আর গুরুত্বহীন হয়ে পড়লো এই ফেরি !


ছবিটি ব্রীজের উপর থেকে তোলা। তখনও নির্মান কাজ শেষ হয়নি।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের দাবি দখিনার

পাইকগাছা থেকে আঠারমাইল পর্যন্ত কবি সিকান্দার আবু জাফর সড়কটি বর্তমানে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 


জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি মেরামত করে জনগনের চলাচলের উপযোগী হিসাবে তৈরি করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছ দখিনার সভাপতি প্রফেসর আলী আহমেদ, দখিনার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. স. ম. বাবর আলী, আলহাজ্ব মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, এ্যাড. হেমন্ত কুমার সরকার, এ্যাড. অচিন্ত্য কুমার দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল আলম সরদার, এ্যাড. আরাফাত হোসেন, জি, এম, মইন উদ্দিন, মোঃ জাহিদ হাব্বি, এ্যাড. আবুল কালাম, কাজী তারিক আহমেদ, জি এম ইউনুস আলী, শারমিন মারিয়া মুক্তি, এস, এম, নজরুল ইসলাম, এ্যাড. নিহিত কান্তি ঘোষ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আঃ আজিজ পাড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গনি, ভাষা সৈনিক আবু হায়দার সানা, এ্যাড. প্রবির বিশ্বাস, জি, এম, মোহাম্মদ আলী, দখিনা ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এখলাস সরদার, মোঃ সেলিম, মোঃ এনামুল ইসলাম প্রমুখ।

কয়রার তের আউলিয়া জলমহল ইজারা বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন প্রশাসন

জেলার কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া খাল (বদ্ধ) জলমহাল ইজারা বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়েছে। চার দফা তদন্ত করা সত্বেও প্রভাবশালী মহলের চাপের কারনে প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গত সাড়ে ৪ মাসেও। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিঃ-এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা থাকার বিষয়টি তোলা হয়।

তাছাড়া বিগত চারটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে ইজারা দিতে যে সুপারিশ করেছে সে বিষয়টি তোলা হলে চাপের মুখে পড়ে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমিতি লিঃ-কে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয় তদন্তে। পরবর্তীতে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে ইজারা দিতে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সুপারিশ করেন।

সূত্রটি জানায়, শুধুমাত্র কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া (বদ্ধ) জলমহলের ইজারা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি হয়। প্রত্যেকটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথম হওয়া দরদাতার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা থাকায় দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে পুনরায় ৪র্থ দফায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটি পূর্বতন কমিটির মতই মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর অনুকূলে গত ১৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে গতকাল জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু উক্ত সভায় প্রভাবশালী মহলের পছন্দনীয় সমিতিকে ইজারা দেয়ার জন্য দাবি করা হলে বিপাকে পড়ে এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে সভা।

কপিলমুনিতে চায়ের দোকানে জুয়ার আসর

কপিলমুনিতে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া আসর। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ খেলা। দিনমজুর, শ্রমিক এমন কি স্কুল ছাত্র এ খেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করা রয়েছে।

জানা গেছে, বাজারের অধিকাংশ চায়ের দোকানী তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রথমে ক্যারাম ও পরে তাসের খেলা চালু করে। অবসর সময় কাটানোর নামে শুরু করা এ খেলা বর্তমানে জুয়ায় রূপ নিয়েছে। স্থানীয় নগর শ্রীরামপুর মোড় হতে বাজারের প্রায় প্রতিটি বাকে রয়েছে চায়ের ষ্টল।

সেখানে গেইম প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করছে দোকানীরা। আর এ খেলা চলছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, দিন মজুর ও শ্রমিকদের পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছে এ খেলায়।