Saturday, March 8, 2014

ফলোআপ- "স্মৃতিসৌধ"-এর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার" !!!

ধন্যবাদ জানাই পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন’কে !!!


৮ মার্চ ২০১৪ শনিবার সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে Voice of Paikgacha‘য় "স্মৃতিসৌধ"-এর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার" !!! -শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে এই অমার্জনীয় ভুল সংশোধনের দাবী জানানো হয়।

ফলশ্রুতিতে, ৮ মার্চ ২০১৪ শনিবার সন্ধ্যার পরে পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজটিতে আর এই অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভুল সংশোধিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজের ঠিক উপরে উপজেলার কিছু বিশেষ ছবি স্ক্রল আকারে প্রদর্শিত হয়। এখানেই পাইকগাছা পৌরসভা "স্মৃতিসৌধ"-এর একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল "শহীদ মিনার"। আর, এই ওয়েব পেজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের।

পাইকগাছায় সুজন’র প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মুখোমুখি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর পাইকগাছা উপজেলা শাখার এক প্রস্তুতি সভা শনিবার সকালে কলেজ মার্কেট চত্ত্বরে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, মেহেদি মাসুদ, পঞ্চানন সানা, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, জামিনুর ইসলাম ও শেখ মিজানুর রহমান।

পাইকগাছায় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত

পাইকগাছায় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনাসভা, মেলা, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন। 

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা বিপ্লব কান্তি মন্ডল, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি।

বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, প্রকাশ ঘোষ বিধান, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, রেবা আক্তার কুসুম, জেবুন্নেছা খানম, সীমা দাশ ও অঞ্জলী রাণী সরকার। উপস্থিত ছিলেন ধানসিঁড়ি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নারীরা। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জারী গান পরিবেশন করেন আব্দুল মজিদ বয়াতী ও তার দল।

"স্মৃতিসৌধ"-এর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার" !!!

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজটি ভিজিট করতে গিয়ে তো চক্ষু চড়ক গাছ ! এই ওয়েব পেজের ঠিক উপরে উপজেলার কিছু বিশেষ ছবি স্ক্রল আকারে প্রদর্শিত হয়। এখানেই পাইকগাছা পৌরসভা "স্মৃতিসৌধ" -এর একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার"। (লজ্জা !!!)

এই ওয়েব পেজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। এখন প্রশ্ন হল, কোন পর্যায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ?

বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যারা "স্মৃতিসৌধ" আর "শহীদ মিনার"-এর মধ্যে পার্থক্য জানেন না, তাদের মত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে প্রশাসনযন্ত্র কতখানি নিরাপদ, সে প্রশ্ন থেকেই যায় !

এই রিপোর্টটি যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে অনতিবিলম্বে এই অমার্জনীয় ভুল সংশোধনের অনুরোধ নয় দাবী জানাই।

‘জোর যার মুল্লুক তার’- নীতিতে বিশ্বাসী ভূমিদস্যুদের দখলে কপোতাক্ষ

দিব্যি সকলের চোখের সামনে একটি নদীর চর ভরাটী জায়গা স্থানীয় ভূমিদস্যুরা গিলে ফেলেছে। প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর এতটুকু পরিমাণ অবশিষ্ট ফাঁকা জায়গা নেই। শুধু তাই’ই না, দখল পাল্টা-দখলের পর এবার শুরু হয়েছে দখলকৃত নদীর চর প্লট-প্লট আকারে বিক্রির প্রতিযোগিতা। অভিযোগ উঠেছে, নদীর চরভরাটী জায়গা বিক্রি করে ভূমিদস্যুরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালীর কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটী জায়গা যেন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, যে যেভাবে পেরেছে নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে দখল করে নিয়েছে। মরিচ্চাপের মুখ থেকে শিববাটী ইঁদুরকাটা মুখ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩-৪ কিলোমিটার নদীর চর ভরাটী জায়গায় এখন শোভা পাচ্ছে মৎস্য ঘের, বসত বাড়ি, দোকানপাটসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এখন আর নদীর চিহ্ন পর্যন্ত নেই বললেও ভুল হবে না। নদীটির সম্পূর্ণ চর দখল হয়ে গেলে শুরু হয় পাল্টা দখল। অর্থাৎ একজনের (অবৈধ) দখলকৃত জমির উপর আরেকজন বাঁধ দিয়ে পাল্টা দখলের পাঁয়তারাও করে। যা নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে একাধিকবার। এমনই দখল পাল্টা-দখল ও সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন তহশিলদার ৩২ জন ভূমিদস্যুর নামে থানায় মামলা দায়েরও করেছেন। তবুও থেমে থাকেনি অবৈধ দখল প্রক্রিয়া।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির দখলে থাকা প্রায় ১২ বিঘা জমির মধ্যে হতে সম্প্রতি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির নিকট প্রতি বিঘা জমি ৭০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১০/১২ বছর আগে থেকে উক্ত কাটাখালী নদীর দু’ধারে পলি জমে ভরাট হতে থাকে। পাশাপাশি শুরু হয় ভূমি দস্যুদের অপতৎপরতা। ‘জোর যার মুল্লুক তার’- এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে যে যতটুকু পেরেছে বাঁধ দিয়ে নদীর চর দখল করে নিয়েছে। দখলের মহোৎসবে নদীটিতে বর্তমান এতটুকু জায়গা ফাঁকা নেই। যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।

নারীকে লড়তে হবে সর্বগ্রাসী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে, পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে !

যে সব মেয়েরা “আমি কেন ছেলে হলাম না” টাইপ চিন্তা করে আফসোস করে তাদের মত দুর্ভাগা আর কেউ নেই।

সমস্ত সুন্দর উপমা নারীদের জন্য। আজ পর্যন্ত কোন পুরুষকে দেখে কেউ বলেনি “ওমা তুমি দেখি ফুলের মত সুন্দর, অথবা পাখীর নীরের মত চোখ তোমার ! কি মিষ্টি তুমি !

পুরুষের রূপ নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয় না, হয় না কোন গান। পুরুষের শক্তি নিয়ে কথা হলেও ঠিক তার পাশেই লোকে উচ্চারণ করে কোন না কোন নারীর ভূমিকা। নারীর ভালবাসার কাছে নত হয়নি এমন প্রেমিক নেই। নারী বিহীন সংসার আলো বিহীন চাঁদের মত।

এর পরেও যে নারী দুর্বল, সে বোকা।

আঁধার ভাঙার শপথে আন্তর্জাতিক নারী দিবস

এখনো আলো ফোটেনি নারীর অধিকারপ্রাপ্তির ধরাতে। এখনো দেশের ৮৭ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার। নিজ গৃহে, স্কুলে, রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারী। তাইতো আঁধার ভাঙার শপথ নিয়ে শুরু হলো আর্ন্তজাতিক নারী দিবস।

আজ ৮ মার্চ, আর্ন্তজাতিক নারী দিবস। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অগ্রগতির মূলকথা, নারী-পুরুষ সমতা’।

নারী দিবসের ইতিহাস: এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা।

সেই মিছিলে চলে সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটনারি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বছরের ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনকরার প্রস্তাব দেন।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস

Voice of Paikgacha‘র পক্ষ থেকে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ করার এবং নির্যাতন প্রতিরোধের দাবী জানাই।