Tuesday, February 11, 2014

শিববাটী ব্রীজের উত্তর-পূর্ব পাড়ের সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

খুলনা-কয়রা ভায়া পাইকগাছা সড়কের শিববাটী ব্রীজের উত্তর-পূর্ব পাড়ের সংযোগ সড়কের পিচ-পাথর-খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাথরগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় যানবাহন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

প্রায় প্রতিদিনই বড় যানবাহনগুলো গর্তে ফেঁসে যাচ্ছে। ফেঁসে যাওয়া যানবাহন উদ্ধার করতে গিয়ে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে পুরা সংযোগ সড়কটি।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা কয়রা উপজেলা থেকে পাইকগাছা-খুলনা তথা সারা দেশের সাথে একমাত্র সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় এই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের চাপ অনেক বেশি।

এদিকে এক বছর যেতে না যেতেই ব্রীজের দু’পাড়ের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে গেছে। বিশেষ করে ব্রীজের উত্তর-পূর্ব পাড়ে জিরোপয়েন্ট থেকে ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়কটির এতটুকু জায়গা ভালো নেই যেখান দিয়ে কোন যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।

তারপরও রয়েছে রাস্তা সংলগ্ন বাবলা গাছের ডালপালার বাড়তি ঝামেলা। কিছু কিছু গাছ রাস্তার দিকে এমনভাবে নুয়ে পড়েছে যে যানবাহন চলাচল করতে গেলে সেসব ঝুঁকে পড়া বাবলার ডালে আঘাত লাগবেই। সব মিলিয়ে শিববাটী ব্রীজের সংযোগ সড়কটি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

চলাচলের ক্ষেত্রে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পায়ে চলা ভ্যান চালকদের। ভ্যানযোগে ৩/৪ জন করে যাত্রী নিয়ে জিরোপয়েন্ট থেকে ব্রীজ পর্যন্ত পৌছানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে এই সড়কে।

জনগুরুত্বপূর্ণ শিববাটী ব্রীজের সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও রাস্তার মধ্যে ঝুঁকেপড়া বাবলা গাছের ডালপালাগুলো অপসারণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাইকগাছা-কয়রাবাসী।

পাইকগাছায় ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দৃশ্যপট

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার সাথে সাথেই পাল্টে গেছে পাইকগাছার দৃশ্যপট। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন আটঘাট বেঁধে। প্রার্থীদের মটর সাইকেল বহরে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে গোটা উপজেলা। তৃতীয় দফায় ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। 

এদিকে এ উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত বড় দুই রাজনৈতিক দল আ’লীগ ও বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ বা ঘোষণা না দেয়ায় দুই দলেরই একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ না হওয়ায় বিপাকে রয়েছেন স্ব স্ব দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও। কে আসছেন আগামী পরিষদে ? নতুন মুখ ! নাকি অপরিবর্তিতই থাকবে। এ ধরনের নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, টি-ষ্টল থেকে শুরু করে হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে সবখানে। কোন প্রশ্নের হিসাব মিলছে না কারোরই। তবুও নির্বাচনী আলোচনা চলছেই।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান ছাড়াও জেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি বর্ষিয়ান নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ ও শেখ সোহরাওয়ার্দী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অপরদিকে জেলা বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আঃ মজিদ বহু আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। যদিও এক সময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিক সাবেক সাংসদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এ্যাডঃ স,ম বাবর আলী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে জামায়াত নেতা এ্যাডঃ লিয়াকত আলী সরদারকে দলীয় একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেয়ায় জোটগতভাবে নির্বাচন হলে ১৯ দলের প্রার্থী হিসাবে বিএনপি না জামায়াতের প্রার্থী থাকবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।

জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী নির্ধারন না করা হলেও উপজেলা জাপা সভাপতি ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটি সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর এখনো পর্যন্ত একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে ময়দানে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিপিবি’র একক প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষ্ণপদ মন্ডল।

ওদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বড় দু’রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন উপজেলা আ’লীগ নেতা বিজন বিহারী সরকার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এস,এম শামছুর রহমান, যুবলীগ নেতা ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল ও দেবব্রত রায়, বিএনপি নেতা জি,এ গফুর ও শেখ শামছুল আলম পিন্টু, উপজেলা জামায়াত আমীর আলহাজ্ব মাওঃ শেখ কামাল হোসেন ও সিপিবি নেতা সুভাষ সানা মহিম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া হোসেন, আ’লীগ নেত্রী দীপ্তি রানী চক্রবর্তী, জামায়াত নেত্রী হাবিবা সুলতানা ও সাবেক পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারুল রানী মন্ডল।