Wednesday, November 6, 2013

সড়কের উপর মাছ চাষ !!!

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের উপর ধান চাষের পর এখন মাছ চাষ করা হচ্ছে !


ভর্তি পরীক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন !

আগামী ৮ই নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর প্রথম বর্ষে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পাইকগাছার কোন ভর্তি পরীক্ষার্থীর (ছাত্র) ঢাকায় থাকার জায়গার সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে। Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

যোগাযোগ: ০১৮৪৯-৫৭৪৭৯৮

শিবসা নদীতে দু’টি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ; আহত ২০

পাইকগাছায় দু’টি ট্রলার মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ট্রলার নদীতে নিমজ্জিত হয়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে আ’লীগের সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় বাসাখালী সংলগ্ন শিবসা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার বিকালে উপজেলা আ’লীগ স্থানীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে দেলুটি ইউনিয়নের ৭০ জন নেতাকর্মী ট্রলারযোগে বাড়ী ফেরার পথে বাসাখালী সংলগ্ন শিবসা নদীতে পৌছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা বিশাল আকারের একটি ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সমাবেশ থেকে ফিরে যাওয়া ট্রলারটি নদীতে নিমজ্জিত হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন সকলকে উদ্ধার করলেও এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে দেলুটি ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা সুকৃতি মোহন জানান।

কপিলমুনিতে অভিনব ব্যানারকে ঘিরে সর্বত্র সমালোচনা

কপিলমুনিতে “ঐতিহাসিক ক্রোন্দন সভা” নামে একটি অভিনব ব্যানারকে ঘিরে সর্বত্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কিসের আয়োজনে ব্যানারটি টানানো হয়েছে তা নিয়ে চলছে নানান সমালোচনা। 

অথচ এর সমাধান কেউ দিতে না পারলেও ব্যানারে কপিলমুনি কলেজ আমতলাকে সভার আয়োজনস্থল হিসেবে ব্যবহার করায় বিপাকে পড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকার্ষণ করেছেন তারা।

প্রকাশ,“কাঁদো কপিলমুনি বাসি কাঁদো” ঐতিহাসিক ক্রোন্দন সভা, ৬ নভেম্বর সকাল ১১ঘটিকায়, স্থান কপিলমুনি কলেজ আমতলা চত্তর লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার সম্প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। রাতের আধারে কে বা কারা কপিলমুনি বাজারের চৌরাস্থা মোড়ে ব্যানারটি টানায়। এতে হাস্য-রহস্য ও বিভ্রান্তিতে পড়েন আশপাশ এলাকার দোকানদার সহ পথচারীরা।

এক শ্রেনির উৎসুক মানুষ প্রতিদিন ভীড়জমিয়ে দেখতে থাকে অযাচিত ব্যানারটি। যা কৌতুহলি মানুষকে রীতিমত হাস্য-রসের খোরাকে পরিনত করেছে। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন । তবে তাদের মন্তব্য কলেজের সুনাম বিনষ্টে কেউ এমন অপপ্রয়াশ চালাতে পারে।

পাইকগাছায় জামায়াত নেতাসহ আটক ২

পাইকগাছা থানা পুলিশ জামায়াতের দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতিকে আটক করেছে। থানা পুলিশ জানিয়েছে বুধবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছা মোটর সাইকেল ষ্ঠ্যান্ড থেকে জামায়াত ইসলামীর দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমীর এ্যাডঃ লিয়াকত আলী ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের দক্ষিণ জেলা সভাপতি কাজী তমজিদ আলমকে পুলিশ আটক করেছে।

ওসি এম মসিউর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃতরা নাশকতা সৃষ্ঠির লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এছাড়া আটকৃতরা পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের মামলার এজহারভুক্ত আসামী।

সড়ক, নাকি মরণফাঁদ !!!

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া সড়কটিতে বছর দুই আগে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে কদর্মাক্ত হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তা সত্ত্বেও সেখানে কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। এখন সেই সড়কের অবস্থা আরো করুণ। বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে যানচলাচল এখন প্রায় বন্ধ। যে কয়টি যানবাহন নিরুপায় হয়ে ওই সড়কে চলে সেগুলোকে প্রতিনিয়ত পড়তে হয় দুর্ঘটনায়। খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে যাওয়া বেতগ্রাম-তালা- কপিলমুনি সড়কটি এখন যেন মরণফাঁদ।

এলাকাবাসী জানায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যান্য সড়কের মতো এ সড়কটিও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার কয়রা উপজেলা সফরকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বেতগ্রাম (আঠারো মাইল) থেকে সাতক্ষীরার তালা ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলা হয়ে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান ২০১০ সালের ২৯ জুলাই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে লিখিতভাবে জানান। এরপর কয়রা উপজেলার বেদকাশি থেকে কাজ শুরু হয়ে পাইকগাছার গোলাবাড়ী পর্যন্ত সড়কে সংস্কারকাজ হলেও বাকিটা অসমাপ্ত থেকে যায়।

জরাজীর্ণ ওই সড়কের গোলাবাড়ী থেকে তালা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ২০১১ সালের বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ নদের পানিতে প্লাবিত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ওই সময়ে স্থানীয় জনগণের ব্যাপক আন্দোলন-সংগ্রামের মুখে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নড়ে বসে। ইট-সুরকি দিয়ে সড়কটি কোনো রকমে চালু করা হলেও ভালোভাবে সংস্কার করা হয়নি।

গত বছরের ২৮ জানুয়ারি সদ্য যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া ওবায়দুল কাদের সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে দ্রুত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।

চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টির কারণে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে জেলা ও বিভাগীয় সদর এবং রাজধানীর সঙ্গে ওই এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার চারটি উপজেলার ২০ লাখের বেশি মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। সম্প্রতি ঈদ ও পূজায় ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ সেই দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের আঠারো মাইল থেকে তালা-কপিলমুনি সড়কের প্রবেশমুখেই বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা কাশিমনগর এলাকায়। বৃষ্টি হলেই এখানে জমে থাকা পানি সরাতে হয় শ্যালো মেশিন দিয়ে। এ ছাড়া গোলাবাড়ী, নাছিরপুর, ঘোষনগর, গোনালীসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বাসচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ওই সড়কে অনিয়মিত বাস চললেও বৃষ্টি হলেই বাসচলাচল বন্ধ রাখেন। মাঝে মধ্যে রাস্তার খাদে বাস আটকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য দুর্ঘটনা তো আছেই।

তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু জানান, সড়কটিতে চলাচলকারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দক্ষিণ খুলনার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এ বিষয়ে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা  Voice of Paikgacha 'কে জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সড়কটি সংস্কারের কাজ শেষ হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেদকাশি-কয়রা-পাইকগাছা হয়ে গোলাবাড়ী পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ সড়কের বেশির ভাগ কাজ শেষ হলেও প্রবেশমুখে দুরবস্থার কারণে সরকারকে গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে। তিনি জানান, সংসদের চলতি অধিবেশনেও তিনি এ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণী নোটিশ উত্থাপন করেন। তার পরও কাজ হয়নি।

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ওই সড়ক সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। একাধিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু কাজ করা সম্ভব হয়নি। কারণ জলাবদ্ধতার হাত থেকে সড়কটি রক্ষায় গোলাবাড়ী থেকে তালা পর্যন্ত মাটি ভরাট করে তিন ফুট উঁচু করতে হবে। আর সেই প্রকল্পে বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজটি আটকে আছে।

গণভবন !!!

অনেকেই জানেন না প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবন এর নাম কিভাবে গন ভবন হল। ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ হিসেবে সদ্য স্বীকৃতি পাওয়া দেশ বাংলাদেশ। মোটামুটি একটা মন্ত্রীসভা তখন দাঁড় করানো গেছে। অস্থায়ী প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ।

তখন জনাব আসাদুজ্জামান এবং জনাব নুরুল কাদের প্রস্তাব করেন , যেহেতু প্রধান মন্ত্রী জনগণের প্রতিনিধি তাই তার বাসভবন জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেহেতু এর নাম করন করা হোক গণভবন এবং প্রেসিডেন্ট এর বাসভবন বঙ্গভবন হিসেবে নাম করন করা হোক। সত্যি কার অর্থেই গণভবনে এবং বঙ্গভবনে ৭৫ পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত প্রবেশ উন্মুক্ত ছিল।

২৩ শে ডিসেম্বর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। সকল রাষ্ট্রীয় কাজে ইংরেজি বাদ দিয়ে, বাংলা ভাষার প্রচলন করা। সত্যিকার অর্থে প্রশাসন সেদিন মুক্ত হয়েছিল বিদেশী ভাষার প্রকোপ থেকে।

এই দুটি ঘটনা আমারদের দুটো বিষয় শেখায়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবার পেছনে যে মানুষগুলো ছিল তাদের দেশ প্রেম বোধ কতটা প্রখর হলে তারা এভাবে ভেবেছিলেন। আর আজকে আমরা গণভবনে দুর্নীতির ইতিহাস পাই। বাংলা ভাষা ব্যাবহার করতে লজ্জা বোধ করি, চৌকস প্রমাণে ইংরেজির বিকল্প নেই বলে ভ্রমে আঁটকে যাই।

Courtesy :: Foring Camelia

কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির

কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির বাংলা ১৩৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এর প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয়। তিনিও এই কপিলমুনিরই সন্তান। এই বিদ্যাপীঠের মন্দির দুয়ার খুলেন তৎকালীণ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার যদুনাথ।