Wednesday, November 20, 2013

ভিনগ্রহ থেকেই এসেছে মানুষ !

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলে যারা নিজেদের দাবি করে, সেই মানুষ নাকি আসলে এ গ্রহের প্রাণীই নয়! মার্কিন পরিবেশবিদ অ্যালিস সিলভারের লেখায় উঠে আসছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য৷

অ্যালিস তার নতুন বই 'হিউম্যানস আর নট ফ্রম আর্থ: অ্যা সায়েন্টিফিক ইভোলিউশন অব দ্য এভিডেন্স' বইয়ে দাবি করেছেন, মানুষ পৃথিবীর জীবই নয় বরং ভিনগ্রহের প্রাণী৷ বহু বছর আগে ভিনগ্রহের কিছু প্রাণী পৃথিবীতে এসেছিল৷ তাদের সঙ্গেই নাকি পৃথিবীতে আসে মানুষ৷ জনাকয়েক মানুষ এ গ্রহে রেখে বাকিরা নিজেদের গ্রহে ফিরে যায়৷
 

শুনে অবাস্তব মনে হলেও অ্যালিস তার দাবির ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী৷ এর স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণও দিয়েছেন তিনি৷ অ্যালিসের দাবি, কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তিবিশিষ্ট কোনও গ্রহেই জন্ম মানুষের৷ তাই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না তারা৷ অধিকাংশ মানুষই তাই পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভোগে৷

তিনি মনে করেন, ভিনগ্রহের উন্নত প্রজাতিকে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল, তাই মানুষই এই গ্রহের সবচেয়ে উন্নত জীব৷ কিন্ত্ত পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তারা৷ সূর্যের আলোয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ প্রকৃতির বুকে স্বাভাবিক ভাবে যে সমস্ত খাবার-দাবার পাওয়া যায়, তা মানুষের পছন্দ হয় না৷ তাই খুব সহজেই ক্রনিক রোগে আক্রান্তও হয়ে পড়ে৷

এ প্রসঙ্গে শিশুর জন্মের উদাহরণও দিয়েছেন অ্যালিস৷ তিনি বলেন, ‘মানব শিশুর জন্মের সময় মাথাটা এতই বড় হয় যে অনেক সময় মায়েদের প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়৷ কখনও আবার মা ও শিশুর প্রাণহানিও ঘটে থাকে৷’

অ্যালিসের দাবি, পৃথিবীর আর কোনও প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় না৷ টিকটিকির মতো বেশ কিছু সরীসৃপ দিনের পর দিন রোদে থাকলেও তাদের ত্বকে কোনও ক্ষতি হয় না৷ অথচ মানুষ কয়েক দিন টানা 'সানবাথ' (সূর্যস্নান) নিলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়৷

এমনকি মানুষের বডিক্লক দিনে ২৫ ঘণ্টার ভিত্তিতে তৈরি৷ পৃথিবীর সময়ের হিসেবের সঙ্গে তা মেলে না বলেই প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে মানুষ৷ মানবজাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও এমন ভুরি ভুরি প্রমাণ মিলবে বলে দাবি করেন অ্যালিস৷

কিন্তু উন্নত প্রজাতির মানুষকে তবে হঠাৎ কম উন্নত গ্রহে এনে ছেড়ে দেয়া হলো কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যালিস বলেন, ‘পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব অনেকটাই দ্বীপান্তরে নির্বাসনের মতো৷ ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে পৃথিবী অনেকটা জেলখানার মতো৷ প্রকৃতিগত ভাবে মানুষ খুবই হিংস্র৷ তাই সঠিক আচার-আচরণ শিখতেই পৃথিবীতে নির্বাসনে পাঠানো হয় তাদের৷’

নিজের এই বই যে বিতর্ক তৈরি করবে, সে বিষয়েও ওয়াকিবহাল এই মার্কিন পরিবেশবিদ৷ বিতর্ককে তাই রীতিমতো স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি৷ অ্যালিসের ধারণা, তার তথ্যকেই সত্যি বলে ধরে না নিয়ে মানুষ যদি তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে, তবে তার দাবির স্বপক্ষে আরও প্রমাণ মিলতে পারে৷ খুলে যেতে পারে বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তও৷