কয়রা
উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি চলছে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে। উপজেলা
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সপ্তাহের অধিকাংশ সময় হাসপাতালের বাইরে ব্যস্ত থাকায়
তার পদটি শূন্যই বলা যায়। যে কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ওয়ার্ড
বয় এবং সেবিকাদের অনেক সময় জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে
হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
সরেজমিন দেখা গেছে, নতুন নতুন কয়েকটি ভবন বাড়ানো হলেও জনবল বাড়েনি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গড়ে প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন ১৫০ জন রোগী এবং ভর্তি থাকেন গড়ে ৫০ জন রোগী। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালের একমাত্র চিকিৎসককে হিমসিম খেতে হচ্ছে। কোন সময় জরুরী বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারিদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় রোগীদের। চিকিৎসক সংকটের কারনে হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সারাদিনের চিকিৎসা সেবা জোটে ওয়ার্ডবয় এবং সেবিকাদের দিয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ৩১ শয্যা কমপ্লেক্সটি ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখানো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। সরবরাহ করা হয়নি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, নেই কোন টেকনেশিয়ান, নেই প্রয়োজনমত চিকিৎসক। সাধারণ ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় অধিকাংশ রোগীদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। সেখানে কোন সিলিং ফ্যানেরও ব্যবস্থা না থাকায় নিদারুন দুর্ভোগের মধ্যে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে সর্ব সাধারণকে। হাসপাতালে সুইপার না থাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমা হয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় গরীব রোগীদের বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, প্রত্যন্ত এ এলাকায় যে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয় তারা আসতে না আসতেই অন্যত্র বদলি নিতে তদবীর শুরু করেন। তিনি আরো বলেন, ভেতরে বাইরে অনেক রোগী। কিন্তু ডাক্তার আমি একাই। এর মধ্যে টি.এইচ,এ দাপ্তরিক কাজে প্রায় সময় বাইরে থাকেন। বহির্বিভাগে রোগীদের চাপে নিয়মিত ভর্তি রোগীদের খেয়াল করতে পারি না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ায় আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু জনবল বাড়েনি। এ মুহুর্তে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধি করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, অন্তহীন সমস্যার মধ্যে থেকেও যে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে সেবা দিতে পারছি এটা ভেবে ভাল লাগে। আমি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের প্রধান সমস্যা জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এছাড়া হাসপাতালটির পুরনো ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় সেখানে রোগীদের দিনরাত ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব সঠিক জায়গায় সঠিক তথ্য পৌছে দেয়া। এর বেশি আমরা কিছুই করতে পারি না।
সরেজমিন দেখা গেছে, নতুন নতুন কয়েকটি ভবন বাড়ানো হলেও জনবল বাড়েনি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গড়ে প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন ১৫০ জন রোগী এবং ভর্তি থাকেন গড়ে ৫০ জন রোগী। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালের একমাত্র চিকিৎসককে হিমসিম খেতে হচ্ছে। কোন সময় জরুরী বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারিদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় রোগীদের। চিকিৎসক সংকটের কারনে হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সারাদিনের চিকিৎসা সেবা জোটে ওয়ার্ডবয় এবং সেবিকাদের দিয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ৩১ শয্যা কমপ্লেক্সটি ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখানো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। সরবরাহ করা হয়নি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, নেই কোন টেকনেশিয়ান, নেই প্রয়োজনমত চিকিৎসক। সাধারণ ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় অধিকাংশ রোগীদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। সেখানে কোন সিলিং ফ্যানেরও ব্যবস্থা না থাকায় নিদারুন দুর্ভোগের মধ্যে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে সর্ব সাধারণকে। হাসপাতালে সুইপার না থাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমা হয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় গরীব রোগীদের বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, প্রত্যন্ত এ এলাকায় যে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয় তারা আসতে না আসতেই অন্যত্র বদলি নিতে তদবীর শুরু করেন। তিনি আরো বলেন, ভেতরে বাইরে অনেক রোগী। কিন্তু ডাক্তার আমি একাই। এর মধ্যে টি.এইচ,এ দাপ্তরিক কাজে প্রায় সময় বাইরে থাকেন। বহির্বিভাগে রোগীদের চাপে নিয়মিত ভর্তি রোগীদের খেয়াল করতে পারি না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ায় আগের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু জনবল বাড়েনি। এ মুহুর্তে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধি করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, অন্তহীন সমস্যার মধ্যে থেকেও যে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে সেবা দিতে পারছি এটা ভেবে ভাল লাগে। আমি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের প্রধান সমস্যা জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এছাড়া হাসপাতালটির পুরনো ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় সেখানে রোগীদের দিনরাত ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব সঠিক জায়গায় সঠিক তথ্য পৌছে দেয়া। এর বেশি আমরা কিছুই করতে পারি না।