কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদের পরীক্ষা বাতিল, তথ্য
গোপন ও নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের নীতি ভঙ্গের অপরাধে
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দফতরে আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে পাইকগাছা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা
মোঃ শরিফুল ইসলাম গত ১৮ নভেম্বর তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের নিজ
নিজ বক্তব্য শোনেন এবং কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করেন। যেখানে প্রথমিক ভাবে
উক্ত প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নিয়োগে তঞ্চকতার প্রমান মিলেছে বলে ঐ কর্মকর্তা
জানিয়েছেন।
এদিকে বরাবরের মত সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ
আব্দুস সাত্তার দীর্ঘ বহর নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ঐ কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
তবে তার পক্ষে বিশেষ যুক্তি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বহর প্রসঙ্গে ঐ
অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান ঐ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য তিনি অভিযোগকারী ও
অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারকেই শুধু মাত্র তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, কপিলমুনিস্থ ঐ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ পদে গত ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত
নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক দূর্নীতি, অনিয়ম, তথ্য গোপন ও সরকারি নীতি ভঙ্গ করে
জনৈক মোঃ আব্দুস সাত্তার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান বলে কপিলমুনি প্রেস
ক্লাবের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক দিনকালের পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি
আমিনুল ইসলাম বজলু বিভিন্ন দফতরে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক ভাবে এই
তদন্ত কার্যক্রম শুরু হল।
জনস্বার্থে অভিযোগকারী আমিনুল ইসলাম
বজলু জানান, সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, থেকে আরো একটি
তদন্তের নোটিশ তার হস্তগত হয়েছে। তিনি আশা করেন সবগুলোর তদন্তের রিপোর্টও
আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে যাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মাদ্রাসার
গভর্ণিং বডি ৩৬৪৩৮২ নম্বর ইনডেক্সধারী শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার ৬ জুলাই
নিয়োগ পান এবং ৭ আগষ্ট এক প্রকার তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঐ পদে আবেদন করারই অযোগ্য। কেননা
সরকারের সর্বশেষ জনবল কাঠামোর পরিশিষ্ঠ ১১(২) ‘ঘ’ বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও
অভিজ্ঞতা ব্যতিত কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। কিন্তু নিয়োগ প্রাপ্ত
অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতা নেই। মূলত তার চাকুরি ১/৩/৯৯ তারিখে মাদ্রাসায় যোগদান
১/৫/১৩ তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্যন্ত ১৫ বছর পূর্ণ হয়নি।
সবমিলিয়ে দেরিতে হলেও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।