Friday, June 28, 2013

পৌরনীতিমালা উপেক্ষা করে পুকুরের উপর বহুতল ভবন নির্মান অব্যহত

পাইকগাছায় পৌর নীতিমালা উপেক্ষা করে অনুমোদন ছাড়াই পুকুরের উপর বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যহত রেখেছে মার্কেট মালিক বাবু গাইন। অনুমোদন ছাড়াই মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যহত থাকায় মার্কেট মালিকের খুঁটির জোর কোথায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

নির্মাণ কাজ বন্ধে ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও উল্টো পৌর কর্তৃপক্ষকে হয়রাণীমূলক মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে চলেছে সংশ্লিষ্ট মার্কেট মালিক। রানা প্লাজার মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌরবাসী।

সুত্রমতে, সরল গ্রামের মৃত কালিপদ গাইনের পুত্র কৃষ্ণপদ ওরফে বাবুগাইন পৌর নীতিমালা উপেক্ষা করে অনুমোদন ছাড়াই প্রধান সড়কের পাশেই তার বসতবাড়ীর পুকুরের উপর গত কয়েকমাস যাবৎ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে।

নির্মাণ কাজ শুরু থেকে অদ্যবধি পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেট মালিককে নির্মাণকাজ বন্ধে একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। এব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ গত মে মাসে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করলে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় নির্মাণ কাজ অব্যহত থাকায় মার্কেট মালিকের ক্ষমতার জোর কোথায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এভাবেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতার বলে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভব ন নির্মাণ অব্যহত রাখলে ভবিষ্যতে পৌরবাসী আ্ইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলবে বলে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিল্ডিং কোড আইন বাস্তবায়নে অবিলম্বে নির্মানাধিন অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে পৌরবাসী।

এ ব্যাপারে অনুমোদনের জন্য পৌরকর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে মার্কেট মালিক বাবু গাইন জানান। ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান।

পাইকগাছায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে

মাদকে গ্রাস করেছে পাইকগাছা উপজেলার যুব সমাজকে। মাদক সেবনকারীর সংখ্যা দিন দিন যেমন হুঁ-হুঁ করে বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে সমানুপাতিক হারে। পৌর এলাকা তথা উপজেলায় চিহ্নিত অসংখ্য স্পটে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিকিকিনি চলছে ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইন। পৌর সদরে ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতাও রয়েছে অনেক।

অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশ এদেরকে গ্রেফতার তো দূরের কথা এসব মাদক বিক্রেতাদের মনের ভুলে ছুঁয়েও দেখে না। মাঝেমধ্যে খুলনা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসে অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে থাকলেও তা শুধু ‘আই ওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেননা এলাকার মাদক সম্রাট হিসাবে চিহ্নিত যারা তারা বেশিরভাগ সময়ই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদক নিয়ে পাইকগাছায় প্রায়ই বিভিন্ন মুখোরোচক ঘটনা শোনা যায়। আর তার মূল কারণ হলো রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ফেনসিডিলের বোতল। এলাকার অনেকের ধারনা মাদক সেবনকারীর তুলনায় এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা হয়তোবা অনেক বেশি।

বর্তমানে মাদক নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক প্যাথলজি ব্যবসায়ীর নাম। সঞ্জিব মন্ডল (৩২) নামের ওই প্যাথলোজি ব্যবসায়ী গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ সদর থানার এএসআই সফিকের কাছে ধরা পড়ে সাতক্ষীরা জেলহাজতে রয়েছে।

সাতক্ষীরা থানার এএসআই সফিক বলেন, দু’টি মোটর সাইকেলে চারজন প্রচুর পরিমান ফেনসিডিল নিয়ে যাচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে পথে তাদের গতিরোধ করা হয়। এসময় অন্য তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ সঞ্জিব মন্ডলকে আটক করা হয়। এঘটনায় ধৃত সঞ্জিব মন্ডল ও তার সহযোগী প্রিন্স এর নামে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া তিনজনের মধ্যে অন্য দু’জন হলো শিমুল ও জায়গীরমহল গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক শরিফুল। তবে ধৃত সঞ্জিব মামলা দায়েরের আগে শিমুর ও শরিফুলের নাম গোপন করেছিল বলে এএসআই সফিক জানিয়েছেন।

পাইকগাছায় জমি লিখে না দেয়ায় মায়ের উপর পুত্রের হামলা

উপজেলার পল্লীতে জমি লিখে না দেয়ায় পুত্র কর্তৃক বৃদ্ধা মাতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২২জুন বিকালে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অমানবিক ও ঘৃণিত এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে বিধবা মরিয়ম বেগম (৬৫) বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের মৃত ইছাক গাজীর স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নামে ১০ কাঠা বিলান জমি রয়েছে। উক্ত জমি লিখে দেয়ার জন্য পুত্র আঃ সবুর গাজী (৪২) বহু আগে থেকে তার মা’র ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। মরিয়ম বেগম জমি লিখে না দেয়ায় গত ১৯ জুন পুত্র সবুর গাজী মরিয়ম বেগমের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সবুর গাজী।

গত ২২জুন বিকেলে সবুর ও তার স্ত্রী-সন্তানেরা মিলে অসহায় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে মরিয়ম বেগম গত ২৩ জুন উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুত্র সবুর গাজী, পুত্রবধূ রেহানা বেগম ও সবুরের দু’কন্যা রিপা ও রেশমা খাতুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন এবং আগামী ১৪ আগষ্ট আদালতে হাজির হবার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

পাইকগাছায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত

পাইকগাছায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করেছে। আহত সাংবাদিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঠামারি বাজারে।

সুত্রমতে, দৈনিক গ্রামের কাগজের লতা প্রতিনিধি কৃষ্ণ রায় সম্প্রতি ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এরই জের ধরে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক কৃষ্ণ রায় বাড়ীর পাশে কাঠামারি বাজারে অবস্থান করলে, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাজীব আকষ্কিক হামলা চালিয়ে জনসম্মুখে তাকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। এসময় তাকে ধাওয়া করলে সে পার্শ্ববতী একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান।

পাইকগাছায় জেলা প্রশাসক; ভূমি অধিগ্রহন এলাকা পরিদর্শন

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) এসএম অজিয়র রহমান পাইকগাছা পৌরসভাস্থ সরলখাঁ দীঘি, প্রস্তাবিত পৌর ভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ৩নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহীসরলখাঁ দীঘি, শিববাটিস্থ প্রস্তাবিত পৌরভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন এলাকা এবং সর্বশেষ পৌর বাজারের শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি পৌর ভবনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল লতিফ সরদার, ইদ্রিস আলী গাজী, কাজী নিয়ামুল হুদা কামাল, এসএম তৈয়েবুর রহমান, এসএম ইমদাদুল হক, আসমা আহম্মেদ, কবিতা রাণী দাশ,সাংবাদিক জিএরশিদ, আব্দুল আজিজ, পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ, প্রকৌশলী কামরুল আক্তার, উদয় শংকর রায়, আব্দুল মজিদ বয়াতী ও লুৎফর রহমান।

মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করা হলে জেলা ভূমি অধিগ্রহন কমিটি প্রস্তাবিত পৌর ভবন ও বাসটার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া অনুমোদন প্রদান করবে।

পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ না করার ফলে যানজটসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে নীতিমালা উপেক্ষা করে কেউ ভবন নির্মাণ করলে পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা হিসাবে তা ভেঙ্গে দিতে পারে বলে তিনি জানান।

সরল খাঁ দীঘি উন্নয়ন ও সংরক্ষন প্রসংগে তিনি ইতোপূর্বে ইজারাকৃত বন্দোবস্ত বাতিল পূর্বক পরিকল্পনা ও সুনিদৃষ্ট প্রস্তাবনা অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।

সেপ্টেম্বরে বাঘশুমারী শুরু; ২০০৪-এর গণনানুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৪৪০

সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা নিয়ে নানা রকম হিসেব-নিকেশ থাকতে পারে বলে মনে করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ অনুসরণ করে তৈরীকৃত শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি। 

পায়ের ছাপ একাধিকবার গণনায় আসার কারণে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার তারতম্য ঘটে থাকতে পারে। ৪৪০টি বাঘের মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং ২১টি বাঘ শাবক রয়েছে। এসকল বাঘের মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগে ২৭১টি এবং পূর্ব বন বিভাগে ১৬৯টি বাঘ রয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে বাঘশুমারী অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় বাঘের সঠিক এবং প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

জোয়ারে পানি বৃদ্ধি, কয়রায় ৮৪ কি.মি. বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

বৈরী আবহাওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় সকল নদ-নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর ৮৪ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও পানি উপচে পড়ায় বাঁধের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ঘটতে পারে বিপর্যয়

পাউবো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার অবহিত করা হলেও বাঁধ রক্ষায় তারা এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ইতমধ্যে এলাকাবাসী স্বেচ্ছশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধের ক্ষত-বিক্ষত জায়গায় মাটি ফেলানোর কাজ করলেও প্রচুর জোয়ারের চাপে তা কাজে আসছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪নং কয়রা কোজার, ৬নং কয়রা, ঘাটাখালি, হরিনখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা, গাজীপাড়া, গাববুনি, শাকবাড়িয়া, কাশিরহাট, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা, মেদেরচর, ঘড়িলাল, জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি, মাটিয়াভাঙ্গা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, লোকা, মঠবাড়ি পবনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি, নয়ানি, শেখেরকোনাসহ অর্ধশত পয়েন্টে বেড়িবাঁধ চরম ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে বৈরী আবহাওয়ায় পানি লোকালয়ে প্রবেশের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল স্থানগুলোয় বেড়িবাঁধে ভাঙন তীব্র হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা বোধ করছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, যে সকল স্থানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেখানকার অধিবাসীরা পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের নিয়োজিত লোক দিয়ে দায়সারা গোছর কাজ করে বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মাসাৎ করে থাকেন। যে জন্য বেড়িবাঁধের ঝুঁকি রয়েই যায়।

এ ব্যাপারে পাউবোর সাতক্ষীরা জোনের উপ-উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের পর কয়রা এলাকার বেড়িবাঁধের নীচু ও ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন বরাদ্ধ ও নির্দেশনা না পাওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান জানান, ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

পূর্ণিমার মুখে লঘুচাপ, পূবালীতে স্ফীত জোয়ার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এবং সঞ্চালনশীল মেঘের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। একই সাথে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া বর্ষণমুখর হয়ে উঠছে। পূর্ণিমার মুখে পূবালী হাওয়ার প্রভাবে স্ফীত জোয়ারে উপকূলে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় ভারতে এক পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফা প্রবল বর্ষণের আশংকা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরখন্ডে প্রবল বর্ষণে এক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। পরপর সৃষ্ট নিম্নচাপ ও লঘুচাপ ভারতের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় মধ্য জুনের পর বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত অনেকটা কম হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের রিপোর্টে গতকাল বলা হয় উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে এখন মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্র, বিহার, গাঙ্গেত্রীয় পশ্চিমবঙ্গ অতঃপর উত্তর পূর্ব দিক হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল রয়েছে।

আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামী শনিবার সব ব্যাংক খোলা

আগামী শনিবার ২৯ জুন দেশের সব ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, জুন মাসে জমা করা পে-অর্ডার ও চেক ৩০ জুনের মধ্যে নগদায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করদাতাদের আয়কর জমা দেয়ার সুবিধার্থে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন সব ব্যাংক খোলা থাকবে।

পাইকগাছায় চিংড়ী ঘেরে দুধর্ষ ডাকাতি; ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট

পাইকগাছায় সন্ত্রাসী অধ্যুষিত লতার কাঠামারীতে একটি চিংড়ী ঘেরে দুধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘেরের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ অর্থসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে জানা গেছে।

সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত ২ টার দিকে ২৫/৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুকিত গাজীর কাঠামারি চিংড়ীঘেরের বাসায় প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা তিন কর্মচারী নূর ইসলাম, আলী ইমরাজ ও জনাব গাজীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বেঁধে রেখে ক্যাশবাক্স ও আলমারী ভাংচুর করে নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ১২টি টর্চলাইট ও দু’টি মোবাইল লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওসি শেখ আবু বকরসিদ্দিক জানান এ ধরনের ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।

মাদক বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত

নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৩ পালিত হয়। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধকল্পে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং গণজাগরণের মাধ্যমে মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া।