উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা
পাইকগাছায় জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।
উপজেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া
অনুসরণ করে দলীয় মনোনিত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে দলীয়
পরিচয়ে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনী লড়াই করছেন ৬ চেয়ারম্যান
প্রার্থী।

প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় পরিচয় তুলে
ধরে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করছেন। অপরদিকে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত
করতে তৎপর রয়েছেন স্ব-স্ব দলের উর্দ্ধতন ও তৃনমুল নেতাকর্মীরা।
সূত্রমতে, হরিঢালী, কপিলমুনি, লতা, দেলুটি, সোলাদানা, লস্কর, গদাইপুর,
রাড়ুলী, চাঁদখালী ও গড়ুইখালীসহ ১০টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ হযরত আলী
জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন,
যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৩ হাজার ৪৬৬ জন ও মহিলা ভোটার ৯২ হাজার ১৩৭ জন। ভোট
কেন্দ্র ৬৯টি।
আগামী ১৫ মার্চ ৩য় দফায় অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে
চেয়ারম্যানপদে ১০ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও ইতোমধ্যে আ’লীগ ও বিএনপি’র ৪
প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় নির্বাচনীয় লড়াই করছেন ৬
চেয়ারম্যানপ্রার্থী।
আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আ’লীগ
মনোনিত উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ
রশীদুজ্জামান। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১৯ দলীয় জোট
মনোনিত জেলা বিএনপি’র উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম
বাবর আলী, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন উপজেলা জাতীয় পার্টি ও পাইকগাছা
নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, চিংড়ী মাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাস্তব
প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির (স্বঘোষিত) কবি আবদার রশিদ, মোটর সাইকেল প্রতীকে
রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী।
প্রতিদ্বন্দ্বী
এসব প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় বেশ পরিচিতি থাকলেও এবারের নির্বাচনে
ব্যক্তির চেয়ে কে কোন দলের এটাই মূখ্য ভূমিকা রাখছে ভোটারদের কাছে। ঠিক
জাতীয় নির্বাচনের ন্যায় গুরুত্ব পাচ্ছে প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয়।
সবমিলিয়েই স্থানীয় সরকার এ নির্বাচন জমে উঠেছে জাতীয় নির্বাচনের ন্যায়। ৬
প্রার্থীর মধ্যে শেষ মুহুর্তে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা
ধারনা করছেন।