Sunday, December 18, 2016

পাইকগাছার অনির্বাণ লাইব্রেরি পরিদর্শনে ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, মননশীল জাতি গঠনে লাইব্রেরির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা জাগ্রত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সর্বত্র সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে অনির্বাণ লাইব্রেরি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আলোকিত মানুষ গড়তে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে একটি লাইব্রেরি ২৫ বছর পূর্ণ করেছে এটা সত্যই বিস্ময়কর। যেখানে নতুন প্রজন্ম বই পড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, সেখানে অনির্বাণ লাইব্রেরি তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষা, খেলাধুলাসহ সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এভাবেই সারাদেশে লাইব্রেরি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, আর সরকার এসকল বিষয়ে উৎসাহিত করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

তিনি রোববার সন্ধ্যায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মামুদকাটীর অনির্বাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লাইব্রেরি চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।



অনির্বাণ লাইব্রেরির সভাপতি সমীরণ দে’র সভাপতিত্বে ও লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাইবান্ধা ১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ-উল-মোস্তাক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান, মনিরামপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার। বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক নিমাই মন্ডল, অধ্যাপক যামিনী সরকার, অধ্যাপক অশোক ঘোষ, অধ্যাপক বিধান ভদ্র, প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, নীলিমা ঢালী, লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ।

এরআগে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অনির্বাণ লাইব্রেরির নির্মাণাধীন ভবনের ফলক উম্মোচন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনা জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটী গ্রামে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে অনির্বাণ লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। লাইব্রেরিটি ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। গত ৯ অক্টোবর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাইব্রেরির রজত জয়ন্তী উদযাপন করা হয়।