Monday, April 13, 2015

পাইকগাছায় চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বৈশাখী উৎসব শুরু

পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের বাজারখোলা নামক স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সোমবার থেকে ৩ দিনব্যাপী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। চড়ক পূজা উপলক্ষ্যে বাজারখোলা সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে বসেছে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা। 

চৈত্র সংক্রান্তি মেলার মধ্য দিয়ে চড়ক পূজার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। চড়ক পূজা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী সন্যাস ব্রতের মধ্য দিয়ে সন্যাসী দল নগর ও গ্রামে শিবের গাজন ব্রতীনিত্য করছে। খেঁজুর ভাঙা উৎসব ও বছরের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি মেলার মধ্য দিয়ে চকড় পূজা শেষ হবে।

প্রায় ২ শত বছরের পুরোনো এ চড়ক পূজা ও মেলা চলে ৩ দিন ধরে। চৈত্র সংক্রান্তির মেলার পরের দিন বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখী উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তির মেলা রূপ নেয় বৈশাখী মেলা ও উৎসবে। 

চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সোমবার চৈত্র সংক্রান্তির মাঙ্গলিক ক্রিয়া, মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বুধবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিগানের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হবে। 

মেলার আয়োজনে রয়েছে, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও বেশাখী উৎসব উদযাপন কমিটি। এ চড়ক পূজার মেলা দক্ষিন খুলনার ঐতিহ্যবাহী মেলা হিসাবে সুপরিচিত। অনুরূপভাবে, উপজেলার কপিলমুনি চৈত্র সংক্রন্তি পূজা ও বৈশাখী উৎসব চলছে।

পাইকগাছায় নববর্ষ উদযাপনে বৈশাখী মেলা’সহ ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচী

বাংলা নববর্ষ-১৪২২ উদযাপন উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী। অপরদিকে নববর্ষ উপলক্ষে উপকূল সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ স্মরণিকা ধুমকেতু।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা, সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পান্তা ভোজ, ৯টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রামীণ খেলাধুলা, একই স্থানে সকাল ১০টা থেকে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা।

এছাড়া দুপুরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পরিবেশন করা হবে উন্নত মানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার। সন্ধ্যা ৬টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জারি, সারি, ভাটিয়ালী, পল্লীগীতি, লালনগীতি, বাংলা নববর্ষের গান, নাচ ও কৌতুক পরিবেশন করা হবে।

২য় দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বালুর মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা’সহ ৩ দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী। ইতোমধ্যে বর্ষবরণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'কে জানিয়েছেন।

অপরদিকে অন্যান্য দিবসের ন্যায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে উপকূল সাহিত্য পরিষদ থেকে বাংলা নববর্ষ স্মরণিকা-১৪২২ ”ধুমকেতু” প্রকাশ করা হয়েছে বলে উপকূল সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলী জানান।

ঝর্ণা, পাহাড়, হরিন, বাঘ আর পানির ফোয়ারা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশ চৌগাছা পৌরসভা চত্বরে

পাইকগাছা পৌরসভা‬'য় কি পৌরবাসী এমন পরিবেশ আশা করতে পারে না? আফটার আল, পাইকগাছা পৌরসভা এখন সাপৌরসভা‬ ! আই মিন ১৮ বছর বয়স। (সাবালক/সাবালিকা > সাপৌরসভা) 


দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টিকর্ম মানুষকে আকৃষ্ট করে। তাই দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যখন তিক্ত হয় ঠিক তখন নৈস্বর্গিক এবং মনোরম পরিবেশে গিয়ে আনন্দ আর সুখের খোঁজ করে। আর সেই ছোট্ট শান্তি নিকেতন গড়ে তুলেছে চৌগাছা পৌরসভা। পৌরসভা চত্বরে ঝর্ণা, পাহাড়, হরিন, বাঘ, পাখি, পুকুর আর পানির ফোয়ারা বেষ্টিত মনোরম পরিবেশ সকলকে আকৃষ্ট করছে। 

প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি পৌরবাসী এখানে ছুটে আসছেন আর অবলোকন করছেন অপরুপ সৌন্দর্য। মহৎ এই কাজটি করেছেন চৌগাছা পৌরসভার বারবার নির্বাচিত মেয়র পৌরপিতা সেলিম রেজা আওলিয়ার।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট সীমান্তবর্তী চৌগাছা উপজেলা সদরকে পৌরসভায় রুপান্তরিত করা হয়। মাত্র ৭ বছরের মধ্যেই ৩য় শ্রেণির পৌরসভা ২য় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। 

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের শেষের দিকে শুরু করা হয় পায়রা চত্বর নির্মাণের কাজ। শুধু পায়রা চত্বর না, এর সাথে নির্মিত হতে থাকে কৃত্রিম পাহাড়, ঝর্ণা, পাখি, হরিণ, বাঘ এমনকি পাহাড়ের উপর বসবাসরত পাহাড়ীদের ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। নির্মাণাধীন এই পাহাড়ের ভিতর দিয়ে নেমে আসছে ঝর্ণা। এই ঝর্ণার পানি রাখার জন্য সেখানে নির্মিত হয়েছে পুকুর। পহাড়ের তৃষ্ণার্থ হরিণ তৃষ্ণা মেটাতে এই পুকুরে পানি পানের জন্য বের হয়ে আসছে। আর হরিণকে শিকার করতে ক্ষুধার্ত বাঘ বনের মধ্যে লুকিয়ে হরিণের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। 

অপরুপ এই সৌন্দর্যময় স্থাপনা নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন চৌগাছার শিল্পী আতিয়ার রহমান। দর্শনীয় এই কৃত্রিম পাহাড় ও পায়রা চত্বর দেখতে সেখানে প্রতিদিনই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েসহ সাধারণ পৌরবাসী ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার বলেন, পৌরসভা জনগণের সেবাদান প্রতিষ্ঠান ঠিকই, তবে সেবার পাশাপাশি তারা নতুন কিছু উপভোগ করবে এটিই স্বাভাবিক। এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করলে শুধু দেখায় শেষ না, এর ফলে এলাকার সৌন্দর্য অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি এ ধরনের স্থাপনা আরও বেশি বেশি নির্মাণের পাশাপাশি পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এই অপরুপ সৌন্দর্যের কারুকার্য দেখতে আসা দর্শণার্থীরা বলছেন, পৌরসভা এখন শুধু জনগণের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি জনগণের দর্শনীয় একটি প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে।

কয়রায় কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকল্প অনুমোদনের আগেই বাস্তবায়ন দেখিয়ে খাদ্যশস্য লোপাট


কয়রা উপজেলায় কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক আগে করা মাটির কাজ চলতি প্রকল্পে অনুমোদন নিয়ে তাতে বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ বরাদ্দ আত্মসাতের কৌশল হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি করেছেন। 


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসূচির আওতায় কয়রা উপজেলা কমিটির প্রস্তাবকৃত ৩৫টি প্রকল্প ১৫ জানুয়ারি জেলা কমিটির সভায় অনুমোদন পায়। এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৩৭৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের অর্ধেক এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং অর্ধেক বরাদ্দ রাস্তা সংস্কারে ব্যয় করার কথা। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের আগেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে দাবি করে সেখানে ৩৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ছাড় করা হয়েছে। 

অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ও মহারাজপুর ইউনিয়নে কয়েক মাস আগে কাজ করা তিনটি রাস্তায় বরাদ্দ ছাড় করা হয়েছে। এর মধ্যে মহারাজপুর ইউনিয়নের ‘লোকা ইউনুস গাজীর বাড়ি হতে বেলায়েত হাওলাদারের বাড়ি অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কার’ প্রকল্পটি পাঁচ মাস আগে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। অথচ এখানে বরাদ্দ হয়েছে আট মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মোট চারটি প্রকল্পের মধ্যে ২৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দের দুটি প্রকল্পের কাজও কয়েক মাস আগে শেষ হলেও তা বর্তমান প্রকল্পের তালিকায় অনুমোদন পেয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে দায়সারা গোছের কাজ দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দের অধিকাংশ খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করেছিল। 

মহারাজপুর ইউনিয়নের এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আঃ সামাদ মোল্লা বলেন, ‘পিআইও’র নির্দেশ মত প্রকল্প অনুমোদনের আগে মাটির কাজ শেষ করা হয়েছে।’ 

দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান অনুমোদনের আগে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হাতের কাছে সব সময় মাটি পাওয়া যায় না এ জন্য সুবিধামত সময়ে মাটির কাজ শেষ করা হয়েছে।’ 

কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘এলাকাটি লোনাপানি অধ্যুষিত হওয়ায় সব সময় মাটি পাওয়া যায় না। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এমন একটু-আধটু অনিয়ম করতেই হয়।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কমিটির অনুমোদনের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা। অনুমোদনের আগে কোন প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

কয়রায় কাবিখা প্রকল্পের ডিও লেটার আটকে দেয়া হয়েছে

অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের ছাড়পত্র (ডিও লেটার) আটকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করেছেন। তবে কাজের মান সন্তোষজনক না হলে বরাদ্দ ছাড় করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আ.খ.ম তমিজ উদ্দীন জানান, প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, প্রকল্পগুলি পরিদর্শনে গিয়ে বরাদ্দের সঙ্গে কাজের যথেষ্ট অমিল পাওয়া গেছে। প্রকল্পের সভাপতিরা শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিয়েছেন। তাতে বরাদ্দের তিনের এক অংশও ব্যয় করা হয়নি। তাছাড়া প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সাইনবোর্ড টানানোর কথা থাকলেও কোন প্রকল্প এলাকায় তা দেখা যায়নি। এতে বরাদ্দের বেশিরভাগ খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলেও কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বরাদ্দ ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘উনি যদি বুঝে থাকেন কাজে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে সে মতই তিনি ব্যবস্থা নেবেন, এতে আমার করণীয় কিছু নেই।’’ 

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার অনেক আগে অফিসের দেওয়া নক্সা ও পরিমাপ ঠিক রেখে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের লাভ-লোকসান হিসেব করে বরাদ্দ আটকে রেখে তাদের সঙ্গে খামখেয়ালিপনা করা হচ্ছে। 

সদর ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘‘উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকল্প এলাকার শ্রমিকদের কাছে জেনে বরাদ্দ আটকে দিয়েছেন। আমি শ্রমিকদের কত টাকা দিলাম সে প্রশ্ন নয়, প্রকল্পের কাজ শতভাগ সঠিক করেছি কিনা সেটা যাচাই না করে বরাদ্দ আটকে রাখা ঠিক হবে না।’’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-খাদ্যশস্য) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হয়েছে। এসব প্রকল্পের অনুকূলে উপ-বরাদ্দকৃত ৩৭৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ বরাদ্দ ছাড় পেয়েছে।

কয়রায় উৎসবের আমেজে কালীপুজার সমাপনি অনুষ্ঠান

কয়রায় নানা উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্যেদিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মের কালীপুজা উৎসব। উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১নং কয়রা মাঝের আইট সার্বজনীন কালীমন্দিরে ৩দিন ব্যাপি চলা কালীপুজার সমাপনি অনুষ্ঠান রবিবার বিকাল ৫টায় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মন্দিরটির সার্বিক খোজ-খবর নেন এবং তিনি তার ব্যাক্তিগত তহবীল থেকে মন্দীর উন্নয়নে নগদ অর্থ প্রদান করেন। ভবিশ্যতে মন্দিরটি আরো সুন্দর করতে সার্বিক সহযোগিতার ও আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান।

১নং কয়রা মাঝের আইট সার্বজনীন কালী মন্দিরের সভাপতি মাষ্টার মিহীর কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে পুজা সমাপনি উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাশিয়াবাদ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্য মোঃ শারাজাহান, ইউপি সদস্য মোঃ রেজাউল করিম, মাঝের আইট সার্বজনীন কালীমন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক শ্রী কানাই লাল মন্ডল, সাংবাদিক শেখ সিরাজুদ্দৌলা লিংকন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবীর টুলু, সাংবাদিক রহমতুল্লাহ উজ্জল, উপজেলা যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মাষ্টার হাবিবুল্যাহ (হাবীব মাষ্টার), কয়রা সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান খোকন।