Sunday, September 29, 2013

পাইকগাছায় এক কসাইকে থানায় ডেকে নিয়ে মারপিটের অভিযোগ

পৌর বাজারের এক কসাইকে থানায় ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে বেদম মারপিটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ সকল মহল। গতকাল শনিবার সকালে অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত জাকির হোসেন গাজী (৩৪) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কসাই আঃ সবুর গাজী বলেন, অন্যান্য দিনের ন্যায় শনিবার সকালে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিলাম। হঠাৎ করে থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ এসে আমাকে ও জাকিরকে ডেকে থানায় নেয়। থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের কক্ষে নিয়ে জবাইকৃত গরু চুরি করে আনা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আমাদের চোখ বেঁধে জাকিরকে বেদমভাবে মারপিট করে।

গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আঃ সালাম বাচ্চু বলেন, সংবাদটি শুনে আমি থানায় যাই। থানায় পৌছাবার আগেই জাকিরকে মারপিট করা হয়েছিল, পরে সবুর ও জাকিরের চোখ খুলে তাদেরকে মুক্ত করে আনি।

এ প্রসঙ্গে থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, গোপালপুর গ্রামের জনৈক ডাঃ ইয়াসিন আলীর গরু চুরি করে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে কসাই সবুর ও জাকিরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে খবর আসে ডাঃ ইয়াসিনের চুরিকৃত গরুটি হরিঢালী এলাকায় জনৈক মেম্বার উদ্ধার করেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চলছিল। প্রশ্ন হলো চুরি না করেও চুরির অপবাদ, থানা পুলিশের মারপিট এসবের দায়ভার কে নেবে ???

পাইকগাছায় শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা শিশু অধিকার সংরক্ষন ফোরামের এক প্রস্তুতিসভা রবিবার সকালে অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রদীপন জাগরণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আজমল-আল-নূর পাভেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শিশু অধিকার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, জিএ গফুর, আলাউদ্দিন রাজা, স্নেহেন্দু বিকাশ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, আব্দুল আজিজসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

সভায় আগামী ৫ অক্টোবর শিশু অধিকার সপ্তাহ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন, কর্মজীবী শিশুদের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে সেমাই-চিনি বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরে নেতৃবৃন্দ কর্মজীবী শিশুদের বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেন।

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস

‘হার্টকে সুস্থ রাখার পথচলা শুরু হোক শৈশব থেকেই’ এ স্লোগান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২৯ সেপ্টেম্বর, রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস।

জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগ, হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকিসমূহের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটিকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে পালন করবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, প্রতিবছর বিশ্বে এক কোটি ৭৩ লাখ লোক হৃদরোগজনিত কারণে মারা যান। যার শতকরা ৮০ ভাগই স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশের।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখতে পায়, বেশির ভাগ হৃদরোগই নিয়ন্ত্রণ, নিরাময় ও পরিবর্তনযোগ্য।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড ফোরাম অ্যাগেইনস্ট টোব্যাকো যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।

বেসম্ভব_সম্ভবকারী অনন্ত জলিল !!!

অভিনেতা হিসেবে অনন্ত জলিলকে আমি ১০ এর মধ্যে ০ (শূণ্য) দেব কিন্তু একজন ব্যক্তি অনন্ত জলিলকে ১০ এর মধ্যে ১১০ দেব। অলরেডি আমরা সবাই জানি যে , সে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মাল্টিপ্লেক্স করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া বর্তমান চলচিত্রে যে ডিজিটালাইজড করার প্রবনতা এটা তার মাধ্যমেই শুরু হয়েছে এটা মানতেই হবে।

আজ আবার একটা খবর জানতে পারলাম, অনন্ত জলিল নাকি একাই ২ টা এতিম খানা চালায় আর ঢাকার অদুরে ২৮ বিঘা জমির উপর একটা বৃদ্ধাশ্রম খুলতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। স্বাধীনতার পর এই ৪২ বছরে অনেক বড় বড় সুপার ডুপার স্টার আসছে গেছে। অনেকে অনেক বুলি আউরিয়েছে। বরং দেখা গেছে অনেকে নিজেদের ফেসভেল্যু কাজে লাগিয়ে জনপ্রতিনিধির দলে এসে উল্টো জনগণের রক্ত আরো চুষে খেয়েছে। তুলনা করলে ঠিক হবে কি না জানিনা তারপরও আজ আরেকবার মনে পড়ে গেল ভারতের সেই বিগ স্টার রজনীকান্তের কথা। যার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একজন সামান্য কন্ডাক্টর হিসেবে।

লাইফের সাথে স্ট্রাগল করে আজ সে এই পর্যায়ে। সে তো ঠিকমত কথাই বলতে পারতো না। এখনও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না। অথচ বলিউডের বাঘা বাঘা Actor বিগ-বি, শাহরুখ, সালমান,আমির,অক্ষয়রা তাকে স্যালুট জানাতে দ্বিধা করেনা। তাকে নিয়ে ইন্ডিয়াতে হাজার হাজার জোকস প্রচলিত থাকলেও তারা কিন্তু তার পোস্টার আর মূর্তির পুজোও করে। আর অনন্ত তার ক্যারিয়ার শুরু করে সামান্য গার্মেন্টসকর্মীহিসেবে। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে এখন তার এই অবস্থান। বর্তমানে সে নিজেই ১৯টা গার্মেন্টেস এর মালিক। (It’s Huge) এটা কিন্তু ফেলে দেবার মত কথা নয়।

অনন্তকে উদ্দেশ্য করে একটা কথাই বলবো, “ তুমি যেভাবে আছ সেভাবেই চালিয়ে যাও গুরু। তোমার ভাল Acting করতে হবেনা। তোমার সিরিয়াস ডায়লগে হো হো করে হেসে মজা নেব, তোমাকে নিয়ে জোকস বানাবো, তোমাকে সুযোগ পেলেই পচাবো। কিন্তু তোমাকে স্যালুট জানাতে ভুলবো না। ভাল Actor থেকে ভাল মানুষ অনেক ভালো।

কৃতজ্ঞতায়: Mussharraf Hossen Shoikot