Saturday, July 11, 2015

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস; পাইকগাছায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬৬%

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ


পাইকগাছায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। বর্তমানে উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার ৮০% এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬৬%। যা জাতীয় হারের চেয়েও অনেক কম। 

এদিকে আজ ১১ জুলাই, শনিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে বলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম, কবির হোসেন জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, উপজেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। যার মধ্যে সক্ষম দম্পতি ৫৬ হাজার ২৪৪ জন। মোট সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে জুলাই’১৪ হতে জুন’১৫ পর্যন্ত গত ১ বছরে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ৪৫ হাজার ৭৯৮ জন। একই সময়ে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ৭ হাজার ৯৪৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৪৪ এবং মহিলা ৬ হাজার ১০৩। খাবার বড়ি গ্রহণকারী ২৩ হাজার ৬৭৯ জন নারী। কনডম ব্যবহার করেছে ১ হাজার ৬৮৭ জন। আইইউডি ১ হাজার ১৭৮ জন। ইমপ্লান্ট ৩ হাজার ৯১ জন ও ইনজেকটেবল ৮ হাজার ২১৬ জন। 

সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, মাঠকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। তিনি বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জাতীয় হার যেখানে ১.০৩%, সেখানে পাইকগাছার হার ০.৬৬%। 

সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পাইকগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা দেশের রোল মডেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

Thursday, July 9, 2015

পাইকগাছায় অস্ত্রসহ বনদস্যু আটক

পাইকগাছায় অস্ত্রসহ এক বনদস্যুকে আটক করা হয়েছে। আটক বনদস্যু বাবলু (৩৬) পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের শান্তা গ্রামের মুজিবর সানার ছেলে।

বুধবার শেষ বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএডি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পারবয়ারঝাপা ফকিরপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি দেশী পিস্তল’সহ বাবলুকে হাতে-নাতে আটক করে।


এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ জানান। যার নং- ৯, তারিখ- ৮/০৭/২০১৫। আটক বাবলু সুন্দরবনের অভ্যন্তরে দস্যুতার কাজে জড়িত থাকার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে বলে পাইকগাছা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান।

Wednesday, July 8, 2015

পাইকগাছায় আ’লীগের সাবেক চেয়ারম্যান কর্তৃক বর্তমান চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা

৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ; ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন


পাইকগাছায় আ’লীগের বর্তমান ও সাবেক দু’ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে জুতা পেটা, বাড়িতে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের কেউ অভিযোগ না করলেও থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পূর্ব ঘটনার জের ও দু’নেতার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন বাজারস্থ আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব নিয়ে নব্য আ’লীগ নেতা গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীর মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩ জুন আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এর আগের দিন সন্ধ্যায় গদাইপুর ইউনিয়ন আ’লীগের এক প্রস্তুতি মূলক সভা আহবান করা হয়। সভায় কর্মসূচীতে কে কি পরিমাণ লোক সমাগম ঘটাতে পারবে এমন প্রশ্ন দু’নেতা একে অপরকে ছুড়ে দেয়। এমন প্রশ্ন একাধিকবার করার পর কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীকে জুতা মারতে উদ্যত হয়। 

এরই জের ধরে ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ইফতারী শেষে উঠে আসার সময় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চুকে জুতা পেটা করে। এর কিছুক্ষণ পর মলঙ্গী বাড়ী চলে গেলে বাচ্চুর দুই পুত্র ও সমর্থকরা মলঙ্গীর বাড়ীর সামনে গিয়ে জড়ো হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে মলঙ্গী ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। 

ঘটনার পর উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ঐ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় ঐ রাতেই থানায় জিডি হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ওসি আশরাফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় দু’পক্ষের কেউ এখনও পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। তবে এ ঘটনায় আর কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে এ জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। 

বিষয়টি এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পাইকগাছা-কয়রায় বিদ্যুৎ যায় না, মাঝেমধ্যে আসে

হেথায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ


পাইকগাছায় বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে ! এমনই এক অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা-কয়রাবাসীর সাথে তামাশা শুরু করেছে। এমনিতেই প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণীকূল অতিষ্ঠ তার ওপর বিদ্যুতের খেয়ালীপনার শিকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। যখন খুশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে আর যখন ইচ্ছা তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে এবং টানা ৬/৭ ঘন্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। দুপুরের পর বিদ্যুতের দেখা মিলছে।

গত ১৭ মে থেকে জায়কা প্রকল্পের ‘সোর্স লাইনের’ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে আর আগামী কতদিন চলবে তা পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম বদরুল আনাম নিজেও সঠিক করে বলতে পারছেন না।

এদিকে বিদ্যুতের অভাবে পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে, তেমনি প্রচন্ড দাবদাহে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তো সিঁকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঘন ঘন ট্রিপের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবকমহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।

সারা বছর প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে ‘মেইন লাইন” রক্ষণাবেক্ষণের অযুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তার পরও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়ো হাওয়া হলে তো কথাই নেই। দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না।

#প্রশ্ন হলো, সামান্য ঝড়ে যদি বিদ্যুতের খুটি বা তার ছিড়ে যাবে, তাহলে বিদ্যুতের সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অযুহাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার মানে কি? এ প্রশ্নের হিসাব মিলছে না কারোরই। সবমিলিয়ে পাইকগাছা-কয়রায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

Tuesday, July 7, 2015

একান্ত সাক্ষাৎকারে ইউনেস্কো প্রতিনিধি উয়েনডি জেকবস্

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সিজনাল মাইগ্রেশন করছে


আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা :: জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষেরা সিজনাল মাইগ্রেশন (স্বল্প মেয়াদি স্থানান্তর) করছে বলে উল্লেখ করেছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধি উয়েনডি জেকবস্। যে সকল পরিবারের লোক মাইগ্রেশন করছে সে সকল পরিবারে পারিবারি সম্প্রীতির উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান এক গবেষনায় এ ধরণের তথ্য উপাত্ত উঠেছে এসেছে বলে ইউনেস্কো এ প্রতিনিধি জানান।

উয়েনডি জেকবস্ মূলত আয়ারল্যান্ডের নাগরিক ও নেদারল্যান্ড আমর্সটার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস শিক্ষার্থী। ইউনেস্কো (আই.এইস.ই) ও বাংলাদেশের ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বাংলাদেশের সিজনাল মাইগ্রেশন (স্বল্প মেয়াদি স্থানান্তর) পরিবারগুলোর উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলেছে এ সংক্রান্ত এক গবেষণার কাজে উয়েনডি জেকবস্ বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ২ মাস গবেষণার কাজ পরিচালিত করবেন যার মধ্যে ১ মাস উপকূলীয় এলাকা এবং আরেক মাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এ কাজে বর্তমানে তিনি গত কয়েকদিন ধরে উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় অবস্থান করছেন।
 
সংবাদকর্মী হিসেবে গতকাল সকালে কথা হয় মিস জেকবস্ এর সাথে। একান্ত সাক্ষাতকারে ইউনেস্কোর এ প্রতিনিধি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বর্তমান বিশ্বে আলোচিত একটি বিষয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ ও রাসায়নিক তেজষক্রিয়তা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী হলেও ভৌগলিক কারণে এর ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ ও এদের মানুষ।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বেশি প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে উয়েনডি জেকবস্ বলেন, উৎপাদন কম ও আয়ের উৎস্য না থাকায় কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ উপকূলীয় এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষেরা দেশের বিভিন্ন স্থানেসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সিজনাল মাইগ্রেশন করছে। পরিবারের একমাত্র অভিভাবক পুরুষ চলে যাওয়ায় এ সময় অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে ঐ পরিবার। এ সময় পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে না পারায় পারিবারিক সম্প্রীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনকি সময়মত উপার্জিত অর্থ পাঠাতে না পারায় পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না বাড়ীতে রেখে যাওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। অভিভাবক শূন্যতায় মারাত্মক ব্যাহত হয় এ সকল পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া। 

উপকূলীয় এলাকার মাইগ্রেশনকৃত পরিবারগুলোর উপর পরিচালিত চলমান গবেষণায় এ ধরণের তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ইউনেস্কোর এ প্রতিনিধি। এ ব্যাপারে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন উয়েনডি জেকবস্।

পাইকগাছায় প্রতারণার শিকার প্রাইভেট শিক্ষক

ফ্লাট বাড়ি পাওয়ার লোভে খোয়ালেন প্রায় অর্ধলাখ টাকা


পাইকগাছার আগরঘাটা বাজারে বিরাশী গ্রামের আফসার সরদারের পুত্র প্রাইভেট শিক্ষক মিন্নাত সরদার ঢাকায় ফ্লাট বাড়ি পেয়েছে মোবাইলে এ খবর পেয়ে বিকাশ এর মাধ্যমে ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। 

জানা যায়, ঢাকার একটি মোবাইল থেকে মিন্নাতকে বলা হয়, যে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের গ্রামীণ ফোনের কাষ্টমার অফিসের লটারিতে আছেন। আপনার মোবাইল নাম্বারটিতে আপনি ৪র্থ তলা সহ একটি ফ্লাট বাড়ি পেয়েছেন। এক্ষণি আপনি ৭০০ টাকা পাঠিয়ে দিন, আবেদন করতে হবে। এর পর পর্যায়ক্রমে মিন্নাতের কাছ থেকে ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা নেয় প্রতারকরা। 

টাকা খুয়ে এখন পাগল প্রায় প্রাইভেট শিক্ষক মিন্নাত, এ ব্যাপারে এলাকাবাসীসহ সকলকে সচেতন হতে বলেন।

শিববাটী ব্রীজ ও জিরো পয়েটস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডে অবৈধ টোল আদায়

ইজারাদারের বিরুদ্ধে ভ্যান চালকদের লিখিত অভিযোগ


পাইকগাছার বহুল প্রত্যাশিত শিববাটী ব্রীজ ও জিরো পয়েটস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডে ভ্যান গাড়ী থেকে অবৈধ টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে হতদরিদ্র ভ্যান চালকরা পাইকগাছা থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী কয়রা ও সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট হয়ে শিববাটী ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। ভ্যান চালিয়ে এলাকার সিংহভাগ হতদরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। 

ফাইল ফটো
এদিকে এলাকার প্রভাবশালী ঠিকাদার মিনারুল ইসলাম বর্তমানে শিববাটী ব্রীজ ও জিরো পয়েটস্থ ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি টাকা টোল আদায় করছে। এমনকি টোলের আওতামুক্ত হতদরিদ্র ভ্যানচালকদের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে জোরপূর্বক টোলের টাকা আদায় করছে। 

এর প্রতিবাদে ইতোপূর্বে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়। এমনকি জনস্বার্থ বিবেচনা করে বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক ব্রীজের অপ্রত্যাশিত টোল প্রত্যাহারের দাবীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর ডিও লেটারও দিয়েছেন। এত কিছুর পরও কোন কিছুতে তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রভাবশালী ইজারাদারের লোকজন অবৈধ টোল আদায় করে চলেছে। সর্বশেষ গত সোমবার এলাকার হতদরিদ্র ভ্যান চালকরা পাইকগাছা থানার ওসি বরাবর ইজারাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

এ ব্যাপারে ইজারাদার মিনারুল ইসলাম জানান, সাধারণ কোন ভ্যান থেকে টোল আদায় করা হয় না। যে সকল ভ্যান যন্ত্রচালিত শুধুমাত্র তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত টোল আদায় করা হয়। 

উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দাউদ শরীফ বলেন, এলাকার অসংখ্য লোক আমার কাছে অবৈধ টোল আদায়ের অভিযোগ করলে বিষয়টি আমি মাসিক আইনশৃংখলা সভায় উপস্থাপন করি।

পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, অপ্রত্যাশিত ও অবৈধ টোল আদায়ের প্রতিবাদে ইতোপূর্বে ব্যাপক আন্দোলন করার পরও ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় আজও অবৈধ টোল আদায় বন্ধ হয়নি। 

জিরো পয়েটস্থ ট্রাক স্ট্যান্ডে অবৈধ টোল আদায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান। 

এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি আশরাফ হোসেন জানান।

Sunday, July 5, 2015

পাইকগাছায় ৩ দিনে নারী ও শিশুসহ ৯ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা

জীবন কি এতই মূল্যহীন ????


পাইকগাছায় বিষ ও বিষ জাতীয় দ্রব্য পান করে ৩ দিনে নারী ও শিশুসহ ৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। অসুস্থ্য একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর কয়েকজন পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও পরিবারের উপর অভিমান করে গত শনিবার পাইকগাছা উপজেলার দেবদুয়ার গ্রামের সালাম গাজীর শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন (১৬), লস্কর গ্রামের আতিয়ার গাজীর মেয়ে খুশি (১৪), ঘোষাল গ্রামের দিলিপ কুমারের স্ত্রী বন্দনা সরকার (২০), ফতেপুর গ্রামের মতলেব মোড়লের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬৫) ও গোপালপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী ঝুমুর বেগম (১৮) আত্মহত্যার চেষ্টা করে। 

এর আগে শুক্রবার চাঁদখালী গ্রামের সালাম গাজীর ছেলে আরিফ গাজী (২৫), বৃহস্পতিবার শ্যামনগর গ্রামের ইয়াছিন মোড়লের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (১৯) ও বুধবার শ্রীধরপুর গ্রামের ফারুক হাসানের ছেলে সাঊদ হাসান (৩৪), বান্দিকাটি গ্রামের কওসার গাজীর মেয়ে সোনিয়া (১৮) বিষ ও বিষ জাতীয় দ্রব্য পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে তাদেরকে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করলে আশংকাজনক আরিফ গাজীকে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসাধীন সকলে আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার আবাসিক মেডিকেল অফিসার সিকদার সফিকুল ইসলাম। 

আত্মহত্যা কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ 

আত্মহত্যা মহাপাপ, একই সাথে কাপুরুষত্বের বহিঃপ্রকাশ

পাইকগাছা কলেজে ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি

পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজটি ১৯৬৭ সালে ৫.৩৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজ দক্ষিণ খুলনার শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে। 

এইচ,এস,সি, এইচ,এসসি(বিএম) স্নাতক(বিএ,বিএসসি,বিকম) স্নাতক(সম্মান) বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, বিষয় চালু আছে। চালুর অপেক্ষায় আছে সমাজকল্যাণ, ইসলামিক স্টাডিজ,হিসাববিজ্ঞান,ভুগোল, ইতিহাস এবং এ বছরই কেন্দ্রের অনুমতি পেয়ে অনার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। শিক্ষক ৬৪ জন এবং কর্মচারী ১৩ জন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের বহর অবকাঠামো গত স্থান কলেজ প্রাঙ্গন, ভবন, ক্লাশ রুম সংকট কখনো কাটেনি বলে জানা গেছে।

৮০ দশকে ১০ কক্ষ্যে বিশিষ্ঠ ২ তলা কলা ভবন নির্মান হয়েছিল। বর্তমানে এই ভবনটি ছাদ ফেটে বড় বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ২ তলায় কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করতে চাযbনা। ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয় ৩ তলা বিশিষ্ট ১২টি রুমের বিজ্ঞান ভবন। কলেজের একাডেমিক কাজের পরিধির উপর ভিত্তি করে সেই বিজ্ঞান ভবন এখন একাডেমিক ভবনের শুন্যতা পূরণ করে আসছে। 


তারপর থেকে বিএনপি, বর্তমান ক্ষমতাসীন আ‘লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উপজেলার শহীদ আয়ুব ও মুসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে ও খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ, জায়গীরমহল কলেজে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি আই,সি টি ভবন, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয় ও হরিঢালী কপিলমুনি কলেজে মোটা টাকার বিসিসি কম্পিউটার ল্যাব এর জন্য এবং চাঁদখালী কলেজে ও হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজে নতুন ভবন হয়েছে। 

পাইকগাছার সচেতন মহল ও অনেক শিক্ষক মন্ডলীর মন্তব্য ঐতিহ্যবাহী পাইকগাছা কলেজ নামেই থেকে গেল, উন্নয়ন ও শিক্ষক নিয়োগে অবকাঠামো ও সরকারি অনুদানের প্রাপ্তি শূন্যের কোঠায়।

পদাধিকার বলে সংসদ সদস্যরাই থাকেন সভাপতি তবে বরাদ্ধ বা অনুদান এর ক্ষেত্রে অনেক প্রতিশ্রুতির পরও সবসময় পাইকগাছা কলেজ বঞ্চিত। সকল অভাব পুরণ করে যাতে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে এবং মডেল কলেজে পরিণত হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষানুরাগীরা।

পাইকগাছা-কপিলমুনি সড়কের সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন

আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে চিরচেনা দুঃখ !


পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি এই প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ যেনতেনভাবে সম্পন্ন করায় ইতিমধ্যে একাধিক স্থানে ভেঙে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ভেঙেচুরে ফের যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে এমনই আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাত্র মাস ২ আগেই অত্র সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই সময় পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের পাইকগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ জোড়াতালি দিয়ে চলছে বলে ভয়েস অফ পাইকগাছায় সংবাদ প্রকাশ হলেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। 

এই ১৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে অসংখ্য জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আগড়ঘাটা বাজার এলাকায় বিশাল গর্তে বর্ষার পানি জমে হাটু পানি হতে শুরু করেছে। ভারী ও টানা বর্ষার কবলে পড়ে রাস্তাটি একেবারে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়বে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এদিকে অত্র সড়কের বড় শত্রু ‘দশ চাকার’ ভারী ট্রাকগুলো চলাচল আজও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। প্রায়ই পাইকগাছা-কয়রায় বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজের জন্য ৩০ থেকে ৪০ টনের দশ চাকার পাথরবাহী ভারী ট্রাক আসা-যাওয়া করছে অনায়াসে। 

অথচ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র মতে, অত্র সড়কের আঠারমাইলের পর থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ টন মালামালবাহী ট্রাক চলাচলযোগ্য। সেখানে তিন গুনেরও অনেক বেশি ভারী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অত্র সড়কে দশ চাকার ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় বিষ্মিত হয়েছেন সচেতর মহল। 

খুলনা-পাইকগাছা সড়কের কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত সড়ক ফের সংস্কার ও দশ চাকার ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার; ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

তরুনীদের পোশাক ভাবনায় ভারতীয় আগ্রাসন; পছন্দ কিরণমালা থ্রি পিচ !


পাইকগাছায় জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। ঈদকে সামনে রেখে ছিট কাপড় ও পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনা কাটা। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু, তরুনী ও নারী। এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের তালিকা প্রধান্য পেয়েছে কিরণমালা ও ফ্লোরটার্চ থ্রি পিচ। 

এদিকে ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্নে করতে পৌর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন জানান। 

পবিত্র ঈদুল ফিতরের এখনও প্রায় দু’সপ্তাহ বাকী রয়েছে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাটা সেরে নিচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু, তরুনী ও নারীরা তাদের পোশাক-আশাক আগে ভাগেই কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। এ জন্য ছিট কাপড় ও পোশাকের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ বিপনী বিতানগুলো।

বিসমিল্লাহ গার্মেন্টের মালিক শফিয়ার রহমান জানান, এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের পোশাক হিসেবে কিরণমালা ও ফ্লোরটার্চ থ্রি পিচ বেশি প্রধান্য পেয়েছে। শ্রেণীভেদে ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এ পোশাকগুলো।

এ বারের ঈদে ছেলের জন্য জামাপ্যান্ট কিনেছেন বলে জানান গৃহবধু মুন্নি বেগম। তৈরী করতে সময় লাগে এ জন্য আগে ভাগেই সুতী কাঁথানের থ্রি-পিচ কিনেছেন বলে জানান, তরুনী লিমা খাতুন। ঈদের শেষের দিকে কেনাকাটায় আরো বেশি প্রভাব পড়বে বলে ফজলু ক্লথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ ফজলু জানান।

Saturday, July 4, 2015

পাইকগাছায় রমজানে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও কাঁচা মরিচ

পাইকগাছায় বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানের গত ১৫ দিনে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারগুলোতে। ফলে প্রয়োজনীয় এ দুটি নিত্য পন্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় মাহে রমজানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা খুচরা মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। 

শুক্রবার সকালে পৌর কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, রমজানের আগে যে বেগুনের কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৩০-৩৫ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের ৫০-৬০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা। এদিকে পিঁয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে কাচ কলা, পটল, ঝিঙে, পেঁপে সহ অন্যান্য সবজির মূল্য অনেকটাই স্বাভাবিক থাকলেও পৌর বাজার, সরল বাজার, জিরো পয়েটস্থ বউ বাজার, নতুন বাজার, মানিকতলা হাট, গদাইপুর হাট, আগড়ঘাটা বাজার, কপিলমুনি হাটসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট বাজারে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন এবং কাঁচা মরিচ। 

এ ব্যাপারে পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আশিকুল জানান, বর্তমানে অন্যান্য সবজির মূল্য স্বাভাবিক থাকলেও বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম গত ১৫ দিনে প্রায় দ্বিগুন পেয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে, ব্যবসায়ী মুন্না। 

রমজানের শেষ দিকে হলেও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হোক এমনটাই দাবী জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় আহলে হাদীসের ৬৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ

পাইকগাছায় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের জনপ্রতি ফিতরা মূল্য ৬৫ টাকা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বান্দিকাটি আহলে হাদীস জামে মসজিদে জুম্মাবাদ ফিতরা নির্ধারণী কমিটির এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। 

সভায় (সৌদি এক সা সমান) দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য দ্রব্য আড়াই কেজি (২ সের সাড়ে ১১ ছটাক) চালের মূল্য হিসেবে ৬৫ টাকা জনপ্রতি ২০১৫ সালের ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। 

আলহাজ্ব রহমত আলী গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ মাসুদুর রহমান, ক্বারী নূর মোহাম্মদ, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, মোশাররফ হোসেন ও অলিউর রহমান।

Thursday, July 2, 2015

পাইকগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল-গম সংগ্রহের অভিযোগ

আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমান প্রায় ৭ লাখ !


পাইকগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল-গম সংগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামান্য কিছু ভালো মানের চাল-গমের বস্তার আড়ালে গুদামজাত করা হয়েছে এসব নিম্নমানের চাল-গম।

সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে টিআর/কাবিখা প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছা উপজেলায় চাল ১৫৫ টন ও ৮৬ টন গম সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ হয়। উপজেলার ৭ জন মিল মালিক উক্ত ১৫৫ টন চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় এবং প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত ৮৬ টন গম সংগ্রহের কথা। সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় চাল প্রতি কেজি ৩২ টাকা আর গম প্রতি কেজি ২৮ টাকা। 

ছবি :: ফাইল ফটো
তবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ও চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা পুরানো চাল কমদামে সংগ্রহ করে ওই চাল আঠারমাইল-যাতপুর এলাকার প্রসেসিং মিলে নিয়ে মিলিং করে পাইকগাছা উপজেলা খাদ্যগুদামে রাখেন। এদিকে একই সময়ে এলাকায় মাইকিং করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত ৮৬ টন গম সংগ্রহের কথা থাকলেও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশিরভাগ নিম্নমানের পুরানো গম সংগ্রহ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, প্রতি কেজি চাল ৩২ টাকার স্থলে ৪ টাকা কমে ২৮ টাকায় ক্রয় করা হলে ১৫৫ টনে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম প্রতি টনে ৫০০ টাকা করে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছেন। 

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নিম্নমানের চাল-গমের বস্তাগুলো কিছু ভালো মানের চাল-গমের বস্তা দিয়ে আড়াল করে রাখা হয়েছে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করা হলে বিষয়টি ধরা পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য গুদামের এক কর্মচারী বলেন, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা অফিস স্টাফদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাদ্য বিভাগে এত বড় দুর্নীতি করার সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই।

--এম, আর মন্টু, পাইকগাছা।