Thursday, January 16, 2014

চূড়ান্ত হয়ে গেল এশিয়া কাপের সময়সূচিও

ফতুল্লায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে দ্বাদশ এশিয়া কাপ। প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৮ মার্চ, শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। আজ বৃহস্পতিবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের সময়সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা করা হয়েছে।

বারবার নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা পাকিস্তান বাংলাদেশে এশিয়া কাপ খেলতে আসবে কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে এসিসি পাকিস্তানকে রেখেই এই সময়সূচি ঘোষণা করায় ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানও আসবে খেলতে। এবারের প্রতিযোগিতায় এশিয়ার চারটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান থাকায় ম্যাচের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১২ সালে চারটি দেশকে নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ম্যাচের সংখ্যা ছিল সাত। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টিতে। গতবারের ফাইনালে মাত্র ২ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
 

সময়সূচি:


২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (মঙ্গলবার): পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা (ফতুল্লা)

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (বুধবার): বাংলাদেশ বনাম ভারত (ফতুল্লা)
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (বৃহস্পতিবার): আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান (ফতুল্লা)
 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (শুক্রবার): ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা (ফতুল্লা)
১ মার্চ ২০১৪ (শনিবার) : বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (ফতুল্লা)
২ মার্চ ২০১৪ (রোববার): ভারত বনাম পাকিস্তান (মিরপুর)

৩ মার্চ ২০১৪ (সোমবার): আফগানিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা (মিরপুর)
৪ মার্চ ২০১৪ (মঙ্গলবার): বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান (মিরপুর)
৫ মার্চ ২০১৪ (বুধবার): আফগানিস্তান বনাম ভারত (মিরপুর)
 
৬ মার্চ ২০১৪ (বৃহস্পতিবার): বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (মিরপুর)

৮ মার্চ ২০১৪ (রোববার): ফাইনাল

পাইকগাছায় পৌরসভায় আট দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

পাইকগাছা কলেজ মাঠে বৃহস্পতিবার সকালে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।


শীতে কাঁপছে পাইকগাছাবাসী

হাঁড় কাপানো শীতে কাঁপছে পাইকগাছাবাসী। শৈত্য প্রবাহে প্রকৃতিতে জবুথবু অবস্থা। মঙ্গলবার কয়েক ঘন্টা সূর্যের দেখা মিললেও বুধবার দিনভর সূর্যের আলো দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে দিনভর লুকোচুরি খেলেছে সুয্যিমামা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দিনভর নিতান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি।

পৌর সদরের দোকানপাট খোলা থাকলেও রাস্তাঘাট ছিলো ফাঁকা ! একখন্ড গরম কাপড়ের জন্য ফুটপাতে দোকানগুলোতে ছিলো গরীব মধ্যবিত্তদের ভিড়। 
 
হেমন্তের ফসলভরা মাঠ নিঃস্ব রিক্ত হওয়ার পর প্রকৃতির রঙ্গ মঞ্চে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে জেকে বসেছে শীত। শীতের  নিষ্ঠুর কামড় সহ্য করতে হচ্ছে গরীব- ছিন্নমূল মানুষদের। পত্রিকার পাতায় শীতবস্ত্র বিতরণের ছবি ও খবর দেখলেও বাস্তবে তা চোখে পড়ছে না তাদের। শীতবস্ত্র বিতরণে সরকার ও বিত্তবানদের মুখের দিকে তাঁকিয়ে আছেন তারা।

এদিকে বুধবার দিনভর শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে চরম দূর্ভোগে নেমে আসে। হাঁড় কাপানো শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি। গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার গুলোও ছিলো অন্যদিনের তুলনায় ফাঁকা।

শীতৈর তীব্রতা পশু-পাখির মধ্যে ও লক্ষ্য করা গেছে। গবাদি পশু গুলোকে চটের বস্তা বা চট দিয়ে গরম রাখার চেষ্টা করছেন মালিকরা। আগুনের কুন্ডলি তৈরি করে উত্তাপ নেয়ার দৃশ্যও ছিলো চোখে পড়ার মতো। শীতের কামড় থেকে রক্ষা পেতে অনেকে লেপ-কাঁথা-কম্বল গায়ে জাড়িয়েছেন। গরীব- অসহায় ছিন্নমূল পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের শরীর ঢাকা পড়েছে লেপ কাঁথার আবরনে। কোথাও কোথাও এসব পরিবারের সদস্যদের উদোম গায়ে কাঁপতে দেখা যায়।

আবহাওয়ার এমন অবস্থায় কোন সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। শীতের তীব্রতা ও শৈত্য প্রবাহ নাকি আরো কয়েকদিন বলবত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তীব্র শীতের কারনে শিশুদের নিউ মোনিয়া, সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল ও ক্লিনিক সূত্রগুলো। শিশু জ্বর ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শিশুদের ঠান্ডাজনিত ডাইরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ও দেখা দিয়েছে বলে জানায় সূত্র।

অন্যদিকে তীব্র শীত জেলার বোরো চাষে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশংকা করছেন চাষীরা। কৃষকরা জানান, শীতের তীব্রতায় বোরো ধানের রোপনকৃত চারা লালতে হয়ে মারা যেতে পারে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়ার এ অবস্থা বলবত থাকলে সদ্য রোপনকৃত এবং দেরি করে ফেলানোর বীজ তলার চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ধানের চারা লালচে হয়ে মারা যেতে পারে। তবে সন্ধ্যায় বীজ তলা এবং ধান ক্ষেতের পানি পরিবর্তন করলে এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন।