খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক সংযোগ
কপিলমুনি-কানাইদিয়া ব্রীজ নির্মাণ কাজ একেবারেই বন্দ হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা
পানি উন্নয়ান বোর্ড কর্তৃক এক চিঠিতেই কাঙ্খিত ব্রীজটির কার্যক্রম বন্ধ করে
দেয়া হয়েছে। আদৌ এ ব্রীজ নির্মান বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও মুলত চিরতরে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক সংযোগ
কপিলমুনি-কানাইদিয়া ব্রীজ নির্মাণ কাজে ব্যয় ধার্য করা হয় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪২
হাজার ৯০০শত ১৯ টাকা ৫৫ পয়সা। কাজের মান প্রশ্নে পরবর্তীতে তা বৃদ্বি পায় ২
কোটি ৩৬ লাখ টাকায়। এমতাবস্থায় এন হক এসোসিয়েট নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি
তাদের কার্যক্রম শুরু করে ২০০০ সালের ১২ই এপ্রিল। এরপর ঐ প্রতিষ্ঠানটি
২০০৩ সালের ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত আংশিক কাজ করে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭২২ টাকা আই,
এফ, আই, সি ব্যাংক খুলনা হতে উত্তোলন করে নির্মান কাজ বন্দ করে দেয়। যা
নিয়ে পরবর্তী পর্যায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। খুলনা মহানগর হাকিম
আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং পি-৫৮/০৬ ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯/৩৪। যার ফলে ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা সহ নানা জটিলতার কারন ও দীর্ঘ সুত্রতার কারনে
ব্রিজ নির্মান অনিশ্চত হয়ে পড়ে। ব্রীজটির বাকী কাজ সমাপ্ত করতে ইসলাম গ্রুপ
নামের আরো একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় উক্ত নির্মান কাজ শুরু করলে
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কপোতাক্ষ নদের স্রোত এ বাঁধা পাবে মর্মে একটি
চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ায় ব্রীজের নির্মাণের কাজ চিরতরে
বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস পাইকগাছার
কপিলমুনি-কানাইদিয়া সড়ক সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ১৩ বছর সমাপ্ত হয়নি।
একইভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত দু’পারের মানুষের বহুজমি বাবদ তাদের প্রাপ্য টাকা এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। অথচ এ ব্রিজ নির্মাণ হলে খুলনার পাইকগাছা হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব অনেক সহজ হতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নসহ বানিজ্যিক সুবিধা লাভ করতো এলাকার মানুষ। অথচ এক কালের ভয়াল কপোতাক্ষ মৃত হতেপারে এমন আশংকায় যে চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরীত হয়েছিল সেই আশংকার অবসান হয়েছে। কারন বর্তমান কপোতাক্ষ নদ মরা খালে পরিনত হয়েছে।
একইভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত দু’পারের মানুষের বহুজমি বাবদ তাদের প্রাপ্য টাকা এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। অথচ এ ব্রিজ নির্মাণ হলে খুলনার পাইকগাছা হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব অনেক সহজ হতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নসহ বানিজ্যিক সুবিধা লাভ করতো এলাকার মানুষ। অথচ এক কালের ভয়াল কপোতাক্ষ মৃত হতেপারে এমন আশংকায় যে চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরীত হয়েছিল সেই আশংকার অবসান হয়েছে। কারন বর্তমান কপোতাক্ষ নদ মরা খালে পরিনত হয়েছে।