Wednesday, May 1, 2013

ব্রীজ নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ১৩ বছরে শেষ হয়নি !

খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক সংযোগ কপিলমুনি-কানাইদিয়া ব্রীজ নির্মাণ কাজ একেবারেই বন্দ হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ান বোর্ড কর্তৃক এক চিঠিতেই কাঙ্খিত ব্রীজটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আদৌ এ ব্রীজ নির্মান বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও মুলত চিরতরে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক সংযোগ কপিলমুনি-কানাইদিয়া ব্রীজ নির্মাণ কাজে ব্যয় ধার্য করা হয় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৯০০শত ১৯ টাকা ৫৫ পয়সা। কাজের মান প্রশ্নে পরবর্তীতে তা বৃদ্বি পায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকায়। এমতাবস্থায় এন হক এসোসিয়েট নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে ২০০০ সালের ১২ই এপ্রিল। এরপর ঐ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালের ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত আংশিক কাজ করে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭২২ টাকা আই, এফ, আই, সি ব্যাংক খুলনা হতে উত্তোলন করে নির্মান কাজ বন্দ করে দেয়। যা নিয়ে পরবর্তী পর্যায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। খুলনা মহানগর হাকিম আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং পি-৫৮/০৬ ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯/৩৪। যার ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা সহ নানা জটিলতার কারন ও দীর্ঘ সুত্রতার কারনে ব্রিজ নির্মান অনিশ্চত হয়ে পড়ে। ব্রীজটির বাকী কাজ সমাপ্ত করতে ইসলাম গ্রুপ নামের আরো একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় উক্ত নির্মান কাজ শুরু করলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কপোতাক্ষ নদের স্রোত এ বাঁধা পাবে মর্মে একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ায় ব্রীজের নির্মাণের কাজ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে খুলনা সাতক্ষীরা বাইপাস পাইকগাছার কপিলমুনি-কানাইদিয়া সড়ক সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ১৩ বছর সমাপ্ত হয়নি।

একইভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত দু’পারের মানুষের বহুজমি বাবদ তাদের প্রাপ্য টাকা এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। অথচ এ ব্রিজ নির্মাণ হলে খুলনার পাইকগাছা হতে সাতক্ষীরার দুরত্ব অনেক সহজ হতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নসহ বানিজ্যিক সুবিধা লাভ করতো এলাকার মানুষ। অথচ এক কালের ভয়াল কপোতাক্ষ মৃত হতেপারে এমন আশংকায় যে চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরীত হয়েছিল সেই আশংকার অবসান হয়েছে। কারন বর্তমান কপোতাক্ষ নদ মরা খালে পরিনত হয়েছে।

পাইকগাছায় আদালত ভবনের ছাদে ধ্বস, আতংকে কর্তৃপক্ষ

পাইকগাছার আদালত ভবনের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অনেকেই কর্মরত থাকলেও কোন হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি বলে আদালত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯ টায়। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় ধসে পড়ার আতংকে রয়েছে সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 


জানা যায়, জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের এজলাসসহ বিভিন্ন কক্ষে দীর্ঘদিন পূর্ব থেকেই ফাটল দেখা দিয়েছে। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে কাজ করে আসছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে আদালত ভবনের স্ট্র্রোগ্রাফার মোঃ গোলাম সরোয়ার কর্মরত থাকাবস্থায় উপরের ছাদের বেশকিছুটা অংশ ধসে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্ট্রোনোগ্রাফার মোল্যা গোলাম সরোয়ার জানান। এ ব্যাপারে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বক্করসিদ্দিক জানান ঘটনার দিন তিনি আদালতের কাজে মাগুরায় অবস্থান করছিলেন। তবে বিষয়টি তিনি বেঞ্চ সহকারীর মাধ্যমে শুনেছেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সকলকে সর্তকতার সহিত কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।


পাইকগাছায় হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত

অবশেষে কমিটি গঠনের ২০ দিন পর বিলুপ্ত ঘোষনা করা হল হেফাজত ইসলামের নবগঠিত পাইকগাছা উপজেলা কমিটি। উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল মাওঃ সোলায়মান হুসাইন নোমনীকে আমির ও মাওঃ আমিনুর রহমান সিরাজীকে সেক্রেটারী করে উপজেলা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন করা হয়।

মঙ্গলবার কমিটির আমির ও সেক্রেটারী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় সংগঠনের জেলা আমির মাওঃ মুফতী মুসতাক আহমেদ এর নির্দেশক্রমে ১১ এপ্রিল কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির নেতৃত্বে খুলনায় মহাসম্মেলনসহ সকল কার্যক্রম সফলভাবে পালন করে আসছে। কমিটির এ কার্যক্রমে ঈষান্বিত হয়ে একটি মহল কমিটির নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে জেলা কমিটির নিকট বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ নিষ্পত্তি না করায় ক্ষোভ এবং অভিমানে বর্তমান কমিটির সকলেই একমত পোষন করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেছে এবং ১ মে থেকে হেফাজত ইসলামের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে।

পাইকগাছায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় বিনামুল্যে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিএসআই ও দৃষ্টিদান চক্ষু হাসপাতাল যৌথভাবে দিনব্যাপী এ চক্ষু শিবিরের আয়োজন করে। সকাল ৯ টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত কয়েকশ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শুধুমাত্র ছানি পড়া রোগীদের অপারেশনের জন্য বাগেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন দৃষ্টিদান চক্ষু হাসপাতালের এমডি আফাজ হোসেন, সিএসআই প্রতিনিধি ব্রান্ডন কহেন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মনোয়ারুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম হান্নান, ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ খোকন, হুমায়ুন কবির, আব্দুল মতিন, নার্স বাসন্তি বিশ্বাস ও সহকারী মেডিকেল মোঃ আালিমুজ্জামান।


মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। উল্লেখ্য গত ২৮ এপ্রিল লস্কর গ্রামের আছরোপ সরদারের পুত্র অহেদ, সবেদ সরদারের পুত্র আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার ও ঈমান আলী সরদারের পুত্র লুৎফর সরদার, মোজাম আলী সরদারসহ তাদের লোকজন একই এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলীর পরিবারের উপর হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার শত শত নারী পুরুষ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাাজী আতিয়ুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, নিজেরা করি’র সাইফুল ইসলামসহ শত শত এলাকাবাসী।