Monday, December 21, 2015

মিন্টু'কে বাঁচাতে পারি আমি, আপনি, আমরা

আমরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেই....

বাঁচবে সম্ভাবনাময় একটি জীবন, নিভবেনা একটি পরিবারের আশার প্রদীপ


পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে ডুমুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রামনগর। এই গ্রামের মোঃ সাইফুল্লা খানের তৃতীয় সন্তান মোঃ মিন্টু খান, যার শৈশবকাল কেটেছে চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে। শিশু বয়সে সবাই যখন খেলা করে সময় পার করত, সে তখন খাতা কলম কেনার অর্থ জোগাড় করার জন্য অন্যের গরু চরাতে মাঠে যেত। বড়দের সাথে মৎস্য ঘেরে সারাদিন কাজ করে কিছু টাকা রোজগার করত। বাবা-মা কষ্ট করে সামান্য যে কয়টি টাকা আয় করতেন তা দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করাই কঠিন ছিল। 
এভাবে নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে চরম দারিদ্রতার মাঝে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে। সে ২০০৫ সালে কে.আর.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাশিমনগর থেকে ৪.১২ পেয়ে এস.এস.সি পাস করে এবং ২০০৭ সালে কপিলমুনি কলেজ থেকে ৪.৪০ পেয়ে এইচ.এস.সি পাস করে। ২০১৩ সালে বি.এল. বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বি.এ (অনার্স) অর্থনীতি বিষয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।
মোঃ মিন্টু খান
মায়ের পরের বাড়ী কাজ করে অর্জন করা টাকা আর তার নিজের অর্জিত টাকা দিয়ে দারিদ্রের কাছে মাথা নত না করে সুন্দর একটা ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। দু’বেলা খাবারের বিনিময়ে একটি টিউশনি করত এবং অন্য একটি টিউশনি করে সামান্য টাকা অর্জন করে মেসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছিল।
কিন্তু হঠাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্যানক্রিয়েটাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে খুলনা নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে মিন্টু বাড়ী ফেরে।
কিন্তু বিধি বাম, বর্তমানে তার অবস্থা আবারও ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। তার পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।এলাকার কিছু উদ্যমী শিক্ষিত ছেলে আশে পাশের স্কুল ও কলেজ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কোনমতে তার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করছে।
ডাক্তারের ভাষ্য মতে, তাকে অনেক দিন সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার অসহায় পরিবার তাদের আশার প্রদীপকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে করজোড়ে অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করছে। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলে হয়ত সম্ভাবনাময় জীবনটি বাঁচানো সম্ভব হবে।
আমরা কি আমাদের সকল মানবিকতা নিয়ে মিন্টুর পাশে দাড়াতে পারিনা?

সাহায্যের‬ ঠিকানা‬ ::
মোঃ মিন্টু খান
সঞ্চয়ী হিসাব নং - ৩৪০৮৪৬৮৬
জনতা ব্যাংক, কপিলমুনি বাজার শাখা 
পাইকগাছা, খুলনা।

সাহায্য পাঠেতে পারেন বিকাশ‬ ‪‎নম্বরে‬ :: ০১৭৩৪-১৯৪৮৯৪ (পার্সোনাল)

পৌষের বৃষ্টিতে পাইকগাছায় জেঁকে বসেছে শীত

পৌষ মাসের শুরুতেই পাইকগাছায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে শীত আরও জেঁকে বসেছে। তবে দিনের চেয়ে রাতে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমবে। ভারী কুয়াশার সম্ভাবনা নেই। হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Sunday, December 20, 2015

মিন্টু'কে বাঁচাতে পারি আমি, আপনি, আমরা

আমরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেই....

বাঁচবে সম্ভাবনাময় একটি জীবন, নিভবেনা একটি পরিবারের আশার প্রদীপ


পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে ডুমুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রামনগর। এই গ্রামের মোঃ সাইফুল্লা খানের তৃতীয় সন্তান মোঃ মিন্টু খান, যার শৈশবকাল কেটেছে চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে। শিশু বয়সে সবাই যখন খেলা করে সময় পার করত, সে তখন খাতা কলম কেনার অর্থ জোগাড় করার জন্য অন্যের গরু চরাতে মাঠে যেত। বড়দের সাথে মৎস্য ঘেরে সারাদিন কাজ করে কিছু টাকা রোজগার করত। বাবা-মা কষ্ট করে সামান্য যে কয়টি টাকা আয় করতেন তা দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করাই কঠিন ছিল। 
এভাবে নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে চরম দারিদ্রতার মাঝে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে। সে ২০০৫ সালে কে.আর.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাশিমনগর থেকে ৪.১২ পেয়ে এস.এস.সি পাস করে এবং ২০০৭ সালে কপিলমুনি কলেজ থেকে ৪.৪০ পেয়ে এইচ.এস.সি পাস করে। ২০১৩ সালে বি.এল. বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বি.এ (অনার্স) অর্থনীতি বিষয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে সে মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।
মোঃ মিন্টু খান
মায়ের পরের বাড়ী কাজ করে অর্জন করা টাকা আর তার নিজের অর্জিত টাকা দিয়ে দারিদ্রের কাছে মাথা নত না করে সুন্দর একটা ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। দু’বেলা খাবারের বিনিময়ে একটি টিউশনি করত এবং অন্য একটি টিউশনি করে সামান্য টাকা অর্জন করে মেসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছিল।
কিন্তু হঠাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্যানক্রিয়েটাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে খুলনা নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হয়ে মিন্টু বাড়ী ফেরে।
কিন্তু বিধি বাম, বর্তমানে তার অবস্থা আবারও ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। তার পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।এলাকার কিছু উদ্যমী শিক্ষিত ছেলে আশে পাশের স্কুল ও কলেজ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কোনমতে তার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করছে।
ডাক্তারের ভাষ্য মতে, তাকে অনেক দিন সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার অসহায় পরিবার তাদের আশার প্রদীপকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে করজোড়ে অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করছে। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করলে হয়ত সম্ভাবনাময় জীবনটি বাঁচানো সম্ভব হবে।
আমরা কি আমাদের সকল মানবিকতা নিয়ে মিন্টুর পাশে দাড়াতে পারিনা?

সাহায্যের‬ ঠিকানা‬ ::
মোঃ মিন্টু খান
সঞ্চয়ী হিসাব নং - ৩৪০৮৪৬৮৬
জনতা ব্যাংক, কপিলমুনি বাজার শাখা 
পাইকগাছা, খুলনা।

সাহায্য পাঠেতে পারেন বিকাশ‬ ‪‎নম্বরে‬ :: ০১৭৩৪-১৯৪৮৯৪ (পার্সোনাল)

মোঃ মিন্টু খান

Tuesday, December 8, 2015

নিরবে পেরিয়ে গেল ৭টি বছর.... গুরুদাসী’র ৭ম প্রয়াণ দিবস আজ

‘কনে ছিলিরে’ বা ‘কনে আসলি’ বলে অট্টহাসি দেবে না, ডুঁকরে ডুঁকরে কাঁদবেও না আর কোন দিন। ‘দাঁড়া’ বলে পরম মমতায় উদাস নয়নে তাকিয়ে থাকবে না- আমার মা, আমার বোন, আমার মেয়ে গুরুদাসী !!! গুরুদাসী মরে গেছেন !!!

নিরবে পেরিয়ে গেল ৭টি বছর। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮, দিবাগত রাতে সকলের অগচরে না ফেরার দেশে চলে যান বীরঙ্গনা গুরু দাসী মন্ডল।

দেশের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া মানুষটির কথা কেউ মনে রাখেনি। তাকে স্মরণ করার জন্য এগিয়ে আসেনি কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বক্তি বা সরকার। আজ অবধি ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়নি তার শেষ স্মৃতি চিহ্ন ইহকালের আবাসস্থল।


বীরাঙ্গনা গুরুদাসী মন্ডল, তুমি পাইকগাছার গর্ব, ভুলবো না তোমায়। ৭১ থেকে আজ এবং অনন্তকাল বাংলার স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে বেঁচে ছিলে, স্মৃতিস্তম্ভ হয়েই বেঁচে থাকবে ! কিন্তু মাসি, তুমি হঠাৎ আর এসে বলবে না, ''কেমন আছিস বাবা ? ভালো আছিস তো ? দে কয়ডা টাহা দে, তোরা না দিলি পাব কনে ক।''

বঙ্গজননীর বুকে চিতার ভস্ম গুরুদাসী, তোমায় অভিবাদন, সালাম, নমস্কার !!!

Voice of Paikgacha বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে তোমাকে !

Friday, December 4, 2015

পাইকগাছা পৌর নির্বাচনে ৫১ প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা

পাইকগাছা পৌরসভার চলতি নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ কারী ৫১ প্রার্থীর মধ্যে শেষ দিনে ৪৯ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ ও সংরক্ষিত ৭ প্রার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের নিকট প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দেন। 

  
মেয়র পদে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা হলেন, আ’লীগের চুড়ান্ত প্রার্থী বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও আ’লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী (দু’সহোদর) পৌর আ’লীগের আহবায়ক শেখ কামরুল হাসান টিপু ও জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত। বিএনপি’র আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার ও জামায়াতের দক্ষিণ জেলা অর্থ সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ (সতন্ত্র)।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে :: 

১ নং ওয়ার্ডের আলাউদ্দীন গাজী, স্ত্রী মারুফা খাতুন ও বজলুর রহমান।
২ নং ওয়ার্ডের অহেদ আলী গাজী, লুৎফর রহমান, আক্তার গোলদার ও হাতেম সরদার।
৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার গাজী আব্দুস সালাম, আছাদুল ইসলাম ও রহমত আলী গাজী।
৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এসএম তৈয়েবুর রহমান, সাবেক কমিশনার এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক কমিশনার প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল ও যুবলীগ নেতা গৌরাঙ্গ মন্ডল।
৫ নং ওয়ার্ডের শ্রীষ কান্তি রায়, আতাউর রহমান, রবি শংকর, জিয়া উদ্দীন নায়েব, মনিরুজ্জামান, শেখ রুহুল কুদ্দুস, গৌরাঙ্গ ব্যানার্জী, সিরাজুল ইসলাম ও ডাঃ রশিদ শিকারী।
৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজ, সাবেক কমিশনার জিএম আব্দুল আজিজ ও শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু।
৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শেখ মাহবুবর রহমান রঞ্জু, শেখ রাজু আহম্মেদ, শেখ মোস্তাকিমুর রহমান, আলমগীর হোসেন ও শেখ জামাল হোসেন।
৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল ও ইমরান সরদার।
৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এসএম ইমদাদুল হক ও সাবেক কাউন্সিলর হেমেশ চন্দ্র মন্ডল।

সংরক্ষিত ১ থেকে সাবেক কমিশনার ফাতেমা খাতুন, সাবেক কাউন্সিলর রাফেজা খানম ও সরবানু বেগম।
সংরক্ষিত ২  থেকে বর্তমান কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশ ও শারমিন সুলতানা তুলি।
সংরক্ষিত ৩ থেকে বর্তমান কাউন্সিলর আসমা আহম্মেদ ও সাবেক কমিশনার শাহিদা আক্তার।

মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের মধ্যে মেয়র পদে সুরাইয়া বানু ডলি ও সংরক্ষিত ২ থেকে লতিফা ইসলাম মনোনয়ন জমা দেননি বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং অফিসার হযরত আলী জানান।

পাইকগাছা পৌর নির্বাচনে নৌকার চুড়ান্ত প্রার্থী বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর

পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। বুধবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ চত্তরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। 

উল্লেখ্য, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে দলীয় প্রার্থী হিসাবে সেলিম জাহাঙ্গীরের নাম চুড়ান্ত হয়। এর আগে জেলা মনোনয়ন বোর্ড বর্তমান মেয়র কে প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করে কেন্দ্র বরাবর তালিকা পাঠায়। 

বুধবার সকালে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র পাওয়ার পর সর্ব প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় তিনি দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধান মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র আমার জন্য বড় পাওয়া।

প্রধান মন্ত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের এ সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাকর্মী ও পৌর বাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি পূণরায় নির্বাচিত হয়ে প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিজেকে সামিল করে 'খ' শ্রেণীর পৌরসভাকে 'ক' শ্রেণীতে উন্নতি করণ সহ মডেল পৌরসভা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি প্রধান মন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধান মন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মশিউর রহমান স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুন-অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী সহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও পৌর বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগনেতা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি এসএম রেজাউল হক, শেখ আব্দুস সাত্তার, যুবলীগনেতা শেখ সেলিম উল্লাহ, শেখ মাসুদুর রহমান, গৌরাঙ্গ মন্ডল, পবিত্র মন্ডল, দেবব্রত কুমার, বাবুল আখতার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ বয়াতী, নজরুল গোলদার ও শেখ রাজু আহম্মেদ।

Tuesday, September 15, 2015

মায়ের কাছে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করলো পাইকগাছার কলেজ ছাত্রী উর্মি

পাইকগাছায় সহপাঠীদের মিথ্যা অপবাদ সহ্য করতে না পেরে মায়ের কাছে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছে উর্মি নামের এক কলেজ ছাত্রী। সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলতো উর্মি। মিশতো সবার সাথে। ক্লাসে সবাইকে সে সহপাঠী হিসেবেই ভাবতো। লেখাপড়ার প্রতি তার ছিলো প্রবল আগ্রহ। ইচ্ছে ছিলো লেখাপড়া শিখে মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে উর্মি। 

কিন্তু সহপাঠীদের অপবাদে সে স্বপ্ন পূরণ করা হলো না তার। মিথ্যা কলঙ্ক সহ্য করতে না পেরে উর্মি আত্মহত্যা করেছে। উর্মি খাতুন পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের লক্ষীখোলা কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

উর্মির বাবা রেজাউল করিম তার মেয়ের চিড়কুটে লেখা আত্মহত্যার কারণ সূত্র ধরে বলেন, কলেজে বিভিন্ন সময় লাকী খাতুন, হেনা খাতুন, রনি, সামছুন্নাহার, রাব্বি, হোসেনসহ তার সহপাঠীরা উর্মিকে নিয়ে আজে-বাজে মন্তব্য ও প্রকাশ্যে তার মেয়েকে বারবার অপমান করত। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে উর্মি। মৃত্যুর আগে মায়ের কাছে লেখা তিন পৃষ্টার চিরকুটে পাওয়া যায় তার আত্মহত্যার কাহিনী। তাতে লেখা আছে উর্মির আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কারণ।

উর্মির মায়ের কাছে লেখা চিরকুটের কিছু অংশ তুলে ধরা হল, “আম্মু তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। আম্মু তুমি ভাবতে পার যে আমি মনে হয় কোনো ছেলের জন্য মরে যাচ্ছি। কিন্তু না আমি কোনো ছেলের জন্য এটা করছি না। আম্মু আমি সত্যিই মরতে চাইনি। কিন্তু কি করবো বলো। কেউ কি তার চরিত্র সম্পর্কে বাজে কথা শুনতে চাই। আম্মু তুমি জাননা সে দিন কলেজে সবার সামনে লাকি, হেনা, রনি, শামছুরনাহার এরা সবাই আমাকে কলেজে সবার সমানে আমাকে বলেছে যে আমি নাকি চরিত্রহীন। আমার নাকি একটা ছেলেতে হয় না। দুই তিনটা ছেলে লাগে। তার পর রনিকে লাকি বলেছে যে রনি উর্মির তিন চারটা তে হচ্ছে না। রনি তুই ও ওর সাথে যা। আবার তার কদিন আগে রাব্বি ও আমাকে কলেজে সবার সামনে অনেক বাজে কথা বলেছে। আর সবাই তাই জানে যে আমি অনেক খারাপ হয়ে গেছি……..আমি নাকি পাইকগাছাই ছেলেদের সাথে বাজে কাজ করে টাকা উপার্জন করছি। আরো কত কি আম্মু। আর লাকি, হেনা, রাব্বী এদের জন্য আম্মু আমাকে সবাই খারাপ বলে। আমার সাথে কেউ কথা বলতে চাই না। আম্মু তুমি আমাকে মাপ করে দিও। আমি ও কোনো দিন ভাবিনি যে আমাকে এভাবে মরতে হবে। ভালো থেকো আম্মু…। আম্মু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কতটা আশা নিয়ে পাইকগাছায় পড়তে এসেছিলাম। কিন্তু সে আশা আর পূরণ হলো না। আমি তোমার আশা পূরণ করতে পারলাম না। আম্মু তুমি ভালো থাকো। আর আমার জন্য বেশি ভেবোনা। আমার কপালে যেটা লেখা ছিল সেটা হচ্ছে।

--উর্মি


উর্মির বাবা রেজাউল করিম বলেন, চিড়কুটটি পাইকগাছা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক স্বপন বাবু বলেন, পাইকগাছা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। চিড়কুটটি তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার হাতে পেয়েছেন। চিড়কুটের লেখা যাচাই করা হচ্ছে। চিড়কুটের সত্যতা পেলে কেউ উর্মিকে যৌন হয়রানি করে থাকার প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসী জানায়, উর্মি তার মা-বাবার বড় সন্তান। লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী। একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা আপন চাচাতো বোন লাকী খাতুন, হারুনের কন্যা হেনা খাতুন, শিক্ষক খলিলের পুত্র রাব্বি হোসেন, রফিকের পুত্র রনি, গণির কন্যা সামছুন্নাহারসহ অনেকে কলেজের ভিতর প্রায় সময় উর্মি দেহ ব্যবসা করে মর্মে অপবাদ দিত।

উর্মি লজ্জায় কোনো প্রতিবাদ না করায় উল্লেখিত বান্ধবী ও বন্ধুরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ্যে অপমান করে। লাকী খাতুন প্রকাশ্যে রনিকে লেলিয়ে দেয় উর্মির সাথে খারাপ কাজ করার জন্য। এভাবে উর্মিকে মিথ্যা অপবাধ নীরবে সহ্য করতে হয়। এতে করে এক পর্যায়ে উর্মি সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার।

তারই ধারাবাহিকতায় ৯ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে গোপনে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। একই দিন উর্মির মামা শেখ দিদারুল হক উর্মির ডাইরির ভিতর থেকে তিন পৃষ্টার একটি চিড়কুট উদ্ধার করেন। চিড়কুটটি ছিল উর্মির মায়ের উদ্দেশ্যে লেখা।

সরেজমিনে যেয়ে উল্লেখিত ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে খুজে পাওয়া যায়নি। ১০ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে উর্মির মরদেহ বাড়িতে আনলে শোকের ছায়া নেমে আসে। বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন উর্মির মা। ছোট দু’ভাইবোন পাগলের মত মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা যায়। পুরো পরিবারটি শোকাহত।

এই ব্যাপারে লক্ষীখোলা কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাকে ছাত্র ছাত্রীরা খারাপ আচারণ করত আমার জানা ছিল না। তবে চিঠি পাওয়া গেছে শুনেছি।

Saturday, September 5, 2015

আজ শুভ জন্মাষ্টমী

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র পক্ষ থেকে সবাইকে শুভ জন্মাষ্টমী'র শুভেচ্ছা ! 


আজ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী। হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করবেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন।


জন্মাষ্টমী‬ বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী‬ একটি হিন্দু উৎসব। এটি বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্টার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।

Wednesday, September 2, 2015

এমপি নুরুল হক’সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক’সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নূরুল হক এমপি কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি।

১লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কলেজ পরিচালনা পর্যদের সভাপতি, কলেজ উপাধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাযার্চকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ‬ দর্শানোর‬ ‪‎নির্দেশ‬ দিয়েছেন। অন্যথায় নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেন।

কুমিরা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল গফুর মোড়ল বাদী হয়ে পাইকগাছার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-১৯৭/১৫)।

মামলার বাদী প্রভাষক আব্দুল গফুর মোড়ল অভিযোগ করেন, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বাদী ওই পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন। ৭ আগস্ট তিনি খুলনার সরকারী বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায়ও হাজির হন। 

কিন্তু কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি শেখ মোঃ নূরুল হক সে সময় হরিঢালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই বিএল কলেজের শিক্ষক হারুন সরদারের মাধ্যমে তার কাছে টাকা দাবি করেন। এ কারণে তিনি পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে যান। পরবর্তীতে বিবাদীরা পরস্পরের যোগসাজশে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ কারণেই তিনি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অপর বিবাদীরা হচ্ছেন, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব সারোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বাহার হাবিব, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য কালিদাস চন্দ্র চন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস বিভাগের পরিচালক ড. মো. শহীদুল্লাহ, বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গুলশান আরা বেগম ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

Sunday, August 30, 2015

‎অবশেষে‬ পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজহার আলী বরখাস্ত

৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার আলোচিত দূর্নীতি পরায়ণ অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শনিবার পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

উল্লেখ্য, পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসার আলোচিত অধ্যক্ষ আজহার আলী ইতোপূর্বে ‪‎চেক‬ জালিয়াতির‬ মামলায় জেল‬ ‪‎খাটেন‬ এবং সাময়িক বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি আবারো যোগদানের পর ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। 

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের সুষ্ঠু নিরীক্ষার জন্য উপজেলা সমবায় অফিসার এফএম সেলিম আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠণ করেন।

কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ২৫ মে চূড়ান্ত অডিট প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মাদ্রাসার অধিনস্থ খাল ইজারার অর্থ, বিদ্যুৎ বিল ও টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে অডিটে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে খাল ইজারা বাদ ৯৩ হাজার, ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাংক ড্রাফট বাবদ ১১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সব নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষ আজহার আলীকে শোকজ করা হয়।

সর্বশেষ শনিবার পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অধ্যক্ষ আজহার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রভাষক নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স ম বাবর আলী জানান।

Saturday, August 29, 2015

পাইকগাছায় স্কুলছাত্রীর মুখমণ্ডল ঝলসে দিয়েছে ‪ভণ্ড‬ ‪কবিরাজ‬

পাইকগাছায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর ঘাড় থেকে ভূত নামানোর নামে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল ঝলসানোর পাশাপাশি তার বাম চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে জখম করেছে পাইকগাছার গদাইপুরের ভণ্ড কবিরাজ মুফতি মাওলানা বুরহানউদ্দীন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে। 

পাইকগাছার চেঁচুয়া গ্রামের সাহেব আলী সরদারের কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আম্বিয়া খাতুন হঠাৎ কয়েকদিন ধরে বেহুশ হয়ে পড়ছে। মাঝে মধ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছে। 

এর একপর্যায়ে মঙ্গলবার চরমলই গ্রামে মাওলানা বুরহানউদ্দীন আম্বিয়াকে তার নতুনবাজার গাজী মর্ডান হেলথ সেন্টারে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে মাটির পাত্রে আগুন দিয়ে তার মুখে চেপে ধরে। সে ছটফট করতে থাকলে আরও লোকজন নিয়ে তাকে ঝাপটে ধরে। যাতে তার মুখের চারপাশ পুড়ে ঝলছে যায়।

Thursday, August 27, 2015

জাতীয় কবির ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে’ 


আজ ১২ই ভাদ্র (২৭ আগস্ট)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিনে (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবির ইচ্ছানুযায়ী কবিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

যে দিনটিতে কবি চলে গিয়েছিলেন সেদিন খ্রিস্ট্রীয় ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ২৯ আগস্ট। কিন্তু বাংলাদেশে বাংলা পঞ্জিকার তারিখগুলো স্থির হয়ে যাওয়ার পর থেকে ২৭ আগস্টকেই তার প্রয়াণ দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে আসছে। 

পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে মরণফাঁদ

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে বেশ কিছু ‘মরণফাঁদ’ তৈরী হয়ে আছে। যা দেখে যে কারোরই মনে হতে পারে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলাবার জন্যই হয়তো এধরনের ফাঁদ তৈরী করে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এসব মৃত্যুকূপগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথাব্যথা নেই।

এমনই এক ফাঁদে পড়ে দু’মহিলার পা ভেঙ্গে যাওয়া এবং অনেকের আহত হওয়ায় এ সংক্রান্ত সংবাদ গত এপ্রিলে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় প্রকাশিত হলে পৌর বাজার অভ্যন্তরের খেয়াঘাট রোড এলাকায় নির্মিত ড্রেনে স্লাব ও বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সরল কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মন্দিরের পশ্চিম পাশের রাস্তা সংলগ্ন সীমানা পাঁচিলটি মেরামত করা হয়েছে। যদিও শহর অভ্যন্তরে এখনও অনেকগুলো এ ধরনের ‘মরণফাঁদ’ রয়েছে। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা কলেজের দক্ষিণ পার্শে (বাজার-বাসষ্ট্যান্ড) ব্যস্ততম বাইপাস সড়কের উপর পানির লাইনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে গেটবাল্বের হাউজ। দীর্ঘ এক বছরের আগে হাউজটি নির্মাণ করা হলেও অদ্যবধি স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। উক্ত হাউজ সংলগ্ন পাঁচিলের সাথে লাগানো রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার। 

স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ জাহাঙ্গীর পথিক ক্ষোভের সাথে বলেন, পানির হাউজে স্লাব না থাকায় এবং বিদ্যুতের মিটারটি শিশুদের নাগালের মধ্যে হওয়ায় যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ ও পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও সমাধানের ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

এদিকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী গ্রামের (সরকারি গোরস্থানের পূর্ব পার্শে) চৌরাস্তা মোড়ে রাস্তার উপর টেলিফোনের খুঁটিতে একটি স্পাতের এ্যাঙ্গেল লাগোনো রয়েছে মানুষের মাথা বরাবর। সেখানকার বাসিন্দা সুভাষ সানা মহিম বলেন, কেউ একটু বেখেয়ালীভাবে হাটলেই ওই এ্যাঙ্গেলে মাথা বা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

ওদিকে প্রধান সড়ক সংলগ্ন (উর্ম্মীলা কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে) ত্রিমোহিনী মোড়ে ঠিক রাস্তার উপরেই নির্মিত পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজে স্লাব বা ঢাকনা দেয়া হয়নি। শহরের একাধিক স্থানে রাস্তার পাশে পানির লাইনের গেটবাল্বের হাউজ বা ড্রেন রয়েছে। যার বেশিরভাগই এখনও ঢাকনা দেয়া হয়নি। 

ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিষয়গুলি সমাধানের ব্যাপারে কারো কোন মাথাব্যাথা আছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়না। ‘গ’ থেকে ‘খ’ শ্রেণীতে উন্নীত হলেও খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা পাইকগাছায় নাগরিক সেবার মানের তেমন উন্নয়ন হয়নি। বরং নানা অব্যবস্থাপনার কারনে নাগরিক দুর্ভোগ যেন দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

Tuesday, August 25, 2015

পাইকগাছায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

ইচ্ছেমত দাম হাঁকান দোকানীরা; নেই কোন প্রকার কৈফিয়ৎ’এর বালাই !


কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় পৌর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত হাঁকছেন স্থানীয় দোকানীরা। একই দোকানী জিনিষপত্রের দাম একেক ক্রেতার কাছ থেকে একেক রকম দাম আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে দোকানীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্রেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ বহু আগে থেকেই। এমনও অভিযোগ রয়েছে, বোতল বা প্যাকেটজাত দ্রব্যের গায়ে মূল্য লেখা থাকা সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। কোম্পানীর দোহায় দিয়ে দোকানীরা এর কারণ হিসেবে বলেন, কোম্পানী দাম লেখা ছাড়া বেশি নিয়েছে তাই আমরাও (দোকনী) দাম বেশি রাখতে বাধ্য হচ্ছি।

পৌরবাসীর অভিযোগ, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা বরাবরই অন্যান্য জায়গার তুলনায় জিনিষপত্রের দাম বেশি নিয়ে থাকে। আশপাশের যেকোন বাজারের তুলনায় পৌর বাজারে প্রতিটি জিনিষের দাম বেশি রাখা হয়। কোন প্রকার কৈফিয়ৎ না থাকায় দোকানীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্য নিয়ে থাকে। 

জানা গেছে, পৌর বাজারে প্রতি কেজি শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা, বেগুন ১ কেজি ৫০ টাকা, ওল ১ কেজি ৫০ টাকা, কাচকলা ১ কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পটল ১ কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১ কেজি ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, খিরাই ১ কেজি ৪০ টাকা, বিচিকলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুষ্টিকুমড়া ১ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌর বাজারে ভালোমানের পাকাকলা পাওয়া খুবই মুশকিল। পাকা কলা যা আছে তা’ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে খুচরা মাছ বাজারেও বরাবরই ভালো মানের কোন মাছ পাওয়া যায়না। যা অল্পকিছু পাওয়া যায়, তার মধ্যে মরা-পচা কিছু তেলাপিয়া, চিংড়ি, পারশে ও পাঙ্গাশ মাছই উল্লেখযোগ্য। তাও আবার চড়ামূল্য। ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট সাইজের টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৩০০টাকা, একটু বড় হলে ৪০০ টাকা কেজি। 

মোদ্দাকথা পৌরবাসী বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে। তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে জিনিষপত্রের দাম ইচ্ছেমত নিচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে সরকারিভাবে জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং না করার ফলে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অবৈধ সুযোগ নিয়ে থাকে।

Monday, August 24, 2015

পাইকগাছায় নারী পুলিশের সাথে অসাদাচারন; ব্যবসায়ীকে জেল জরিমানা

পাইকগাছায় দুই নারী পুলিশের সাথে অসাদাচারণ ও অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগে চিরঞ্জিত সাধু (২৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে এ সাজা ও জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পাইকগাছা থানার দুই নারী পুলিশ সদস্য বাজার করতে যাওয়ার সময় পৌর বাজারের সুতা পট্টি মার্কেটের ব্যবসায়ী মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের ভজহরি সাধুর ছেলে চিরঞ্জিত সাধু নারী পুলিশদের লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করে। 

ছবি :: প্রতীকী




এ ঘটনায় থানাপুলিশ চিরঞ্জিত‘কে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন দন্ডবিধি ৫০৯ ধারায় আটক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।

Friday, August 21, 2015

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তার উন্নয়ন কাজের অজুহাত

চার‬ ‪‎মাস‬ যাবৎ পাইকগাছায় প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকছে


পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের উন্নয়ন কাজের অজুহাতে পাইকগাছা উপজেলায় বিগত চার মাস যাবৎ প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে টানা বেলা ২/৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক। 

এদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হোক বা না হোক প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। শুধু তাই না বিদ্যুতের ব্যবহার কম হলেও প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যবহার কম হয়, অথচ প্রতি মাসে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাচ্ছে সেব্যাপারে কোন সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্ট কারো কাছে। অভিযোগ‬ রয়েছে‬, যাদের প্রতি মাসে মিটার রিডিং দেখে বিল প্রস্তুত করার কথা তারা নিয়মিত মিটার রিডিং না দেখে অনুমানের উপর বিল প্রস্তুত করছে।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা-কয়রাবাসির সাথে নেহায়েত খামখেয়ালী করছে। এমনিতেই প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণীকূল অতিষ্ঠ তার ওপর বিদ্যুতের খেয়ালীপনার শিকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। যখন খুশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে, আর যখন ইচ্ছা তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে এবং টানা ৮/১০ ঘন্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে বিদ্যুতের দেখা মিলছে। 

গত ১৭ মে থেকে জায়কা প্রকল্পের ‘সোর্স লাইনের’ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে আর আগামী কতদিন চলবে তা সঠিক করে বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের কেউই। 

এদিকে বিদ্যুতের অভাবে পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধস নেমেছে, তেমনি প্রচন্ড দাবদাহে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তো সিঁকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছেনা। বিশেষ করে ঘন ঘন ট্রিপের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসী। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনভর বিদ্যুত না থাকায় সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবকমহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে। 

সারা বছর প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে ‘মেইন লাইন” রক্ষণাবেক্ষণের অজুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়ো হাওয়া হলে তো কথাই নেই। দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়না।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

''‪‎সব‬ ‪নারী‬ ‪ভোটার‬ ‪হও‬'' প্রচার শুরু

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটারযোগ্য নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে নারী ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। ''সব নারী ভোটার হও'' শিরোনামের এ উদ্যোগ ভোটার তালিকায় যাতে বেশি সংখ্যক নারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে জন্য নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নয়টি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ( www.womencountbd.org ) উদ্বোধন ও প্রচারাভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য থেকে দেখা যায় মাত্র ৪৪ শতাংশ নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হচ্ছে নারী। তাই তালিকায় নারী ভোটারদের একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ ওই তালিকা থেকে বাদ পড়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় নারীদের সংখ্যা যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্বমূলক না হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম বলেন, সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে, এবার যাতে ভোটারযোগ্য নারীরা কোনো ভাবেই বাদ না পড়ে। প্রচারাভিযানের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী যেসব উপজেলায় নারী ও পুরুষ ভোটারের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে সেসব উপজেলায় জনগণকে তথ্য দিয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাইকিং করে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কবে বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ওই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মসজিদের ইমাম সাহেবরা বিভিন্ন তথ্য জানানোর কাজ করছেন। লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

তালিকায় নারী ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রচারাভিযান শুরু করা সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপ, ব্রতী, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, জাগো ফাউন্ডেশন, কাবিডাং এবং খাগরাপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি।

Monday, August 17, 2015

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সময় সূচি প্রকাশ

পরীক্ষা শুরু আগামী ১ নভেম্বর থেকে, শেষ হবে ১৮ নভেম্বর


অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর শেষ হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে। ২০১৫ সালের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন।

জেএসসির‬ সূচি :: 


১ নভেম্বর :: বাংলা প্রথমপত্র,
২ নভেম্বর :: বাংলা দ্বিতীয়পত্র,
৩ নভেম্বর :: ইংরেজি প্রথমপত্র,
৪ নভেম্বর :: ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র,
৫ নভেম্বর :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,
৮ নভেম্বর :: গণিত/সাধারণ গণিত,
৯ নভেম্বর :: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
১১ নভেম্বর :: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ১২ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞান, ১৬ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা
১৭ নভেম্বর :: কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ বিজ্ঞান, আরবি, সংষ্কৃত, পালি এবং ১৮ নভেম্বর হবে চারু ও কারুকলা
 

জেডিসির‬ সূচি :: 


১ নভেম্বর :: কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ,
২ নভেম্বর :: আকাইদ ও ফিকহ,
৩ নভেম্বর :: বাংলা প্রথমপত্র,
৪ নভেম্বর :: বাংলা দ্বিতীয়পত্র,
৫ নভেম্বর :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,
৮ নভেম্বর :: ইংরেজি প্রথমপত্র,
৯ নভেম্বর :: ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র,
১১ নভেম্বর :: আরবি প্রথমপত্র,
১২ নভেম্বর :: আরবি দ্বিতীয়পত্র,
১৪ নভেম্বর :: গণিত,
১৫ নভেম্বর :: কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য,
১৬ নভেম্বর :: সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়,
১৭ নভেম্বর :: সাধারণ বিজ্ঞান (শুধু অনিয়মিত), বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (শুধু অনিয়মিত)
১৮ নভেম্বর :: কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য অর্থনীতি (শুধু অনিয়মিত) এবং গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার রুটিনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস হলে আনা যাবে না। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও রুটিনে উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সোমবার চূড়ান্ত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।

Saturday, July 11, 2015

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস; পাইকগাছায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬৬%

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ


পাইকগাছায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। বর্তমানে উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার ৮০% এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬৬%। যা জাতীয় হারের চেয়েও অনেক কম। 

এদিকে আজ ১১ জুলাই, শনিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে বলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম, কবির হোসেন জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, উপজেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। যার মধ্যে সক্ষম দম্পতি ৫৬ হাজার ২৪৪ জন। মোট সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে জুলাই’১৪ হতে জুন’১৫ পর্যন্ত গত ১ বছরে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ৪৫ হাজার ৭৯৮ জন। একই সময়ে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ৭ হাজার ৯৪৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৪৪ এবং মহিলা ৬ হাজার ১০৩। খাবার বড়ি গ্রহণকারী ২৩ হাজার ৬৭৯ জন নারী। কনডম ব্যবহার করেছে ১ হাজার ৬৮৭ জন। আইইউডি ১ হাজার ১৭৮ জন। ইমপ্লান্ট ৩ হাজার ৯১ জন ও ইনজেকটেবল ৮ হাজার ২১৬ জন। 

সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, মাঠকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী। তিনি বলেন, বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জাতীয় হার যেখানে ১.০৩%, সেখানে পাইকগাছার হার ০.৬৬%। 

সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পাইকগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা দেশের রোল মডেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক।

Thursday, July 9, 2015

পাইকগাছায় অস্ত্রসহ বনদস্যু আটক

পাইকগাছায় অস্ত্রসহ এক বনদস্যুকে আটক করা হয়েছে। আটক বনদস্যু বাবলু (৩৬) পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের শান্তা গ্রামের মুজিবর সানার ছেলে।

বুধবার শেষ বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএডি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র‌্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পারবয়ারঝাপা ফকিরপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি দেশী পিস্তল’সহ বাবলুকে হাতে-নাতে আটক করে।


এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ জানান। যার নং- ৯, তারিখ- ৮/০৭/২০১৫। আটক বাবলু সুন্দরবনের অভ্যন্তরে দস্যুতার কাজে জড়িত থাকার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে বলে পাইকগাছা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান।

Wednesday, July 8, 2015

পাইকগাছায় আ’লীগের সাবেক চেয়ারম্যান কর্তৃক বর্তমান চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা

৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ; ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন


পাইকগাছায় আ’লীগের বর্তমান ও সাবেক দু’ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে জুতা পেটা, বাড়িতে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের কেউ অভিযোগ না করলেও থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পূর্ব ঘটনার জের ও দু’নেতার নেতৃত্ব কর্তৃত্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন বাজারস্থ আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব নিয়ে নব্য আ’লীগ নেতা গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীর মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩ জুন আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এর আগের দিন সন্ধ্যায় গদাইপুর ইউনিয়ন আ’লীগের এক প্রস্তুতি মূলক সভা আহবান করা হয়। সভায় কর্মসূচীতে কে কি পরিমাণ লোক সমাগম ঘটাতে পারবে এমন প্রশ্ন দু’নেতা একে অপরকে ছুড়ে দেয়। এমন প্রশ্ন একাধিকবার করার পর কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীকে জুতা মারতে উদ্যত হয়। 

এরই জের ধরে ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে ইফতারী শেষে উঠে আসার সময় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চুকে জুতা পেটা করে। এর কিছুক্ষণ পর মলঙ্গী বাড়ী চলে গেলে বাচ্চুর দুই পুত্র ও সমর্থকরা মলঙ্গীর বাড়ীর সামনে গিয়ে জড়ো হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে মলঙ্গী ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। 

ঘটনার পর উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ঐ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় ঐ রাতেই থানায় জিডি হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ওসি আশরাফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় দু’পক্ষের কেউ এখনও পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। তবে এ ঘটনায় আর কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে এ জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। 

বিষয়টি এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পাইকগাছা-কয়রায় বিদ্যুৎ যায় না, মাঝেমধ্যে আসে

হেথায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ


পাইকগাছায় বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে ! এমনই এক অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্থ পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন (পাইকগাছা-কয়রা) প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা-কয়রাবাসীর সাথে তামাশা শুরু করেছে। এমনিতেই প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণীকূল অতিষ্ঠ তার ওপর বিদ্যুতের খেয়ালীপনার শিকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। যখন খুশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে আর যখন ইচ্ছা তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে এবং টানা ৬/৭ ঘন্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। দুপুরের পর বিদ্যুতের দেখা মিলছে।

গত ১৭ মে থেকে জায়কা প্রকল্পের ‘সোর্স লাইনের’ উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে আর আগামী কতদিন চলবে তা পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম বদরুল আনাম নিজেও সঠিক করে বলতে পারছেন না।

এদিকে বিদ্যুতের অভাবে পাইকগাছার ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন ধ্বস নেমেছে, তেমনি প্রচন্ড দাবদাহে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তো সিঁকেই উঠেছে। দিনের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও অন্য সময় যেমন বিকেল, সন্ধ্যা বা রাতেও লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ঘন ঘন ট্রিপের কারণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, বরাবরই বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার পাইকগাছা-কয়রাবাসি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় সরাসরি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল এমন ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে লোডশেডিংয়ের কারণে। ফলে অভিভাবকমহল দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে।

সারা বছর প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে ‘মেইন লাইন” রক্ষণাবেক্ষণের অযুহাতে দিনভর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তার পরও আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই পাইকগাছায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আর সামান্য ঝড়ো হাওয়া হলে তো কথাই নেই। দু’এক দিনের মধ্যে আর বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না।

#প্রশ্ন হলো, সামান্য ঝড়ে যদি বিদ্যুতের খুটি বা তার ছিড়ে যাবে, তাহলে বিদ্যুতের সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অযুহাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার মানে কি? এ প্রশ্নের হিসাব মিলছে না কারোরই। সবমিলিয়ে পাইকগাছা-কয়রায় পল্লী বিদ্যুৎ আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

Tuesday, July 7, 2015

একান্ত সাক্ষাৎকারে ইউনেস্কো প্রতিনিধি উয়েনডি জেকবস্

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সিজনাল মাইগ্রেশন করছে


আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা :: জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষেরা সিজনাল মাইগ্রেশন (স্বল্প মেয়াদি স্থানান্তর) করছে বলে উল্লেখ করেছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধি উয়েনডি জেকবস্। যে সকল পরিবারের লোক মাইগ্রেশন করছে সে সকল পরিবারে পারিবারি সম্প্রীতির উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান এক গবেষনায় এ ধরণের তথ্য উপাত্ত উঠেছে এসেছে বলে ইউনেস্কো এ প্রতিনিধি জানান।

উয়েনডি জেকবস্ মূলত আয়ারল্যান্ডের নাগরিক ও নেদারল্যান্ড আমর্সটার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস শিক্ষার্থী। ইউনেস্কো (আই.এইস.ই) ও বাংলাদেশের ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বাংলাদেশের সিজনাল মাইগ্রেশন (স্বল্প মেয়াদি স্থানান্তর) পরিবারগুলোর উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলেছে এ সংক্রান্ত এক গবেষণার কাজে উয়েনডি জেকবস্ বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ২ মাস গবেষণার কাজ পরিচালিত করবেন যার মধ্যে ১ মাস উপকূলীয় এলাকা এবং আরেক মাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এ কাজে বর্তমানে তিনি গত কয়েকদিন ধরে উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় অবস্থান করছেন।
 
সংবাদকর্মী হিসেবে গতকাল সকালে কথা হয় মিস জেকবস্ এর সাথে। একান্ত সাক্ষাতকারে ইউনেস্কোর এ প্রতিনিধি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বর্তমান বিশ্বে আলোচিত একটি বিষয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ ও রাসায়নিক তেজষক্রিয়তা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী হলেও ভৌগলিক কারণে এর ক্ষতির শিকার বাংলাদেশ ও এদের মানুষ।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বেশি প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে উয়েনডি জেকবস্ বলেন, উৎপাদন কম ও আয়ের উৎস্য না থাকায় কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ উপকূলীয় এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষেরা দেশের বিভিন্ন স্থানেসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সিজনাল মাইগ্রেশন করছে। পরিবারের একমাত্র অভিভাবক পুরুষ চলে যাওয়ায় এ সময় অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে ঐ পরিবার। এ সময় পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে না পারায় পারিবারিক সম্প্রীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনকি সময়মত উপার্জিত অর্থ পাঠাতে না পারায় পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না বাড়ীতে রেখে যাওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। অভিভাবক শূন্যতায় মারাত্মক ব্যাহত হয় এ সকল পরিবারের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া। 

উপকূলীয় এলাকার মাইগ্রেশনকৃত পরিবারগুলোর উপর পরিচালিত চলমান গবেষণায় এ ধরণের তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ইউনেস্কোর এ প্রতিনিধি। এ ব্যাপারে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন উয়েনডি জেকবস্।