Saturday, March 22, 2014

অবশেষে বাংলাদেশ দলে জিয়া !

ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ হয়েও দলের স্কোয়াডে ঠাঁই মেলেনি জিয়াউর রহমানের। নিশ্চয় খারাপ লাগছিল তাঁর, সেটাই স্বাভাবিক। তবে জিয়ার চেয়েও বোধ হয় বেশি খারাপ লেগেছিল দেশের দর্শক-সমর্থকদের! জিয়াকে স্কোয়াডে না নেওয়ায় নির্বাচকদের দিকে ধেয়ে আসছিল একটার পর একটা সমালোচনার তির। আশার কথা হচ্ছে, সেই জিয়া অবশেষে দলে যোগ দিচ্ছেন।

এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। স্কোয়াডে কোনো খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হলে আইসিসির কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। তবে সেটি শুধু আনুষ্ঠানিকতাই মাত্র। জিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে যোগ দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, এরই মধ্যে জিয়াকে অনুশীলনে যোগ দিতে বলেছেন নির্বাচকেরাও।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর পর বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে এত শোরগোল হলো। সেবার অনেকটা জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন নান্নু। জিয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি তেমনটা না হলেও, মিল তো থাকছেই। সব ঠিক থাকলে আগামীকালই দলের সঙ্গে অনুশীলনে জিয়া যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে বলেই হয়তো জিয়া নিজেও এখনো দলে সুযোগ পেয়েছেন বলতে রাজি নন। তবে তিনি যে প্রস্তুত আছেন, সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দেবেন, তা জানাতে তো আর বাধা নেই। অবশ্য যেভাবে দলে সুযোগ হতে যাচ্ছে, তেমনটি চাননি খোদ জিয়াও। দলে তাঁর সুযোগ হতে যাচ্ছে মূলত পেসার রুবেল হোসেনের চোটের কারণেই। সতীর্থের দুঃখজনক বিদায়টাই বেশি করে পোড়াচ্ছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে হাতে আঘাত পান রুবেল।

শুরুতে অবশ্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ না খেলতে পেরে খারাপই লেগেছিল জিয়ার। তবে একে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ রেজাকে নিয়ে তাঁকে কেন বাদ দেওয়া হলো, এমন সমালোচনা-বিতর্ক বেশ কদিন ধরেই ভাসছিল বাতাসে। জিয়া অবশ্য নিজেই বলছেন, এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, ‘স্কোয়াড যখন ঘোষণা করা হয়, তখন ভালো পারফর্ম করতে পারিনি বলেই দলে সুযোগ পাইনি। ওই সময়টায় ফরহাদ রেজা ভালো করেছিল বলেই সুযোগ পেয়েছে। সে দলে খেলার যোগ্যতা রাখে। এ ব্যাপারে আমার ভেতর তেমন কোনো হতাশা কাজ করেনি। যে ভালো খেলবে, সে-ই দলে থাকবে। দুজনে ভালো করলে দুজনই থাকব। এটিই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রত্যাশা করি, যেই খেলি না কেন, দেশের হয়ে ভালো খেলব।’

নিজেকে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে মানতেও নারাজ জিয়া, ‘সবকিছুর মূলে পারফরম্যান্স, সেটি যে সংস্করণেই হোক না কেন। হয়তো স্ট্রোক খেলি বলেই মানুষ ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’’ বলে। ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে নির্দিষ্ট একটি সংস্করণের বিশেষজ্ঞ মনে করি না। তবে দলে সুযোগ পেলে ভালো খেলতে চাই—এটাই একমাত্র লক্ষ্য।’

Voice of Paikgacha makes you nostalgic !


পাইকগাছায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত; ৩ ছিনতাইকারীকে গনধোলাই

পাইকগাছায় এক খাদ্যসামগ্রী বিক্রেতাকে (বেকারী সেলসম্যান) ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত ব্যবসায়ীকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালী সড়কে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন উপজেলার মামুদকাটী গ্রামের নারান চন্দ্রের দুই পুত্র কৃষ্ণপদ দাশ ও সুদেব কুমার দাশ, আমাদি ও বড়দল এলাকা থেকে খাদ্যসামগ্রি বিক্রয়শেষে নছিমনযোগে ফিরে আসার সময় চাঁদখালী ইউনিয়নের শিববাটী ও কাটাখালী সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে পৌছানোর পর পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৬ ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

পরে স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ দাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল অকেজো হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধরে ফেলে এবং গনধোলাই দেয়।

পরে খবর পেয়ে থানার এসআই সিরাজুল ও এসআই জালাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শ্যামনগর গ্রামের মৃত আনছার গাজীর পুত্র বদরুল, মামুদকাটি গ্রামের হযরত গাজীর পুত্র নসিমন চালক রাসেল গাজী ও গদাইপুর গ্রামের ইনতাজ গাজীর পুত্র মনি গাজীসহ ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে।

এ সময় তাদের ব্যবহৃত টিভিএস ১০০ সিসি মোটরসাইকেল এবং ছিনতাই হওয়া ৫ হাজার ৩১৬ টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সুদেব কুমার দাশ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে থানায় মামলা করেছেন বলে এসআই আব্দুল খালেক জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান অব্যহত ছিল।

কপিলমুনিতে যাত্রাপালায় উলঙ্গ নৃত্য !

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলায় আদি রং মহল অপেরায় যাত্রার নামে সারা রাতব্যাপী প্রদর্শিত হচ্ছে অর্ধনগ্ন নর্তকীদের উলঙ্গ নৃত্য। গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু ২০ দিন ব্যাপী এ মেলা চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। 

মেলার অন্যতম আকর্ষণ যাত্রাপালায় প্রচারে প্রতিদিন যাত্রাপালার নাম প্রচার করলেও সারা রাতে মাত্র আধা ঘন্টাও যাত্রাভিনয় হচ্ছে না। বাকী প্রায় পুরোটা সময় চলছে ঐ অশ্লীল নৃত্য। আর এতে করে স্থানীয়সহ প্রত্যন্ত এলাকার উঠতি বয়সী যুব সম্প্রদায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ঐ প্যান্ডেলে।

সরেজমিনে গিয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার পর থেকে শুরু যাত্রা প্যান্ডেলে প্রথম থেকেই শুরু হয় অর্ধনগ্ন নর্তকীদের প্রায় সম্পূর্ণ উলঙ্গ নৃত্য। সাউন্ডবক্স ও মাইকে কুরুচিপূর্ণ আওয়াজ ও বিভিন্ন ফোক গানের তালে তালে স্টেজের নর্তকীরা একে একে শরীরের সমুদয় কাপড় খুলে প্রায় পুরোটা সময় প্যান্ডেলের দর্শকদের মাতিয়ে রাখছেন।

এতে করে আসন্ন এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে এক অজানা আশংকায় রয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এদিকে থানা ও স্থানীয় পুলিশের সামনে এমন অশ্লীল প্রদর্শনী ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহলকে।

পাইকগাছায় প্রবেশ করছে না ঢাকাগামী পরিবহন; যাত্রীদের দুর্ভোগ

রাস্তা ভাঙার অযুহাতে ঢাকা-পাইকগাছা চলাচলরত পরিবহনগুলো ফের সরাসরি পাইকগাছায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে। গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে পরিবহনগুলো তালা থেকে ঢাকা চলাচল করার ফলে আবারো সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন পাইকগাছা-কয়রার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরিবহন কর্তৃপক্ষের নিকট ঢাকাগামী যাত্রীরা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

ফাইল ফটো
জানা গেছে, ঢাকা থেকে এসে তালায় নেমে পাইকগাছা আসতে বা পাইকগাছা থেকে তালায় গিয়ে ঢাকার গাড়িতে উঠতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে পাইকগাছা থেকে তালা ২২ কিলোমিটার পথ কম আসা-যাওয়া করলেও ভাড়ার টাকা কম নেয়া হচ্ছে না। বরং অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

তাছাড়া তালা পর্যন্ত যাত্রীরা কিভাবে আসা-যাওয়া করবে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা যাত্রীদের কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টা রূঢ় আচরণ করে থাকে। তাদের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অনুপায় হয়েই পাইকগাছা-কয়রার হাজারো যাত্রী সাধারণ ঢাকা যাতায়াত করছে্ন।

অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা-পাইকগাছায় কোন ভাল মানের গাড়ি (পরিবহন) এ লাইনে চলাচল করে না। যে ১০/১২টি পরিবহন রয়েছে তার সবগুলোই লক্কর-ঝক্কর মার্কা গাড়ি। পরিবহন যাত্রীরা বলেন, খুলনা-পাইকগাছা সড়কের যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ সব ধরনের যানবাহন অত্র সড়কে চলাচল করলেও ঢাকাগামী পরিবহনগুলো স্রেফ খামখেয়ালীভাবে তালা থেকে চলাচল করছে।

পাইকগাছা-কয়রাবাসী জরুরী ভিত্তিতে পরিবহনগুলো সরাসরি পাইকগাছা-ঢাকা চলাচলের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাত্রীদের তালা-পাইকগাছা আসা যাওয়ার বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা হোক অথবা ভাড়ার টাকা কম নেয়া হোক, আর তাও না হলে পরিবহনের টিকিট কাউন্টারগুলো পাইকগাছা থেকে সরিয়ে তালায় পাঠাবার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বিষয়টি নিয়ে এতদিন কেউ জোরালোভাবে মুখ না খুললেও যাত্রীসাধারণের এই দুর্ভোগের কথা একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে
Voice of Paikgacha‘য়।

পাইকগাছায় আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যালয়ে সুন্দরবন ভিত্তিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন বনবিবি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি সংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, রাড়ুলী সেন্টাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি পঞ্চনন সানা, সাংবাদিক কাজী নজরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শিমুল আহমেদ, কবির হোসেন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বন ছাড়া জীববৈচিত্র্য বাঁচতে পারে না। তাই আমাদের প্রয়োজনে বন সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।