Wednesday, July 23, 2014

পাইকগাছায় ঈদের বাজার জমজমাট; খুশি ব্যবসায়ীরা

আর কয়েকদিন পরে ঈদ। পাইকগাছার মার্কেট গুলিতে ঈদের কেনাকাটায় উপছে পড়া ভীড় চলছে। সকাল থেকে বিকাল ও সন্ধ্যায় ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে মার্কেট গুলি। বর্ষা ঋতুতে ঈদ হওয়ায় সব ধরনের পোষাক প্রাধন্য পেয়েছে। তবে উজ্জ্বল রঙই বেশী পছন্দ করছে মেয়েরা। জুতা ও কসমেটিকের দোকানে লেগেছে ভীড়। সব মিলে পাইকগাছায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে।

পাইকগাছার বিপনী বিতানগুলিতে মহিলা ও শিশুদের উপছে পড়া ভীড় লেগে আছে। পছন্দের পোশাকটি কিনতে ভিন্নতে দোকান ঘুরে দেখছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মোম্বাই ফিল্ম ও ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী ও চরিত্রের নামে বাহারী পোশাকের নাম করণ করা হয়েছে।

তরুণী ও গৃহবধুদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাখি থ্রি-পিচ। তাছাড়া আনার কলি ডিঙ্গাচিকা, মাসাককলির, কানামাছি, বৌমনি, পানসি, লুঙ্গীড্যান্স, আয়ুস এমন বিভিন্ন বাহারী পোশাক শোভা পাচ্ছে পাইকগাছা বিপনী বিতানগুলিতে। দেশী পোশাকের থেকে ভারতীয় বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা বেশি। তাছাড়া জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানগুলিতে ভীড় শুরু হয়েছে।

পাইকগাছা জাহান ক্লথ স্টোর, ফ্যাশন হাউস ও গার্মেন্টস, দীপ্তি ক্লথ, বিশ্বাস ক্লোথ এন্ড ওড়না হাউসের মালিকরা জানান, এবার ঈদে বেচাকেনা প্রচুর হচ্ছে। তবে মেয়েদের পছন্দ পাখি ড্রেস শীর্ষে রয়েছে।

ক্রেতা মরিয়ম, নাছিমা জানান, ভারতীয় বিভিন্ন থ্রী-পিচের মূল্য গত বছরের থেকে অনেক বেশি। দামে তারা মোটেও সন্তুষ্ট নয়। এবার পাইকগাছার মার্কেটগুলিতে রুচিসম্মত পোশাকের কালেকশন রয়েছে প্রতিটি দোকানে। সব বয়সী মানুষ পছন্দের কাপড়টি সাধ্যের মধ্যে ক্রয় করছে।

পাইকগাছায় পৌর বাজারের বিভিন্ন বিতানী বিপনী বিতানগুলি ঈদের আগ পর্যন্ত বেচাকেনা ও জমজমাট থাকবে বলে দোকান মালিকরা আশা ব্যক্ত করেছেন।

কয়রায় ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা; একজন গ্রেপ্তার

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ’সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে৷ গতকাল শুক্রবার কয়রা থানায় স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন৷ পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে৷

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ উপজেলার মদিনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন৷ গত বুধবার সন্ধ্যায় মাসুম ও তাঁর সহযোগী মুকুল গাজী, সালাউদ্দীন, বাবু সরদার, লুৎফর গাজী চাঁদার টাকা আনতে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান৷ সেখানে শহিদুলকে না পেয়ে তাঁরা তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে চলে আসেন৷

শহিদুলের বড় ছেলে মো. আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ও তাঁর সহযোগীরা চাঁদার টাকার জন্য তাঁদের বাড়িতে হামলা করেন৷ তাঁরা তাঁকে ও তাঁর ছোট ভাইকে মারধর করে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আসেন৷ এর আগে গত ৩১ মে রাতে মাসুম ও তাঁর লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালান৷ ওই ঘটনায় তাঁরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়রা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাসুমের নামে চাঁদাবাজি, সাংবাদিক মারধর, মাদক ব্যবসাসহ ১০টি মামলা রয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারে না৷ তাঁর কার্যকলাপে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ৷

চাঁদা চাওয়ার ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে৷

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি জানি না৷ ঘটনা সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত বলেন, গতকাল মামলার পর বাবু সরদার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে৷

বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা

পাইকগাছায় বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী পিসি রায়ের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে তার নিজ দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. স.ম বাবর আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষি অফিসার বিভাষ চন্দ্র সাহা, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা এএফএম সেলিম আকতার, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরকার, অবঃ অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, শংকর দেবনাথ।

কয়রায় বাঘের আক্রমণে নিহত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ

কয়রায় লিডার্সের উদ্যোগে জার্মান দূতাবাসের সহযোগিতায় কয়রা সদর ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৪০ জন বাঘের আক্রমণে সৃষ্ট বিধবা নারীদের মাঝে ২ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ চেক গ্রহণ করেন সূর্যমুখী নারী উন্নয়ন স্বনির্ভর দলনেত্রী আমেনা বেগম ও গোলাপী নারী উন্নয়ন স্বনির্ভর দলনেত্রী আছিয়া খাতুন।

চেক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন লির্ডাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অসিত মন্ডল, প্রকল্প কর্মকর্তা নিলউৎপল মন্ডল’সহ সাংবাদিকবৃন্দ।

পাইকগাছায় মিতালী বহুমুখী সমিতির ঈদ সামগ্রী বিতরণ

পাইকগাছায় মিতালী বহুমুখী সমবায় সমিতির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরস্কার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সমিতির সদস্যদের মাঝে বিশেষ পুরস্কার ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
 
মঙ্গলবার সকালে সরল বাজারস্থ সমিতি ভবনে সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুল গফফার মোড়লের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, হাফেজ মো. ওলিউল্লাহ, মিসেস ফাতেমা বেগম ও হৈমন্তি মণ্ডল।

পাইকগাছায় উত্তরণ ফুড ব্যাংক প্রকল্পের ধান বিতরণ

পাইকগাছায় আপদকালীন সংকট নিরসনে খাদ্য সহায়তা হিসাবে সুফলভোগীদের মাঝে ধান বিতরণ করা হয়েছে। উত্তরণ ফুড ব্যাংক প্রকল্পের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে অজিফা খাতুন কিন্ডার গার্টেন স্কুল চত্ত্বরে কমরেড শেখ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও উত্তরনের সেন্টার ইনচার্জ মোঃ সাহাবুদ্দিন মোড়লের পরিচালনায় বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এফএমএ সেলিম আকতার।
 


বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভূমি কমিটির নারী ও শিশু সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি অর্গানাইজার রিয়াজ উদ্দিন, জোৎস্না খাতুন ও সুপারভাইজার রিজিয়া বেগম। অনুষ্ঠানে খাদ্য সহায়তা হিসাবে ৩৩৩ সদস্যকে ১৪০ কেজি করে ধান প্রদান করা হয়।

পাইকগাছায় আর্থিক শ্রেনীবিন্যাস প্রনয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় আর্থিক শ্রেনীবিন্যাস প্রনয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাইকগাছা পৌরসভা ও নবলোক পরিষদের টেকসই পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্পের উদ্যোগে ও ওয়াটার এইডের সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে লোনাপানি কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ওয়াটার এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ কলিম উল্যাহ কলি, নবলোকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান সেতু, প্রোগ্রাম এন্ড প্লানিং কো-অর্ডিনেটর নূর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, আব্দুল লতিফ সরদার। 


আরও বক্তব্য রাখেন শেখ মাহাবুবুর রহমান রনজু, ইদ্রিস আলী গাজী, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, এসএম ইমদাদুল হক, এসএম তৈয়েবুর রহমান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মন্টু, কবিতা রাণী দাশ, জাহানারা খাতুন, পৌর সচিব তুষার কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আকতার, উদয় শংকর রায়, নবলোকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মঈন উদ্দিন শেখ, প্রকল্প সুপারভাইজার সুমন হাসান খান, এজাজুর রহমান, সৈয়দ আল মামুদ, নুপুর আকতার, নীলিমা নাসরিন ও লাবনী বাড়ৈ।

Tuesday, July 22, 2014

পাইকগাছায় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ

পাইকগাছায় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কাজী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ এনে শত শত এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় এমপি’সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।


প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কাজী আসাদুজ্জামান নিজ ও তার জারীকারক মনজুর আহম্মেদ’সহ এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় স্বত্বদখলবিহীন লোকজনের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহন করে একজনের জমি অন্য জনের নামে রেকর্ড করেছেন। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন।

গত বছরের ২৪ অক্টোবর উপজেলার লস্কর গ্রামের মৃত জহির উদ্দীন সরদারের পুত্র এরফান চৌকিদারের পৈত্রিক দখলীয় জমি রেকর্ড করে দেয়ার নাম করে তার বাড়িতে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিলেও মোটা অংকের ঘুষ পেয়ে স্বত্বদখলবিহীন ব্যক্তির নামে রেকর্ড করার পায়তারা করছেন।

এ ঘটনায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে সিআর-৩২৭/১৪ নং মামলা করেন ভূক্তভোগী এরফান চৌকিদার।

অবশেষে দুর্নীতিবাজ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে শত শত এলাকাবাসী মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।

চিরচেনা দুঃখ পাইকগাছা-আঠারোমাইল সড়কে

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে যোগাযোগ মন্ত্রী রাস্তা সংস্কারে বেশ আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। সে মাফিক কোথাও কোথাও দৃশ্যমান কিছু কাজও হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত আইলা দুর্গত খুলনার পাইকগাছা-আঠারোমাইল সড়কের বেহাল দশা কাটেনি। খোদ যোগাযোগমন্ত্রী সরেজমিন পরিদর্শনের পর বছর গড়িয়ে গেলেও সংস্কার কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন।


স্থানীয়রা জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চারটি, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১১টি ও কয়রা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম আঠারো মাইল-পাইকগাছা সড়ক। আষাঢ় মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ছয় মাস এই রাস্তা কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বাকি ছয় মাস ভাঙাচোরা গর্তে ভরা বিধ্বস্ত রাস্তায় যানবাহন চলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আঠারো মাইল-পাইকগাছা সড়ক পুরোটাই গর্তে ভরা। কোথাও ভালো নেই। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে দক্ষিণ জনপদের তিনটি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের ১৫ লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো দুর্দশাগ্রস্ত এ রাস্তাটি। এলাকার সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের এক কথা, সড়কের ও দুরাবস্থার কারণে উপকূলীয় এলাকাটি বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে।

৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির কপিলমুনি থেকে আঠারো মাইল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার চলাচলের একবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তালা উপজেলা সদর থেকে পাইকগাছার গোলাবাটি এবং তালার গোনালী-খৈতলা এলাকার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চলার সময় বারে বারে গর্তে পড়ে উল্টে পড়ছে। মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা গর্তগুলোতে পানি জমে ডোবার পরিণত হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটির এ সমস্যা নতুন বা দু’এক বছরের না। সড়ক উন্নয়নের নামে মাঝে মধ্যে কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু তা এতোই জোড়াতালি দেয়া যে অল্প সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। গত বছর কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ষা মৌসুমে কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষা যেতে না যেতেই সে কাজের চিহ্ন আর চোখে পড়ছে না।

খুলনা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ আলী জানান, সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। তবে এ প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বিস্তারিত জানতে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাইকগাছা পৌরসভায় যানজট মারাত্মক রূপ নিয়েছে

পাইকগাছা পৌর শহরে যানজট এখন প্রধানতম সমস্যায় রূপ নিয়েছে। যানজটের কারনে বাজার এলাকায় প্রবেশ করাই দায় হয়ে পড়েছে। শুধু বাজার এলাকা নয় পৌর বাসষ্ট্যান্ড (জিরোপয়েন্ট) থেকে পৌর বাজার পর্যন্ত প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে সারাক্ষণ যানজট লেগেই রয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বা ঘোষণা উপেক্ষা করে পৌর বাজার এলাকায় (ডাকবাংলো-বটতলা) প্রধান সড়ক সংলগ্ন দোকানীরা রাস্তার উপরে ট্রাক, পিকআপ ও ঠেলাগাড়ী রেখে (রড-সিমেন্ট) মালামাল লোড-আনলোড করছেন। ফলে যানজটের পাশাপাশি জনসাধারনের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দায়দায়িত্ব শুধু ঘোষণা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতাল ক্রস রোড (প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উত্তর পাশে) এলাকায় ওয়ার্কশপ দোকানীরা রাস্তার পাশেই ফুটপাত দখল করে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছে এবং লোহার পাত দিয়ে নির্মিত বিভিন্ন সামগ্রী রাস্তা জুড়েই রাখা হয়েছে। একই মার্কেটের অন্যান্য দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে ভ্যান-বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল মোরামতের কাজ করছে মিস্ত্রীরা।

শুধু তাই’না প্রধান সড়কের পাশেই রাস্তা জুড়ে বিভিন্ন স’মিল ও ফার্নিচারের দোকানীরা বড় বড় গাছ ফেলে রেখেছে, এমনকি বিক্রির জন্য ইট-বালিও সাজিয়েও রাখা হয়েছে রাস্তার উপর।

কোর্টরাস্তা ত্রিমোহিনী মোড়ে সারাক্ষণ যানজট লেগেই রয়েছে। যাত্রীবাহী নসিমন ও ভ্যান যত্রতত্র পার্কিং করে রাখা হয় এখানে। ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে শিশু বিদ্যালয়, গার্লস স্কুল, পাইকগাছা সিনিয়র মাদ্রাসা, পাবলিক লাইব্রেরী, পৃথক তিনটি আদালত ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত করতে হয়।

অত্র মোড়েই রয়েছে বাতিখালী সার্বজনীন পূজা মন্দির। সর্বপরী কোর্ট রাস্তা মোড় সংলগ্ন ঢাকাগামী পরিবহন কাউন্টারগুলো স্থাপিত হওয়ায় বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে জনসমাগম ঘটে মাত্রাতিরিক্তভাবে।

পৌরবাসীর অভিমত, বিষয়টি যাদের দেখার কথা তারা কেউ দেখছেন না, অথবা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন, বিধায় জনদুর্ভোগ লোপ নয় দিন দিন শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

কপিলমুনি দীপশিখা বহুমুখী সমবায় সমিতির গ্রাহক হয়রানি চরমে

কপিলমুনি দীপশিখা বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সঞ্চয়কৃত টাকা না পেয়ে অবশেষে ভূক্তভোগী সমিতির গ্রাহক কপিলমুনির তাপস সাধুর স্ত্রী সুনিতা সাধু (৩৮) সভাপতি কমল মজুমদার ও সম্পাদক মেঘনাথ বিশ্বাসের নামে পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিসট্রেট এর আদালতে মামলা করেছেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পাইকগাছা সমবায় কর্মকর্তার নিকট তদন্ত দিয়েছেন। এদিকে এতসব অপকর্ম করেও সভাপতি সম্পাদক রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

মামলা সূত্রে প্রকাশ, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারে দীপশিখা বহুমুখি সমবায় সমিতি নামে তথা কথিত সমিতি খুলে অসহায় গরীবের রক্ত চুষে আসছেন কর্মকর্তাদ্বয়। সমিতির সভাপতি সম্পাদকের নিকট মামলার বাদী সুনিতা সঞ্চয় খোলেন। ওই সঞ্চয় পত্রে তার জমা হয় লভ্যাংশ’সহ ৪৫০০ টাকা।

মামলার স্বাক্ষী তাপস সাধুর ছেলে সুমন সাধুর লভ্যাংশসহ ২৯০০ টাকা, তপন সাধুর ছেলে অমিত সাধুর লভ্যাংশ সহ ১১,১৬০ টাকা, তপন সাধুর স্ত্রী মিরা সাধুর ১০,২০০ টাকা পাওনা হয়। কিন্তু কর্র্তৃপক্ষ (সভাপতি/ সম্পাদক) গ্রাহকদের ওয়াদা অনুযায়ী টাকা দেন নি। শুধু তাই নয়, টাকা দিতে অস্বীকার করে অশালীন ভাষায় গালী দেওয়াসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শণ করেন।

আলোচিত কপিলমুনি দীপশিখা বহুমুখী সমবায় সমিতির গ্রাহক হয়রানির ইতিহাস এখানেই শেষ নয়, সভাপতি কোমল মজুমদার ও সম্পাদক মেঘনাথ বিশ্বাস শত শত গ্রাহকের সাথে এভাবে প্রতারণা করে চলেছেন। ‘আর্থিক নিরাপত্তাই আমাদের অঙ্গিকার’ এ শ্লোগান নিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও তাদের কর্মকান্ড যেন উল্টোটা।

এলাকার নিম্ন শ্রেণীর মানুষ থেকে শুরু করে বাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ী এ সমিতিতে আর্থিক লেনদেন শুরু করেন। তিল তিল করে জমানো টাকা তারা সঞ্চয় করতে থাকেন সমিতিতে। বর্তমানে গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা নিয়ম-অনুযায়ী যথা সময়ে লভ্যাংশসহ ফেরৎ দিচ্ছেন না তারা। বিভিন্ন তাল বাহানা করে চলেছে সমিতি কর্তৃপক্ষ।

কয়রায় হোগলার খাল জলমহলটি অবমুক্ত করার দাবি

কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা মৌজার অধীন হোগলার খাল জলমহলটি খাস কালেকশনের কবল থেকে অবমুক্ত করে সেটি উম্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০ একরের বেশী আয়তনের হোগলার খাল হতে পানি নিয়ে এলাকার সর্ব সাধারণ প্রায় ৫ হাজার একর জমিতে ঘের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতে লোকজন আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে পেতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি গৌতম কুমার সরদার দিং এর নিকট জলমহলটি খাস কালেকশনে দেয়ায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ জন্য সর্বসাধারণের আশা আকাংখার প্রতি খেয়াল রেখে হোগলার খাল জলমহল হতে খাস আদায়ের আদেশ বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মহেশ্বরীপুর এলাকার ভূক্তভোগী লোকজন।

কপিলমুনিতে গাঁজা বিক্রেতা শ্রীঘরে

কপিলমুনিতে কসমেটিকস্ ব্যবসার আড়ালে গাজার ব্যবসা চালাতে গিয়ে গাজা সম্রাট অমর সাধু অটকের পর এবার লন্ড্রি ব্যাবসা আড়ালে করা আরেক গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটক করে শ্রীঘরে দিয়েছে ফাড়ি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামাল দীর্ঘদিন ধরে লন্ড্রি ব্যবসা আড়ালে গাঁজার ব্যবসা করে আসছে। ইতোপূর্বে সে গাজাসহ পুলিশের কাছে বেশ কয়েক বার ধরা পড়ে জেল খাটে। কিছু দিন আগে সে জেল থেকে বাড়ী এসে আবারো পূর্বের ব্যবসায় ফিরে যায়।

লন্ড্রি ব্যবসার আড়ালে গাঁজা সহ মাদকের ব্যাবসা অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ব্যাবসার প্রসার বৃদ্ধির জন্য সে সিংহ বাড়ির পার্শ্বে রেজাকপুরের মধ্যে একটি গোপন জায়গায় আরো একটি শাখা খুলে বসে। লন্ড্রি ব্যাবসা কমিয়ে জোরে সোরে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিলের ব্যাবসা শুরু করে।

এদিকে এ সংবাদ কপিলমুনি ফাড়ি পুলিশ জানতে পেরে গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় এস.আই হাসমত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রেজাকপুরে তার গোপন আস্থানায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামাল পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ঝাপটে ধরে তার দেহ তল্লাশি করে ২৪ পুরিয়া গাঁজা’সহ আটক করে।

Monday, July 21, 2014

'জরুরী' শব্দটির অর্থই বোঝেন না জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা !

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের জন্য নির্ধারিত মোবাইল ফোনটি সারাক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে মোবাইলের মাধ্যমে কাঙ্খিত যে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার কথা মূলতঃ এলাকাবাসী তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

দিনরাত ২৪ ঘন্টার যেকোন সময় স্বাস্থ্যসেবা-চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানার জন্য সরকারিভাবে নির্দিষ্ট একটি মোবাইল ফোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকলেও হাসপাতালের ওই (০১৭৩০-৩২৪৫৯৯) মোবাইল ফোনটি সারাক্ষণ বন্ধ পাওয়া যায়।

কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানি ও নদী ভাঙনে পানিতে ভাসছে রাড়ুলী

গত অমাবশ্যায় রাড়ুলী মালো পাড়া, দাশ পাড়া, বারুই পাড়ায় কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানি ও নদী ভাঙনে প্রায় ২ হাজার মানুষ পানিতে ভাসছে। মালো পাড়ার বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে মৌসুমী আমনের শত শত বিঘা জমির বীজতলা। ক্ষতি হয়েছে ৩০/৪০টি পানের বরজ, যার মূল্য ১০ লক্ষাধিক। 

গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী মরেছে অগনিত। লোনা পানিতে ফসলের ক্ষতিসহ বাগান বাড়ী হুমকির মুখে। প্রতি বছর এই একই সময়ে একই স্থান থেকে নদী ভাঙনে ক্ষতি সাধন হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষ নাম মাত্র সংস্কার করে। বর্তমান ওই তিন এলাকার মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

মালো পাড়ার অচিন্ত বিশ্বাস, সুশান্ত বিশ্বাস এর পাঁকা ঘর দেওয়াল ফেটে নদী গর্ভে গেলেও যাওয়ার জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাচা করে ঐ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট জলবদ্ধতায় এক বিভিষিকাময় পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এলাকার পানি বন্ধি মানুষ সরকার ও সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
 
এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে জানান, এই মুহুর্তে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে আগামী পূর্ণিমার গোনে ঐ ভাঙন দিয়ে লোনা পানি ঢুকে গোটা রাড়ুলী ইউনিয়ন তলিয়ে যাবে। আবারো তাদের ঘরবাড়ী ছেড়ে উঁচু রাস্তার উপর অথবা অন্য কোথাও।

হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল জোয়ারের লোনা পানি জলবদ্ধতায় গ্রাস করবে। শত শত শিক্ষার্থীর লেখাপড়া থমকে যাবে। লন্ডভন্ড হয়ে ধংসস্তুপে পরিনত হবে গোটা রাড়ুলী ইউনিয়ন।

কাটিপাড়া বাজারে মোবাইল চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তি আটক

গতকাল রাড়ুলীর কাটিপাড়া বাজারে শ্রীমন্তকাটির নওয়াব আলীর ছেলে আবদার মোবাইল চুরির অভিযোগে জনতার হাতে আটক হয়েছে।

অভিযোগ, কাটিপাড়ার মোড়ল বাড়ির সাহাবুদ্দিন ও ভুট্টর বাড়ি হতে মোবাইল চুরি করে শালিকা গুচ্ছগ্রামে বিক্রয়কালে জনতার হাতে আটক হয় আবদার। পরে তাকে কাটিপাড়া বাজারে এনে গণধোলাইয়ের পর রাড়ুলী পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাইকগাছায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ইফতার মাহফিল

পাইকগাছায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকালে উপজেলা শিক্ষা অফিস ভবনে আয়োজক কমিটির আহবায়ক শেখ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার খান মোহাম্মদ আলমগীর, ফারুক হোসেন, মিজানুর রহমান, সাইদুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ সরকার, বিএম আক্তার হোসেন, তাফরোজা নূর চিশতী, জিএম মিজানুর রহমান, আব্দুল লতিফ, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম ও ফাতেমা খাতুন।

Sunday, July 20, 2014

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল ২০১৪ ও আলোচনা সভা প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার বিকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএ গফুরের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, ডাঃ আব্দুল মজিদ।

বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, জিএ রশিদ, সাংবাদিক গাজী সালাম, প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু, ব্যবসায়ী দাউদ শরীফ। উপস্থিত ছিলেন জগদীশ চন্দ্র রায়, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম’সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী’সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?

কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো, শেখ ফজলল করিম দাদুর জামানায় কি পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক নির্মান হয়েছিল? তবে তিনি না বলে গেলেও বর্তমান জামানার আজরাইলদের (যমদূত) কিন্তু পাইকগাছাবাসী ঠিকই চেনে ! কি আপনি চিনেন না? 


বি.দ্র. :: শেখ ফজলল করিম (১৮৮২ বাংলা ৩০শে চৈত্র ১২৮৯ - সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯৩৬) একজন স্বনামধন্য বাঙালি সাহিত্যিক। তার লেখা কবিতার লাইন, "কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক মানুষেতে সুরাসুর।"

তদন্তে প্রতিবারই অনিয়মের প্রমাণ পেলেও শাস্তি হয়না অধ্যক্ষের

পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ছয়বার তদন্ত হয়েছে। প্রতিবারই তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি।

সর্বশেষ তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই কলেজের নির্যাতিত শিক্ষকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের এমপিওভুক্ত ৩৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৯ জন। অভিযোগপত্রে কলেজ অধ্যক্ষ শেখ মেজবাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অনিয়মের দীর্ঘ ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।

বারবার তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেন ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা খতিয়ে দেখার আবেদনও জানানো হয়েছে।

বিসিবি'র কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করলেন সাকিব

আবেদনে যা লিখেছেন সাকিব ::


আসসালামু আলাইকুম

আমার কোন আচরণে বোর্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বিব্রত হয়ে থাকলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে দর্শক ও সমর্থক যারা সবসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে আছেন তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।



আমি স্বীকার করছি যে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসাবে আমি অনেক সময় শৃঙ্খলা ও সংযত আচরণ প্রকাশ করতে পারি নাই। আমি ভবিষ্যতে আরও পরিণত আচরণ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আমার ব্যাপারে বোর্ডের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমি সম্মান করি। কিন্তু ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে থাকার চেয়ে কষ্টকর আমার কাছে কিছু হতে পারে না। ক্রিকেট আমার জীবন এবং অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে বাংলাদেশের রং ও বিসিবির লোগো পরে আসছি। এটা আমার জন্য সবচেয়ে গর্বের বিষয়।

বাংলাদেশ দল আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে। আমি জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে ও উজাড় করে খেলি। বাংলাদেশের জন্য আমার সবটুকু উজাড় করে দেব।

আমি বিসিবি ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বড় হয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমার কাছে অনেক বেশি আবেগের জায়গা। আমি সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশ বোর্ডের কাছে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি যেন খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হয়।

সবাইকে ধন্যবাদ।

পাইকগাছা পৌর বাজারের মাছের কাটা



হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত উপজেলা ও পৌর কমিটি নিয়ে বিতর্ক

পাইকগাছায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত; ৩ দিনের মধ্যে কমিটি ভাঙতে আল্টিমেটম

 

কমিটির ৫ নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা


বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দ গত শুক্রবার খুলনায় বসে বিতর্কিত পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করেছেন এমন অভিযোগে উপজেলার বিভিন্ন মন্দির কমিটি ও পৌরসভার ৫ মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক’সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির সরল কালিবাড়ীতে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র নাথ রায়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন এ্যাডঃ অজিত কুমার মন্ডল, সন্তোষ কুমার সরদার, প্রাণ কৃষ্ণ দাশ, নির্মল চন্দ্র অধিকারী, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, মনোহর চন্দ্র সানা, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, অনাথ বন্ধু সরদার, সুভাষ মন্ডল, অনুকূল ব্যানার্জী, সাংবাদিক প্রমথ সানা, সাংবাদিক আশিষ রায় চৌধুরী (মিন্টু), অখিল মন্ডল, পরেশ মন্ডল, গৌরাঙ্গ মন্ডল, অধিবাস সানা, রণজিত মন্ডল, তরুণ মন্ডল, বাবু রাম মন্ডল, সুভাষ বিশ্বাস, মৃনাল সানা, সুশিল সানা, পৌরসভাস্থ ৫ মন্দিরের সভাপতি/ সম্পাদক যাথাক্রমে, অমরেন্দ্র নাথ মন্ডল, সুজন সানা, অজিত কুমার মন্ডল, সুনিল মন্ডল, দেবব্রত রায় প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় গত ১৮ জুলাই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক খুলনায় বসে পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে এই বিতর্কিত কমিটি আগামী ২২ জুলাই এর মধ্যে বিলুপ্ত ঘোষনার জোর দাবি জানানো হয়েছে। উক্ত তারিখের মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত না করলে আগামী ২৫ জুলাই সরল কালি বাড়ীতে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বক্তারা।

তাছাড়া প্রতিবাদ সভা থেকে উপজেলা ও পৌরসভার পকেট কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ যথাক্রমে রতন ভদ্র, জগদীশ রায়, শিবু প্রসাদ সরকার, সুভাষ সানা (মহিম) ও দীলিপ সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।

যদি ঐ কমিটির কেউ স্বেছায় পদত্যাগ করে তাহলে তার বিষয় বিবেচনা করা হবে। উক্ত পকেট কমিটির নেতৃবৃন্দু পৌরসভাস্থ সকল মন্দিরে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থাকবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি রতন কুমার ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায় এবং পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ শিবু প্রসাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সানা (মহিম) সহ নবনির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েন বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার পাখি থ্রি-পিস চাই !

ঈদে পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেয়ায় স্বামীকে তালাক


পাইকগাছা গদাইপুর গ্রামের গৃহবধু শারমিন আক্তার ঈদে পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেওয়ায় তার স্বামী মো. সাইদুল ইসলামকে তালাক দিয়েছেন।


জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সাইদুলের পিতা তোকিম মিয়া তার দুই পুত্রবধুর জন্য ১৪০০ টাকা দিয়ে ২টি শাড়ী ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ছোট পুত্র সাইদুলের স্ত্রী শারমিনকে শাড়ী দেখতে বললে শাড়ী নিবে না বলে তার স্বামী সাইদুলকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দিতে বলে। সাইদুল তার স্ত্রী শারমিনকে বলে আব্বা শাড়ী নিয়ে আসছে তুমি এটা নাও পরে তোমাকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দেব। কিন্তু শারমিন ঈদে শাড়ী নিবে না তাকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দিতে হবে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। 

ঝগড়ার এক পর্যায়ে শারমিন তার পিতা ও ভাইকে ফোনে ডেকে নিয়ে আসে এবং শুক্রবার বিকালে শারমিন তার স্বামী সাইদুলকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ী চলে যায়। শারমিন তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বলে ঈদের আগেই বিয়ে করে নতুন স্বামীকে সঙ্গে করে পাখি থ্রি-পিস পরে তোর বাড়ীর এলাকা থেকে ঘুরে যাবো।

আরো জানা গেছে, সাইদুল তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের মির সহিদুল ইসলামের কন্যা শারমিন আক্তারকে দেড় বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সাইদুল মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে বলে প্রায় সে বাপের বাড়ী চলে যেত এবং শ্বশুর বাড়ী আসতে চাইতো না।

পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেওয়ায় স্বামীকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

পাইকগাছায় উদ্ধারকৃত দুটি তক্ষক সাপ বনবিভাগে হস্তান্তর

পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মোজাম খাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত তক্ষক সাপ দু’টি আদালত বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নলিয়ান ফরেষ্ট ষ্টেশনের বন প্রহরী চম্পক সাধু তক্ষক সাপ দু’টি গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রাড়ূলী ইউনিয়নের শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত গাজী খাঁর পুত্র মোজাম খাঁর বাড়ি থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ দু’টি তক্ষক সাপ উদ্ধার করে এবং মোজাম খাঁকে গ্রেফতার করে।

কয়রায় আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সড়ক সংস্কার কাজ

কয়রায় আইলা পুনর্বাসন প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজ আড়াই বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। উপজেলা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়ক, কয়রা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ নম্বর কয়রা বাজার সড়ক ও কয়রা ইউপি থেকে সুতিবাজার সড়কের ২৫ কিলোমিটার পুনর্বাসন কাজ আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে। 

এর মধ্যে মাত্র আধা কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সড়কে খোয়া বিছিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।


২০১২-১৩ অর্থবছরের শুরুতে এলজিইডির অর্থায়নে 'আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী ও মেসার্স শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স কাজটি পায়। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে দু'বার সময় বাড়িয়েও কাজ সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দেখা গেছে, সাতটি প্যাকেজের ২৫ কিলোমিটার কাজের মধ্যে কয়রা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়কের একটি প্যাকেজে মাত্র আধা কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা রাস্তায় এবড়ো-খেবড়োভাবে খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে।

উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম গাজী বলেন, উপজেলার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ব্যবসায়ীদের মালপত্র আনা-নেওয়া করা হয়। তাছাড়া গিলাবাড়ি বাজারে চিংড়ি মাছের একটি বড় মোকাম রয়েছে। বেহাল সড়কটির কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো মালপত্র পরিবহন করতে পারছেন না।

হায়াতখালী বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাওলা বকস বলেন, ঠিকাদার সড়কটিতে খোয়া-বালু ফেলে যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কাজ শেষ করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী বলেন, চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া এবং কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না । আবারও এ কাজের টেন্ডার হবে এবং কাজটি আমিই পাব।

কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কাজটি আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে। এ ছাড়া দরপত্র আহ্বানের সুপারিশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় জনভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ঠিকাদারকে জরিমানা করা হবে।

কয়রায় চিংড়িতে মড়ক ঘের মালিকরা সর্বশান্ত

উপকুলীয় জনপদ কয়রা উপজেলায় সম্প্রতি ঘেরের বাগদা চিংড়ি ব্যাপকহারে মরে যাওয়ায় সর্বশান্ত হতে বসেছেন এ অঞ্চলের কয়েক হাজার চিংড়ি চাষী। এর প্রতিষেধক অথবা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে না পাওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছেন এসব চিংড়ি চাষীরা।

কয়রা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন হোসেন এটাকে চিংড়ির পরিবেশের ওপর হঠাৎ পরিবর্তনের কুফল হিসাবে সনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, চিংড়ি সাধারনত যে তাপমাত্রা ও লবনাক্ততা সহনশীল হঠাৎ তার পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে অধিক বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন জনিত কারনে ঘেরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাগদা চিংড়ি মারা যাচ্ছে। তবে চিংড়ি চাষীরা এটাকে ভাইরাসজনিত কারন হিসাবে মনে করছেন।

কয়রা উপজেলার আটরা গ্রামের চিংড়ি ঘেরের মালিক আসাদুল ইসলাম মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়িদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাদন ও নিজের তিন লাখ মোট ৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ৩৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছিলেন। আশা ছিল জুলাই মাসের মধ্যে তার সমস্ত বিনিয়োগ উঠে লাভের মুখ দেখবেন তিনি। কিন্তু বর্ষার শুরুতেই ঘেরের দু’একটি চিংড়ি মরতে শুরু করে বর্তমানে একেবারেই সব চিংড়ি মরে সারা হয়েছে। যে কারনে ঘেরের আসল টাকা ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

হোগলা মৌজার ঘের মালিক মতিয়ার রহমান বলেন, ১০০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে এ মৌসুমে চিংড়ি চাষ শুরু করেছিলাম। সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু যে মুহুর্তে বেশি চিংড়ি উঠে আসবে ঠিক সে মুহুর্তে মড়কে সব চিংড়ি মরে সাবাড় হয়ে গেছে। এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, কয়রা উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১০ হাজারের মত চিংড়ি ঘের আছে। এর মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে দুই হাজার বাকি সব অপরিকল্পিত চাষাবাদ হয়। গত মৌসুমে এসব চিংড়ি খামার গুলোতে ভাইরাসের আক্রমন কম ছিল। এ বছরের শুরুতে দু’একটি ঘেরে মাছ মারা যাওয়ার খবর ছিল। বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে ১শ’ কোটি টাকার মত ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে বলে জানা যায়। যা এলাকার সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের বেহাল দশা

সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) কয়রা-বেতগ্রাম সড়কটির বেহাল দশায় এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটির ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারই এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ঘন্টার এ যাত্রা পথে ৭-৮ ঘন্টা সময় ব্যয় করে পন্যবাহী ও যাত্রীবাহী কিছু যানবাহন চলাচল করছে সড়কটিতে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।


সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, খুলনা-সাতক্ষিরা মহাসড়কের বেতগ্রাম নামক স্থান থেকে তালা ও পাইকগাছা উপজেলা হয়ে কয়রা উপজেলা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তালা থেকে মাহমুদকাটি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক। বর্ষার সময় সড়কের পাশে কপোতাক্ষ নদীর পানি উপচে জনচলাচল ব্যহত হয়। এ জন্য সড়কের এসব স্থান উচু করনের কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কটির কয়রা সদর থেকে চাঁদআলী সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বড় বড় খানাখন্দে ভরা। চাঁদআলী সেতু থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা কোন রকম চলাচল করা গেলেও পাইকগাছা থেকে তালা উপজেলা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের ভগ্ন দশায় প্রতিনিয়তই মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। স্থানীয় জনসাধারন অভিযোগ করেন, প্রতি বছর সড়কটি উন্নয়নের নামে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতিই শোনা যায়। উন্নয়ন কাজ হয় না।

খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পাইকগাছা লাইন সেক্রেটারি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির উন্নয়ন কাজ ঝুলে থাকায় চরম ভোগান্তি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্ষা শুরু হলে বেশ কিছু দিন সড়কে সকল প্রকার যান বাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদের কারনে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ কিছু স্থানে খোয়া বালি ফেলে সংস্কার করায় গাড়ি চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে দু’তিন গুন সময় ব্যয় করতে হচ্ছে এবং যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েই চালকরা গাড়ী চালাচ্ছেন।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ‘ডিপার্টমেন্টালি’ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে বেতগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে তালা পর্যন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই কয়রা উপজেলা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারবো।

পাইকগাছার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি রতন কুমার ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায় এবং পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ শিবু প্রসাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সানা (মহিম) সহ নবনির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েন বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন, হরিঢালী ইউনিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি শীল, কপিলমুনির সভাপতি বিধান ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দে, লতার সভাপতি অরুন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক ভূধর চন্দ্র বিশ্বাস, দেলুটির সভাপতি পবিত্র কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র ঢালী, সোলাদানার সভাপতি অধীর কৃষ্ণ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক পরিমল কৃষ্ণ মন্ডল, লস্করের সভাপতি সুবোধ বাছাড়, সাধারণ সম্পাদক নিতাইপদ মিস্ত্রী, গদাইপুরের সভাপতি মিলন রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঘোষ, রাড়ুলীর সভাপতি রবীন কর্মকার, সম্পাদক শিবুপ্রসাদ সরকার, চাঁদখালীর সভাপতি শংকর ধর, সম্পাদক রনজিত সরকার, গড়ুইখালীর সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ রায়, সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ মন্ডল।

অনুরূপভাবে বিবৃতি দিয়েছেন,বর্তমান ক্ষমতাশিন দলের ছাত্র সংগঠনের পাইকগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক এস,এম, আমিনুর রহমান লিটু।

উল্লেক্য, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ পাইকগাছা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৪ খুলনার টুটপাড়া গাছতলা মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পাইকগাছা উপজেলা ঐক্য পরিষদ, পাইকগাছা পৌরসভা ঐক্য পরিষদ এবং পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৮ জুলাই শুক্রবার বিকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত। পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রতন কুমার ভদ্র‘এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বিজয় কুমার ঘোষ।

নবনির্বাচিত কমিটি ::

পাইকগাছা উপজালা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- রতন কুমার ভদ্র; সাধারণ সম্পাদক- জগদীশ রায়।

পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- শিবু প্রসাদ সরকার; সাধারণ সম্পাদক- সুভাষ সানা (মহীম)।

পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- পার্থ প্রতিম চত্রুবর্তী; সাধারণ সম্পাদক- নন্দ গোপাল সরকার।

এর আগে অঞ্জন কুমার মন্ডল’কে আহ্বায়ক ও মৃণাল কান্তি বাছাড়’কে সদস্য সচিব করে পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।

পাইকগাছায় মেধাবী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

পাইকগাছায় অস্বাভাবিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া অনুজ রায় নামে এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় শোকের মাতাম চলছে। অনুজের বাড়ি উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামে। তার পিতা শেখর রঞ্জন রায় একজন স্কুল শিক্ষক।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমিরপুর গ্রামের শেখর রায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে অনুজ রায় প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার সেরে মা-বাবার সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে অনুজের বুকে ও পেটে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তার পিতা একটি রেনিটিডিন ট্যাবলেট খাইয়ে দেন।

পরবর্তিতে তার ব্যাথা না কমে আরো বেড়ে যেতে থাকে এবং তার কথা বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে অনুজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এদিকে অনুজের মৃত্যুর খবর শুনে গতকাল শুক্রবার সকালে তার সহপাঠি, স্কুল শিক্ষক’সহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান মৃতের বাড়িতে ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, গড়ুইখালী ইউনিয়ন তপতোষ মন্ডল, প্রভাষক আব্দুল্লাহ হক বাবলু, অমরেন্দ্রনাথ, নিহার রঞ্জন সানা, বিজয় রায়, বিষ্ণু সরদার, রাজু আহমেদ’সহ অনেকে।

পাইকগাছায় ভেমরুলের কামড়ে ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু

পাইকগাছায় ভেমরুলের কামড়ে তুলনা বিশ্বাস নামে ৫ বছরের এক শিশু কণ্যার করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তুলনার বাড়ী উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটি গ্রামে। তার পিতার নাম প্রল্লাদ বিশ্বাস।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে তুলনা বাড়ীর পাশের বাগানে নারিকেল আনতে গেলে হঠাৎ একঝাক ভেমরুল তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে দেয় এবং সে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে বেলা ১টার দিকে তুলনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

Saturday, July 19, 2014

ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষন ::

অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আগামী ঈদ-উল-ফিতর’২০১৪’এর ৩য় দিন ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয়ের ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অংশগ্রহনের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের দিন একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।

পুরাতন স্মৃতিচারনসহ ব্যাচের ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এই অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি ও অংশগ্রহন একান্ত কাম্য।

নিবন্ধনে ফি :: ২০০ টাকা।

নিবন্ধনের সময় :: ২৫ জুলাই-২০১৪ থেকে প্রতিদিন,
(সকাল ১০.০০-দুপুর ১.০০) এবং (দুপুর ৩.০০-রাত ৮.০০)

নিবন্ধনের শেষ তারিখ :: ২৯ জুলাই-২০১৪

আয়োজক :: ২০০৭ ব্যাচ, ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য নাম নিবন্ধন করতে ও অনুষ্ঠান সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের বিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

যোগাযোগ:
০১৯১৫-৮৮৯৮৭৬ (পল্লব ঘোষ)
০১৬৮৭-৩৮৩৪৮৩ (পল্লব ঘোষ)
০১৯২২-৩০৪৯৪৮ (মনিরুজ্জামান মিন্টু)
০১৯১৭-৬৬৯৩০৪ (দেলোয়ার হোসাইন)
০১৭৪১-৭৪৮৪১০ (আরিফ হোসাইন)

একটি বিশেষ ঘোষণা ::

আজ় ১৯শে জুলাই (২০শে রমজান) শনিবার পাইকগাছার লস্কর পশ্চিমপাড়া অগ্রনী স্পোর্টিং ক্লাব এর যুব কমিটির উদ্যোগে লস্কর পশ্চিমপাড়া বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এক ইফতার মাহফিলের আয়জোন করা হয়েছে। আপনারা সবাই আমন্ত্রিত।

 ছবি :: ২০১৩ (ফাইল ফটো)

পাইকগাছা পৌরসভার টেকসই পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্প

সবার জন্য চাই 'নিরাপদ পানি'

 

সময়মত পানির বিল পরিশোধ করুন, পাইপ লাইনের পানি সরবরাহে সহায়তা করুন।


পৌরসভার পাইপ লাইনের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করুন :: পানি শাখা, পাইকগাছা পৌরসভা।

▣ হট লাইন :: ০১৯৬১-১১৬৬৮৮ ▣ হেল্প লাইন :: ০৪০২-৭৫৬২৮৭

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মরিলে কান্দিস না আমার দায়। রে যাদু ধন মরিলে কান্দিস না আমার দায়...


হুমায়ূন আহমেদ নেই দুই বছর হয়ে গেল। তার শোক আজো লালন করছে লক্ষ পাঠকের হূদয়। তার স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে বইমেলা, পাঠকনন্দিত চরিত্র অবলম্বনে আয়োজন করা হয়েছে 'হিমু মেলা'। নেই শুধু তিনি।

আজ বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। চিকিত্সার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। বাংলাদেশে নানা অনুষ্ঠানে তার ভক্ত-শুভার্থীরা কামনা করেছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন এই তেরোশ নদীর দেশে। কিন্তু মানুষের সেই প্রার্থনা পূরণ হয়নি। তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। সেই শোক আজো কাটেনি ভক্ত-পাঠকদের হূদয় থেকে। হুমায়ূন নেই তিনি বেঁচে আছেন লক্ষ পাঠকের হূদয়ে। তাকে নিয়ে বইমেলায় আসছে বই। পাঠক পরম মমতায় সংগ্রহ করছেন সেই সব বই।

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত লিখে যেতে চাই। লেখালেখিই আমার বিশ্রাম। লেখালেখি বন্ধ হলে আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন হয়ে পড়বে, আমি বাঁচতে পারবো না। পাঠকদের উদ্দেশে তার আবেদন 'দোয়া করবেন, আমি যেন আমৃত্যু লিখে যেতে পারি।'

তার সেই আশা পূরণ হয়েছিল। মৃতুর আগে পর্যন্ত লিখেছেন। নিউইয়র্কে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও তিনি 'দেয়াল' উপন্যাস লিখেছেন। যদিও শেষ করে যেতে পারেননি।

কপিলমুনির ঈদ বাজার ::

কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভীড়; জুয়েলারি দোকান ক্রেতা শুণ্য


কপিলমুনিতে ঈদ বাজার জমে উঠেছে। কাপড়ের দোকান’সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে উপছে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হলেও জুয়েলারি দোকান ক্রেতা শূণ্য। ঈদ মানে খুশি, আর সেই কাঙ্খিত খুশির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে। ঈদের সেই আনন্দের দিনটি যত ঘনিয়ে আসছে তত কপিলমুনির বাণিজ্য বিপনীগুলো ক্রেতা সাধারণের পদভারে মুখরিত হচ্ছে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, কপিলমুনির কাপড়পট্টিতে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনা-বেচা। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে উপভোগ করতে যেন পিছপা হচ্ছেন না। সকলেরই চাই ঈদে নতুন পোশাক, তাইতো সেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাপড়ের দোকানে এ ছুটে চলা।

কাপড়পট্টির গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল গফুর জানান, এ বছর মেয়েদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক পাখি-থ্রিপিচ। অন্য সকল পোশাকের তুলনায় অকেনগুন বেশি চাহিদা দেখা যাচ্ছে এটির। এছাড়া শাড়ি, শিশুদের শার্ট প্যান্ট, ফতুয়া বিদেশী জিন্স প্যান্টও চাহিদার তালিকায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মূল্যের পাখি থ্রি-পিচ গুলো দেশি ও ভারতের তৈরী দুরকমের বিক্রি করছি। এর মধ্যে ভারতীয় পিচ গুলো গুণগতমান ভাল হওয়ায় এর চাহিদা আবার বেশি।

এদিকে কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি কপিলমুনি বাজারের টেইলার্স, সু স্টোর, কসমেটিকস্ স্টোর গুলোতেও উপছে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়।

প্রায় সকল দোকানে ঈদের আমেজ পরিলক্ষিত হলেও যেন প্রান পায়নি জুয়েলার্স পট্টি। প্রতি বছর ব্যাপক সোনার গহনা বিক্রি হলেও অধিকাংশ দোকানে এবছর কেনা-বেচা প্রায় শুণ্যের কোঠায়। ফলে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা ঈদ মৌসুমে এক প্রকার আশাহত হয়েছেন।

কপিলমুনির জুয়েলার্স পট্টির গীতা জুয়েলার্স এর মালিক কেষ্টপদ দত্ত বলেন, এবারের ঈদে গহনার অর্ডার একেবারেই কম। ফলে ঈদ মৌসুমে আমাদের দোকানের কারিগররা বসে সময় কাটাচ্ছে।

পাইকগাছায় ঈদকে সামনে রেখে প্রতারকচক্র ও ছিনতাইকারীর আবির্ভাব

পাইকগাছাবাসী সাবধানে থাকুন ! ঈদকে সামনে রেখে এলাকায় এক শ্রেনীর প্রতারকচক্র-ছিনতাইকারীর আবির্ভাব ঘটেছে। তারা প্রকাশ্যেই টাকা কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অতিসম্প্রতি পৌর তথা উপজেলা সদরের একটি ব্যাংক অভ্যন্তর থেকে এক ব্যক্তির উত্তোলনকৃত কুড়ি হাজার টাকা অভিনব কায়দায় ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা চাউর হয়ে গেলে এলাকাবাসির মাঝে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের শাহাজান আলী নামের জনৈক ব্যক্তি সোঁনালী ব্যাংক, পাইকগাছা শাখা থেকে ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকের মধ্যেই ওঁৎ পেতে থাকা ৪/৫ জনের ছিনতাইকারীর দল শাহাজান আলীর উত্তোলনকৃত সমুদয় টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।

জানা যায়, ছিনতাইকারীরা কিছু টাকা ব্যাংকের ফ্লোরে ছুড়ে ফেললে ওই টাকা তুলতে যায় শাহাজান আলী। এ সুযোগে শাহাজান আলীর কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। তবে ব্যাংকের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। যা দেখে ছিনতাইকারীদের চিহিৃত করা সম্ভব হবে বলে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে ব্যাংক অভ্যন্তর থেকে টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলসহ এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে পকেটমার-ছিনতাইকারীরা যেমন বেপরোয়া হয়ে উঠবে তেমনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও তৎপর হওয়া জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এ প্রসঙ্গে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিকদার আককাস আলী সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকের ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশী টহল বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে সকলেই সতর্ক থাকা উচিৎ।

কয়রায় অক্সিজেন বিহীন এ্যাম্বুলেন্সে রোগীর করুণ মৃত্যু

কয়রায় লক্কর ঝক্কর গাড়ীতে এ্যাম্বুলেন্স নেমপ্লেট লাগিয়ে প্রতারণা করা অবস্থায় এক বৃদ্ধা রোগীর করুণ মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, উত্তর বেদকাশির মৃত মোহর আলী গাজীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৭৫) গত ১৮ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদি ইউনিয়নের এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের লক্কর ঝক্কর গাড়ীতে করে খুলনা নেয়ার পথে কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের সামনে অক্সিজেন বিহীন অবস্থায় মুমূর্ষু রোগী মরিয়ম খাতুনের করুন মৃত্যু ঘটে।

ওই সময় এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে পড়েছিল। ড্রাইভার চেষ্টা চালিয়ে গাড়িটি সচল করতে পারেনি। এ ঘটনায় কয়রা সদরে লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি ঘিরে ফেললে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন গাড়িটি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী রথিন্দ্রনাথ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে ফিটনেস বিহীন ও অক্সিজেন না থাকা এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীদের সেবার নামে প্রতারণা করে আসছে।

কপিলমুনিতে মুসুল্লীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফিলিস্থিনিদের উপর ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ওলামা পরিষদের আহবানে সারাদেশ ব্যাপী অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অংশ হিসেবে কপিলমুনিতে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কপিলমুনি এলাকার মুসুল্লীরা এক বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পোষ্ট অফিস মোড় সংলগ্ন চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মাও. আমিনুর রহমান সিরাজির উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ মাও. হাফেজ আব্দুস সাত্তার, মাও. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

Friday, July 18, 2014

ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় সংবাদ প্রকাশের পর....

পাইকগাছায় বঞ্চিত ৩০০ শ্রমিককে ২৭ লাখ টাকা প্রদান (ফলোআপ)


পাইকগাছায় কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কর্মরত ৩০০ শ্রমিককে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সংবাদ ভয়েস অফ পাইকগাছা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের এক মাস পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে প্রশিক্ষণ বাবদ প্রাপ্য ২৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এ অর্থ বিতরণ করে বাস্তবায়ন সংস্থা।

সূত্রমতে, বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ডব্লিউএফপি, ইউকেএআইডি ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইড এর সহায়তায় উপজেলার লতা ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে অর্থ কর্মসুচি প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন উন্নয়ন সংস্থা জেজেএস।

প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে ইউনিয়নের ৩০০ হতদরিদ্র নারী-পুরষকে প্রতিদিন ২০০ টাকা মুজুরী হারে ৪৫ কর্মদিবস এর জন্য নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে গত ৫-০৪-১৪ ইং তারিখ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার পর মাঝপথে জে.জে.এস কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্ধ কৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের প্রদান করবেন না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ কর্মরত শ্রমিকদের বঞ্চিত করে অপর দু’টি ইউ্নিয়নে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিলে এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 


বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন গত ১৩ জুন ভয়েস অফ পাইকগাছা'য় প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

অবশেষে খবর প্রকাশের একমাস পর ৪টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ বাবদ প্রত্যেক শ্রমিককে ৯ হাজার টাকা করে ২৭ লাখ টাকা ৩০০ শ্রমিকদের মধ্যে প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে বঞ্চিত শ্রমিকদের মাঝে এ অর্থ প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেজেএস এর নাজমুল হুদা ও কনসার্ন ওয়াল্ড ওয়াইডের সত্যরঞ্জন রায়’সহ বাস্তবায়ন সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রাপ্ত টাকা পাওয়ার পর বঞ্চিত শ্রমিকদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

লস্কর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিশেষ পুরস্কার লাভ

২০১৩-১৪ অর্থবছরে খুলনা জেলায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৭ জুলাই-২০১৪ খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাইকগাছার লস্কর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেগম লতিফা আক্তার’কে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

K.G.H.F. মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমী’র প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষন ::

অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আগামী ঈদ-উল-আযাহা-২০১৪’এর ৩য় দিন কে.জি.এইচ.এফ মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমী প্রাঙ্গনে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদেরকে অংশ গ্রহণের নিমিত্তে নাম নিবন্ধনের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

পুরাতন স্মৃতিচারনসহ সকল ব্যাচের ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এই অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি ও অংশগ্রহন একান্ত কাম্য।

নিবন্ধনের শেষ তারিখ :: ১৪ আগষ্ট ২০১৪ ইং।

নিবন্ধনের প্রক্রিয়া ::

• দুই কপি পাসফোট সাইজের ছবি’সহ নির্দিষ্ট ফরম পুরন করে নিবন্ধন ফি বাবদ ৫০০ (পাঁচশত) টাকা ১৪ই অগাস্ট ২০১৪ তারিখের মধ্যে উক্ত বিদ্যালয়ে অথবা, গ্রুপ প্রথিনিধিদের কাছে জমা দিতে পারবেন।

• নিবন্ধন ফরম উক্ত বিদ্যালয় থেকে অথবা গ্রুপ প্রথিনিধিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

• অন্যান্য নিয়মাবলী নিবন্ধন ফরম এ উল্লেখ থাকবে।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য নাম নিবন্ধন করতে ও অনুষ্ঠান সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ::

প্রধান শিক্ষক, কে.জি.এইচ.এফ মৌখালী ইউনাইটেড একাডেমী
মোবাইল :: ০১৭২০-৩১১৭৫১

অথবা, মারুফ বিল্লাহ (এস.এস.সি ব্যাচ-২০০৪)
মোবাইল :: ০১৯৭০-৩৩৩৩২৩

পাইকগাছার একটি নয়নাভিরাম প্রোজেক্ট সাইট

হোয়াইট টাইগার লিমিটেড, ফিস প্রোজেক্ট-৩, রোবারডাঙ্গা, শিববাটী, পাইকগাছা।

পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ পাইকগাছা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৪ খুলনার টুটপাড়া গাছতলা মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পাইকগাছা উপজেলা ঐক্য পরিষদ, পাইকগাছা পৌরসভা ঐক্য পরিষদ এবং পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৮ জুলাই শুক্রবার বিকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত। পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রতন কুমার ভদ্র‘এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বিজয় কুমার ঘোষ।

বিশেষ অথিতি ছিলেন খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার মিত্র, খুলনা মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ মাতুয়া মহাসংঘ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সুখময় বিশ্বাস।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি অমিয় সরকার গোরা। তিনি তার বক্তব্যে, এই পরিষদে যুক্ত শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া সকল বক্তাই সংখালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পাইকগাছা উপজেলা ঐক্য পরিষদ, পাইকগাছা পৌরসভা ঐক্য পরিষদ এবং পাইকগাছা
পৌরসভা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত কমিটি ::

পাইকগাছা উপজালা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- রতন কুমার ভদ্র; সাধারণ সম্পাদক- জগদীশ রায়।

পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- শিবু প্রসাদ সরকার; সাধারণ সম্পাদক- সুভাষ সানা (মহীম)।

পাইকগাছা
পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- পার্থ প্রতিম চত্রুবর্তী; সাধারণ সম্পাদক- নন্দ গোপাল সরকার।


এর আগে অঞ্জন কুমার মন্ডল’কে আহ্বায়ক ও মৃণাল কান্তি বাছাড়’কে সদস্য সচিব করে পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই শুক্রবার কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। ওই দিন আলোচনা সভা শুরুর এক পর্যায়ে কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব ও কাউন্সিলরদের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সভাস্থলে হট্রোগোলের সৃষ্টি হয়।

এ সময় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ মুহূর্তে জেলা সভাপতি অমিয় সরকার গোরা সম্মেলন স্থগিত করে রতন কুমার ভদ্র’কে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ঘোষনা দিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন।

বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মদিন আজ

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার ৯৬তম জন্মদিন আজ। এই প্রথমবার তাকে ছাড়াই তার জন্মদিন পালন করছে বিশ্ব। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। 

ম্যান্ডেলা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকারই নেতা নন। তিনি সারাবিশ্বের মানুষের নেতা। তার আদর্শকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী শোক ও স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পালিত হচ্ছে দিনটি। তার কারণ একটাই। ম্যান্ডেলা আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
 

১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই ম্যান্ডেলার জন্ম। দেশের মানুষ গোত্রীয় নাম ‘মাদিবা‘ বলেই ডাকতো তাঁকে। জাতির পিতা হিসেবে ‘তাতা‘ নামেও ডাকা হতো।

বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে ম্যান্ডেলার ৬৭ বছরের সম্মানে ৬৭ মিনিট দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবাধর্মী কাজে ব্যয় করার কর্মসূচি পালন করা হবে জোহানেসবার্গে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাতব্য অনুষ্ঠানেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, ২৭ বছরের কারাজীবন শেষে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দেয় তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকার। এরপর ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাসে নাম লেখান নেলসন ম্যান্ডেলা।

১৯৯৪ সালের ১০ মে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরই ১৯৯৫ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি নেন। অবসরের পর জনসেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে নেলসন ম্যান্ডেলার সম্মানে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে "নেলসন ম্যান্ডেলা আন্তর্জাতিক দিবস" উদযাপনের ঘোষণা করে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুলাই নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মদিনে সর্বপ্রথম এই আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়।

Lets Have Fun !

প্রথমে পড়িলাম গ্রামীণফোন এর খপ্পরে। আমারে কইলো, কাছে থাকুন। থাকলাম কাছে। একটু পর কয়, চলো বহুদুর। গেলাম বহুদুর। যাইতে যাইতে সন্ধা হয়ে গেলো। অন্ধকার, আমি বললাম আলো দরকার.. আলো কই ??

এরি মধ্যে রবি আইয়া কইলো, জ্বলে উঠুন আপন শক্তি তে !! আমি কইলাম এইটা কেমনে সম্ভব?? এইটা তো বেসম্ভব বেপার।

এর মধ্যে বাংলালিংক আইসা কয়, আলো এখন আর বাংলালিংক দামে পাওয়া যায়না। আমি বুঝলাম, আর সম্ভব নাহ, দিলাম দৌড় !!

সামনে আইসা দেখি আটকা পইরা গেলাম। ভাবতাছি কি করি?? এর মদ্ধে টেলিটক আইয়া পরলো। আমারে কয়, বাধঁ ভেঙে দাও। রবি আবার কানে কম শুনে। হেয় শুনছে দাত ভেঙে দাও। মারলো সিরাম জোরে এক ঘুসি, টেলিটক এর মুখে!!

আমি দিলাম আরো জোরে দৌড়। বাসায় গিয়া দেখি সবাই ঘুমায়। কেউ দরজা খুললো না।

শেষমেশ বাংলালিংক আইসা কইলো, আপনারর ফিরে আসার গুরুত্ব আর কেউ না দিলেও আমরা দেই। আহেন আমগো লগে.....

তালায় বোমা বিস্ফোরণে স্কুল ছাত্রী আহত

সাতক্ষীরার তালায় কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে মিম (১১) নামের এক স্কুল ছাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তালা উপজেলার জালালপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

মারাত্মক আহতাবস্থায় মিমকে উদ্ধার করে প্রথমে তালা হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে জালালপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিন গাজীর মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, মিম সকালে বাড়ির উঠানে একটি জর্দ্দার কৌটা দেখতে পেয়ে তা উঠাতে যায়। এসময় কৌটাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশু মিম। তার আহাজারিতে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। মিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বোমার স্প্রিন্টারে ক্ষত-বিক্ষত হয়।

তালা থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা বাড়ির উঠানে বোমাটি ফেলে রেখে যায়। জদ্দার কৌটা ভেবে শিশু মিম তা উঠাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রবল জোয়ারের পানিতে পাইকগাছা পৌর এলাকাসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত

পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর জোয়ারের পানি উপচে পড়ে ও বৃষ্টির পানিতে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন পোল্ডারের প্রায় চার কিলোমিটার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।


জানা গেছে, পূর্ণিমার প্রভাবে নদ-নদীতে গত ৪/৫ দিন যাবৎ জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকগাছা পৌর সদরসহ উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে জোয়ারের সময় পৌর শহরের গাঘেষা শিবসা নদীর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাজার এলাকা। ফলে পৌর বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা রয়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে।

এদিকে সামান্য বৃষ্টিতেই পৌর শহরে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ সরকারি খাস খালগুলিতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে পৌরসভার ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালী, সরল ও শিববাটী এলাকা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হয়।

শুধু বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ নয়, সরকারি খাস খালগুলি জবরদখল করে বসতবাড়িও নির্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই এসব খাস খালগুলি দখল মুক্ত করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।

এদিকে উপজেলার লতা ইউনিয়নের পুতুলখালী গ্রামের গুনোখালী নদীর ভেঙ্গে যাওয়া ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করেছে বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, ১০/১২ পোল্ডারস্থ উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়নের কুমখালী, হড্ডা, লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা ও বাইনতলা, ২৩নং পোল্ডারস্থ সোলাদানা ইউনিয়নের আমুরকাটা ও সোনাখালী এবং ১৬নং পোল্ডারস্থ গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এ সকল ভেড়িবাঁধ মেরামতের ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ মজুমদার উপজেলার অভ্যন্তরীণ প্রায় ৪ কিলোমিটার ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে শিকার করে সাংবাদিকদের বলেন, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এখনই মেরামত বা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

Thursday, July 17, 2014

ইফতার পার্টি ২০১৪ (পাইকগাছা সমিতি, ঢাকা)

১৭ জুলাই (১৮ই রমজান) বৃহস্পতিবার 'পাইকগাছা সমিতি, ঢাকা' এর উদ্যোগে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।






পাইকগাছায় ঈদকে সামনে রেখে তৎপর পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা

লক্ষ্য বিপনী বিতান ও ব্যাংক প্রতিষ্ঠান


পাইকগাছায় ঈদকে সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা। এসব পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা নিরাপদ লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন বিপনী বিতান’সহ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যে বুধবার সোনালী ব্যাংক থেকে এক ব্যক্তির ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বিভিন্ন ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকরা। ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাংকগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

সূত্রমতে, উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে রয়েছে রূপালী, সোনালী, ইসলামী ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক। দলিল লেখক সমিতি ভবনের উপর রয়েছে কৃষি ব্যাংক এবং পূর্ব ওয়াপদা রোডে রয়েছে জনতা ব্যাংক।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে এলাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা। ঈদে এসব ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেয়ায় ছিনতাইয়ের নিরাপদ স্থান হিসেবে পকেটেমার ও ছিনতাইকারীরা বেছে নিয়েছে ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের শাহজাহান আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পর ৪/৫ জন ছিনতাইকারী ব্যাংকের ভিতর থেকে শাহজাহান আলীর উত্তোলনকৃত ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেলেও তাদেরকে আটক করা যায়নি।

তবে ছিনতাইয়ের দৃশ্যগুলো ব্যাংকে স্থাপনকৃত ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত রয়েছে। এ ঘটনার পর সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে ভীতি কাজ করায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ব্যবসায়ী কুদরত-ই-খোদা খোকন জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি পুলিশের তৎপর থাকা উচিত। ব্যাংক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থান সমূহে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা উচিত বলে জানান প্রভাষক ময়নুল ইসলাম।

ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আজগর আলী জানান, ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় একজনের স্থলে দু’জনকে স্থলাষিভিক্ত করা হয়েছে।

ওসি সিকদার আককাছ আলি জানান, সোনালী ব্যাংকের ঘটনার সাথে পকেটমাররা জড়িত থাকতে পারে। ৪/৫জন পকেটমার কিছু টাকা ফ্লোরে ছুড়ে ফেলে দিলে এটাকা শাহজাহান আলী নামে এক ব্যক্তি তুলতে গেলে এ সুযোগে তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে পকেটমাররা পালিয়ে যায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে পকেটমারদের সনাক্ত করার কাজ এগিয়ে চলছে বলে তিনি জানান।