Monday, June 16, 2014

পাইকগাছায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ

পাইকগাছায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ গোলদার ও তার পরিবার যে কোন মুহূর্তে হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কায় করছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চেয়ারম্যান পুত্র জি এম সাইফুল গত শনিবার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এদিকে সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত বৃহস্পতিবার পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাড়ুলী ইউপির কলমিবুনিয়া মৌজায় মজিদ গোলদারের ৬০০ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের নিয়ে একই এলাকার শফিকুল ইসলাম ও শামছুর রহমান গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ গত বুধবার সকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজিদ গোলদার বাঁকা বাজারে আসার পথে শফিকুল ও শামছুর তাকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান পুত্র সাইফুল বৃহস্পতিবার পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর গত শনিবার পিতা ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিকদার আককাস আলী জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা এবং দোকানের লাইসেন্স নবায়ন না করায়,

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায়

 

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য রাখা এবং ঔষধের দোকানের লাইসেন্স নবায়ন না করার অপরাধে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও লাইসেন্স নবায়ন না করার অপরাধে গতকাল রবিবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলা সদরের হাসপাতাল রোডে লুৎফরের দোকান থেকে ৫ হাজার, জাকিরের দোকান থেকে ২ হাজার ও কায়ুমের দোকান থেকে ১ হাজার টাকা এবং একই এলাকার শরিফুলের ভ্যরাইটি ষ্টোর মেয়াদ উর্ত্তীণ খাদ্য দ্রব্য রাখার অপরাধে ৩ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এ সময় আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম।

আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব; পাইকগাছায় ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর লম্বা লাইন। চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন সকলকে পরামর্শ দিতে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে এ অবস্থা। 


চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এর শিকার হচ্ছে বেশী শিশু ও বৃদ্ধরা। পৌর এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র ভাইরাস জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। প্রতিদিনই নতুন করে এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। শরীরে তীব্র ব্যথা আর কাঁপুনিতে আতঙ্কিত রোগীরা ছুটছে হাসপাতালে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটে বেশী। এ জন্য সকলকে সচেতন থাকা জরুরী। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যা বেশি। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। অধিকাংশ রোগীকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

জ্বরের লক্ষন হিসেবে উল্লেখ্য, রোগীর শরীরের তাপমাত্রা জ্বরে ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। জ্বরের স্থায়িত্ব তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রচন্ড গরমের কারণে এ ধরনের জ্বর হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, একদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে বাতাসে আদ্রতাও কম। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাম বের হয়ে সেটা পুনরায় শরীরে বসে ঠান্ডা জমে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে জ্বর, সর্দি ও কাশি হচ্ছে। এগুলো ভাইরাস বাহিত হওয়ায় তা’ ছোঁয়াচে। ফলে একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে খুব দ্রুত।

শিশুরা খুব দ্রুত এর শিকার হয়। এ জন্য তাদেরকে রোদে বের না করা এবং বেশী করে পানি পান করানো উচিত। জ্বর একটু বেশী হলে অবশ্যই যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। শরীরে অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় সব ধরনের স্বাভাবিক খাবারসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বিশ্বকাপে ৪র্থ দিনের প্রথম ২ ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স জয়ী

শেষ মুহূর্তের গোলে জয়ী সুইজারল্যান্ড


ম্যাচের বেধে দেওয়া সময় (৯০ মিনিট) পর্যন্তও ১-১ সমতায় খেলছিল সুইজারল্যান্ড ও ইকুয়েডর। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হতে থাকলেও ড্র’তেই যেন ম্যাচটির মীমাংসা হতে চলছিল। তবে অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে বল পাঠিয়ে দলকে নাটকীয় জয় উপহার দেন সুইজারল্যান্ডের বদলি খেলোয়াড় হ্যারিস সেফারোভিচ।

মিড ফিল্ডার রিকার্ডো রদ্রিগেজের পাস থেকে পাওয়া বল ইকুয়েডরের গোলপোস্টের উপরের বাম কোণ দিয়ে বাম পায়ের শটে জালে পাঠান হ্যারিস। প্রথমে গোল হজম করেও ম্যাচ শেষে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সুইজারল্যান্ড।

বেনজেমার জোড়া গোলে ৩-০ তে জয়ী ফ্রান্স


করিম বেনজেমার জোড়া গোলে ৩-০ তে জয়ী হয়েছে ফ্রান্স। খেলার ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এবং ৭২ মিনিটে ম্যাথিউ ডেবুচির পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বেনজেমা।

এছাড়া ৪৮ মিনিটে হন্ডুরাস গোলরক্ষকের আত্মঘাতী গোলটিতেও অবদান রয়েছে এই রিয়েল মাদ্রিদ তারকার। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামা দুর্বল হন্ডুরাসকে দ্বিতীয়ার্ধে আরও ২ গোল দিয়ে ব্যবধান ৩-০ করে ফ্রান্স।

Voice of Paikgacha makes you nostalgic !

মেসির গোলে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়ী

ভিনগ্রহের ফুটবলার খ্যাত লিওনেল মেসির দুর্দান্ত গোলে দুর্বল বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে ফুটবল বিশ্বকাপের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনা।
 
প্রথমার্ধে বসনিয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ড্রিবলার মেসি ৬৫ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পান। গঞ্জালো হিগুয়েনের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের বাম কোণের নিচের দিকে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন জাদুকর।


মেসির গোলের পর অবশ্য দলের পক্ষে একটি মাত্র গোল পরিশোধ করার পাশাপাশি বসনিয়ান স্ট্রাইকার ভেদাদ ইবিসেভিচ গড়েন নতুন কীর্তি। শিরোপা প্রত্যাশী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ইবিসেভিচ বিশ্বকাপে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার হয়ে প্রথম গোল করার রেকর্ড গড়েন তবে ব্যবধান কমলেও ম্যাচ শেষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি-আগুয়েরো-হিগুয়েন-ডি মারিয়ারা।

এর আগে, খেলার ৩ মিনিটের মাথায় মেসির ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফেলেন বসনিয়ান ডিফেন্ডার কোলাসিনাক। আর এই আত্মঘাতী গোলেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর বসনিয়া মরিয়া আক্রমণ করে গোল পরিশোধের জন্য। খেলার ১৪ মিনিটে বসনিয়ার আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় পিজানিক বক্সের ভেতরে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন, আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।

খেলার ২৫ মিনিটে আর্জেন্টিনার ফুলব্যাক মার্কোস রোজো ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন। ৩২ মিনিটে জেকোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় বসনিয়াকে। এরপর ৪১ মিনিটে লুলিচের জোরালো হেড বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন রোমেরো।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪টায় রিওডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।

ফুটবল উম্মাদনায় ভাসছে কপিলমুনি

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলছে, সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের উম্মাদনা চোখে পড়ার মত। ফুটবলের উম্মাদনার এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে কপিলমুনিসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলে। প্রিয় দলের পতাকায় ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। এদের মধ্যে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকরাই বেশী। 

বাড়ির ছাদে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, সংগঠনে, বাজার সর্বত্র শোভা পাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল’সহ বিভিন্ন দেশের পতাকা। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন বিশ্বকাপ ফুটবল। রাস্তাঘাটে নানা বয়সী মানুষ গায়ে প্রিয় দলের জার্সি জড়িয়ে সামিল হচ্ছেন এ উৎসবে।

এছাড়া মোটরসাইকেল ও ভ্যান থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়িতে শোভা পাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের পতাকা। কোথাও কোথাও শোভা পাচ্ছে বিশাল আজেন্টিনা, কোথাও বিশাল ব্রাজিলের পতাকা, একই সাথে তার উপরে বাংলাদেশের পতাকা।

ফুটবল দলকে সমর্থন জানাতে ভিন দেশী পতাকা শত শত টাকা খরচ করে প্রদর্শন করছে সমর্থকরা। এ যেন অঘোষিত ভিন্ন এক স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। দু’দলের সমর্থকদের মাঝে চলছে রাত জেগে খেলা দেখার জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি। দর্জিরা পার করছেন ব্যাস্ত সময়। জনতা ব্যাংক মোড়ে টানানো হয়েছে বিশাল পর্দা, সমস্ত খেলা গুলো সেখানে স্যাটালাইটের মাধ্যমে প্রদর্শিত হচ্ছে।

এদিকে কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে.কে.এস.পি’র সাধারণ সম্পাদক এম আজাদ হোসেন জানান, সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির ফুটবল মাঠে সম্প্রতি ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠী ও আর্জেন্টিনা সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সহচরী বিদ্যামন্দির ফুটবল মাঠে বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল খেলা বড় পর্দায় দর্শকদের দেখানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

ঘেরে মড়ক, চাষীদের মাথায় হাত

অনাবৃষ্টি, ঋণের দায় ও ঘেরে মড়কের কারণে এবার সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি চাষ করে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এসব কারণে বাগদা ও গলদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। এতে কয়েক হাজার চিংড়ি চাষী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া উৎপাদিত চিংড়ির বাজার মূল্যও গত বছরের তুলনায় অনেক কম। তাই নতুন সঙ্কটে পড়ে মাথায় হাত উঠেছে চাষিদের। 

এদিকে স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার লোভে চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন আনেকেই। 

অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ কেউ মহাজনদের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করে কৃষিজমিতে ঘের দিয়ে শুরু কেরেন চিংড়ি চাষ। 

আবার কেউ কেউ অন্যের জমি লিজ নিয়েও বাগদা চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়ার পর থেকেই ঘেরে ব্যাপকভাবে মড়ক লাগতে শুরু করে। এতে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুনতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।

পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের চিংড়ি চাষী আব্দুল বারী শেখ জানান, প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে তিনি এবার বাগদা চাষে প্রায় ৬/৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ঘের থেকে যে পরিমাণ চিংড়ি পাওয়ার আশা ছিল তা ভেস্তে গেছে। ঘের থেকে বাগদা পাচ্ছেন না। বৃষ্টি না থাকার কারণে ঘেরের পানি নোনা হয়ে পড়ে। তাছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি না থাকায় চিংড়ি মারা যায়। কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় তিনি নতুন করে আবারো পোনা ছেড়েছেন। পোনার গ্রোথও ভাল বলে তিনি জানান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ খাত দিয়ে তার আসল পুঁজি উঠবে কিনা তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।

জেলা মৎস্য অফিসের জরিপ কর্মকর্তা বিধান কুমার মণ্ডল জানান, বিভিন্ন উপজেলায় ৬৫ হাজার ৪শ ৪৬ টি ঘেরে চিংড়ি চাষ হয়েছে। এবছর মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। ২০১৩ সালে ২০ হাজার ১৮৭ মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, ‘গত বছর বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০০ টাকা। এবার সেই চিংড়ির দাম প্রতিকেজি মাত্র সাড়ে ৪শ টাকা।’

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার সরকার ঘেরে বাগদা চিংড়ি মরে যাবার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টিতে লবণ পানির ঘেরে এক ধরনের এসিড তৈরি হয়, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষীরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করে না, জমির ব্যাকটেরিয়া ধংস করার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করা দরকার তাও ঠিকমতো করেন না। এ ছাড়াও নিয়মিত সুষম খাদ্য সরবরাহ না করা, পানি পরিবর্তন ও বাতাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা না করার কারণেও চিংড়ি মারা যেতে পারে।’

তিনি জানান, চিংড়ি চাষে এখনও চাষিরা সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তাই মারা যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে।

কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু’র কর্মময় জীবন :: ১

দক্ষিণের জনপদ কপিলমুনি। কপিলমুনি একটি নাম, একটি ইতিহাস। জঙ্গল পরিষ্কারের পর সেখানে বসতি স্থাপন করে নৌপথে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি সে সময়। তখন ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনির মাটিতে জন্ম নেন এক জাতক। 


মানুষের ভেতরকার অন্ধকারকে দূর করবার লক্ষ্যে ঐ নবজাতক বাল্যকাল থেকে নিরলস, নিঃস্বার্থভাবে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। যে কর্মের ফল ভোগ করে কপিলমুনির অগণিত মানুষ আজ সভ্যতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। যার ব্যবসায়িক আদর্শ অনুসরণে অনেকেই আজ অন্যতম বড় ব্যবসায়ী। তিনি হলেন আধুনিক কপিলমুনি রূপকার স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু।

খুলনার দক্ষিণে সাপের মত একে বেকে বয়ে চলা কপোতাক্ষের তীরভূমি কপিলমুনিতে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন ১৮৯০ সালের ২০ মে শুক্লাষ্টমী তিথীতে। পিতা যাদব চন্দ্র সাধু, মাতা সহচরী দেবী, পিতামহ ভরত চন্দ্র সাধু, পিতামহী অমৃতময়ী দেবী। পিতা মাতার চার পুত্রের তৃতীয় তিনি।

পড়ালেখায় স্কুলের গণ্ডি পার হননি। সে সময় পড়ালেখার তেমন সুযোগও ছিল না। বাড়ি অর্থাৎ কপিলমুনি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে নদী পেরিয়ে বিশ্ব বরেণ্য বৈজ্ঞানিক স্যার পিসি রায় প্রতিষ্ঠিত রাড়ুলীর আর.কে.বি.কে হরিশচন্দ্র ইনস্টিটিউটে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন তিনি। এখানেই তার ছাত্র জীবনের যবনিকা ঘটে।

আর সাথে সাথে সূত্রপাত ঘটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা কর্মময় জীবনের। তিনি সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতে বিশাল ব্যবসা পরিচালনা করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে কপিলমুনিতে প্রতিষ্ঠিত করেন একাধিক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান।

আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর কর্মময় জীবন শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদনে উঠে আসবে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম এই সমাজ সেবক সম্পর্কিত না জানা গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য, যা জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যাগুলোতে।

কপিলমুনিতে ফেনসিডিল উদ্ধার নাটকের মূলহোতা আটক হয়নি আজও

৭ দিন অতিবাহিত হলেও কপিলমুনিতে ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেনসিডিল রেখে তা উদ্ধার নাটক সাজানোর মূলহোতা আজও আটক হয়নি। ফলে ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে

জানা যায়, কপিলমুনি বাজারের সাহানা মাইক এন্ড সাউন্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গত ৯ জুন সোমবার দুপুর ১টার দিকে একজন অপরিচিত লোক মাইক ভাড়া করতে এসে ফেনসিডিলের ব্যাগ রেখে প্রতিষ্ঠানের মালিক এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ (৪৪) কে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

পরবর্তীতে বিকাল ৫টার দিকে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিকদার আককাস আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেনসিডিল রেখে পুলিশকে খবর দিয়ে সাজানো নাটকের মূল হোতাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালে তিনি ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকার আহবান জানান এবং উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার সোর্সকে গ্রেফতার ও জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

কিন্তু একে একে ৭ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফেনসিডিল উদ্ধার নাটকের মূলহোতা সেই সোর্স আজও আটক হয়নি। প্রকৃত ফেনসিডিলের মালিকও সনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

পাইকগাছায় যুবককে মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলা

পাইকগাছা উপজেলার পল্লীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গুরুতর আহত আরিজ মোল্লা (২৪) খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাড়ূলী ইউনিয়নের শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের জনৈক কবীর মোল্লার পুত্র সাতক্ষীরা সিটি কলেজে অধ্যায়নরত আরিজ মোল্লা তাদের ঘেরের মাছ বিক্রির প্রায় দু’লাখ টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য পাইকগাছা সদরের উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয়।

পথিমধ্যে একই গ্রামের যুবক মেহেদী হাসান লাচ্চু, ইমদাদুল ও মুকুল একটি মটরসাইকেলযোগে এসে আরিজ মোল্লাকে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। এ সময় তার কাছে থাকা সমুদয় টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুস্কৃতকারীরা।

গুরুতর আহতাবস্থায় আরিজ মোল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।