রোগ প্রতিরোধ ও জনসচেতনায় ভূমিকা রাখছে ডায়াবেটিস সেন্টার
পাইকগাছায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে উপজেলায় নিরব এ ঘাতকে ভুগছে ৩০ হাজার মানুষ। জটিল এ রোগ প্রতিরোধ ও জনসচেতনায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাইকগাছা ডায়াবেটিস সেন্টার। আজ ১৪ নভেম্বর
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে পাইকগাছা ডায়াবেটিস সেন্টারের পক্ষ থেকে
র্যালী, সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ আয়োজন করা হয়েছে নানান কর্মসূচী।
পাইকগাছায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন ডায়াবেটিস আক্রান্ত !
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক। যার কারণে হৃদরোগ, ব্রেণ স্ট্রোক, কিডনী রোগ, পায়ে পচন ধরা, চোখের অসুখ ও যৌণ ক্ষমতা কমে যাওয়া বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০ হাজার মানুষ নিরব এ ঘাতকে আক্রান্ত।
এক সময় সচেতনার অভাবে এ রোগ পুশে রাখত অধিকাংরাই। নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ত আক্রান্তকারীরা। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে কেউ যাতে মৃত্যুবরণ না করে এ লক্ষ্যেই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদউল্লাহ ২০১৩ সালে উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠা করেন পাইকগাছা ডায়াবেটিস সেন্টার। সেন্টারটিতে গত ১ বছরে নিয়মিত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪০০ এবং অনিয়মিত রোগীর সংখ্যা হাজারেরও অধিক বলে জানিয়েছেন সেন্টার ইনচার্জ শেখ সেলিম।
সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোহাঃ শেখ শহীদুল্লাহ জানান, ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক। খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের স্বাভাবিক মাত্রা ৬.১ থেকে মিঃ মোল/লিঃ থেকে ৭.০ মিঃ মোল/লিঃ এবং খাওয়ার পর ৭.৮ থেকে মিঃ মোল/লিঃ থেকে ১১.০০ মিঃ মোল/লিঃ এর বেশী হলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, যে সকল মানুষ নিয়মিত ব্যায়াম করেন না অপেক্ষাকৃত বেশী ওজনধারী, অপরিমিত খাবার খান, নিয়মিত ধুমপান করেন, বংশে ডায়াবেটিস আছে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তাদের ডায়াবেটিস জনিত অসুখের পরিমাণ বেশী হয়। ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস জনিত জটিলতায় প্রতি ৮ সেকেন্ডে একজন মানুষ মারা যায় বলে তিনি জানান।
ডায়াবেটিস সেন্টারের মাধ্যমে গত ১ বছরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক সময় মানুষ এ রোগ পুশে রাখত। বর্তমানে বছরে একবার হলেও এলাকার মানুষ ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ব্যায়াম বা হাটা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।