Saturday, July 29, 2017

পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে এমপি নূরুল হকের সৌদি আরব গমন

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক'সহ পরিবারে ৩ সদস্য পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমন করেছেন। তিনি ও তার পরিবার শনিবার সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান যোগে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সংসদ সদস্যের সাথে রয়েছেন তার বড়পুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম ও পুত্রবধু। 



সময় স্বল্পতার কারণে তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী অনেকের সাথে সাক্ষাত করে যেতে পারেনি। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে সুস্থ ও সুষ্ঠুভাবে পবিত্র হজ্জ পালন সম্পন্ন করতে পারেন এ জন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এবার পাইকগাছার পোদা নদীর নেট-পাটা অপসারণ নিয়ে উত্তেজনা; পুলিশ মোতায়েন

পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর পর এবার পোদা নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, উপজেলার লতা ইউনিয়নের ধলাই, পুতলাখালী, আঁধারমানিক, সচিয়ারবন্দ, হালদারচক, গঙ্গারকোনা ও লতা সহ প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোদা নদী (বদ্ধজলমহল)। ৭৩ একর আয়তনের নদীটি ১৪২৩ হতে ২৫ সন পর্যন্ত ফতেপুর আদর্শ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ইজারাদার নদীটি তত্ত্বাধায়নের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। এরপর তপন, বাবু লাল, সমর, তাপস ও দেবব্রতসহ কয়েকজন ব্যক্তি নদীটি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করেন। এদিকে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়।

জলাবদ্ধতার আশংকায় স্থানীয় লোকজন গত শুক্রবার নদীর কয়েকটি স্থানের নেট-পাটা অপসারণ করতে গেলে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

ধলাই গ্রামের গোবিন্দ জানান, অত্র এলাকার পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পোনা নদী। নদীর দু’পাশে কয়েক’শ চিংড়ি ঘের রয়েছে। এ সব ঘেরের পানি নদী দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। কিন্তু পানি সরবরাহের একমাত্র মাধ্যম পোনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা থাকায় পানি সরবরাহ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে ভারী বর্ষণে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়া সহ আমন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ইজারাদার সাইফুল ইসলাম জানান, নদীটি দেখা শুনার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি।

ওসি (তদন্ত) এসএম জাবীদ হাসান জানান, নেট-পাটা অপসারণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তবে কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থেকে কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মুশফিকের দেখা পাওয়ায় আপ্লুত আবুল বাজনদার

আবুল বাজনদারের শেষ অপারেশন আমরা করে ফেলেছি গত ১২ জুলাই। তার শরীরে আর অপারেশন করার পরিকল্পনা নেই আমাদের। তবে তার যে রিপোর্টগুলো এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে শরীরের ভেতরের অংশে সমস্যাটি আবারও ফিরে আসতে পারে, তার এটা বারবারই হতে পারে। সেগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত, তাই তাকে নিয়মিত ফলোআপে রাখতে হবে চিকিৎসার স্বার্থেই।

বৃক্ষমানব বলে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাওয়া আবুল বাজনদারের ব্যাপারে এ তথ্য দেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। আবুল বাজনদারকে নিয়মিত ফলোআপে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন নতুন হাসপাতালে (নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট) চাকরি দিয়ে তাকে রেখে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি আমরা। তাহলে বাজনদার আমাদের নিয়মিত ফলোআপে থাকবে, চোখের সামনে থাকবে।


প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই বিরল রোগে আক্রান্ত আরেক শিশু সাতক্ষীরার মুক্তামনিকে দেখতে যান জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সেসময় ডা. সামন্ত লাল সেনের কক্ষে আলাপচারিতার সময় তিনি আবুল বাজনদার সম্পর্কে জানতে চান। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘‘মুশফিক আমাকে বলেন, ‘স্যার, আমি জানি বাজনদারের সম্পর্কে, কিন্তু এটা কী রোগ আর কী করে হলো সেটা জানতে চাই। তখনই বাজনদারকে আমার কক্ষে নিয়ে আসার জন্য বলি।’’
এ প্রতিবেদকের সামনে সেখানেই দেখা হয় বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আবুল বাজনদারের সঙ্গে। আবুল বাজনদার মুশফিককে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে আসেন, চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান মুশফিকুর রহিম। বাজনদারের বাম হাত তখন ব্যান্ডেজ করা আর ডান হাতটি খোলা, একদম স্বাভাবিক। সে হাতেই বাজনদার হাত মেলান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে।


হাত ভালো হয়ে গেছে বাজনদার মন্তব্য করতেই ডা. সামন্ত লাল সেন পুরনো ফাইল থেকে বের করেন আবুল বাজনদার যেদিন প্রথম বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন সেই ছবি। দুই হাতে শেকড়ের মতো মাংসপিণ্ড নিয়ে শীর্ণকায় আবুল বাজনদারের ছবি দেখে বিস্মিত হন মুশফিক।
এদিকে মুশফিকের দেখা পাওয়ায় আপ্লুত আবুল বাজনদার। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এরকম একজন মানুষকে জীবনে দেখবো সেটা কোনোদিন চিন্তাও করি নাই। উনি আমার হাত ধরে ছিলেন, ভাল-মন্দ জিজ্ঞেস করেছেন। আমার খুব ভালো লাগছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আবুল বাজনদার ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। এরপর কেটেছে দীর্ঘ দেড় বছরের মতো। তবে এই সময়ে বদলে গেছে তার জীবন, ঘটেছে বিশাল পরির্বতন। হতাশাকে পেছনে ফেলে তিনি এখন দেখছেন নতুন জীবনের স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখছে তার পরিবারও। জীবনটা যে এভাবে বদলে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি ‘বৃক্ষমানব’ নামে পরিচিত বাজনদার।

বিরল রোগ ইপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভ্যারুসিফরমিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী বাজনদার। তার চিকিৎসায় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে নয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।

বাংলাদেশে বাজনদারই এই রোগের প্রথম রোগী, আর বিশ্বে তৃতীয়। তার চিকিৎসার পুরো খরচ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বহন করছে। ১৫ বছর বয়সে বাজনদারের হাতে ও পায়ে গাছের শেকড়ের মতো মাংসপিণ্ড তৈরি হয়। যে কারণে তিনি পরিচিতি পান ‘বৃক্ষমানব’ হিসেবে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বাজনদার এখন একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই হাত দিয়ে কলম ধরতে পারেন। নিজ হাতে ধরে পত্রিকা পড়া এবং একমাত্র মেয়েকে কোলেও নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘দেড় বছর আগেও হাত ছিল ভারী, কিছু ধরতে পারতাম না, নিজে নিজে চলাফেরাও করতে পারতাম না। কিন্তু সময় বদলে গেছে, এক বছর আগের বাজনদারের সঙ্গে আজকের বাজনদারের বিস্তর ফারাক।’ 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পাঁচ তলার একটি কেবিনে আবুল বাজনদারের দিন কাটছে। সেখানে তার সব সময়ের সঙ্গী স্ত্রী হালিমা খাতুন এবং সাড়ে তিন বছরের মেয়ে তাহিরা।

--জাকিয়া আহমেদ

ঢাকা-কয়রা রুটে চালু হলো বিআর‌টি‌সি এ‌সি বাস সা‌র্ভিস

২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিআর‌টি‌সি'র চেয়ারম্যান (কয়রা-খুলনা-ঢাকা) এসি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন। আপতত প্র‌তি‌দিন ১টি ক‌রে বাস উভয় দিক থে‌কে ছাড়‌বে। কয়রা থেকে বিকাল ৫টা এবং ঢাকা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। সরাসরি মাওয়া ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার হবে বিআর‌টি‌সি'র এই এসি বাস।

ভাড়া : ৭৫০ টাকা।


কয়রা কাউন্টার: ০১৭০৭-৬৯৮৫৩০
পাইকগাছা: ০১৭০৭-৬৯৮৫৩১
খুলনা জি‌রো প‌য়েন্ট: ০১৯১৩-২৬২১৪০
কল্যানপুর: ০১৯১৯-৬৫৪৭৫৩
কলাবাগান: ০১৮৩৪-৬৩৮০৬৭
কমলাপুর: ০১৮৩৪-৬৫১৯০৫
জনপদ: ০১৯১৫-৫০২৫৫০