Wednesday, December 6, 2017

পাইকগাছায় নসিমন উল্টে নদীতে; আহত ২

পাইকগাছায় একের পর এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে নসিমন-করিমনের মত যানবাহনগুলো। সর্বশেষ বুধবারের দুর্ঘটনায় নসিমন উল্টে নদীতে পড়ে ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।


জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে বাড়ি থেকে নসিমনযোগে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী সোলাদানা ইউনিয়নের অনন্যা সানা ও সম্পা সানা। 

এক পর্যায়ে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী নসিমনটি আবু হোসেন কলেজস্থ চৌরাস্থা মোড়ে এসে বাক নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে খালিয়া নদীতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় সম্পার মাথা ফেটে যায় ও বাম হাত ভেঙে যায় এবং অনন্যা মাথায় ও বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পায়।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুপুরে দুই শিক্ষার্থীকে খুলনায় পাঠানো হয়।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানিয়েছেন, আহত দু'জনই মাথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের একটি হাত ভেঙে গেছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামোর এসব অনুমোদনহীন যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

এবার নসিমন উল্টে মাথা ফাটল ২ ছাত্রীর

পাইকগাছায় একের পর এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে নসিমন-করিমনের মত যানবাহনগুলো। সর্বশেষ বুধবারের দুর্ঘটনায় নসিমন উল্টে নদীতে পড়ে ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।


জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে বাড়ি থেকে নসিমনযোগে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী সোলাদানা ইউনিয়নের অনন্যা সানা ও সম্পা সানা। 

এক পর্যায়ে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী নসিমনটি আবু হোসেন কলেজস্থ চৌরাস্থা মোড়ে এসে বাক নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে খালিয়া নদীতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় সম্পার মাথা ফেটে যায় ও বাম হাত ভেঙে যায় এবং অনন্যা মাথায় ও বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পায়।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুপুরে দুই শিক্ষার্থীকে খুলনায় পাঠানো হয়।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানিয়েছেন, আহত দু'জনই মাথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের একটি হাত ভেঙে গেছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামোর এসব অনুমোদনহীন যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

এক মাসেও মেরামত হয়নি কপোতাক্ষের বাঁধ

পাইকগাছায় কোটি টাকার সম্পদ কপোতাক্ষ নদে ভেসে গেলেও বাঁধ নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একমাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার না করায় অবাধে জোয়ার ভাঠার পানি ওঠানামায় মাটি ধুয়ে গভীর হচ্ছে কৃষি জমি। এদিকে ওয়াপদার ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় আরো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।


জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার বোয়ালিয়া চরের বিলের ওয়াপদার বেড়িবাঁধে গত ৪ নভেম্বর ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে পদক্ষেপ না নেয়ায় জোয়ারে ১৬নং পোল্ডারের ওয়াপদার বিস্তীর্ণ এলাকার নদী ভেঙে বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২ হাজার বিঘার ৮০টি চিংড়ি ঘের। তলিয়ে গেছে কয়েকশ একর আমনের খেত। চিংড়ি ঘের মালিকদের তৈরি করা গেট অপসারণ করার পর উপযুক্তভাবে নির্দিষ্ট জায়গাটি মেরামত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, অল্প কিছু টাকা ওই সময় খরচ করে অপসারিত গেটের জায়গাটি মেরামত করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। গত এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ওয়াপদার বাঁধে ব্যাপক এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙন এলাকা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী আবারো ভাঙনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।


সম্প্রতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. শেখ মো. নূরুল হকসহ কর্তৃপক্ষ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় চিংড়ি চাষি আবুল হোসেন মোড়ল জানান, বাঁধের ভঙনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের জন্য কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।

এ ভাঙনে ইতোমধ্যে বোয়ালিয়া থেকে আগড়ঘাটা পর্যন্ত ২ হাজার একরের ৮০টি চিংড়ি ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। শতশত বিঘা আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন জানান, টাকা সংগ্রহ করে দ্রুত যাতে বাঁধ মেরামত হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাইকগাছায় হেলপারের ২ আঙ্গুল কর্তন

পাইকগাছায় স্থানীয় শ্রমিকদের হামলায় ঈগল পরিবহনের হেলপার সুমনের হাতের দু’টি আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার পরিবহনটির হেলপার ও ড্রাইভারকে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় শ্রমিকেরা। আহত সুমন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।


ঈগল পরিবহনের স্থানীয় ম্যানেজার মিল্টন জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা (০২-২৬৮) ঈগল পরিবহনের বাসটি পাইকগাছা পৌর সদরের জিরোপয়েন্টে পৌছালে যাত্রী নামানোর সময় স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক যাত্রীদের ঢাক্কা দিয়ে বাসে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবহনের হেলপার শ্রমিকদেরকে যাত্রী নামানোর পর ওঠার কথা বললে তারা ক্ষেপে গিয়ে ড্রাইভার আরেফিন ও হেলপার সুমনকে মারধর শুরু করে।

এক পর্যায়ে ড্রাইভার বাস চালু করে পরিবহন কাউন্টারের দিকে আগাতে থাকে। তখন হেলপার বাসে উঠে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে আনে। এ সময় হেলপার সুমনের হাতের দু'টি আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাসের গেটে আটকে থাকে।


পরে স্থানীয় লোকজন আহত সুমনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করেন। পরে বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বাসে ওঠা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈগল পরিবহনের হেলপারের হাতের আঙ্গুল কেটে গেছে মর্মে পরিবহন শ্রমিকরা থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।