Sunday, July 20, 2014

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল ২০১৪ ও আলোচনা সভা প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার বিকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএ গফুরের সভাপতিত্বে ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, পাইকগাছা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, ডাঃ আব্দুল মজিদ।

বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, জিএ রশিদ, সাংবাদিক গাজী সালাম, প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু, ব্যবসায়ী দাউদ শরীফ। উপস্থিত ছিলেন জগদীশ চন্দ্র রায়, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম’সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী’সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?

কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো, শেখ ফজলল করিম দাদুর জামানায় কি পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক নির্মান হয়েছিল? তবে তিনি না বলে গেলেও বর্তমান জামানার আজরাইলদের (যমদূত) কিন্তু পাইকগাছাবাসী ঠিকই চেনে ! কি আপনি চিনেন না? 


বি.দ্র. :: শেখ ফজলল করিম (১৮৮২ বাংলা ৩০শে চৈত্র ১২৮৯ - সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯৩৬) একজন স্বনামধন্য বাঙালি সাহিত্যিক। তার লেখা কবিতার লাইন, "কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক মানুষেতে সুরাসুর।"

তদন্তে প্রতিবারই অনিয়মের প্রমাণ পেলেও শাস্তি হয়না অধ্যক্ষের

পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ছয়বার তদন্ত হয়েছে। প্রতিবারই তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি।

সর্বশেষ তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই কলেজের নির্যাতিত শিক্ষকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন হরিঢালী-কপিলমুনি মহিলা কলেজের এমপিওভুক্ত ৩৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৯ জন। অভিযোগপত্রে কলেজ অধ্যক্ষ শেখ মেজবাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অনিয়মের দীর্ঘ ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।

বারবার তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেন ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা খতিয়ে দেখার আবেদনও জানানো হয়েছে।

বিসিবি'র কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করলেন সাকিব

আবেদনে যা লিখেছেন সাকিব ::


আসসালামু আলাইকুম

আমার কোন আচরণে বোর্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বিব্রত হয়ে থাকলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে দর্শক ও সমর্থক যারা সবসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে আছেন তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।



আমি স্বীকার করছি যে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসাবে আমি অনেক সময় শৃঙ্খলা ও সংযত আচরণ প্রকাশ করতে পারি নাই। আমি ভবিষ্যতে আরও পরিণত আচরণ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আমার ব্যাপারে বোর্ডের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমি সম্মান করি। কিন্তু ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে থাকার চেয়ে কষ্টকর আমার কাছে কিছু হতে পারে না। ক্রিকেট আমার জীবন এবং অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে বাংলাদেশের রং ও বিসিবির লোগো পরে আসছি। এটা আমার জন্য সবচেয়ে গর্বের বিষয়।

বাংলাদেশ দল আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে। আমি জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে ও উজাড় করে খেলি। বাংলাদেশের জন্য আমার সবটুকু উজাড় করে দেব।

আমি বিসিবি ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বড় হয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমার কাছে অনেক বেশি আবেগের জায়গা। আমি সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশ বোর্ডের কাছে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি যেন খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হয়।

সবাইকে ধন্যবাদ।

পাইকগাছা পৌর বাজারের মাছের কাটা



হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত উপজেলা ও পৌর কমিটি নিয়ে বিতর্ক

পাইকগাছায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত; ৩ দিনের মধ্যে কমিটি ভাঙতে আল্টিমেটম

 

কমিটির ৫ নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা


বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দ গত শুক্রবার খুলনায় বসে বিতর্কিত পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করেছেন এমন অভিযোগে উপজেলার বিভিন্ন মন্দির কমিটি ও পৌরসভার ৫ মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক’সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মন্দির সরল কালিবাড়ীতে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র নাথ রায়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন এ্যাডঃ অজিত কুমার মন্ডল, সন্তোষ কুমার সরদার, প্রাণ কৃষ্ণ দাশ, নির্মল চন্দ্র অধিকারী, সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান, সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, মনোহর চন্দ্র সানা, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, অনাথ বন্ধু সরদার, সুভাষ মন্ডল, অনুকূল ব্যানার্জী, সাংবাদিক প্রমথ সানা, সাংবাদিক আশিষ রায় চৌধুরী (মিন্টু), অখিল মন্ডল, পরেশ মন্ডল, গৌরাঙ্গ মন্ডল, অধিবাস সানা, রণজিত মন্ডল, তরুণ মন্ডল, বাবু রাম মন্ডল, সুভাষ বিশ্বাস, মৃনাল সানা, সুশিল সানা, পৌরসভাস্থ ৫ মন্দিরের সভাপতি/ সম্পাদক যাথাক্রমে, অমরেন্দ্র নাথ মন্ডল, সুজন সানা, অজিত কুমার মন্ডল, সুনিল মন্ডল, দেবব্রত রায় প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় গত ১৮ জুলাই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক খুলনায় বসে পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে এই বিতর্কিত কমিটি আগামী ২২ জুলাই এর মধ্যে বিলুপ্ত ঘোষনার জোর দাবি জানানো হয়েছে। উক্ত তারিখের মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত না করলে আগামী ২৫ জুলাই সরল কালি বাড়ীতে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বক্তারা।

তাছাড়া প্রতিবাদ সভা থেকে উপজেলা ও পৌরসভার পকেট কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ যথাক্রমে রতন ভদ্র, জগদীশ রায়, শিবু প্রসাদ সরকার, সুভাষ সানা (মহিম) ও দীলিপ সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।

যদি ঐ কমিটির কেউ স্বেছায় পদত্যাগ করে তাহলে তার বিষয় বিবেচনা করা হবে। উক্ত পকেট কমিটির নেতৃবৃন্দু পৌরসভাস্থ সকল মন্দিরে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থাকবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি রতন কুমার ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায় এবং পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ শিবু প্রসাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সানা (মহিম) সহ নবনির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েন বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার পাখি থ্রি-পিস চাই !

ঈদে পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেয়ায় স্বামীকে তালাক


পাইকগাছা গদাইপুর গ্রামের গৃহবধু শারমিন আক্তার ঈদে পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেওয়ায় তার স্বামী মো. সাইদুল ইসলামকে তালাক দিয়েছেন।


জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সাইদুলের পিতা তোকিম মিয়া তার দুই পুত্রবধুর জন্য ১৪০০ টাকা দিয়ে ২টি শাড়ী ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ছোট পুত্র সাইদুলের স্ত্রী শারমিনকে শাড়ী দেখতে বললে শাড়ী নিবে না বলে তার স্বামী সাইদুলকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দিতে বলে। সাইদুল তার স্ত্রী শারমিনকে বলে আব্বা শাড়ী নিয়ে আসছে তুমি এটা নাও পরে তোমাকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দেব। কিন্তু শারমিন ঈদে শাড়ী নিবে না তাকে পাখি থ্রি-পিস কিনে দিতে হবে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। 

ঝগড়ার এক পর্যায়ে শারমিন তার পিতা ও ভাইকে ফোনে ডেকে নিয়ে আসে এবং শুক্রবার বিকালে শারমিন তার স্বামী সাইদুলকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ী চলে যায়। শারমিন তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বলে ঈদের আগেই বিয়ে করে নতুন স্বামীকে সঙ্গে করে পাখি থ্রি-পিস পরে তোর বাড়ীর এলাকা থেকে ঘুরে যাবো।

আরো জানা গেছে, সাইদুল তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের মির সহিদুল ইসলামের কন্যা শারমিন আক্তারকে দেড় বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সাইদুল মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে বলে প্রায় সে বাপের বাড়ী চলে যেত এবং শ্বশুর বাড়ী আসতে চাইতো না।

পাখি থ্রি-পিস কিনে না দেওয়ায় স্বামীকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

পাইকগাছায় উদ্ধারকৃত দুটি তক্ষক সাপ বনবিভাগে হস্তান্তর

পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মোজাম খাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত তক্ষক সাপ দু’টি আদালত বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নলিয়ান ফরেষ্ট ষ্টেশনের বন প্রহরী চম্পক সাধু তক্ষক সাপ দু’টি গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রাড়ূলী ইউনিয়নের শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত গাজী খাঁর পুত্র মোজাম খাঁর বাড়ি থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে থানা পুলিশ দু’টি তক্ষক সাপ উদ্ধার করে এবং মোজাম খাঁকে গ্রেফতার করে।

কয়রায় আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সড়ক সংস্কার কাজ

কয়রায় আইলা পুনর্বাসন প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজ আড়াই বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। উপজেলা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়ক, কয়রা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ নম্বর কয়রা বাজার সড়ক ও কয়রা ইউপি থেকে সুতিবাজার সড়কের ২৫ কিলোমিটার পুনর্বাসন কাজ আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে। 

এর মধ্যে মাত্র আধা কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সড়কে খোয়া বিছিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।


২০১২-১৩ অর্থবছরের শুরুতে এলজিইডির অর্থায়নে 'আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্বাসন' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী ও মেসার্স শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স কাজটি পায়। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে দু'বার সময় বাড়িয়েও কাজ সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

দেখা গেছে, সাতটি প্যাকেজের ২৫ কিলোমিটার কাজের মধ্যে কয়রা সদর থেকে হায়াতখালী হয়ে গিলাবাড়ি জিসি সড়কের একটি প্যাকেজে মাত্র আধা কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা রাস্তায় এবড়ো-খেবড়োভাবে খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে।

উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম গাজী বলেন, উপজেলার এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ব্যবসায়ীদের মালপত্র আনা-নেওয়া করা হয়। তাছাড়া গিলাবাড়ি বাজারে চিংড়ি মাছের একটি বড় মোকাম রয়েছে। বেহাল সড়কটির কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো মালপত্র পরিবহন করতে পারছেন না।

হায়াতখালী বাজারের চাল ব্যবসায়ী মাওলা বকস বলেন, ঠিকাদার সড়কটিতে খোয়া-বালু ফেলে যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কাজ শেষ করার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর মুন্সী বলেন, চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া এবং কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না । আবারও এ কাজের টেন্ডার হবে এবং কাজটি আমিই পাব।

কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী বাবুল দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কাজটি আড়াই বছর ধরে ঝুলে আছে। এ ছাড়া দরপত্র আহ্বানের সুপারিশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় জনভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ঠিকাদারকে জরিমানা করা হবে।

কয়রায় চিংড়িতে মড়ক ঘের মালিকরা সর্বশান্ত

উপকুলীয় জনপদ কয়রা উপজেলায় সম্প্রতি ঘেরের বাগদা চিংড়ি ব্যাপকহারে মরে যাওয়ায় সর্বশান্ত হতে বসেছেন এ অঞ্চলের কয়েক হাজার চিংড়ি চাষী। এর প্রতিষেধক অথবা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে না পাওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছেন এসব চিংড়ি চাষীরা।

কয়রা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন হোসেন এটাকে চিংড়ির পরিবেশের ওপর হঠাৎ পরিবর্তনের কুফল হিসাবে সনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, চিংড়ি সাধারনত যে তাপমাত্রা ও লবনাক্ততা সহনশীল হঠাৎ তার পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে অধিক বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন জনিত কারনে ঘেরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাগদা চিংড়ি মারা যাচ্ছে। তবে চিংড়ি চাষীরা এটাকে ভাইরাসজনিত কারন হিসাবে মনে করছেন।

কয়রা উপজেলার আটরা গ্রামের চিংড়ি ঘেরের মালিক আসাদুল ইসলাম মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়িদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাদন ও নিজের তিন লাখ মোট ৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ৩৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছিলেন। আশা ছিল জুলাই মাসের মধ্যে তার সমস্ত বিনিয়োগ উঠে লাভের মুখ দেখবেন তিনি। কিন্তু বর্ষার শুরুতেই ঘেরের দু’একটি চিংড়ি মরতে শুরু করে বর্তমানে একেবারেই সব চিংড়ি মরে সারা হয়েছে। যে কারনে ঘেরের আসল টাকা ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

হোগলা মৌজার ঘের মালিক মতিয়ার রহমান বলেন, ১০০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে এ মৌসুমে চিংড়ি চাষ শুরু করেছিলাম। সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু যে মুহুর্তে বেশি চিংড়ি উঠে আসবে ঠিক সে মুহুর্তে মড়কে সব চিংড়ি মরে সাবাড় হয়ে গেছে। এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, কয়রা উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১০ হাজারের মত চিংড়ি ঘের আছে। এর মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে দুই হাজার বাকি সব অপরিকল্পিত চাষাবাদ হয়। গত মৌসুমে এসব চিংড়ি খামার গুলোতে ভাইরাসের আক্রমন কম ছিল। এ বছরের শুরুতে দু’একটি ঘেরে মাছ মারা যাওয়ার খবর ছিল। বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে ১শ’ কোটি টাকার মত ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে বলে জানা যায়। যা এলাকার সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

কয়রা-বেতগ্রাম সড়কের বেহাল দশা

সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) কয়রা-বেতগ্রাম সড়কটির বেহাল দশায় এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটির ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারই এখন যান চলাচলের অনুপযোগী। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ঘন্টার এ যাত্রা পথে ৭-৮ ঘন্টা সময় ব্যয় করে পন্যবাহী ও যাত্রীবাহী কিছু যানবাহন চলাচল করছে সড়কটিতে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।


সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, খুলনা-সাতক্ষিরা মহাসড়কের বেতগ্রাম নামক স্থান থেকে তালা ও পাইকগাছা উপজেলা হয়ে কয়রা উপজেলা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তালা থেকে মাহমুদকাটি পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক। বর্ষার সময় সড়কের পাশে কপোতাক্ষ নদীর পানি উপচে জনচলাচল ব্যহত হয়। এ জন্য সড়কের এসব স্থান উচু করনের কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কটির কয়রা সদর থেকে চাঁদআলী সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বড় বড় খানাখন্দে ভরা। চাঁদআলী সেতু থেকে পাইকগাছা উপজেলার শিবসা সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা কোন রকম চলাচল করা গেলেও পাইকগাছা থেকে তালা উপজেলা হয়ে বেতগ্রাম পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কের ভগ্ন দশায় প্রতিনিয়তই মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। স্থানীয় জনসাধারন অভিযোগ করেন, প্রতি বছর সড়কটি উন্নয়নের নামে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতিই শোনা যায়। উন্নয়ন কাজ হয় না।

খুলনা বিভাগীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির পাইকগাছা লাইন সেক্রেটারি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির উন্নয়ন কাজ ঝুলে থাকায় চরম ভোগান্তি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্ষা শুরু হলে বেশ কিছু দিন সড়কে সকল প্রকার যান বাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদের কারনে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ কিছু স্থানে খোয়া বালি ফেলে সংস্কার করায় গাড়ি চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে দু’তিন গুন সময় ব্যয় করতে হচ্ছে এবং যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়েই চালকরা গাড়ী চালাচ্ছেন।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ‘ডিপার্টমেন্টালি’ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে বেতগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে তালা পর্যন্ত শুরু করা হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগেই কয়রা উপজেলা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারবো।

পাইকগাছার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের পাইকগাছা উপজেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি রতন কুমার ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায় এবং পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ শিবু প্রসাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সানা (মহিম) সহ নবনির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েন বিবৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন, হরিঢালী ইউনিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি শীল, কপিলমুনির সভাপতি বিধান ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দে, লতার সভাপতি অরুন কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক ভূধর চন্দ্র বিশ্বাস, দেলুটির সভাপতি পবিত্র কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র ঢালী, সোলাদানার সভাপতি অধীর কৃষ্ণ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক পরিমল কৃষ্ণ মন্ডল, লস্করের সভাপতি সুবোধ বাছাড়, সাধারণ সম্পাদক নিতাইপদ মিস্ত্রী, গদাইপুরের সভাপতি মিলন রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার ঘোষ, রাড়ুলীর সভাপতি রবীন কর্মকার, সম্পাদক শিবুপ্রসাদ সরকার, চাঁদখালীর সভাপতি শংকর ধর, সম্পাদক রনজিত সরকার, গড়ুইখালীর সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ রায়, সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ মন্ডল।

অনুরূপভাবে বিবৃতি দিয়েছেন,বর্তমান ক্ষমতাশিন দলের ছাত্র সংগঠনের পাইকগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক এস,এম, আমিনুর রহমান লিটু।

উল্লেক্য, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ পাইকগাছা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৪ খুলনার টুটপাড়া গাছতলা মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পাইকগাছা উপজেলা ঐক্য পরিষদ, পাইকগাছা পৌরসভা ঐক্য পরিষদ এবং পাইকগাছা পৌরসভা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৮ জুলাই শুক্রবার বিকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত। পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রতন কুমার ভদ্র‘এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বিজয় কুমার ঘোষ।

নবনির্বাচিত কমিটি ::

পাইকগাছা উপজালা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- রতন কুমার ভদ্র; সাধারণ সম্পাদক- জগদীশ রায়।

পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- শিবু প্রসাদ সরকার; সাধারণ সম্পাদক- সুভাষ সানা (মহীম)।

পাইকগাছা পৌরসভা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ ::
সভাপতি- পার্থ প্রতিম চত্রুবর্তী; সাধারণ সম্পাদক- নন্দ গোপাল সরকার।

এর আগে অঞ্জন কুমার মন্ডল’কে আহ্বায়ক ও মৃণাল কান্তি বাছাড়’কে সদস্য সচিব করে পাইকগাছা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।

পাইকগাছায় মেধাবী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

পাইকগাছায় অস্বাভাবিকভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া অনুজ রায় নামে এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় শোকের মাতাম চলছে। অনুজের বাড়ি উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামে। তার পিতা শেখর রঞ্জন রায় একজন স্কুল শিক্ষক।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমিরপুর গ্রামের শেখর রায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে অনুজ রায় প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার সেরে মা-বাবার সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে অনুজের বুকে ও পেটে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তার পিতা একটি রেনিটিডিন ট্যাবলেট খাইয়ে দেন।

পরবর্তিতে তার ব্যাথা না কমে আরো বেড়ে যেতে থাকে এবং তার কথা বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে অনুজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এদিকে অনুজের মৃত্যুর খবর শুনে গতকাল শুক্রবার সকালে তার সহপাঠি, স্কুল শিক্ষক’সহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান মৃতের বাড়িতে ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, গড়ুইখালী ইউনিয়ন তপতোষ মন্ডল, প্রভাষক আব্দুল্লাহ হক বাবলু, অমরেন্দ্রনাথ, নিহার রঞ্জন সানা, বিজয় রায়, বিষ্ণু সরদার, রাজু আহমেদ’সহ অনেকে।

পাইকগাছায় ভেমরুলের কামড়ে ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু

পাইকগাছায় ভেমরুলের কামড়ে তুলনা বিশ্বাস নামে ৫ বছরের এক শিশু কণ্যার করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তুলনার বাড়ী উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটি গ্রামে। তার পিতার নাম প্রল্লাদ বিশ্বাস।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে তুলনা বাড়ীর পাশের বাগানে নারিকেল আনতে গেলে হঠাৎ একঝাক ভেমরুল তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে দেয় এবং সে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে বেলা ১টার দিকে তুলনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।