Wednesday, March 26, 2014

কপিলমুনিতে যাত্রাপালার নামে উলঙ্গ নাচ চলছেই

ঐতিহ্য রক্ষা নয়, যেন বাণিজ্যের খাতিরেই এবারের বারুণী মেলা। স্নান উৎসব ২৮ মার্চ হলেও মেলা শুরু হয়েছে তারও প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ১৭ মার্চ থেকে। গত বছর মেলা না হলেও এবার ৭ দিনের স্থলে মেলার অনুমোদন মিলেছে ২০ দিনের। চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ বছর মেলাকে অশ্লীলতার সম্পূর্ণ বাইরে রাখার জন্য পুতুল নাচের কোনো প্যান্ডেলের অনুমতি দেয়া না হলেও প্রথম দিন থেকেই যাত্রার নামে শুরু হয়েছে নগ্ন নারীদের অশ্লীল কূরুচিপূর্ণ নগ্ন নাচ।

ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি বারুণী মেলাকে ঘিরে প্রথম থেকেই আয়োজকদের মধ্যে ছিল অন্যরকম প্রস্তুতি। তবে কমিটি গঠনে মতানৈক্য থেকে শুরু করে নানা পসরার আয়োজনে প্রথম থেকেই অশ্লীলতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

স্থানীয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ দু’টি মসজিদ ও কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে কপোতাক্ষ পলিভরাটি জমিতে অনুষ্ঠিত মেলায় ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতসহ যুব সমাজ কলুষিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। অর্থনৈতিক সংকটে মেলাকে ঘিরে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও যথেষ্ঠ অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন ছোট-খাট অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসছেই। মাদক দ্রব্যের ছড়াছড়িও বেড়েছে। ইতোমধ্যে মেলার মাঠ থেকে অজিয়ার নামে এক জলডাকাতকে গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে মেলাকে নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিদ্যমান থকলেও মহাসংকটে রয়েছে অভিভাবক মহল, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সচেতন এলাকাবাসী।

মেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় ৪শ বছর আগে দ্বাপর যুগে কপিল দেব নামে এক মুনি সিদ্ধি লাভ করেছিলেন কপিলমুনির কপোতাক্ষ পাড়ের কালীবাড়ি ঘাটের একটি বটগাছের গোড়ায়। তার নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয় কপিলমুনি বাজার, গড়ে উঠেছিল কালী মন্দির। সেই থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা চৈত্র মাসের মধু কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে কপোতক্ষ নদের এই স্থানে পালন করে আসছে বারুণী স্নানোৎসব।

তাদের ধারনা, এই তিথিতে গঙ্গার পানি এই স্থানে প্রবাহিত হয়। ফলে সেখানে স্নান করলে শরীর গঙ্গার জলের মতো পবিত্র হয়। আরেক অর্থে বরুণ জলের দেবতা আর তার স্ত্রী বারুণী। তবে বারুণীর ইতিহাস নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ঐতিহ্য নিয়ে কারো বিতর্ক নেই।

মেলা উপলক্ষে সেই স্মরণাতীত কাল থেকে কপিলমুনিতে মেলা উপলক্ষে আসে সার্কাস, যাত্রা, যাদু প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, নাগর দোলা। বসে হরেক পসরার বাহারী সব দোকান-পাট। তবে গত কয়েক বছর ধরে মেলায় আগত যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে চলে নগ্ন নর্তকীদের উলঙ্গ নাচ। এতে যুবসমাজ চলে যায় অবক্ষয়ের অতল গর্ভে।

মেলায় অশ্লীলতার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলানার নজিরও রয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রথম পর্বে মেলায় আগত আদি রংমহল অপেরার প্যান্ডেলে যাত্রার নামে সারারাত প্রদর্শিত হয়েছে নগ্ন প্রায় যুবতীদের অশ্লীল নাচ।

মেলায় আগত দর্শকদের অনেকেই বলেন, ‘অশ্লীল নৃত্য দেখতে প্যান্ডেলে লোক সমাগম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। নর্তকীদের যাত্রার নামে বেহায়াপনারও কমতি ছিলনা এতটুকু। বাহারী সব নামের নর্তকীরা একে একে মধ্য রাতে প্যান্ডেলের উন্মত্ত দর্শকদের মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ। তারা মঞ্চে এতটাই বেসামাল ছিল যে, স্বল্প বসনা সত্ত্বেও ব্রা-পেটিকোট খুলে দর্শকদের মধ্যে ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করেনি।

এ সময় প্যান্ডেলের মাইকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হতে থাকে যে, কেউ মোবাইলে নৃত্যের কোনো ছবি বা ভিডিও রেকর্ড করবেন না। ধরা পড়লে তাদের মোবাইল সিজ করে নেয়া হবে। মোবাইল কেড়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।

এছাড়া দর্শক সমাগম বাড়াতে মেলায় আগত দি বুলবুল সার্কাসের নামে চিত্র তারকাদের মিলন মেলা ও তাদেরই আয়োজিত আনন্দ র‌্যাফেল ড্র-তে প্রতি রাতে গেট ও মাঠে বখাটে যুবকদের হাতে মহিলাদের শ্লীলতা হানি করা হচ্ছে। মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী মহিলারা অস্বস্তি বোধ করলেও প্রতিবাদ করছেন না।

এ প্রসঙ্গে যাত্রা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটুক্তি ও মেলা বন্ধে কেউ কিছুই করতে পারবে না বলে দম্ভোক্তি করেন। তাৎক্ষণিক এ খবরে স্থানীয় সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এ ব্যাপারে মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যুগোল কিশোর দে’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবীর উদ্দীন জানান, যাত্রার বিষয় তার কিছু জানা নেই, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

সর্বশেষ মেলার সার্বিক নোংরা পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা। তবে সর্বশেষ দীর্ঘ মেয়াদী মেলায় অশ্লীলতা বর্তমান পরিস্থিতিকে ঠিক কোন পর্যায়ে নিয়ে যায় তাই এখন দেখার বিষয়।

পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার প্রত্যুষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, থানা ও পৌরসভা প্রশাসন, আ’লীগ, বিএনপি’সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

পরে সকাল ৮টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, স্কাউটস’সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীরা ডিসপ্লে ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন এএসপি সাহিদুর রহমান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি এম. মসিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী।

উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, রমেন্দ্রনাথ সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম, রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু, অপু মন্ডল, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, জামাত আলী, এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি, প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম ও ময়নুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া বিকাল সাড়ে ৪টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, বিকাল ৫টায় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে সুখি সমৃদ্ধ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহারের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

পাইকগাছায় হাজার হাজার মানুষের জাতীয় সংগীত পরিবেশন

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ''লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত'' পরিবেশনের সাথে একাত্বতা পোষন করে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলেন পাইকগাছার হাজার হজার মানুষ। 

বুধবার সকালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ঠিক ১১টায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সুরে কন্ঠ মেলান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দীন, এএসপি সাহিদুর রহমান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি এম. মসিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরিফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র সাহা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার।

আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, মিহির বরণ মন্ডল, রমেন্দ্রনাথ সরকার, অধ্যাপক জি. এম. এম. আজাহারুল ইসলাম, জামাত আলী, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু, অপু মন্ডল, প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম, ময়নুল ইসলাম, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি ও সাংবাদিক আব্দুল আজিজ’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ।

লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

৩ লাখ কণ্ঠের সঙ্গে সুর মেলালো কোটি বাঙালি


জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে: ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। একমাঠেই ৩ লাখ বাংলাদেশি গাইলেন তাদের প্রাণের জাতীয় সংগীত। আর ৩ লাখ মানুষের সঙ্গে সুর ধরলেন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা কোটি বাংলাদেশি।

ঘড়ির কাটায় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হল, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’। বাংলাদেশ আর বাংলাদেশিদের প্রাণের এ সুর ছড়িয়ে পড়ল প্যারেড গ্রাউন্ডের বাইরে, সারা বাংলাদেশে। পুরো পৃথিবীজুড়ে যেখানে যতো বাংলাদেশি বাঙালি রয়েছেন তারাও কণ্ঠ মেলালেন লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া জাতীয় সংগীতে।

লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে ৪৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বুধবার বাংলাদেশ উঠে গেল নতুন এক মর্যাদার উচ্চ শিখরে। বাঙালির দেশপ্রেমের অনন্য এক নজির দেখল বিশ্ব। পাশাপাশি লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে বাংলাদেশের নাম উঠল গিনেজ রেকর্ডে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অপেক্ষা।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজের বাড়িতেই স্মৃতিসৌধ !

মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পাইকগাছা পৌরসভার কৌশিক কুমার মন্ডল নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছেন স্মৃতিসৌধ !



নিরবে পেরিয়ে গেল ৫টি বছর.... কেউ মনে রাখেনি গুরুদাসী’কে !

দেশের জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া মানুষটির কথা কেউ মনে রাখেনি। নিরবে পেরিয়ে গেল ৫টি বছর। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮, দিবাগত রাতে সকলের অগচরে না ফেরার দেশে চলে যান বীরঙ্গনা গুরু দাসী মন্ডল।


অথচ তাকে স্মরণ করার জন্য এগিয়ে আসেনি কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বক্তি বা সরকার। আজ অবধি ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়নি তার শেষ স্মৃতি চিহ্ন ইহকালের আবাসস্থল।

বীরাঙ্গনা গুরুদাসী মন্ডল, তুমি পাইকগাছার গর্ব, ভুলবো না তোমায়। কিন্তু মাসি, তুমি হঠাৎ আর এসে বলবে না, ''কেমন আছিস বাবা ? ভালো আছিস তো ? দে কয়ডা টাহা দে, তোরা না দিলি পাব কনে ক।''

স্বাধীনতার এই দিনে Voice of Paikgacha বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে তোমাকে।

মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৪ (পাইকগাছা)

Voice of Paikgacha'র চোখে পাইকগাছা উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস-২০১৪ উৎযাপন

 


পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তোরণ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ


পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ

পাইকগাছায় স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা ছাড়াই পুষ্পমাল্য অর্পণ !!!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জনানোর সময় পাইকগাছা পৌরসভা স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা ছাড়াই পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য, এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দীন‘সহ আরও অনেকে।

অবশ্য যারা স্মৃতিসৌধ এবং শহীদ মিনারের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না, তাদের কাছ থেকে আমরা আর কি বা আশা করতে পারি ?

স্বাধীনতা, তুমি খোকার হাতে একটি রঙিন ঘুড়ি !

স্বাধীনতা, তুমি খোকার হাতে একটি রঙিন ঘুড়ি
শীত সকালে আদর মাখা পাটালী গুড় মুড়ি।

স্বাধীনতা, তুমি মায়ের শাসন, নীবিড় গাড় মমতা
শিশুর প্রথম হেটে চলার মধুর মধুর জড়তা।


Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা !

Voice of Paikgacha'র পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা !