Saturday, September 27, 2014

সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তরুণ প্রকৌশলী রনির মৃত্যু

তার এই চলে যাওয়ায় 'ভয়েস অফ পাইকগাছা' পরিবার গভীরভাবে শোকাহত !


বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী’র জামাতা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ছাত্র সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত তরুণ প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম রনি (৩২) ল্যাব এইডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকাল ৪টার দিকে মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তার মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মরহুমের প্রথম নামাজের জানাযা তার শশুরালয়স্থ ঢাকার পশ্চিম তেজতুরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে দ্বিতীয় জানাযা তার গ্রামের বাড়ি পাইকগাছার মৌখালীতে অনুষ্ঠিত হবে।

স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রনি ব্র্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্সের ক্লাস শেষ করে পশ্চিম তেজতুরী বাজারের বাসায় ফিরছিলেন। ফার্মগেটের আল রাজী হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নামার পর দুটি বাস তাকে চাপা দেয়। এ সময় রনি দুই গাড়ির মাঝখানে পড়লে তার মাথা থেঁতলে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

প্রাথমিকভাবে তাকে আল রাজী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পরে ধানমণ্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি নিউরো সার্জন মাসুদ আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

পাইকগাছার মৌখালী স্কুলশিক্ষক আফসার আলী মোল্লা’র একমাত্র সন্তান রনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে লন্ডন থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে পাঁচ বছর চাকরি শেষে দেশে ফিরে ল্যাবএইড গ্রুপে যোগ দেন। মাত্র ছয় মাস আগে তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী’র একমাত্র কন্যা আনুশা সুমাইয়া’কে বিয়ে করেন।

পাইকগাছার সাংবাদিক তৃপ্তি জেলার শ্রেষ্ট সভাপতি নির্বাচিত

পাইকগাছা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।

গত ২৫ সেপ্টম্বর জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তৃপ্তি রঞ্জন সেন এসএমসি’র জেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমাদ্দার। এর আগে তিনি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হন।

পাইকগাছার গদাইপুর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলন

পাইকগাছায় নির্মল চন্দ্র অধিকারীকে সভাপতি ও আশিষ রায় চৌধুরিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট গদাইপুর ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মল অধিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কমিটি গঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. অজিত কুমার মন্ডল, উদ্ভোধন করেন সংগঠনের উপজেলা আহবায়ক রবীন্দ্র নাথ রায়।

সদস্য সচিব তৃপ্তি রঞ্জন সেন’এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক প্রাণ কৃষ্ণ দাশ, প্রকাশ ঘোষ বিধান, সদস্য সন্তোষ কুমার সরদার, কৌস্তভ রঞ্জন সানা, অনাথ বন্ধু সরদার, পঞ্চানন সানা, গৌরাঙ্গ মন্ডল, চিত্ত রঞ্জন বাছাড়।

বক্তৃতা করেন কল্লোল মল্লিক, সঞ্জয় সরকার, মদন সাধু, অশিষ রায় চৌধুরী, প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, শিক্ষক বিজন অধিকারী ও শিব শংকর রায় চৌধুরী, ডাঃ নিরাপদ কবিরাজ, বিশ্বজিত অধিকারী, পলাশ রায়, অসিত ঘোষ, রঞ্জন সরকার, বিশ্বনাথ দাশ, নির্মল দাশ।

পাইকগাছার লতায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ৩ নং লতা ইউনিয়নে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গা পূজা উপলক্ষে লতা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইউপি সচিব মোঃ জাভেদ ইকবাল এর পরিচালনায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস। সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য বিরেন্দ্র নাথ মন্ডল, জগদীশ মন্ডল, অনাথ বন্ধু মন্ডল, অসিম ঢালী, দিবাশীষ রায়, স্বপন মন্ডল, প্রধান শিক্ষক কালিদাস রায়, সদানন্দ বিশ্বাস, মোঃ ইব্রাহিম গাজী, প্রকাশ সরকার টুকু, পংকজ রায়, গাজী শহিদুল ইসলাম, বিধান রায়, বিপুল বিশ্বাস, নিউটন বিশ্বাস, বিনয় সরকার, রবেন মন্ডল।

জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তরুণ প্রকৌশলী পাইকগাছার ছেলে রনি

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তরুণ প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম রনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। ল্যাবএইড গ্রুপের ফার্মেসি শাখার সফটওয়্যার প্রকৌশলী রনিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
 
স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রনি ব্র্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্সের ক্লাস শেষ করে পশ্চিম তেজতুরী বাজারের বাসায় ফিরছিলেন। ফার্মগেটের আল রাজী হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নামার পর দুটি বাস তাকে চাপা দেয়। এ সময় রনি দুই গাড়ির মাঝখানে পড়লে তার মাথা থেঁতলে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।

প্রাথমিকভাবে তাকে আল রাজী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পরে ধানমণ্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি নিউরো সার্জন মাসুদ আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পাইকগাছার মৌখালী স্কুলশিক্ষক আফসার আলী মোল্লা’র একমাত্র সন্তান রনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে লন্ডন থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে পাঁচ বছর চাকরি শেষে দেশে ফিরে ল্যাবএইড গ্রুপে যোগ দেন। মাত্র ছয় মাস আগে তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী’র একমাত্র কন্যা আনুশা সুমাইয়া’কে বিয়ে করেন।

নয়নাভিরাম পাইকগাছা !

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বিশেষ ফিচার :: পর্যটন শিল্প ও সুন্দরবন প্রসঙ্গ

প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি পর্যটন শিল্পের অপর সম্ভবনাময় দেশ বাংলাদেশ। অর্থনীতির একটি বিশেষ খাত পর্যটন। অনন্য সৌন্দর্যের এ দেশে বিদেশীদের ভ্রমনে আকৃষ্ট করে বিভিন্ন ধরণের সেবা ও সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উজ্জ্ল সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন হতে পারে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শিল্প। 

২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পর্যটন মন্ত্রনালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন কর্পোরেশন, এনজিওসহ বিভিন্ন সংগঠন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সব সম্পদ সমূহের আলোক চিত্র, তথ্য চিত্র তুলে ধরে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমনে আকৃষ্ট করতে গ্রহন করেছে র্যালী, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ।

প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। অপরিমেয় সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে এদেশে। অথচ বহুমুখী সমস্যার আবর্তে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সংকটাপন্ন। পর্যটন শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ সমাধান করতে পারলে এবং উপযুক্ত পর্যটন পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে। সুন্দরবন হতে পারে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

সুন্দরের রানী সুন্দরবন। ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলায়। খুব ভোরে এক রূপ, দুপুরে অন্য রূপ, পড়ন্ত বিকেল আর সন্ধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে সজ্জিত হয়। মধ্য গভীর রাতে অন্য আর এক রূপ। অমাবশ্যায় ভয়াল সুন্দর, আর চাঁদনী রাতে নানা রূপ ধারণ করে সুন্দরী সুন্দরবন পর্যটকদের বিমোহিত করে। বনের ভংয়ঙ্করতা, বাঘের গর্জন, হরিণের চোকিত চাহনি, বানর আর হরিণের বন্ধুত্ব, কুমিরের কান্না, পাকপাকালির কলতান, শ্রবন সুখ সহ বনের বিভিন্ন বৈচিত্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নৈস্বর্গিক দৃশ্য। আবার অশান্ত পানির বুকে উত্তাল ঢেউয়ের উন্মত্ত নৃত্য অবলোকন করে পর্যটক উল্লাসিত, বিমোহিত ও আপ্লুত হয়।

বিশ্বের একক বৃহত্তম বন সুন্দরবন। জগৎ সেরা ও জীব বৈচিত্রের আধার এ বন। সুন্দরবনে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর একমাত্র আবাসভূমি। ১৯৯৭ সালে ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি ও প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনের পর থেকে সুন্দরবন নিয়ে প্রকৃতি প্রেমীসহ বিশ্ববাসীর সুন্দরবন দেখার আগ্রহের শেষ নেয়। যার ফলে, দেশী বিদেশী প্রকৃতি প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সুন্দরবন। এর ফলে সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প।

বনের মোট আয়তন ১০,২৮০ বর্গ কিঃ মিঃ। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। যা দেশে মোট আয়তনের ৪.২ শতাংশ এবং বনাঞ্চলের ৪৪ শতাংশ। এই বনে রয়েছে সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া বাইনসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল এবং ১৩ প্রজাতির অর্কিট। তাছাড়া সুন্দরবনে আছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বানর, গুইশাপ, পাইথন ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ ৩৭৫ প্রজাতি। বনমোরগ, গাংচিল, মদন টাক, ম্যাচলসহ ৩০০ প্রজাতির বেশি পাখি। জালের মত বিছানো প্রায় ৪৫০টি ছোট বড় নদী ও খাল। এতে রয়েছে কুমির, হাঙর, ডলফিন, ইলিশ, ভেটকিসহ প্রায় ২৯১ প্রজাতির মাছ।

প্রানী ও বৃক্ষের বৈচিত্রময় সমাহারে এ বন বৈজ্ঞানিক নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্বিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্রের কারনে পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান। ভয়াল সৌন্দর্যের প্রতীক এ বন। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা উপেক্ষা করে প্রতি বছরই সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চারটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে।

সুন্দরবনে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, চাঁদপাই ও শরণখোলা এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে একটি প্রকল্প তৈরী করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য সুন্দরবনে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে সুন্দরবন।

সুন্দরবন হতে পারে বিশ্বের সেরা সম্পদ। এর ফলে বনের সুরক্ষার কাজ হবে শক্তিশালী। উপকূল এলাকায় লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অবহেলিত জনপদের প্রান চাঞ্চল্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিকশিত হবে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প। বিশ্বের পর্যটকদের আগমনে বৃদ্ধি পাবে বৈদেশিক মুদ্রা। যা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবন পর্যটন শিল্পকে পরিচিত ও আকর্ষনীয় করে তোলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বে-সরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন একান্ত প্রয়োজন।

----প্রকাশ ঘোষ বিধান

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস

বিশ্ব পর্যটন দিবস (ইংরেজি: World Tourism Day) ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে। জাতিসংঘের অধীনস্ত বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে সকল সদস্য দেশে এটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা। এছাড়াও, পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এ দিবসের অন্যতম লক্ষ্য।

Friday, September 26, 2014

দীর্ঘ ৩ বছরেও পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়ক যানবাহন চলাচল উপযোগী হয়ে ওঠেনি

৩ বছরেও আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাব, জনপ্রতিনিধিদের স্বদিচ্ছার ঘাটতি, রাজনীতিবিদদের অসহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের গাফিলতিই রাস্তা মেরামত না হবার মূল কারণ বলে এলাকাবাসীর অভিমত।

এদিকে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে জেলার পাইকগাছা, কয়রা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও তালা উপজেলার (অত্র সড়ক ব্যবহারকারী) ৫/৭ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান মারাত্মকভাবে ব্যয়বহুল ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাইকগাছার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে।

ফাইল ফটো
জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানি ও প্রবল বর্ষণে তালা ব্রীজ মোড় থেকে কাচিঘাটা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বাস মালিক সমিতি ২০১১ সালের ৯ আগস্ট থেকে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। শুধু যাত্রীবাহী বাস নয় ওই সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাস ২ পর পানি নেমে গেলেও রাস্তাটি সম্পূর্ণ ধসে যায়। সেই থেকে অদ্যবধি রাস্তাটি ভাঙাচোরা রয়েই গেছে।

পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের এ ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা অত্রাঞ্চলের মানুষের গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, ঢাকাগামী পরিবহন, ট্রাক-পিকাপ, মাইক্রো-প্রাইভেটসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। আর ঢাকাগামী পরিবহনগুলো তো পাইকগাছায় ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে সেই ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে (যদিও মাঝে অল্প কিছুদিন সরাসরি চলাচল করেছিল)।

পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল বলেন, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এর প্রভাবটা গিয়ে পড়ছে আপামর জনসাধারণের উপর। সব ধরনের ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে রাস্তার কারণে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পরিবহন খরচ বেশি, তাই তরিতরকারীসহ এখানকার প্রতিটি জিনিষপত্রের দামও বেশি।

ক্ষোভের সাথে এলাকাবাসি বলেন, খুলনা, ঢাকা তথা সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি যেন আমাদের মরণফাঁদ। ঢাকা থেকে তালায় এসে পরিবহন থেকে নেমে ভেঙে ভেঙে নসিমন-করিমনের ঝাঁকুনিতে পাইকগাছা পর্যন্ত পৌছাতে যে কি কষ্ট তা শুধু এ রাস্তায় যারা চড়েছেন তারাই বলতে পারবেন।

দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঈদ-পূজায় অনেকে বাড়িতে আসতে পারেন না। যদিও সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাত্রীবাহী বাস, এমনকি পরিবহন গুলোও সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে।

পাইকগাছায় ফুটপাত ভাড়া দিয়ে টাকা আদায়

পাইকগাছা পৌর বাজার অভ্যন্তরের প্রধান সড়কের দু’ধারের দোকানীরা নিজ নিজ দোকানের সামনের ফুটপাত খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করছেন। এমনিতেই রাস্তাটি অপ্রশস্ত, তার উপর রাস্তার দু’ধারের ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন সামগ্রি রেখে বেঁচাকেনা করায় জনসাধারণের হাটা চলাফেরায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

বাজার ত্রিমোহিনী মোড় থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ফুটপাতের উপর অর্ধশতাধিকেরও বেশি টোল দোকান রয়েছে। অত্র রাস্তায় মালবাহী ভ্যান-রিক্সা, নসিমন-করিমন চলাচল করছে অহরহ। ঈদ-পূজার কেনাকাটায় মানুষজনের ভিড়ে বাজার অভ্যন্তরে এক ধরনের ঘিঞ্জি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জনদুর্ভোগ লাঘবে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

মা কে নিয়ে সেরা ১০টি উক্তি ::

১. হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন তোমাদের জন্য মায়ের পায়ের নিচেই রয়েছে তোমাদের জান্নাত।

২. আব্রাহাম লিংকন- যার মা আছে সে কখনই গরীব নয়।

৩. জর্জ ওয়াশিংটন- আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার মা। মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনের সমস্ত অর্জন তারই কাছ থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর শারিরীক শিক্ষার ফল।

৪. জোয়ান হেরিস- সন্তানেরা ধারালো চাকুর মত। তারা না চাইলেও মায়েদের কষ্ট দেয়।আর মায়েরা তাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্তানদের সাথে লেগে থাকে।

৫. এলেন ডে জেনেরিস- -আমার বসার ঘরের দেয়ালে আমার মায়ের ছবি টাঙানো আছে, কারণ তিনিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

৬. সোফিয়া লরেন-- কোন একটা বিষয় মায়েদেরকে দুইবার ভাবতে হয়-একবার তার সন্তানের জন্য আরেকবার নিজের জন্য।

৭. মিশেল ওবামা--আমাদের পরিবারে মায়ের ভালোবাসা সবসময় সবচেয়ে টেকসই শক্তি। আর তার একাগ্রতা, মমতা আর বুদ্ধিমত্তা আমাদের মধ্যে দেখে আনন্দিত হই।

৮. নোরা এফ্রন--মা আমাদের সবসময় এটা বুঝাতে চাইতেন যে জীবনের চরম কষ্টের মূহুর্তগুলো তোমাদের হাসির কোন গল্পের অংশ হয়ে যাবে এক সময়।

৯. শিয়া লাবেউফ-- সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে আবেদনময়ী আমার মা।

১০. দিয়াগো ম্যারাডোনা-- আমার মা মনে করেন আমিই সেরা আর মা মনে করেন বলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি।

পৃথিবীতে মা ছাড়া আর কাউকে আপন মনে হয় না।

মাকে ছাড়া আর কাউকে তেমন বিশ্বাস করতে পারিনা।

মা হলো একমাত্র আপনজন যাকে ভালোবাসতে কোনো কারন লাগেনা।

মা তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি মা !

পরম পবিত্র ত্রিত্বের গীর্জা; পাইকগাছা ক্যাথলিক মিশন

রাত জেগে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন ভাস্কররা

পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার পূজা মন্দিরে রাত জেগে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন ভাস্কররা। 

ছবি পাঠিয়েছেন :: Pallab Kumar Nath.

দুর্গা পূজায় পাইকগাছার শিববাটীতে নববৃন্দাবন তৈরী করে বৃহৎ উৎসবের প্রস্তুতি

পাইকগাছার শিববাটী পূজা মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গনে নব বৃন্দাবন সাজিয়ে সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। শারদীয় দুর্গা পূজার মন্দিরে মূল প্রতিমা বাদে মন্দির প্রাঙ্গনের তিন পাশে ১৫০ শতাধিক প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল প্রতিমা স্থাপন করা হচ্ছে। যা এ উৎসবের আরো শ্রীবৃদ্ধি করবে।

হিন্দু ধর্মের চারযুগের সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের বিভিন্ন ধর্মীয় অবতারের কিছু কিছু কাহিনী নিয়ে বৃন্দাবন তৈরী করা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোলঘর, ঝর্না ও উঁচু টাওয়ার নির্মাণসহ প্যান্ডেলের সাজ ও আলোক সজ্জার কাজ চলছে।

জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস ধরে প্রতিমা তৈরীর কাজে তিনজন ভাস্কর নিরলসভাবে কাজ করে প্রতিমা তৈরী করছে। প্রতিমা প্রস্তুতিসহ পূজা সম্পন্ন পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পূজা মন্দিরের সভাপতি সুজন কুমার সানা জানান, আমাদের শিবাটী পূজা মন্দির কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ বছর যাবৎ নববৃন্দাবন তৈরী করে পূজা করার বাসনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আমরা পূজা কমিটির লোকজন পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরকে নববৃন্দাবন তৈরী করে পূজা করার বিষয়টি অবহিত করি। বিষয়টি জানার পর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়ান।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, শিববাটী মন্দির কমিটির অধিকাংশ সদস্যরা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকলেও তাদের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা জানার পর আমি এ উৎসবে সহযোগীতার হাত বাড়াই। এ উৎসবকে আরো নতুন করে সাজানোর ইচ্ছা ছিল, তবে সময় স্বল্পতার জন্য সম্ভব হয়নি। আমি উপজেলার শিবাবাটীর এ বৃহৎ উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

শিববাটীর এ উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার আমুর কাটাতে অনুরুপ শতাধীক বিগ্রহ তৈরী করে বৃহৎ শারদ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে।

ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলোর সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু

আজ থেকে ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলো সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল শুরু করেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন গুলো ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পাইকগাছা পৌরসভাস্থ পরিবহন কাউন্টারে পৌছায়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে পাইকগাছা-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হলেও ঢা.পা. রুটের পরিবহন গুলো পাইকগাছায় না এসে ঢাকা-তালা চলাচল করছিল।

পূজা এবং ঈদে পাইকগাছায় ফেরা এই রুটের ভুক্তভোগী যাত্রীদের জন্য সুখবর বটে !

Thursday, September 25, 2014

সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক ভূমিকা ও মফস্বল সাংবাদিকদের প্রত্যাশা

এক সময় সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে দেশের সকল মানুষের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। স্বাধীনতা পরবর্তী গত ৪৪ বছরে সংবাদ মাধ্যমে ঘটেছে ব্যাপক সম্প্রসারণ।

প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্য নতুন চ্যানেল, সংবাদপত্র ও অনলাইনের সংখ্যা। প্রায় অর্ধশত বছর আগে ভূমিষ্ট হওয়া স্বাধীন দেশের সংবাদ মাধ্যম পরিণত হয়েছে গণমাধ্যমে। অবাধ তথ্য সরবরাহ, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখা, মানবাধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করা, কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার মাধ্যমে স্থান করে নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। যদিও চলার পথটি সব সময় সুগম ছিল না। মাঝে মধ্যে অগণতান্ত্রিক সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে হোচট খেতে হয়েছে গণমাধ্যমের।

নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যাদের সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে তারাই আজ অনেকটাই উপেক্ষিত। অর্থাৎ গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। বিশেষ করে, মফস্বল সাংবাদিকরা।

শহর কেন্দ্রিক সাংবাদিকদের কিছুটা সুযোগ সুবিধা থাকলেও মফস্বল সাংবাদিকরা না পায় বেতনভাতা, না পায় কোন সুযোগ সুবিধা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় দেশের মফস্বল সাংবাদিকদের। সুবিধাবঞ্চিত এসব সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রয়োজন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক মনোভাব। গণমাধ্যম নিয়ে সরকারের মনোভাব যাই হোক সাংবাদিকদের কল্যাণে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটাই সাংবাদিক বান্ধব। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬ বছরে তিনি ২৮ হাজার ৬শ ১৯জন দুঃস্থ ও অসহায় সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ১ হাজার ৭৯৯ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন।

তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের ৩য় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৪৭১ জন সাংবাদিককে ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার ২২৮ টাকা, ২০১০ সালে ৩ হাজার ৬৪৫জনকে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৪ টাকা, ২০১১ সালে ৩ হাজার ৩৩২ জনকে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯০ টাকা, ২০১২ সালে ৩ হাজার ৩০৯ জনকে ১৯ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ৯৪৫ টাকা, ২০১৩ সালে ১০ হাজার ৪৩৭ জনকে ৯৫ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯০ টাকা এবং ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ৪২৫ জন ইলেকট্রিক, প্রিন্ট ও অনলাইনের দুঃস্থ ও অসহায় সাংবাদিককে দেয়া হয় ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৪২২ টাকা। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্যবহুল এ খবরটি পরের দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে ছাপানো হয়। সংবাদটি পড়ে গত প্রায় ৬ বছরে সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের পরিসংখ্যানটি জানতে পারলাম।

সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসিত। পেশা একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি সহায়তার ক্ষেত্রে মফস্বল সাংবাদিকদের অধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানাই। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা অব্যাহত থাকবে সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনটাই প্রত্যাশা সাংবাদিক সমাজের।

----মোঃ আব্দুল আজিজ

পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাইকগাছার পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভর্ণিং বডির সদস্যগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গড়ইখালীস্থ পাতড়াবুনিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার একাডেমিক ভবন নিজ বাসা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। মাদরাসার ছাত্র/ছাত্রীদের মান-সম্মত শিক্ষা না দিয়ে খামখেয়ালীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করছেন। ২০০৫ সালের পর থেকে তিনি আয়-ব্যয়ের হিসাব দেননি।

সুপার পদে বেতন ভাতা উত্তোলন করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন, কমিটির সদস্যগণকে না জানিয়ে গোপন রেজুলেশনের মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনা করাসহ তিনি শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অধ্যক্ষকে পাওয়া যায়নি।

কপিলমুনিতে এক প্রতারক আটক; অতঃপর মুক্ত

কপিলমুনির মামুদকাটীতে এক প্রতারককে স্থানীয় জনতা ধরে পুলিশে দেয়। অতপর স্থানীয় ফাড়ী পুলিশ তাকে মুক্তি দিয়েছে। জানা যায়, কপিলমুনির পাশ্ববর্তী মামুদকাটী গ্রামের অরুন বিশ্বাসের ছেলে দীপংকর বিশ্বাস (৪০) মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু দিন পূর্বে দীপংকরের পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য কলকাতায় পাঠায়। এ সময় রোগীর সাথে একই গ্রামের মুকুন্দ দত্তকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে পাঠানো হয়।

রোগীর ভাই উত্তম জানান, চিকিৎসা খরচ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা দিলেও আমার দাদা কে সে উন্নত চিকিৎসা দেয়নি, এবং সে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনায় দাদা (দীপংকর) মারা যান। এদিকে এ ঘটনায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জনতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন মামুদকাটী বাজারে মুকুন্দকে পেয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলে।

খবর পেয়ে হরিঢালী ফাঁড়ী পুলিশ ওই স্থান থেকে মুকুন্দকে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। উল্লেখ্য, মুকুন্দ মামুদকাটী গ্রামের মৃতঃ অনাথ দত্তের ছেলে।

এ ব্যাপারে হরিঢালী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, আমি প্রশাসনিক কাজে বাইরে আছি; তবে সম্ভাবত মামুদকাটীর ইউপি মেম্বরের জিম্মায় মুকুন্দকে ছাড়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।

মামুদকাটী ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর কুমারেশ দে জানান, পুলিশ মুকুন্দকে তার ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।

Wednesday, September 24, 2014

24/7 We make you feel at home ! and....

পাইকগাছায় আমজাদ আলী পাবলিক লাইব্রেরিকে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের চেক প্রদান

পাইকগাছায় হেডমাস্টার আমজাদ আলী পাবলিক লাইব্রেরি'কে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকালে লাইব্রেরির নির্বাহী সভাপতি এড.এম. মাফতুন আহম্মেদের নিকট চেকটি তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন। 

এ সময়ে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক অখিল কুমার সরকার, অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস, এ্যাড.শফিকুল ইসলাম কচি, এ্যাড.অজিত কুমার মন্ডল, এ্যাড.মুজিবর রহমান, এ্যাড.আব্দুস সাত্তার মালি, লাইব্রেরির সম্পাদক সাংবাদিক আলাউদ্দিন রাজা, এ্যাড.আবদুল্লাহ-আল-মামুন, এ্যাড.সুকুমার দেবনাথ, এ্যাড.সেলিনা আক্তার, এ্যাড. মোহতাসিম বিল্লাহ, এ্যাড. দিপংকর সাহা, ইকবাল আহম্মেদ, মোস্তফা মোড়ল ও মোনায়েম আহম্মেদ।

পাইকগাছায় সাংবাদিক তৃপ্তি এসএমসি’র উপজেলার শ্রেষ্ট সভাপতি নির্বাচিত

পাইকগাছা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তৃপ্তি রঞ্জন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার ২৫নং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে গত ০৩/০৫/১২ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষিকা/ব্যক্তি/কর্মকর্তা ও কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান বাছায় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তৃপ্তি রঞ্জন সেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীলিপ কুমার ঘোষ।

এ ছাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদে্যুাৎসাহী সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অবঃ) আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক হয়েছেন রেজাকপুর কাশিমনগর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুজ্জামান, শিক্ষিকা হয়েছেন মেলেক পুরাইকাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা ঘোষ, কপিলমুনি সঃ প্রঃ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, কাব শিক্ষক হয়েছেন পাইকগাছা মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ কুমার সরকার ও শ্রেষ্ঠ কাব শিশু নির্বাচিত হয়েছেন মুনকিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মনীষা রায়।

পাইকগাছা সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের সহঃ শিক্ষিকাকে বদলীর দাবী !

অবশেষে বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার বরাবর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ


জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ১৪ মে পাইকগাছা সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের পর সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা কর্তৃক নানাভাবে হয়রানী ও মারপিটের শিকার স্কুলের অবুঝ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষিকা সম্পর্কে গোপন তথ্য ফাঁস করায় কোমলমতি ঐ সব শিক্ষার্থীরা এখন চরম বিপাকে। শিক্ষিকার আক্রমনাত্মক আচারণের শিকার খোদ অভিভাবরাও।

আর এমন এক পরিস্থিতির শিকার হয়ে অবশেষে সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদাকে অন্যত্রে বদলীর দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। যার অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার ৫নং সলুয়া গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল আক্তার খানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য উপস্থাপন করার অভিযোগ এনে ইতোপুর্বে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্কুলের আলোচিত সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা আক্তার। যা নিয়ে বিগত ১৪ মে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশোক কুমার সমাদ্দার সরেজমিন ঘটনার তদন্ত করেন। এ সময় স্কুলের অভিভাবক সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহঃ শিক্ষিকা খুরশিদা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

এমতাবস্থায় খুরশিদা সম্পর্কে গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয় অবুঝ শিক্ষার্থীরা। আর সেটাই অবুঝ শিক্ষার্থীদের জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উপর নানা হয়রানীর খেলা শুরু করেছেন আলোচিত শিক্ষিকা খুরশিদা। মারপীট থেকে শুরু করে তিনি এখন স্ব-মুর্তিতে। শুধু তাই নয়, স্কুলের অভিভাবকদের উপর আক্রমনাত্মক ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সময় আলোচিত ঐ শিক্ষিকা কর্তৃক একাধিক অভিভাবক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। উপায়ন্তু না পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে শিক্ষিকা খুরশিদার ক্ষমতার দাপট যেন দ্বিগুন বেড়ে যায়।

সূত্রমতে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে আলোচিত শিক্ষিকা খুরশিদার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। ফলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের কোন কথায় তারা শুনতে পাননা। উপায়ন্তু না পেয়ে ভুক্তভোগীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন পাঠিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। সর্বশেষ ভুক্তভোগী অভিভাবকরা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। যার অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রনালয়’সহ ৭ দপ্তরে প্রেরীত হয়েছে।

এলাকার অভিভাবকদের দাবী শিক্ষিকা খুরশিদাকে অন্যত্রে বদলী করে স্কুলটিকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক। তা নাহলে ঝরে পড়বে কোমলমতি অবুঝ শিক্ষার্থীরা। কলঙ্কিত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পাইকগাছায় নবলোকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় টেকসই পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্পের ওয়াস সম্পর্কিত দায়িত্ব কর্তব্য বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। পাইকগাছা পৌরসভা ও নবলোকের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নবলোকের উপজেলা ব্যবস্থাপক মোঃ মঈনউদ্দীন শেখের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবলোকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান সেতু, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হালিম, কাউন্সিলর শেখ মাহবুবর রহমান রঞ্জু, কাজী নেয়ামুল হুদা কামাল, এস,এম, ইমদাদুল হক, আসমা আহমেদ।

উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সুপার ভাইজার সুমন হাসান খান, হাইজিন প্রমোশন এণ্ড ট্রেনিং অফিসার মোঃ ইজাজুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল আকতার, সবিতা রাণী বাবুল আক্তার, আলতাপ হোসেন, শাহ আলম, তপতী রাণী, মঞ্জু রাণী, হাফিজা খানম, লক্ষ্মী রাণী, নিরোজ কান্তি রায়, কামরুল ইসলাম, লতিফা খানম ও টুম্পা খাতুন।

২ দিনের প্রশিক্ষণে ৩টি ব্যাচে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ডব্লিউএলসিসি সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

পাইকগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম. বাবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম, কবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সবুর, রাজীব গাঙ্গুলী, খোরশেদুজ্জামান, মিহির গোলদার, ওবাইদুল্লাহ ও সুশীলনের চম্পা দাশ।

পাইকগাছায় গাজা বিক্রেতাকে এক বছরের কারাদন্ড

পাইকগাছায় আটক এক গাজা বিক্রেতাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

থানা পুলিশের এ.এস.আই সোহেল রানা বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে আলমতলা জনৈক নজরুলের দায়ের দোকানের সামনে থেকে একই এলাকার মোঃ আব্দুস সাত্তার সানার পুত্র খুচরা গাজা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান (৩০) কে ৫ পুরিয়া গাজাসহ আটক করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক গাজা বিক্রেতাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

Tuesday, September 23, 2014

পাইকগাছায় নবলোকের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় টেকসই পরিবেশ সহায়ক স্বাস্থ্য উদ্যোগ প্রকল্পের ওয়াস সম্পর্কিত দায়িত্ব কর্তব্য বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাইকগাছা ও নবলোকের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কর্মচারী ক্লাব ভবনে নবলোকের উপজেলা ব্যবস্থাপক মোঃ মঈনউদ্দীন শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবলোকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান সেতু, প্রশিক্ষক ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হালিম।

উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সুপার ভাইজার সুমন হাসান খান, হাইজিন প্রমোশন এণ্ড ট্রেনিং অফিসার মোঃ ইজাজুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল আকতার, মুজিবর রহমান, লুৎফর রহমান, আব্দুল হামিদ সানা, ফতেমা বেগম, মিজানুর রহমান, রেজাউল করিম, নাজমিন নাহার ও আজিবার রহমান।

পাইকগাছায় টিডিআর সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় টিডিআর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে কপোতাক্ষ মার্কেটস্থ কার্যালয়ে সংগঠণের সভাপতি তন্ময় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক গফুর হোসেন ডাবলু, কামাল হোসেন, শেখ মিরকান হোসেন, আকরাম হোসেন, বাবলু, তরুন রায় ও চিন্ময়।

পাইকগাছায় শারদীয় দুর্গোৎসব পালন উপলক্ষ্যে আইন শৃংখলা কমিটির সভা

পাইকগাছায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শারদীয় দুর্গোৎসব পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এড. স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন ও শাহানারা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ওসি সিকদার আককাছ আলী, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমিরণ কুমার সাধু।

আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা আহবায়ক রবীন্দ্র নাথ রায়, জেলা নেতা এ্যাড. অজিত কুমার মন্ডল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, মনোহর চন্দ্র সানা, প্রাণ কৃষ্ণ দাশ, সন্তোষ কুমার সরদার, প্রকাশ ঘোষ বিধান, অধ্যাপক (অবঃ) রমেন্দ্র নাথ সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সদস্য সচিব তৃপ্তি রঞ্জন সেন, প্রেসক্লাব সভাপতি জি, এম, মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিন্টু, সাংবাদিক বি. সরকার ও স্নেহেন্দু বিকাশ, সুনীল মন্ডল, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, উপজেলা পুলিশিং কমিটির সাধারন সম্পাদক দাউদ শরীফসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদক ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি বরাদ্দকৃত চাউল পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য এড. শেখ মোঃ নুরুল হক মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে একইস্থানে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাইকগাছায় প্রতিমা তৈরীর কারিগররা

পাইকগাছায় আজ শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হলো সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার অানুষ্টানিকতা। এদিকে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে পাইকগাছা উপজেলার মন্ডপ গুলিতে চলছে শেষ মুহুর্তে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা তৈরীর কারিগররা। অনেকে ইতোমধ্যে রং এর কাজ শেষ করে ফেলেছেন। 

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার মা দুর্গাদেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, বাঁশি বাজবে প্রতিটি মন্ডপগুলিতে। এবার মা দূর্গা মর্তলোকে অর্থাৎ বাপের বাড়ী আসবেন নৌকায় চড়ে আর ৩ অক্টোবর শুক্রবার দেবী দোলায় চড়ে মর্তলোক ছেড়ে শ্বশুড়বাড়ী চলে যাবেন। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিন ব্যাপী বৃহৎ এ দুর্গোৎসব।

পূজারী শংকর ভট্যাচার্য জানিয়েছেন, মা এর আগমনে এবার ঝড় বৃষ্টি বেশী হবে। তবে দেবী এসে ধরণীতে গড়ে তুলবেন শষ্য ভান্ডার। আর দুর করবেন যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার। এদিকে দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ইতিমধ্যে অনেক মন্ডপে দেবীর আকৃতি মুর্তিতে মাটির লেপন শেষ হয়েছে। আবার দু’ একটি মন্ডপে আলপনা ও রং তুলি টানা শুরু হয়ে গেছে।

শেষ মুহুর্তে ভাস্কররা এখন দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর কাজে। আনন্দ ঘন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে চলছে কারিগরি শিল্প নৈপুন্য। ভাস্কর কম থাকায় এক একজন ভাস্কর বেশ কয়েকটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ করে যাচ্ছেন। পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরীর মুল্য একটু বেশী পড়ছে।

এদিকে আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে উপজেলার জনপদে আনন্দের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। হিন্দু ধর্মালম্বীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে বৃহৎ এ দুর্গা উৎসব পালনের। হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরে চলছে নতুন জামা-কাপড়সহ ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা-কাটার ধুম। কেউ আবার অগ্রিম শুভেচ্ছাসহ নিমন্ত্রণ দেয়ার কাজও ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন।

এ বছর উপজেলায় গতবছরের থেকে একটি বেশী অর্থাৎ ১৩৮টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় মোট ১৩৮টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় একটি বেশী। পৌর সদরে ৫টি, হরিঢালীতে ১৭টি, কপিলমুনিতে ১৪টি, লতায় ১১টি, দেলুটিতে ১৩টি, সোলাদানায় ১৪টি, লস্করে ১৭টি, গদাইপুরে ৪টি, রাড়ুলীতে ১৯টি, চাঁদখালীতে ১৩টি এবং গড়ইখালীতে ১১টি দূর্গা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শুভ মহালয়া !


Monday, September 22, 2014

পাইকগাছায় ১৩৮টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা

পাইকগাছায় সাড়ম্বরে চলছে শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন পূজা মন্দিরগুলোতে প্রতিমা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। চলছে রং তুলির আর সাজসজ্জার বাহারি উপকরণ দিয়ে প্রতিমা আর্কষণী করে তোলার কাজ। দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সর্বত্রই সাজসাজ রব। শিল্পীরা ব্যস্ত প্রতিমাকে আরো রূপ-মাধূর্যে পরিপূর্ণ করে তুলতে। কারীগর ব্যস্ত মঞ্চ-প্যান্ডেল স্থাপনে। এগিয়ে চলছে অন্যান্য কাজও। 

জেলার অধিকস্থানে পূজা হচ্ছে পাইকগাছা উপজেলায়। এ উপজেলায় ১৩৮টি পূজামন্ডপে এখন চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিমূলক আয়োজন। দূর্গাদেবীর আবাহন বা মহালয়া, তারপর দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্যোদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনের মহা দূর্গোৎসব। প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।

এবার উপজেলার কপিলমুনিতে পূজার পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানান, উপজেলার পৌর সদর ও কপিলমুনিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবার পূজা উদযাপন কমিটি আড়ম্বরপূর্ণভাবে প্রতিমার নকশা, লাইটিং ও ডেকোরেশন এর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।

উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের ১৩৮টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জনসমাগমের ভিত্তিতে ৩২টি পূজা মন্দিরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র পক্ষ থেকে সবাইকে শুভ মহালয়া’র অগ্রিম শুভেচ্ছা !


আগামীকাল ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।

A 'Voice of Paikgacha' Campaign.


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ডিগ্রির ফল প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের ‘ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স’ চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারে পাশের হার ৭৮.০৬ শতাংশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান। তিনি জানান, এ ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.edu.bdwww.nubd.info এবং যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে ফলাফল জানা যাবে।

এছাড়া ২০১১-১২ সেশনের ১ম বর্ষ এবং ২০১০-১১ সেশনের ২য় বর্ষের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট পরীক্ষার বর্ষোত্তীর্ণ পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হয়েছে।

পাইকগাছায় ৩ দিনের হরতালে প্রভাব পড়েনি জনজীবনে

পাইকগাছায় গত ৩ দিনের পৃথক হরতালে কোন প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। জামায়াত-বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
 
জানা গেছে, ২০ দলের ডাকা সোমবারের হরতালে বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। হরতাল সমর্থনে সংগঠণের পক্ষ থেকে মিছিল কিংবা পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি।

অপরদিকে রোববার ও বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতালেও ছিল না জামায়াতের কোন কর্মসূচী। সব মিলিয়েই ২০ দল ও জামায়াতের ডাকা ৩ দিনের হরতালে কোন প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। প্রতিদিন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যানবাহনও চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

এ ব্যাপারে পৌর বিএনপির এক নেতা জানান, বর্তমানে সংগঠণের দেখভাল করার মত তেমন কেউ না থাকায় গ্রেপ্তার এড়াতেই নেতাকর্মীরা কর্মসূচী থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখেছে।

দীর্ঘ সাড়ে চার মাসেও কয়রার তের আউলিয়া জলমহালের ইজারা হয়নি

কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া খাল (বদ্ধ) জলমহাল গত সাড়ে ৪ মাসেও প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে ইজারা দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইজারায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠান। পৃথকভাবে গঠিত তদন্ত কমিটি মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে মতামত দিলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজস্ব হারাতে বসেছে সরকার।

দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার তের আউলিয়া (বদ্ধ) জলমহালটি ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করে ইজারার জন্য গত ২০ মার্চে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ১৭ এপ্রিল ছিল দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ। উক্ত জলমহালের জন্য কয়রা উপজেলার দু’টি সমিতি দরপত্র দাখিল করেন পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (৭ লাখ ৩২ হাজার ৫শ’ টাকা) এবং মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ (৭ লাখ ১০ হাজার টাকা)।

গত ২০ এপ্রিল জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ১ম সভার প্রতিবেদন যায়, পাটুলিয়া দশবাড়িয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট কেস নং-১৮১/রাজ/১২-১৩ বিদ্যমান। ফলে সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০০৯ এর ৫ (৪)(ছ) এবং ইজারা বিজ্ঞপ্তির ১১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উক্ত সমিতি অযোগ্য।

কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত ৩টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা পৃথকভাবে তদন্ত রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যাবধি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি । সর্বশেষ তদন্ত কমিটি মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর অনুকূলে পূর্বের কমিটির মতামতে গত ১৩ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে আজ দুপুর ১২টায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় পর্বের বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্ত কমিটি দেয়া মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মৎস্যজীবিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেলা সমবায় কর্মকর্তা খুলনা; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কয়রা; রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), খুলনা এবং স্থানীয় আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, দু’টি সমিতির মধ্যে মসজিদকুড় রূপালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ একটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং তারা জলমহালের তীরবর্তী। ফলে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতির আলোকে উক্ত সমিতিই ইজারা প্রাপ্তির যোগ্য।

পাইকগাছায় হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় (!!!)....

জামায়াত-বিএনপির ৪ নেতাকর্মী আটক; ২ জনকে আদালতে সোপর্দ


পাইকগাছায় হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় জামায়াত-বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, ২০ দলের ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় সোমবার ভোরে থানার এস.আই জালালউদ্দীন ও এস.আই বিশ্বজিৎ অধিকারী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা ভবানীপুর গ্রামের মৃত নুর বক্স সানার পুত্র জামায়াতনেতা বজলুর রহমান (৫৪) ও বাঁকা ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত ছমির মোড়লের পুত্র শহিদুল মোড়ল (৩৫), দুপুরে আদালত সংলগ্ন এলাকা থেকে শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মৃত মিনাজ গাজীর পুত্র জামায়াতনেতা মোঃ ইসহাক আলী গাজী (৭৮) এবং পরিবহন চত্ত্বর এলাকা থেকে লতা ইউনিয়ন কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বাহিরবুনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বাহার (৪৪) কে আটক করেন।

এ ব্যাপারে ওসি সিকদার আককাস আলী জানান, আটককৃতদের মধ্যে ইসহাক গাজী এবং আমিনুল ইসলাম বাহারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয় ও জামায়াত নেতা বজলু ও শহিদুলকে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা ৩৪ (১০) ১৩ নং মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছার ৩২টি পূজা মন্দিরকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

পাইকগাছা পৌরসভার ৩টি’সহ উপজেলার দশ ইউনিয়নের ৩২টি পূজা মন্দিরকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ২২টি পূজা মন্দিরকে চিহিৃত করা হয়েছে। এবার মোট ১৩৮টি স্বার্বজনীন পূজা মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সমীরন সাধু বলেন, পৌর শহরের ৫টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পূজা মন্দির, বাতিখালী হরিতলা পূজা মন্দির ও পৌর বাজার পূজা মন্দির।

হরিঢালী ইউনিয়নের ১৭টি মন্দিরের মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ মাহমুদকাটী (বিশ্বাসপাড়া) পূজা মন্দির, নগর শ্রীরামপুর পূজা মন্দির ও নোয়াকাটী মালোপাড়া পূজামন্দির।

কপিলমুনি ইউনিয়নের ১৪টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কপিলমুনি মিলন মন্দির পূজা মন্দির, উত্তর নাছিরপুর পূজা মন্দির, কাশিমনগর সাধুপাড়া পূজা মন্দির ও কাশিমনগর মালোপাড়া পূজা মন্দির।

লতা ইউনিয়নের ১১টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ তেঁতুলতলা পূজা মন্দির, ত্রিপল্লী কাঠামারী পূজা মন্দির ও শামুকপোতা বাজার পূজা মন্দির, দেলুটী ইউনিয়নের ১৩টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিগরদানা পূজামন্দির, দারুনমল্লিক পূজা মন্দির ও জিরবুনিয়া পূজা মন্দির।

সোলাদানা ইউনিয়নের ১৪টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৫নং সোলাদানা ইউনিয়ন পূজা মন্দির, চারবান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পূজা মন্দির, চৌরাস্তা পূজা মন্দির ও সোনাখালী পূজা মন্দির।

লস্কর ইউনিয়নের ১৭টি’র মধ্যে লস্কর পূজা মন্দির, খড়িয়া বীণাপানি পূজা মন্দির ও খড়িয়া সুন্দরবন পূজা মন্দির।

গদাইপুর ইউনিয়নের ৪টি’র মধ্যে মঠবাড়ি রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম পূজা মন্দির ও ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পূজা মন্দির।

রাড়ূলী ইউনিয়নের ১৯টি’র মধ্যে কাটীপাড়া উত্তর দাশপাড়া পূজা মন্দির, রাড়ূলী স্যার পিসি রায়’র বাড়ি পূজা মন্দির ও বাঁকা বাজার পূজা মন্দির।

চাঁদখালী ইউনিয়নের ১৩টি’র মধ্যে দেবদুয়ার মালোপাড়া পূজা মন্দির, কৈয়াছিটিবুনিয়া-গজালিয়া পূজা মন্দির ও কাটাখালী বাজার পূজা মন্দির।

গড়ইখালী ইউনিয়নের ১১টি’র মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ মাত্র একটি হোগলারচক পশ্চিমপাড়া পূজা মন্দির।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিকদার আককাস আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণসহ সকল পূজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারী রাখবে।

পাইকগাছায় দু’দিনের টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

দু’দিনের টানা বর্ষণে পাইকগাছায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে ও ভেসে গেছে শত শত বিঘা চিংড়ি ঘের। কর্মহীন মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজসহ অফিস আদালতে উপস্থিতি কম।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত শনিবার ভোর ৬টা থেকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা দু’দিনের ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মহীন মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পেরে অলস সময় পার করছেন।

অন্যদিকে স্কুল, কলেজসহ অফিস আদালতে উপস্থিতি অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের হরিখালী, আমুরকাটা, দিঘাসহ বিভিন্ন এলাকা শত শত বিঘা চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। এতে ঘের মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সোলাদানা ইউনিয়নের রবীন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, তার ১০০ বিঘার চিংড়ি ঘের সম্পূর্র্ণ ভেসে গিয়ে প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে অনেক ধান ক্ষেত তলিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার গদাইপুর, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, গত শনিবার ভোর থেকে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাত হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকাগামী পরিবহনের সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল নিশ্চিত চাই

পাইকগাছা-খুলনা রুটে গত শুক্রবার থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঢাকাগামী পরিবহন গুলো এখনও পাইকগাছায় না এসে ঢাকা-তালা চলাচল করছে।

আসন্ন শারদীয়া দুর্গ পূজা ও ঈদুল আযহার আগেই ঢাকাগামী পরিবহন গুলো যাতে সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল করে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই রুটের ভুক্তভোগী সকল যাত্রীS !

পাইকগাছায় কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

ওয়ার্ড পর্যায়ে গ্রামীণ নাগরিক প্লাটফর্ম গঠণের জন্য কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ৬নং লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সুশীলন শরিক প্রকল্পের স্থানীয় জনসেবার মান উন্নয়নের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন। প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১ জন নারী ও ১ জন পুরুষ নিয়ে মোট ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুশীলন শরিক প্রকল্প টিম লিডার শিপক চন্দ্র দে এবং ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আজমীরা পারভীন।

Sunday, September 21, 2014

কয়রায় উপ-নির্বাচনে পলাশ ইউপি সদস্য নির্বাচিত

কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উপ নির্বাচনে রাকিবুল ইসলাম পলাশ ৫৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ফয়জুল করিম খোকন পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট।
 
জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোট গ্রহন চলে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা জানান, মাদারবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ভোট কেন্দ্রে প্রতিকুলতা বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্বেও ২০৭৭ জন ভোটারের মধ্যে ১৪০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় ছিল চোখে পড়ার মত।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অবাধ নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এস এম গোলাম রসুল সরকারি চাকুরীতে যোগদান করায় তার পদত্যাগের ভিত্তিতে এই পদটি শুণ্য হয়। যার প্রেক্ষিতে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাইকগাছায় সুন্দরী প্রকল্পের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উৎপাদক ও সংগ্রাহক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


রোববার সকালে সমিতি ভবনে ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এ্যাড. মোর্তজা জামান আলমগীর রুলুর সভাপতিত্বে ও সুন্দরী প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক হায়দার আলী ভুঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বুলি, বাবুরাম মন্ডল, ইলিয়াস হোসেন, আসাদুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, শুকুর আলী, সঞ্জিত কুমার সরকার, নাসির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মাওঃ আব্দুল হান্নান ওমর, গড়ইখালী পিসিজি দলের সভাপতি রেহানা আক্তার, চাঁদখালী সভাপতি অহেদুজ্জামান সহ ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।

দেলুটী ইউনিয়ন পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ

পাইকগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ, তথ্য সেবা কেন্দ্র ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ। তিনি শনিবার সকালে দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, দুপুরে কালিনগর কলেজ, কালিনগর উদয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও হাটবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়’সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম। পরিদর্শনকালে তিনি সহায়ক পরামর্শ প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ হালদার।

পাইকগাছায় জামায়াত নেতা আটক

পাইকগাছা থানা পুলিশ শনিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাড়ুলী গ্রামের মৃত মিরাজ আলী সরদার’এর পুত্র জামায়াত নেতা মোঃ নুরুল ইসলাম (৪৪) কে আটক করে। আটক জামায়াত নেতাকে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা ৩৪ (১০) ১৩ নং মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পাইকগাছা থানার ওসি সিকদার আককাস আলী জানান।

কয়রায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন

কয়রা উপজেলার মহারাজ ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ আয়োজিত খড়িয়া সরকারী বিদ্যালয়ে মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীপংকর রায়ের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কয়রায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের আহবায়ক শাশ্বত দত্ত।

বক্তব্য রাখেন কয়রায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক অসীম রায়, অমিও সরদার, শুভ্রজিত সানা, মনোজ কান্তি রায়, সঞ্জয় গাইন, বিপুল মন্ডল, ঋশিকেশ রায়, অনিরুদ্র সানা, সুকুমার মন্ডল, সুভাস হালদার, তাপস সানা, অতনু সানা, গৌতম রায়, তিতাস রায়, সনজিত রায়, পলাশ রায়, কৃত্তি তাপস, টান মন্ডল, রনজিত রায়, বাবুল রায়, জগৎ রায়, শাওন রায়, দিনবন্ধু রায়, ঠাকুর রায় প্রমূখ।

সভায় সবার সম্মতিক্রমে দীপংকার রায় আহবায়ক ও অমিও সরদার কে সদস্য সচিব এবং শুভ্রজিত সানা, মনোজ কান্তি রায়, সঞ্জয় গাইন, বিপুল মন্ডল, ঋশিকেশ রায়, অনিরুদ্র সানা, সুকুমার মন্ডলদ্বয় কে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ঠ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

সুন্দরবনে সম্পদ আহরণ বন্ধ হলে বেকার হবেন লাখ লাখ বনজীবী

সুন্দরবনে সম্পদ আহরণ বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বেন ১৫ লাখ বনজীবী। চলতি বছরের ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের এক সভায় বনজসম্পদ আহরণ বন্ধ করতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর থেকেই স্থানীয়দের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদ-নদীতে মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ও বন থেকে মধু, গোলপাতা, জ্বালানিসহ সব ধরনের বনজসম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। তাদের দাবি, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বেকার হয়ে পড়বেন তারা।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩৩৪ প্রজাতির গাছ, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। এত বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণী পৃথিবীর আর কোনো ম্যানগ্রোভ বনে নেই।

বিভাগীয় বন সংরক্ষক (পশ্চিম) জহির উদ্দীন খন্দকার বলেন, ‘জাতিসংঘের শিক্ষা-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় এর সংরক্ষণের দায়িত্ব বেশ বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের সভায় বনের সম্পদ আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।’

খুলনা রেঞ্জের কয়রার বনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় আমরা বনের ভেতর থেকে বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করি। আলাদা কাজের ব্যবস্থা না রেখে সরকার যদি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে, তাহলে ভীষণ বিপদে পড়ব। পরিবারের লোকজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে হবে।’

গোলপাতা আহরণে উপজেলার চাটখালী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ১০টি নৌকা রয়েছে। নৌকাপ্রতি ৮ জন করে ১০টি নৌকায় ৮০ জন কাজ করেন। তাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন গোলপাতা সংগ্রহ।

বাচ্চু মিয়া জানান, নৌকার মালিকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নৌকা বানিয়েছেন। বনজসম্পদ আহরণে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা অসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এ ছাড়া গোলপাতা আহরণ বন্ধ হলে বনজীবীদের পথে বসতে হবে।

হায়েতখালী বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, ‘জেলেদের ১০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়েছি। তারা বন থেকে কাঁকড়া এনে আমার আড়তে দেন। কাঁকড়া বিক্রির মাধ্যমে অগ্রিম টাকা উসুল করছি। আহরণ বন্ধ হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

কয়রা উপজেলার বাঘালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সানা সুন্দরবনের কাঠ বহনের কাজে ৫০টি নৌকা নিয়োজিত করেছিলেন ২০ বছর আগে। ১৯৯৫ সালে সুন্দরবন থেকে সুন্দরি কাঠ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। ২০০৪ সালে নিষিদ্ধ করা হয় গরান কাঠ সংগ্রহ। ফলে নিরুপায় হয়ে পানির দামে নৌকাগুলো বিক্রি করে দেন সাবেক এই চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘আমার নৌকায় যে সব শ্রমিক ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন বেকার। এদের বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে ওঠেনি। বনজসম্পদ আহরণ বন্ধে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে লাখ লাখ বনজীবী বেকার হয়ে পড়বেন। অভাব-অনটন দেখা দেবে, কর্মসংস্থান না পেয়ে অনেকেই দস্যুবৃত্তিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন। তাই বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে।’

কয়রা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জি এম মতিউর রহমান বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো। বনের সবুজ বেষ্টনী সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। সরকারের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। তবে বনজীবীদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’

বিভাগীয় বন সংরক্ষক (পূর্ব) আমির হোসেন বলেন, ‘বনজসম্পদ আহরণের নামে বিভিন্ন সময়ে বনের পশুপাখি হত্যার ঘটনাও ঘটে। এভাবে নিধন চলতে থাকলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ-মায়া হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতি বিপন্ন হয়ে যাবে। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল কমে যাবে। তাই সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বনজীবীরা যাতে ক্ষতির শিকার না হন, সে জন্যও করণীয় নির্ধারণ করা হবে। ১৫ লাখ বনজীবীর বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। আশা করি, তারা বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।’

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। প্রায় ২০০ বছর আগে থেকেই উপকূলের লোকজন বনজসম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বনজসম্পদের ওপর ‍ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠেছে। সুন্দরবনের অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলায় (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনা)। স্থল ও জল মিলিয়ে ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বনটি বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৪.২ শতাশং এবং সমগ্র বনাঞ্চলের ৪০ শতাংশ। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে

সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৩০০-৫০০টি


সুন্দরবনের বাঘশুমারিতে ছাগল–টোপ !

বন বিভাগ ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে সুন্দরবনের বাঘশুমারি করেছে। তবে বন বিভাগ দাবি করছে, টোপ হিসেবে ছাগল নয়, ফেরোমেন ট্র্যাপ নামে একধরনের ফাঁদে বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে বাঘকে আকৃষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, বাঘকে খাবার হিসেবে গৃহপালিত কোনো প্রাণী দেওয়া নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে উৎপাদিত কোনো খাবার বা রাসায়নিকের ব্যবহারও অনুমোদন করা হয়নি ওই আইনে।

বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাগল ও ফেরোমেন ট্র্যাপ উভয়ই বাঘকে আকর্ষণ করতে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে বাঘের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে বাঘের শারীরিক ঝুঁকি এবং আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশের জাতীয় এই প্রাণীটির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাজী আসমত বলেন, ছাগল এবং ফেরোমেন ট্র্যাপ বা ঘ্রাণ—এই দুই-ই সুন্দরবনের বাঘের জন্য ক্ষতিকর। কেননা, ছাগলের মাধ্যমে রোগজীবাণু বাঘের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আর ফেরোমেন একটি কৃত্রিম ঘ্রাণ, যা বাঘকে আকৃষ্ট করে। এই ঘ্রাণ শুঁকে বাঘ তার সঙ্গিনী বা অন্য কোনো প্রাণীর দেখা পেয়ে থাকে। কিন্তু কৃত্রিম ঘ্রাণ ব্যবহারে বাঘ প্রতারিত হবে। এতে বাঘের স্বাভাবিক চিন্তা এবং আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।

বন বিভাগ এবং বাঘশুমারি পরিচালনাকারীদের একাধিক সূত্র বাঘের জন্য ছাগল ও ভেড়া ব্যবহার করে টোপ দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট রেঞ্জে ইতিমধ্যে ২০০ ছাগল ও ভেড়া টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
 

বাঘশুমারি প্রকল্পের নথিতেও বাঘকে আকর্ষণ করার উপাদান কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দের তথ্য আছে। ছাগল পরিবহন করে সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া এবং ছাগল বনে বেঁধে আসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যবসায়ী বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

সুন্দরবনে ছাগল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাঘশুমারি প্রকল্পে নৌযান সরবরাহকারী মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘ভাই, আমার কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইয়েন না।’

তবে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বাঘশুমারিতে কোনো জীবন্ত প্রাণীকে টোপ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন পুরোপুরি অনুসরণ করেই শুমারিটি করছি।’

তবে শুমারির প্রধান পরামর্শক ভারতের বন্য প্রাণী ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী অধ্যাপক জাতভেন্দ্রদেব ঝালা টোপ হিসেবে ছাগল ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে গত সোমবার বলেন, ‘সুন্দরবন জোয়ার-ভাটার এলাকা। এখানে শুধু ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা অনেক কঠিন। এতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তাই শুমারিটি দ্রুত করার জন্য আমরা ছাগলকে টিকা দিয়ে রোগমুক্ত করে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ছাগলের মাংস কেটে টোপ দেওয়া হয়েছে।’

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘টাইগার পপুলেশন ইস্টিমেশন ইউজিং ক্যামেরা ট্র্যাপিং মেথড ইন সুন্দরবনস, বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় বাঘগণনা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রধান পরামর্শক ভারতের বাঘশুমারির সমন্বয়কারী এবং ক্যামেরা ফাঁদপদ্ধতির উদ্ভাবক অধ্যাপক ঝালা।

জানতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন ফর নেচারের (আইইউসিএন) এ দেশীয় পরিচালক এবং সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা প্রাণী খেতেই বাঘ অভ্যস্ত। সুন্দরবনের বাইরে থেকে কোনো প্রাণী ধরে এনে খাওয়ালে তাতে বাঘ রোগাক্রান্ত হতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা অন্য বাঘ বা প্রাণীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের সংস্কার কাজ অসম্পন্ন রেখেই,

পাইকগাছা-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু


অবশেষে পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের সংস্কার কাজ অসম্পন্ন রেখেই পাইকগাছা-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে অত্র সড়কে সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। তবে ঢাকাগামী পরিবহন গুলোর ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পাইকগাছা-আঠারমাইল সড়কের তালা ব্রীজ মোড় থেকে (প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে যে অংশটুকু পানিতে তলিয়ে থাকে) কপিলমুনির কাশিমনগর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা উঁচুকরণসহ কার্পেটিংয়ের কাজের জন্য জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হলেও মন্থর গতিতে কাজ করায় শুধু উঁচুকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

এদিকে, তালা থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ চললেও আঠারমাইল থেকে তালা ও কপিলমুনি থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত রাস্তায় সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি।

এদিকে আসন্ন শারদীয়া দুর্গ পূজা ও ঈদুল আযহার আগেই ঢাকাগামী পরিবহন গুলো যাতে ঢাকা-তালা এর পরিবর্তে সরাসরি ঢাকা-পাইকগাছা চলাচল করে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Saturday, September 20, 2014

সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ২০ দল

সংসদকে উচ্চ আদালতের বিচারকদের সরানোর ক্ষমতা দিয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রতিবাদে সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল। আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের এটাই প্রথম হরতাল।

শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের এক বৈঠকের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২০ দলের কর্মসূচির আগের দিন রোববার জোটভুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর হরতাল রয়েছে। যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দাবিতে দলটি এই কর্মসূচি ডাকে।

পাইকগাছায় শব্দ দূষণ ক্রমেই বাড়ছে

শব্দ দূষণ সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পাইকগাছা পৌর বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতাসাধারণসহ গোটা পৌরবাসী। যেকোন রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সংগঠন কোন সভা সমাবেশ করলে তা অনুষ্ঠিত হয় পৌর বাজার জিরোপয়েন্টে অথবা ত্রিমোহনী মোড়ে বা পৌর পরিষদ চত্ত্বরে। একাধিক মাইক বাজিয়ে চলে সভা-সমাবেশ। বিশেষ কোন সমাবেশ হলে তার দু’চার দিন আগে থেকে বাজার এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চলে।

তাছাড়া মাছবাহী ট্রাক-পিকআপগুলো বাজার অভ্যন্তরে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজায় হরহামেশা। ইঁদুর-তেলাপোকা মারার ওষুধ বিক্রেতারা হ্যান্ড মাইক নিয়ে গোটা বাজারে ঘুরেঘুরে প্রচার করে চলেছে। মোবাইল ফোনের মেলা, সিমের মেলা, বিশেষ কোন ডাক্তার বাইরে থেকে এসে রুগী দেখবেন তাও মাইক বাজিয়ে প্রচার করা হয়। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হলে দিনভর চলে মাইক।

বর্তমান সময়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রচার প্রচারণা নিয়ে। কোন ডাক্তার কবে, কখন, কোথাই রোগী দেখবেন তা প্রচার করা হচ্ছে পৌর শহরে মাইক বাজিয়ে ঘুরে ঘুরে। একাধিক মাইকের শব্দে পৌর বাজারে অবস্থানরত ব্যবসায়ী মহল ও ক্রেতা সাধারণরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলা তো দূরে থাক, কাছ থেকে কেউ কিছু বললেও বুঝে ওঠা দায় হয়ে পড়েছে। পৌর ও উপজেলা শহরের বাজারে এমনিতেই মানুষজনের ভীড় থাকে বেশি, তার উপর একাধিক মাইকের শব্দে কাহিল হয়ে পড়ছেন পৌর বাজার ও তার আশপাশ এলকার সকলে।

শব্দ দূষণ প্রসঙ্গে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অদ্যবধি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করলেও বাস্তবে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এভাবে প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ হয়ে থাকলেও প্রতিকারের ব্যাপারে কারো কোন মাথাব্যথা নেই।

সুন্দরবন উপকুলবাসীর রক্ষাকবচ

মানুষের জন্মের আগে বনের সৃষ্টি। মানুষ তার প্রয়োজনে বন ধ্বংস করছে। আর বন মানুষ, লোকালয় ও পরিবেশ রক্ষা করে চলেছে। মানুষের আগ্রাসনে বন সংকুচিত হচ্ছে। মানুষের নির্বিচারে নিধনের ফলে বন দুরে সরে যাচ্ছে। সুন্দরবন প্রকৃতির সৃষ্টি। এ বন সৃষ্টিতে মানুষের কোন হাত নেই। সুন্দরবন প্রকৃতির বিষ্ময়। 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন শুধু প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নয়। সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস থেকে মাতৃস্নেহের বুকে আগলে রেখে প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে লোনা পানিতে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রাকৃতিক স্বর্গ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জোয়ার ভাটার ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এ বনের মোট আয়তন ১০২৮০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ ভারতের পশ্চিবঙ্গে অবস্থিত। ২০০ বছর আগে এ বনের আয়তন ছিল প্রায় ১৬৭০০ বর্গকিলোমিটার। মানুষের অগ্রাসনে বন ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।

সুন্দরবনের নামের উৎপত্তি সন্বন্ধে একাধিক মত থাকলেও সুন্দরী নামের বৃক্ষ থেকে এ বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন। এ বনের ভিতর দিয়ে উত্তর/দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল। ২০০৪ সালের বাঘ শুমারী অনুযায়ী রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৪৪০টি। শক্তি সাহস আর আকৃতি প্রকৃতিক বিবেচনায় স্নুদরবনের বাঘ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতির জন্তু। নয়নানিভরাম সৌন্দর্যের প্রাণী হরিণের সংখ্যা ১ লক্ষ হবে বলে ধারণা করা যায়। চিতল হরিণ সৌন্দর্যের বিচারে জগৎ বিখ্যাত।

৭১’র মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবন অপরাজেয়, হার মানেনি। ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর প্রলংকারী ঝড়ে সুন্দরবন ক্ষত বিক্ষত হয়ে উপকুল এলাকা রক্ষা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে হতক্লান্ত। তবুও হার মানেনি। উপকূলবাসীর রক্ষা কবচ ও সুন্দরবনের স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে গৌরবময় ভুমিকা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের কেন্দ্র হয়ে উঠে দুর্গম সুন্দরবন।

তাছাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা মাঝে মাঝে সুন্দরবনে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ ও যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রস্তুত করত। মুক্তিযোদ্ধাদের সুন্দরবন মায়ের মত আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয় ও ট্রেনিং স্থল হয়ে উঠে এ বন। মেজর জিয়া উদ্দীনের (তৎকালীন লেঃ) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা বাগেরহাট পিরোজপুর এলাকার পাক বাহিনী ও তাদের দোষর দালাল, রাজাকারদের, নাভীশ্বাস বের করেছে। নৌকমান্ড লেঃ কমান্ডার রহমাতুল্লাহ দাদুর নেতৃত্বে নৌ সেনা ও ডুবুরিরা চালনা, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার অবস্থানরত পাকসেনা ও তাদের দোসরদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।

মুল্যবান প্রানীজ, জলজ ও বনজ সম্পদ মিলিয়ে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার এ সুন্দরবন। শুধু জীব বৈচিত্রের উৎস নয়, একই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার উৎস হিসেবে অবদান রাখছে। বনজ সম্পদ আহরণে ৫/৬ লক্ষ মানুষ প্রায় ৬ মাস জীবিকার জন্য সরাসরি সুন্দরবনের উ্পর নির্ভরশীল।

সুন্দরবন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছাস, ঘুর্ণিঝড় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলকে নিরাপদ রেখে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে। সুন্দরবন দক্ষিণ জনপদের প্রকৃতিক ঢাল হয়ে ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছাস থেকে বুক পেতে আগলে রাখে। জীব বৈচিত্র্যের আধার আমাদের সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক প্লাটফর্ম তৈরীর জন্য কমিউনিটি সেচ্ছাসেবীদের ওরিয়েন্টেশন

শুক্রবার রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদ মিলানায়তনে সুশীলন শরিক প্রকল্পের স্থানীয় সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি জনসেবার মান উন্নয়নের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড পর্যায়ে এ কর্মশালায় সুশীলন পরিপ্রকল্পের আজমিরা পারভীন উপস্থিত থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

প্রশিক্ষন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সেক্রেটারী সঞ্জীব কুমার ঘোষ, সাংবাদিক আহম্মাদ আলী বাচা প্রমুখ।

Friday, September 19, 2014

তিন জেলাবাসীর দুর্ভোগের নাম তালা-পাইকগাছা সড়ক

সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা— এ তিন জেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের আরেক নাম তালা-পাইকগাছা সড়ক। সাতক্ষীরা সদর, তালা, পাটকেলঘাটা; খুলনা জেলার পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ; যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুরসহ তিন জেলার আট উপজেলার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সড়ক ব্যবহার করে। এর বাইরে যশোরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র নওয়াপাড়া যেতে-আসতে সড়কটির ব্যবহার লাগে। 


ব্যস্ত সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ এবং কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করলেও এর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবসময়ই উদাসীন। সড়কটি সাতক্ষীরা এবং খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে হওয়ায় দুই জেলার সওজ কর্তৃপক্ষের রশি টানাটানিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় আট উপজেলা ও এক বাণিজ্যিক এলাকার সব শ্রেণীর মানুষকে।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। বিশেষ করে সাতক্ষীরার তালা সদর থেকে ১৮ মাইল বেতাগ্রাম এবং বিপরীত দিকে কপিলমুনি থেকে তালা সদর পর্যন্ত রাস্তাটি বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে।

সড়কটির কোনো কোনো অংশ দেখে পুকুর বলেই ভ্রম হবে। এর ওপর দিয়েই শত শত যানবাহন চলাচল করে দুলকি চালে। যাত্রার মাঝপথে যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়া নৈমিত্তিক ব্যাপার। সড়কের মাঝখানে হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়া যানবাহন থেকে নামতে আরেক ঝক্কি। জল-কাদায় মাখামাখি হয়েই খুঁজতে হয় বিকল্প যানবাহন।

পাইকগাছা-তালা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের চালক মুনছুর আলী বলেন, সড়কের ১৮ মাইল বেতাগ্রাম থেকে তালা সদর পর্যন্ত এ ১০ কিলোমিটার রাস্তা এতই খারাপ যে, বাস চালানোর সময় স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। সড়কের করুণ দশার জন্য বাস চালাতে হয় ধীরগতিতে। ফলে দুর্ঘটনা তেমন একটা ঘটে না।

সাতক্ষীরা এবং খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তালা সদর থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসটিএমই ঢাকা ও জেভি বাগেরহাট যৌথভাবে এর সংস্কারকাজ পায়। কিন্তু কাজের ধীরগতির জন্য চলে আসে বর্ষা মৌসুম। ফলে কাজ আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা দাবি করছেন, ১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের কার্পেটিং শেষ হয়ে গেছে। বাকি সাড়ে তিন কিলোমিটারের কার্পেটিং বর্ষা শেষ হলেই শুরু হবে।

সড়কে চলাচলকারী মানুষের অভিযোগ, গত অর্থবছরে শুরু হওয়া তালা সদর-কপিলমুনি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। একদিন কাজ চলে তো তিনদিন বন্ধ। কোনো সময় পুরোদমে কাজ চলে আবার কোনো সময় কাজের নাম-নিশানাও থাকে না।

রোবেল হোসেন নামে একজন স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সওজের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা পরিদর্শনে এলেই কাজের তোড়জোড় শুরু হয়। পরিদর্শন শেষে ব্যস্ততম সড়কটির সংস্কারকাজ থেমে যায়।

এদিকে খুলনা পাইকগাছা সড়কের ১৮ মাইল বেতাগ্রাম থেকে তালা সদর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর ১৩ কোটি টাকার একটি টেন্ডার আহ্বান হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্ষা মৌসুম শেষে কাজ শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. অলিউল্লাহ জানান, তালা সদর থেকে কপিলমুনি পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ গত অর্থবছরের টেন্ডার অনুযায়ী চলমান রয়েছে এবং তালা থেকে ১৮ মাইল বা বেতাগ্রাম পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারকাজের জন্য ১৩ কোটি টাকার একটি টেন্ডার ৮ সেপ্টেম্বর আহ্বান করা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা ও খুলনার কপিলমুনি-পাইকগাছা সড়কে চলাচলরত জনসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে রাস্তা সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাইকগাছা আইনজীবি সমিতির শোক সভা

খুলনা জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য ও পাইকগাছা আইনজীবি সমিতির সহযোগী সদস্য এস এম সাকাম আলী’র মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাইকগাছা আইনজীবি সমিতি মিলনায়তনে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমিতির সভাপতি এ্যাড. জি এম আঃ সাত্তারের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাড. জি এম আককাছ আলির পরিচালনায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন এ্যাড. গাজী আব্দুস সবুর, এ্যাড. মোঃ মহীউদ্দীন, এ্যাড. শেখ লোকমান হোসেন, এ্যাড. জি এম আঃ হামিদ, এ্যাড. বিলাস চন্দ্র রায়, এ্যাড. কিশোরী মোহন মন্ডল, এ্যাড. সমীর কুমার বিশ্বাস, এ্যাড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল, এ্যাড. পংকজ কুমার ধর, এ্যাড. মোজাফফর হাসান, এ্যাড. এম মাফতুন আহমেদ, এ্যাড. মোঃ আঃ মজিদ গাজী, এ্যাড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, এ্যাড. মোঃ আবুল হোসেন জোয়াদ্দার, এ্যাড. জি এম আমজাদ হোসেন, এ্যাড. সুকান্ত কুমার রায়, এ্যাড. সুকুমার চন্দ্র দেবনাথ, এ্যাড. মোঃ সফিকুল ইসলাম, এ্যাড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।