Sunday, November 24, 2013

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথমবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৯০টি (বিজ্ঞান-৭৪৫, অন্যান্য-৪৫টি) আসনের বিপরীতে ৩৭ হাজার ৮০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজরা ৩৫২ জন (বিজ্ঞান-১৩,০৬০, অন্যান্য-২৯২) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd এ পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও, যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। এজন্য যে কোনো মোবাইল থেকে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে JNU লিখে একটি স্পেস দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে আবার একটি স্পেস দিয়ে ইউনিটের নাম (যেমন: `A’) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজে ফলাফল জানা যাবে।

যেমন: JNU Roll Number Unit A লিখে 16222 নম্বরে সেন্ড করুন।

মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও পত্রিকার মাধ্যমে জানানো হবে।

আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়লাভ

পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ১১ পদের মধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী প্যানেলকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করে সভাপতি/সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে।

রোববার সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি ভবনে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৭২ জন ভোটারের মধ্যে ৬৯ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

প্রাপ্ত ফলাফলে ৪৫ ভোট পেয়ে এ্যাডঃ জি,এম আব্দুস সাত্তার, সভাপতি নির্বাচিত হন। নিকটতম সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ আবুল হোসেন জোয়াদ্দার ২৪ ভোট। সহ-সভাপতি হিসাবে অজিত কুমার মন্ডল ও মোজাফফার হাসান। সাধারণ সম্পাদক আককাছ আলী। যুগ্ম সম্পাদক দীপংকর সাহা। লাইব্রেরীয়ান শেখ তৈয়েব হোসেন। ক্রীড়া ও সমাজ কল্যান সুকান্ত কুমার রায়। সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনাদী কৃষ্ণ মন্ডল ও ৩ নির্বাচিত সদস্য হচ্ছেন আব্দুল মজিদ, আব্দুল মালেক ও মনিরুল ইসলাম।

পাইকগাছায় হাজারো মানুষের ভালবাসা নিয়ে ইউএনও’র বিদায়

পাইকগাছায় হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিয়ে বিদায় নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোমিনুর রশীদ। শনিবার বিকালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানান।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী রুহুল আমিন। পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সালাম, প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু, সাংবাদিক এস,এম আলাউদ্দীন সোহাগ, এস,এম বাবুল আক্তার, আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের গোলাম সরোয়ার, জাহাঙ্গীর হোসেন সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রাজাকার খেতাব !

পাইকগাছা উপজেলাকে দালাল মুক্ত করতে যেয়ে নিজে কথিত রাজাকার খেতাব নিয়ে যোগদানের ১ মাসের মধ্যে স্টান্ড রিলিজ হয়ে বদলি হলেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোমেনুর রশীদ। এনিয়ে খোদ মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রায়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে তার বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আ’লীগের সভাপতি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন।

জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ মোমিনুর রশীদ যোগদান করেন। এ সময়ের মধ্যেই উপজেলা পরিষদকে দালাল মুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে একটি প্রভাবশালী মহল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার সোলাদানায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন।

এদিকে দাফন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে একটি মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রাজাকারপন্থী মানুষ হিসেবে গুজব ছড়িয়ে দেয়। তা নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমিটির কমান্ডার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কমান্ডার গাজী রুহুল আমিন এ বদলি আদেশ স্থাগিতের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আবেদন করেছেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদের জন্মস্থান সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল খায়ের লিখিত বক্তব্যে জানান, মোমিনুর রশীদের পিতা আব্দুল কাদের ও তার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা স্বপক্ষের মানুষ।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ এলাকায় দক্ষ কর্মকর্তার পরিচিতি লাভ করার কারেন একটি প্রভাবশালী মহলের গাত্রদাহ শুরু হয় এবং তাকে বদলির জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

বিপর্যয় থেকে চিংড়ি শিল্প রক্ষার উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে চিংড়ি শিল্পকে রক্ষার কর্তৃপক্ষীয় উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর পুশ প্রথা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের পাশাপাশি খুলনা চিংড়ি বণিক সমিতি কর্তৃপক্ষ পুশ বিরোধী অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পুশকৃত মাছ উদ্ধার করে নষ্ট করেছে। পাশাপাশি কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করে মৎস্য বিভাগ।

চিংড়ি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন ও খুলনা চিংড়ি বণিক সমিতির পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চিংড়িকে রক্ষায় ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার পুশপ্রথা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই বার্তায় বলা হয়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চিংড়ির প্রায় একশ’ ভাগই রপ্তানী হয় উন্নত বিশ্বের খাদ্য হিসেবে। বিদেশীরা তাঁদের ল্যাবরেটরীতে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র মানসম্মত চিংড়ি খাদ্য হিসেবে তাঁদের দেশে বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদন দেয়। অতীতে এদেশ থেকে রপ্তানীকৃত চিংড়ির কোন কোন কনসাইনমেন্টের গুণগত মান আশানুরূপ না হওয়ায় ইউরোপ ও আমেরিকায় এদেশের চিংড়ি রপ্তানী প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। যার ফলে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ইউরোপে সাময়িকভাবে গলদা চিংড়ি রপ্তানী বন্ধ করতে হয়েছিল।

কিন্তু বহু প্রচেষ্টার পর সরকারী ও বেসরকারীভাবে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে অনেক দেন দরবার করে উক্ত রপ্তানী আবার চালু করা সম্ভব হয়। এখন মানসম্মত চিংড়ি রপ্তানী করতে পুনরায় ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের চিংড়ি বিদেশে রপ্তানী চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে হ্যাচারী, চিংড়ি চাষ, ফিড মিল, ডিপো ব্যবসায়ী, বরফকল, চিংড়ি পরিবহন ও মাছ রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং দেশের প্রায় এক কোটি লোক বেকার হয়ে পড়বে। আর বন্ধ হয়ে যাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ।

এসব কারণে এ শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা ও সততার সাথে কিছু নির্দেশনা মেনে চলা উচিত বলেও ওই বার্তায় আহবান জানানো হয়। যার মধ্যে রয়েছে চিংড়ির দেহে পানি, ভাতের মাড়, সাবু, এরারুট, লোহা বা সীসারগুলি, মার্বেল, ম্যাজিকবলসহ অনাকাঙ্খিত পদার্থের দ্বারা পুশ করে চিংড়ির ওজন বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের চেষ্টা না করা, রাসায়নিক তরল পদার্থের মধ্যে চিংড়ি ভিজিয়ে রেখে ওজন বাড়াবার চেষ্টা না করা প্রভৃতি। এমনকি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই অপকর্মে লিপ্ত থাকলে তা’ জানামাত্রই সংশ্লিষ্টদের নিকটবর্তী থানা, র‌্যাব, মৎস্য কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আনার আহবান জানানো হয় ওই সচেতন বার্তায়।

কর্তৃপক্ষীয় এতসব আয়োজনের পরও থেমে নেই পুশ প্রথা। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু পুশকৃত মাছ নষ্ট করা হয়। তবে এর মাধ্যমে পুশ প্রথা অনেকাংশে কমে গেছে বলেও কর্তৃপক্ষ দাবি করেন।