Tuesday, June 25, 2013

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করলেন ১০ ইউপি চেয়ারম্যান

পাইকগাছায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা বয়কট করলেন ১০ ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে।

সুত্রমতে, প্রতিমাসের ন্যায় সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলতি জুন মাসের উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার শুরুতেই ইউপি চেয়ারম্যানরা বিগত কয়েকটি সভার এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসংগে থানাপুলিশের ভূমিকা জানতে চাইলে থানা পুলিশ সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে না পারায় তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত সকল ইউপি চেয়ারম্যান একযোগে সভা বয়কট করেন।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে সোলাদানা ইউনিয়নের একাধিক মামলার আসামী খালিয়ারচক গ্রামের গোলক চন্দ্র মন্ডলের গ্রেফতার, কপিলমুনি ইউনিয়নের প্রতাপকাটি গ্রামের লাচ্চু ওরফে হঠাৎ বাবু’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ, গদাইপুর ইউনিয়নের ছদ্মবেশি বাবুকে আটক, রাড়ুলী ইউনিয়নের ইভটিজিং মামলার বাদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, লতা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ও তদন্ত ছাড়াই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রসিকিউশন প্রদান, এবং সর্বশেষ সম্প্রতি সন্ত্রাসী কর্তৃক লস্কর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ও ইউপি সদস্য এবং গ্রামপুলিশকে মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীকে গ্রেফতার না করার মত আলোচিত নানা বিষয় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিরোধ চলে আসছে।

এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধের অভিযোগই সভা বয়কটের অন্যতম কারন বলে উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু জানান। এসব অভিযোগ বিষয়ে গত ৪ দিন পূর্বে হঠাৎ বাবুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গোলক উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছে বলে থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলাকারীকে আটক করা হবে বলে ওসি (তদন্ত) ওমর ফারুক জানান।

পাইকগাছায় স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী আটক

পাইকগাছায় স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। থানাপুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের মৃত দুলাল সরকারের পুত্র হরিপদ সরকারের সাথে ১০/১২ বছর পূর্বে হরিণখোলা গ্রামের সুরোত চন্দ্র বেরাগীর কন্যা কাঞ্চন সরকারের বিবাহ হয়। ইতোমধ্যে তাদের পরিবারে দু’টি সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন গত সোমবার দুপুরে হরিপদ বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কাঞ্চনের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় উত্তেজিত হয়ে স্বামী হরিপদ মারপিট ও নির্যাতন করলে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী কাঞ্চনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় কাঞ্চনের মা নীলা বৈরাগী বাদী হয়ে হরিপদকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘাতক স্বামী হরিপদকে আটক করে।

এ ব্যাপারে থানার এসআই খালেক জানান ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে তার শরীরে ক্ষত চিহ্ন দেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

পাইকগাছায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গৃহবধু আহত

পাইকগাছায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে শরীরে স্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধু আহত হয়েছে। আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নারিকেল গাছ পরিস্কার করার সময় গাছের একটি ডাব পাশে বিদ্যুতের জরাজীর্ন তারের উপর পড়লে মুহুর্তের মধ্যে তার ছিড়ে নীচে অবস্থান করা বাবলু গাজীর স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩৫) এর শরীরে স্পৃষ্ট হলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করে।

আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস

আগামীকাল বুধবার মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০১৩ পালিত হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা’।


আগামীকাল সকাল সাড়ে আটটায় সার্কিট হাউজ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। সকাল ন’টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জলিল। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন এনজিওদের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

Voice of Paikgacha-এর লোগো

এগিয়ে চলার পথে, একটি অফিসিয়াল লোগোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি আমরা। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নিন্মোক্ত লোগোটি ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি। Voice of Paikgacha-এর লোগো হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায় কি ? আপনার মতামত জানান। অনুগ্রহ করে, কোন ভুলত্রুটি থাকলে সেটি আমাদের দৃষ্টিগোচর করবেন।


পাইকগাছায় শতাধিক বছরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বেহাল দশা

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে শত বছরের পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা। এমনকি সংস্কার বা পরিত্যাক্ত ঘোষণার ব্যাপারিও কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভূমি সংক্রান্ত কাজে আসা লোকজন। যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

জানা গেছে, উপজেলার সোলাদানায় জমিদার নরেন্দ্রনাথ মিত্রের দ্বিতল ভবনে কর-খাজনা আদায়ের জন্য স্থাপিত হয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। এই ভূমি অফিসটির বর্তমান বয়স প্রায় ১০৫ বছর। দ্বিতল ভবনে রয়েছে ৭টি কক্ষ। সম্প্রতি ৭টি কক্ষের মধ্যে ৬টি কক্ষ ভেঙ্গে পড়েছে। বাকী একটি কক্ষে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভূমি (তহশীল) অফিসের কার্যক্রম চলছে। যা ভেঙ্গে পড়ে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

এ ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন ২ জন কর্মকর্তা, ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। প্রতিদিন এ অফিসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন লোকজন। জন্ম থেকে ভবনটি সংস্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভবনটি এক পাশে হেলে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র পলিথিন দিয়ে মুড়ে রাখতে হয়। সে কারণে অতিশীঘ্রই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে অন্যত্রে অফিসটি স্থানান্তর করার জন্য ইউনিয়নবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা লতিফা আক্তার জানান, জীবনের ভয়ে ভবনের একটি পাশে একটি গাছের তলায় অফিস করছি। বহুবার কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করেও কোন সুরাহা হয়নি। সোলাদানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক জানান, আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

দেলুটী ইউনিয়ন পুনরায় খুলনা-১ আসনভুক্ত

উপজেলার দেলুটী ইউনিয়ন ফের খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসন অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে অত্র দেলুটী ইউনিয়নসহ উপজেলাবাসীর মাঝে। কেননা উপজেলা পাইকগাছা, অথচ সাংসদ অন্য উপজেলায় হওয়ায় অফিসিয়ালসহ বিভিন্ন কাজকর্মে নানা ভোগান্তির স্বীকার হতে হয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দেলুটী ইউনিয়নবাসীকে।

উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে খুলনা-৬ আসন অন্তর্ভূক্ত পাইকগাছার দেলুটী ইউনিয়নকে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সংসদীয় আসনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। যদিও এ নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি গ্রুপ সক্রিয় ভূমিকায় অবস্থান নেয়। পরে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেলুটীকে খুলনা-১ সংসদীয় আসন থেকে স্থানন্তার করে খুলনা-৬ আসনে বহাল রাখার নির্দেশ দেন। সে সময় এ খবর শুনে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল বের করে ও মিষ্টি বিতরন করে।

শেষমেশ দেলুটীর জনৈক ব্যক্তির রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও দেলুটীকে খুলনা-১ সংসদীয় আসন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এমন খবরে শুধুমাত্র দেলুটীতে নয় গোটা উপজেলাবাসীর মাঝে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খুলনা-৬ সংসদীয় আসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেলুটীকে বহাল রাখার ব্যাপারে জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা আদায়

ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পৌর বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে মাছের চান্দিনাসহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান ও বিএসটিআই’র পরিদর্শক মিঞা মোঃ আশরাফুল আলম।

কয়রায় ওয়ারেন্টভূক্ত ৬ আসামী আটক

থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬ জন ওয়ারেন্টের আসামীকে আটক করেছে। জানা গেছে, থানা পুলিশের এস আই নাজমুল, ফেরদৌস ও এ এস আই আবু সুফিয়ান গত ২২ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত ৬ জন আসামী আটক করেন।

আটককৃতরা হলো উপজেলার বামিয়া গ্রামের নাজমুল মোড়ল, আলতাফ গাজী, মোসলেম গাজী, কাশেম সরদার, মুনছুর গাজী ও বাবর আলী গাজী। তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া, গত শুক্রবার এস আই নাজমুলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কয়রা এলাকা থেকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মৎস্য নিধন; জলজ সম্পদ হুমকির মুখে

সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন খালে বিষ পাউডার প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্য নিধন করছে। এতে করে বাংলাদেশের লবন পানির মৎস্য সম্পদ হুমকি মুখে পড়েছে। জানা গেছে, এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা কতিপয় বন রক্ষিদের সহযোগীতায় নির্বিঘ্নে একাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

জেলেদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের গেওয়াখালী, বিদ্যাবতী, চিন্তামনী, পাতকোষ্টা, ব্যাসে, ভ্রমরখালী, ঝালি, কাগা, ম্যাটি সাতক্ষীরা রেঞ্জের দোবাকী ও কুনচী সহ অভয়রন্যের বিভিন্ন খালে ও বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন করে চলেছে। স্থানীয় বন টহল ফাঁড়ির বন কর্মচারীদের সাথে চুক্তিতে অসাধু মৎস্য বস্যবায়ীরা নির্বিঘ্নে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে।

জেলেরা জানায় তারা (৭ দিনে ১ গোন) প্রতি গোনমুখে বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে ৭ দিনের জন্য বনে মাছ ধরতে যায়। ভরাগোনের ৭ দিনে মাছ ধরে লোকালয়ে ফিরে আসে। বাকী ৭ দিন মরাগোন। মরাগোনের ৭ দিনে ছোট মাছ গুলো বড় হয়। পরবর্তী গোনে মাছগুলি পরিপূর্ন বয়স হলে জেলেবা পুনরায় পাস পারমিট করে বনে ঢুকে সে মাছগুলো ধরে থাকে। এভাবেই চলে জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গোনমুখে মাছ ধরে আর লোকালয়ে ফিরে আসে না। এরা অসাধু বন কর্মচারীদের সাথে সক্ষতা করে পাস পারমিট ছাড়াই বনে থেকে বিষ পাউডারের মাধ্যমে মাছের ডিম থেকে শুরু করে বড় ছোট সব মাছগুলো মেরে ফেলে। পেশাদার জেলেরা পরবর্তী গোনে মাছ ধরতে গেলে যে খালে বা এলাকায় বিষ প্রয়োগ করা হয়, ঐ এলাকার খালে আর মাছ পাওয়া যায় না। কারণ মাছের ডিম থেকে শুরু করে ছোট মাছগুলো মেরে ফেলার ফলে মাছের উপস্থিতি কমে যায়।

বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরার পদ্ধতি : অসাধু জেলেরা প্রথমত যে এলাকায় বিষ প্রয়োগ করবে সে এলাকার খাল নির্বাচন করে। যে খালে বেশি মাছের উপস্থিতি সেই খালকে বেছে নিয়ে পরিপূর্ণ জোয়ারে কিছু টা আগে একটি খালের মাঝ বরাবর জোয়ারের স্রোতে সাদা রঙের শুকনা বিষ পাউডার পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়। ৩/৪ কেজি পরিমান পাউডার ছেড়ে দিলে স্রোতের গতিতে পাউডার খাল ও বন সংলগ্ন ঝরানির সমস্ত জায়গায় মিশে মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ সম্পদের মাছের ডিম থেকে শুরু করে রেণু পোনা, বড় মাছ, ছোট মাছ, কাঁকড়া, কুঁচে, সাপ, বাঙস, কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে পানিতে বাস করা সকল প্রাণী মরতে শুরু করে। এবার জোয়ারের পানি ভাটায় নামতে শুরু করার সাথে সাথে বিষ প্রয়োগ কারীরা খালের মাঝ বরাবর সুক্ষ ক্ষদ্রাকৃতি (নিষিদ্ধ নেটজাল) পেতে দেয়। পানির স্রোতের সাথে বিষ ক্রিয়ায় মরা, আধামরা জলজ প্রাণীগুলো জালে এসে আটকে যায়। জেলেরা শুধুমাত্র মাছগুলি নিয়ে বাকী জলজ প্রাণী গুলো নদীতে ফেলে দেয়।

এভাবে প্রতিনিয়ত হত্যা করা হয় শত শত প্রজাতির জলজ সম্পদ গুলো। কয়রা উপজেলা সুন্দরবন মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি সরকার লুৎফর রহমান জানান, উপকূলীয় এ জনপদের গরীব শ্রেণীর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সুন্দরবনে মৎস্য ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যে গরীব জেলেদের দিয়ে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে করে সুন্দরবনের শুধু মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে না, ধ্বংস করা হচ্ছে গরীব শ্রেণীর পেশাদার জেলেদের মুখের আহার। সেই সাথে ধ্বংস করা হচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জলজ প্রাণীগুলি। মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দীন মোড়ল জানান, যে খালে বিগত গোনে ৩০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। পরবর্তী গোনে একই খালে মাত্র ৪০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে। এতে করে জেলেদের পেট চালানোও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ দিয়ে মাছ নিধন যোগ্য বন্ধ না হলে ব্যবসা ছেড়ে দিব। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক জানান এধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগ জনক। তবে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ সহ বিষ প্রয়োগকারী মৎস্য ব্যবসায়ীদের বনে ঢোকার পাশ পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কয়রায় বাগালী ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বহু কাঙ্খিত কয়রা উপজেলার বাগালী ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কে ঘিরে গত ১৫ দিন যাবৎ উভয় প্যানেলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। ফলে পুলিশ মোতায়নের মাধ্যমে রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ইউনিয়নটির নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে বাগালী ইউপি’র ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য মিসেস রাশিদা পারভীন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা- ৬। অপর দিকে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী যুবদল নেতা ইউপি সদস্য মোঃ আশরাফ হোসেন (পল্টু) পেয়েছেন-৫ ভোট।

উল্লেখ্য, নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোঃ ওলিউল্লাহ সদ্য বরখাস্ত হওয়ায় ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য দেখা দিলে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা চলে আসে। সে মোতাবেক সদ্য নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়নটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

এদিকে জামায়াতের মামলায় ইউনিয়নটির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম জেল খানায় রয়েছে। ফলে ঐ জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে ১১ ইউপি সদস্য ও সদস্যাদের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত বুধবার নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে ইউনিয়নটির প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন হলে উভয় প্যানেল ৫ ভোট করে পায়। নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পরপরই নির্বাহী কার্য্যালয়ের বাহিরে উভয় প্যানেলের সমর্থকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফলে পুনরায় নির্বাচনের দিন ধার্য্য হলে এই ভোট কে কেন্দ্র করে উপজেলা সদর সহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের বাজার-ঘাটে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

পাইকগাছায় স্প্রিং বাংলাদেশের ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় স্প্রিং বাংলাদেশ (ডাক দিয়ে যায়) সংস্থার উদ্যোগে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্ঠি ও স্বাস্থ্য কার্যক্রম এবং বসতভিটার সবজি চাষ বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকালে হরিঢালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পিএফপি মোঃ আবু মোজাফফর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ফ্যাসিলেটর দেবাশীষ রায় ও মেহেদি হাসান। 


অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ২০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রশিক্ষন সম্পন্ন হয়েছে।