Friday, March 14, 2014

পাইকগাছায় সেনাটহল

১৫ মার্চ তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে পাইকগাছায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহলে নেমেছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচল ও লাইসেন্স করা সব ধরণের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।  

বুধবার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী টহল শুরু করেছে।

পাইকগাছা উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন জানান, ১৫ মার্চ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা সদস্যরা পাইকগাছা কলেজ ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচনে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তৃতীয় পর্যায়ে আগামী ১৫ মার্চ ২০১৪ (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ১৯৮৩ সালের মটর ভেহিক্যালস্ অধ্যাদেশ -এর ৮৮ ধারা অনুযায়ী পাইকগাছা উপজেলায় ১৪ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত ১২টা হতে ১৬ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

যানবাহনসমূহ হচ্ছে- বেবিট্যাক্সি/অটোরিক্সা/ইজিবাইক, টেম্পো, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার, বাস ও ট্রাক।

তবে ১৪ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৬ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মটর সাইকেল চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।

এছাড়াও ১৪ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৬ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত সকল ধরণের নৌ-যান ও স্পীড বোট চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে। তবে ভোটাদের চলাচলের জন্য ক্ষুদ্র ইঞ্জিন চালিত নৌযান এ নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর ভোটযুদ্ধ শনিবার

শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪র্থ পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ভোটের উপকরণ প্রতিটি কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে এবং ৬৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সূত্রমতে, ১০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৯৩ হাজার ৪৬৬ জন ও মহিলা ৯২ হাজার ১৩৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৬৯টি এবং ভোট কক্ষ ৪৪২টি। চলতি বছরের ৩য় দফায় জেলার একমাত্র এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

অপর প্রাথীরা হচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান (আনারস), ১৯ দলীয় জোট মনোনিত সাবেক এমপি এ্যাড. স.ম বাবর আলী (দোয়াতকলম), উপজেলা জাপা ও পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর (ঘোড়া), সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল (কাপপিরিচ) ও বাস্তব প্রতিষ্ঠাকরণ পার্টির জিএম আবদার রশীদ (চিংড়ীমাছ)। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে স.ম বাবর আলী, মোঃ রশীদুজ্জামান ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী হচ্ছেন, ১৯ দলীয় জোট মনোনিত উপজেলা জামায়াতের আমির মাওঃ শেখ কামাল হোসেন (টিউবওয়েল), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলহাজ্ব মাওঃ মুজিবুর রহমান সানা (তালা), বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল গফুর (টিয়াপাখি), এ্যাড. এসএম মুজিবর রহমান (বই), যুবদল নেতা শেখ সামছুল আলম পিন্টু (উড়োজাহাজ), ডাঃ টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল (মাইক), ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট নেতা শাহাজান সিরাজ সাজু (চশমা)।

৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন, বর্তমান ভাইস চেয়াম্যান ও বিএনপি মনোনিত রাবেয়া হোসেন (হাঁস), আ’লীগ মনোনিত ইউপি সদস্য দীপ্তি চক্রবর্তী (পদ্মফুল), জামায়াত মনোনিত শাহানারা খাতুন (কলস) ও ওয়ার্কাস পার্টির মোছাঃ মাছুমা খাতুন (ফুটবল)।

এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা হতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ায় নির্বাচন শেষে কাঙ্খিত ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। সব মিলিয়েই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবশেষে ভোটের আগের দিন আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানকে (আনারস) সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ সোহরাওয়ার্দ্দী। 

তিনি শুক্রবার সকালে পাইকগাছা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আমার জনসমর্থনের অভাব রয়েছে এবং আমি কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য নই। এজন্য নির্বাচনে আমার জনসমর্থন না থাকার বিষয়টি উপলব্ধি করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছি এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের আ’লীগ মনোনিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানের (আনারস) প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

ফলোআপ (২)- "স্মৃতিসৌধ"-এর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার" !!!

পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন’কে জ্ঞাপিত গতবারের ধন্যবাদ কি তবে বৃথা গেল !!!

 
পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজে আবারও সেই একই অমার্জনীয় ভুল ধরা পড়লো Voice of Paikgacha প্রতিনিধির অনুসন্ধানী সংবাদিকতায়। ১৩ মার্চ রাত থেকে উপজেলার ওয়েব পেজের ঠিক উপরে দেখা যাচ্ছে পাইকগাছা পৌরসভা "স্মৃতিসৌধ"-এর একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা "শহীদ মিনার"। 
 
পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন’কে জ্ঞাপিত গতবারের ধন্যবাদ কি তবে বৃথা গেল !!! উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে এই অমার্জনীয় ভুল সংশোধনের দাবী জানাই।

৮ মার্চ ২০১৪ শনিবার সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে Voice of Paikgacha‘য় "স্মৃতিসৌধ"-এর ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে "শহীদ মিনার" !!! -শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে এই অমার্জনীয় ভুল সংশোধনের দাবী জানানো হয়।

ফলশ্রুতিতে, ৮ মার্চ ২০১৪ শনিবার সন্ধ্যার পরে পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজটিতে আর এই অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভুল সংশোধিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাইকগাছা উপজেলার ওয়েব পেজের ঠিক উপরে উপজেলার কিছু বিশেষ ছবি স্ক্রল আকারে প্রদর্শিত হয়। এখানেই পাইকগাছা পৌরসভা "স্মৃতিসৌধ"-এর একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল "শহীদ মিনার"। আর, এই ওয়েব পেজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের।

বিগত পোস্টের লিংক ::