পাইকগাছার কপিলমুনিতে কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি জায়গায় স্থায়ীভাবে প্রায়
কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মাছের কাটা। বাজার সম্প্রসারন বা
ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের নামে স্থানীয় কতিপয় নেতারা সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে অপরিকল্পিতভাবে নদীর চর ভরাটি জায়গায় প্রায় অর্ধশতাধিক মাছের কাটা নির্মানে কাজ শুরু করেছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে এই কাজে বাজার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষন হবে তো ?
নাকি আবার বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি প্রবাহের পথ রুদ্ধ হয়ে জলোবদ্ধতার শিকার
হবেন এই জনপদের ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি বিশাল জায়গায় কতিপয় ব্যক্তিরা প্রশাসনের দূর্ণীতিবাজ কর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিভিন্ন সময় ডিসিআর নিয়ে জাগয়া দখলসহ ধান ও মাছ চাষ করে আসছে। বর্তমানে ডিসিআর এর নামে কতিপয় ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে দখল করে নির্মান করে মাছের কাটা। যা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনকারীদের সাথে বিরোধ বাঁধে দখলকারীদের।
একইভাবে এই কাটা নিয়ে খোদ সরকার দলের নেতারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খুলনা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হন আ’লীগের নেতা এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। তিনিও কপোতাক্ষ বাঁচাতে সোচ্চার। একইভাবে কপিলমুনির বাজার উন্নয়ন, জলোবদ্ধতা নিরাসনসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান এমনটি ঘোষনা দেন। অথচ অপরিকল্পিতভাবে নদীর চর ভরাটি জায়গায় প্রায় অর্ধশতাধিক মাছের কাটা নির্মান নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
এব্যপারে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু বলেন, কপোতাক্ষ আগে বাঁচাতে হবে আর বাজার উন্নয়নসহ সব কিছু হতে হবে বিধিমোতাবেক।
১নং হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু বলেন, কপোতাক্ষের চর ভারাটি জায়গায় মাছের কাটা নির্মানের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বাজার উন্নয়নের ব্যাপারে আপত্তি নেই, তবে সব কিছু হতে হবে নিয়মনীতির মধ্যদিয়ে।
কপিলমুনি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নির্মল মজুমদার বলেন, কপোতাক্ষ নদ বাঁচিয়ে তারপর অন্য কাজ করলে তার আপত্তি নেই। সাবেক সাধারন সম্পাদক আছাদুর রহমান পিয়ারুল বলেন, কপোতাক্ষ নদী দখল করে অপরিকল্পিভাবে মাছের কাটা নির্মানে তার আপত্তি আছে। তিনি দাবি করেন, ১৩৩৯ সালে রায়সাহেব কপিলমুনি বাজার স্থাপনের পর থেকে আজ অব্যদি ১১টি মাছের কাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। হঠাৎ করে আরও ৪০/৫০টি মাছের কাটা নির্মান নিয়ে তার এবং জনমনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের মাঝ বরাবর চর দখল করে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রতিরোধ করে এই ধরনের অপরিকল্পিত স্থায়ী মাছের কাটা নির্মানে জলোবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে চৌগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যস্ত নদী কুলের লাখও মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। তিনি বলেন, নদী খনন কাজ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং বাজার উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি পরিকল্পনায় কাজ করা হউক। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে চলছে উন্নয়নের নামে নদী শাসন।
বণিক সমিতি ও হরিঢালী আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, কপোতাক্ষ খনন কাজে যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং নিয়মনীতির মধ্যদিয়ে বাজার উন্নয়ন ও হাট সম্প্রসারনের কাজ চলছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের চর ভরাটি বিশাল জায়গায় কতিপয় ব্যক্তিরা প্রশাসনের দূর্ণীতিবাজ কর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে বিভিন্ন সময় ডিসিআর নিয়ে জাগয়া দখলসহ ধান ও মাছ চাষ করে আসছে। বর্তমানে ডিসিআর এর নামে কতিপয় ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে দখল করে নির্মান করে মাছের কাটা। যা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনকারীদের সাথে বিরোধ বাঁধে দখলকারীদের।
একইভাবে এই কাটা নিয়ে খোদ সরকার দলের নেতারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খুলনা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হন আ’লীগের নেতা এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। তিনিও কপোতাক্ষ বাঁচাতে সোচ্চার। একইভাবে কপিলমুনির বাজার উন্নয়ন, জলোবদ্ধতা নিরাসনসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান এমনটি ঘোষনা দেন। অথচ অপরিকল্পিতভাবে নদীর চর ভরাটি জায়গায় প্রায় অর্ধশতাধিক মাছের কাটা নির্মান নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
এব্যপারে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু বলেন, কপোতাক্ষ আগে বাঁচাতে হবে আর বাজার উন্নয়নসহ সব কিছু হতে হবে বিধিমোতাবেক।
১নং হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু বলেন, কপোতাক্ষের চর ভারাটি জায়গায় মাছের কাটা নির্মানের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বাজার উন্নয়নের ব্যাপারে আপত্তি নেই, তবে সব কিছু হতে হবে নিয়মনীতির মধ্যদিয়ে।
কপিলমুনি বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নির্মল মজুমদার বলেন, কপোতাক্ষ নদ বাঁচিয়ে তারপর অন্য কাজ করলে তার আপত্তি নেই। সাবেক সাধারন সম্পাদক আছাদুর রহমান পিয়ারুল বলেন, কপোতাক্ষ নদী দখল করে অপরিকল্পিভাবে মাছের কাটা নির্মানে তার আপত্তি আছে। তিনি দাবি করেন, ১৩৩৯ সালে রায়সাহেব কপিলমুনি বাজার স্থাপনের পর থেকে আজ অব্যদি ১১টি মাছের কাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। হঠাৎ করে আরও ৪০/৫০টি মাছের কাটা নির্মান নিয়ে তার এবং জনমনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের মাঝ বরাবর চর দখল করে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রতিরোধ করে এই ধরনের অপরিকল্পিত স্থায়ী মাছের কাটা নির্মানে জলোবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে চৌগাছা থেকে কপিলমুনি পর্যস্ত নদী কুলের লাখও মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। তিনি বলেন, নদী খনন কাজ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং বাজার উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি পরিকল্পনায় কাজ করা হউক। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে চলছে উন্নয়নের নামে নদী শাসন।
বণিক সমিতি ও হরিঢালী আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, কপোতাক্ষ খনন কাজে যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং নিয়মনীতির মধ্যদিয়ে বাজার উন্নয়ন ও হাট সম্প্রসারনের কাজ চলছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।