Saturday, June 15, 2013

পাওনা টাকা চাওয়ায় পোনা ব্যবসায়ীর নামে ছিনতাই মামলা

কপিলমুনিতে পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে এক চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী ইবাদুল ইসলাম (৩৫) নামের ও তার সহোদরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমুলক ছিনতাই মামলা করেছে হাবিবুর দপ্তরী (২৭) নামের এক যুবক। গত ৯ জুন সন্ধায় ছিনতাই ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মৃত আব্দুল গাজীর পুত্র ও স্থানীয় মানিকতলা বাজারের বন্ধু ফিসের স্বত্বাধিকারী ইবাদুল গাজীর কাছ থেকে দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর যাবৎ চিংড়িপোনা ক্রয় লেন-দেন করে আসছিল পার্শ্ববর্তী তালার নলতা এলাকার নফেল দপ্তরীর পুত্র হাবিবুর দপ্তরী। এমতাবস্থায় বন্ধু ফিসে পোনা ক্রয় সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে হাবিবুর দপ্তরীর কাছে সর্বশেষ ৫০ হাজার ২ শত ৪৫ টাকা প্রাপ্তী হয় অথচ একের পর এক ওয়াদা দিয়েও হাবিবুর তা পরিশোধ করেনি। পাওনা টাকা না দেওয়ার মানষে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে সে।

এক পর্যায় গত ৯ জুন কশিমনগর বাজারে হাবিবুরকে দেখে পাওনা টাকা চাইতে গেলে বাধে বিপত্ত্বি। সে সময় টাকা দেওয়ার জন্য পুনরায় ওয়াদা করলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তির মধ্যস্থতায় কপিলমুনি বাজারের ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী তার প্রাপ্য টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে মর্ম্মে সিদ্ধান্ত করে। এবং বাকী ৩০ হাজার টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের ওয়াদা করে চলে যায়। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে হাবিবুর উল্টো পাওনাদার ইবাদুল গাজী, সহোদর মফিজুল গাজী (৩০)সহ ৫ জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করে। যার নং-২২, তারিখ-১০/০৬/১৩ এবং ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দঃবিঃ।

মামলায় উল্লেখ থাকে যে, ঘটনার দিন হাবিবুর কাশিমনগর বাজারে ৫টি গরু বিক্রি করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬ শত ২৪ টাকা কোমর ব্যাগে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পতিমধ্যে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার সাইকেলের গতিরোধ করে কোমরে থাকা টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অথচ ঘটনার দিন উভয়পক্ষের মধ্যকার সৃষ্ট গোলযোগের বিষয় মিমাংশার স্বার্থে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে সরকার দলীয় নেতাদের উপস্থিতি, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নের্তৃবৃন্দসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সম্মুখে বিষয় নিষ্পত্ত্বি হয়।

ঘটনার পর পাইকগাছা থানায় ছিনতাই মামলা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ব্যবসায়ী নেতাদের মাঝে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানীমুলক মামলা প্রত্যাহারসহ পাওনা টাকা আদায়ে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গৃহবধু হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু আটক

পাইকগাছায় গৃহবধু হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মিজানুর রহমান নামের এক নসিমন চালককে আটক করেছে। তাকে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক নসিমন চালকের সাথে নিহত গৃহবধুর আর্থিক সম্পর্ক ও গৃহবধুর পরিচয়ধারী স্বামী হাশেমের বন্ধু বলে জানাগেছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন উপজেলার উত্তর বাইনবাড়িয়া এলাকা থেকে পুলিশ ভাসমান অবস্থায় শান্তা গ্রামের মোহর আলী গাজীর কন্যা ও পাতড়াবুনিয়া গ্রামের হাশেম আলী গাইনের দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় গৃহবধুর ভাই আজমল হোসেন বাদী হয়ে হাশেম আলী গাইনসহ অজ্ঞাত আরোও ২/৩ জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ৈর করে। ঘটনার ৩দিন পর শুক্রবার বিকালে পুলিশ হাশেম আলীর বন্ধু পাতড়াবুনিয়া গ্রামের রজব আলী সরদারের পুত্র নসিমন চালক আটক করেছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান-আটক মিজান হাশেমের ঘনিষ্ট বন্ধু এবং হাশেমের অবাধ যাতায়াত করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে ঝড়ুক বাদল, সিক্ত হোক ধরণী

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ, কদম ফোটার দিন। বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের অন্যতম বর্ষা মৌসুম শুরু হয় আষাঢ়ের আগমনে। আমাদের প্রকৃতি, আমাদের জাতীয় জীবন, আমাদের কৃষি আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রভাব বিস্তার করে আছে বর্ষা ঋতু। তবে এবার অনেক আগেই বর্ষা শুরু হয়েছে। ফলে বর্ষা ঋতুর আগমনের জন্য যে অপেক্ষা করতে হয় এবার আর তা করতে হয়নি। এমনকি কদম ফুলও ফুটেছে আগেভাগে বর্ষা পেয়ে।

 
আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে হোক বা অন্য কারণে বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সৃষ্টি হওয়ায় তার প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে পর্যাপ্ত। এবার বর্ষায় অতিবৃষ্টি হলে বন্যার আশংকা রয়েছে।

আজ খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

রাত পেরিয়ে ভোর। সকাল থেকেই শুরু নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে জামানত হিসেবে ভোট প্রদান করা। হ্যাঁ, আজ খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। জয়লাভের আনন্দে আত্মহারা হবে অনেকে। আবার কেউ এর উল্টোটি। প্রায় সকল প্রার্থীই মনে করছেন আমি জিতবো। 
 
কিন্তু সেই সৌভাগ্যের দাবিদার হবেন, মেয়র পদে ১ জন, সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ৩১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসনে ১০ জন। সর্বোমোট ৪২ জন। আর বাকি প্রার্থীরা চলে যাবেন সাধারণ মানুষের স্থানে। সামনে নির্বাচন করতে হলে জনগণের সাথে থেকে, পাশে থেকে আবার কাজ করতে হবে আগামী পাঁচ বছর। শুধু জনপ্রতিনিধিই নয় জনগণের সেবক হিসেবেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে।

এবার খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট চার লাখ ৪০ হাজার ছয় শ’ চুয়ান্ন জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ১৬ হাজার একশ’ ছয় জন ও পুরুষ ভোটার দুই লাখ ২৪ হাজার পাঁচশ’ ৪৮ জন।

আগামীকাল বাবা দিবস

প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের ৫২টি দেশে বাবা দিবস হিসাবে পালিত হয়। সে হিসেবে আমাদের দেশে এ বছর ১৬ জুন বিশ্ব বাবা দিবস।

পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। যদিও পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না, তবুও মা দিবসের অনুকরণে দিনটি পালিত হয় বাবা দিবস হিসেবে।

বাবা দিবসের ইতিহাস:
 
বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি পিতারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব পিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।

ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে পিতাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার পিতাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।

বাবা দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো। আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।