Monday, September 16, 2013

দীর্ঘ এক বছরেও স্কুল শিক্ষক ভগবান হত্যা মামলার কিনারা হয়নি

দীর্ঘ এক বছরেও পাইকগাছা উপজেলার স্কুল শিক্ষক ভগবান মন্ডল হত্যা মামলার কিনারা হয়নি। রহস্য উন্মোচন হয়নি। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং মামলার বাদী ও তার পুত্র-কন্যাকে খুন-জখমসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের হাউলি গ্রামের স্কুল শিক্ষক ভগবান মন্ডলের সাথে একই গ্রামের নিমাই চন্দ্র মন্ডল গংদের জমাজমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এরই জের ধরে গত ০৬-০৪-১২ তারিখ নিমাই মন্ডল দলবল নিয়ে বৃদ্ধ শিক্ষক ভগবান মন্ডলকে বাড়ির সামনে ফেলে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এলে তার স্ত্রী শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নিমাই মন্ডলকে প্রধান আসামী করে ৬জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২, তাং-০৬-০৪-১২, জি,আর-১৯২/১২।

অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই আসাদুল মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা বাদ দিয়ে ৩০-০৫-১২ তারিখে আদালতে শুধুমাত্র ৩২৩ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। মামলার বাদী পুলিশের রিপোর্টের বিরুদ্ধে ১-০৭-১২ তারিখে আদালতে নারাজী দেন।

ইতিমধ্যে আহত ভগবান মন্ডল চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২০ আগস্ট মারা যান। মৃত্যুর পর গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর উক্ত মামলার বাদী একই আসামীদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ভগবান মন্ডলকে হত্যার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি জি,আর-১৯২/১২ মামলার সাথে নথিভুক্ত রাখেন এবং পূর্বের মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে থানার এস,আই সিরাজ মামলাটির পুনঃতদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। মামলার বাদী অনিমা রানী মন্ডল বলেন, আসামীরা আমাকে ও পুত্র হিমাংশু মন্ডলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ সাক্ষীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। স্বামীর ন্যায় একমাত্র পুত্র হিমাংশু মন্ডলও প্রতিপক্ষের দ্বারা হত্যার শিকার হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি। চরম ভীতিকর অবস্থার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

পাইকগাছায় অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ‘১৩ সম্পর্কিত বিল প্রত্যাহারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। 

রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দু’টি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপির মাধ্যম সংগঠনের নেতারা জানান অর্পিত সম্পত্তি জটিলতা নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের দূর্ভোগ দীর্ঘদিনের। ভূক্তভোগীদের প্রত্যাশা ছিল বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই অর্পিত ও দেবোত্তর সম্পত্তি জটিলতা অবসান হবে।

২০১১ থেকে ১৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ৪টি সংশোধনী জটিল থেকে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। জটিলতার কারনে ইতোমধ্যে সারাদেশে গঠিত ট্রাইবুন্যালে ৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। ধীরগতির কারনে নিষ্পত্তির সময় অর্ধশতবছর অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে সংগঠনের নেতারা আশংকা প্রকাশ করেছে।

সংগঠনের নেতারা স্মারকলিপির মাধ্যমে (ক) অর্পিত সম্পত্তির প্রর্ত্যাপন আইনে বে-আইনীভাবে সংযোজিত (খ) তপশীল (ঘ) অব্যাহত গেজেট প্রকাশে ধারাবাহিকতা বাতিল ও দেবত্তোর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ‘১৩ সম্পর্কিত বিল সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন না করে প্রত্যাহারের দাবী জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রতন কুমার ভদ্র, সমীরণ সাধু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, মুরারী মোহন সরকার, প্রাণকৃষ্ণ দাশ, প্রমথ মন্ডল, উত্তম দাশ, শংকর দেবনাথ, সুনীল মন্ডল, দেবব্রত রায়, সুভাষ বিশ্বাস, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, ভূধর চন্দ্র বিশ্বাস, দুলাল বিশ্বাস, জগদীশ রায়, দীপক মন্ডল, মধুসুদন কর্মকার, সুবাস চন্দ্র মন্ডল, সঞ্জীব কুমার মন্ডল ও কৃষ্ণ রায়।

অতি দরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিদরিদ্র শিশুর নিয়মিত উপস্থিতি বিষয়ক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচী ও এ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ এর উদ্যোগে রোববার সকালে দক্ষিণ গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, এ্যাডভোকেসি ফর সোস্যাল চেইঞ্জ এর জেলা ব্যবস্থাপক মোহাঃ মুনতাসির রহমান, ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, শিক্ষক আকবার আলী, তাছলিমা বেগম, আলি মুনসুর খান, লুৎফর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক সানা, এবাদুল ইসলাম, রিজিয়া বেগম, ময়না বেগম, আফসার আলী, সাহেদ আলী, ব্র্যাকের আবু সাঈদ ও রেহানা বেগম। 


সভায় উপস্থিতির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও খন্ডকালিন বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।