Monday, February 17, 2014

এইচএসসি পরীক্ষা ৩ এপ্রিল থেকে

আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী সোমবার এই তথ্য জানান।

গত পাঁচ বছর ১ এপ্রিল থেকেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হয়। তবে এ বছর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এইচএসসি ও সমামানের পরীক্ষা দুই দিন পেছানো হয়েছে বলে জানান ঢালী।

Voice of Paikgacha makes you nostalgic !


অবৈধ সিম কার্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ

আগামী তিন মাসের মধ্যে সব অবৈধ সিম কার্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মুঠোফোন অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুঠোফোন অপারেটরদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

বিশেষ করে বছরে যারা একবার সিম ব্যবহার করেন, দেশে ব্যবহার না করে বিদেশে গিয়ে রোমিং করে ব্যবহার করেন এবং যেসব সিম ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়, সেসব সিমের সংযোগও বাতিলের কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এখন থেকে যেকোনো মুঠোফোন ব্যবহারকারীর পরিচয় জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোন কোম্পানিকে জানাতে হবে। যদি না জানাতে পারে, তবে ওই কোম্পানিগুলো দায়ী থাকবে।

সংশ্লিষ্ট ওই সূত্র আরো জানায়, সিম কার্ড বন্ধ করে দেয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি ও খুদে বার্তা পাঠানো হবে ব্যবহারকারীদের। রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই পুরো ফরম পূরণ করতে হবে। শুধু নামের ঘর পূরণ করে ফরম বিক্রি করা চলবে না। চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট বা ভোটার আইডি কার্ড বা যেকোনো একটি তথ্য দিতে হবে, যা দিয়ে গ্রাহককে শনাক্ত করা যেতে পারে।

কর্মকর্তারা জানান, সিম কেনার তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে নানা অসংগতি চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় এক তথ্যের সঙ্গে আরেক তথ্যের মিল নেই। এভাবে সিম বিক্রির ফলে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। সিম কার্ড বিক্রির সময় গ্রাহক তথ্য নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেয়া হবে অপারেটরদের।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘অবৈধ সিম র্কাড ব্যবহার করে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেয়াসহ বড় বড় অপরাধ করা হচ্ছে। এজন্যই অবৈধ সব সিম কার্ড বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রি করলে ওই দোকানদার বা ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ ব্যবহার ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য ছয়টি মুঠোফোন অপারেটরের ৭১ লাখ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি সেমিনারে মুঠোফোন অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলালিংক ২১ লাখ, গ্রামীণফোন ১৪ লাখ, এয়ারটেল ১৩ লাখ ও টেলিটকের আট লাখ সিম কার্ড বন্ধ করেছে অপারেটররা।

সেমিনারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জানান, বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য ৭১ লাখ সিম কার্ড সম্প্রতি বন্ধ করা হয়েছে।

মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৯৮ শতাংশ সিম কার্ড অবৈধ কল টারমিনেশনের জন্য বন্ধ করা হলেও অবৈধ কল টারমিনেশনের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের ৯০ শতাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিটিআরসি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়। অবৈধ কল টারমিনেশনের অভিযোগে গত চার বছরে ১৪৯ জন আটক হলেও তারা প্রত্যেকেই ছাড়া পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড ও গাড়ির নম্বর বাংলায় লেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

গণমাধ্যমের সব বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, গাড়ির নম্বরপ্লেট ও নেমপ্লেট এক মাসের মধ্যে বাংলায় রূপান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার দুপুরে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন এডভোকেট ইউনুস আলী আকন। এর আগে রবিবার আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন কার্যকর চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট ড. ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনটি বাংলায় লেখা হয়।

রিট আবেদনে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭ বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বাংলা ভাষা আইন সর্বত্র অনুসরণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ওই আইনের ৪ ধারা অনুসারে প্রয়োজনীয় বিধি জারি করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।