Wednesday, December 11, 2013

পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনেই সড়কের মাঝামাঝি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি !

রাতের বেলা পথ চলতে হঠাৎ আঘাত প্রাপ্ত হয়েই সামনে আবিষ্কার করলেন ঠায় দাড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুটি ! অথবা দ্রুত গতিতে অগ্রসরমান কোন সাইকের আরোহী বিপরীত দিক থেকে আসা কোন যানবাহনকে জায়গা দিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন সেই একই বিদ্যুতের খুটির সাথে !

ঠিক এমন ঘটনারই জন্ম দিচ্ছে পাইকগাছা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান ফটকের সামনেই সড়কের মাঝামাঝি স্থানে বিপদজনক ভাবে অবস্থিত একটি বিদ্যুতের খুঁটি। ব্যস্ততম এই সড়কে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নাকের ডগায় অবস্থিত এই বিদ্যুতের খুটি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হাইস্কুল রোডে প্রতিদিন শতশত ছাত্রছাত্রীর যাতায়াত। বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় আবস্থিত হওয়া্য়, সর্বদাই ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে এই সড়ক। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থেকেই যায়।

সড়কটির জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যুতের খুঁটি’টির স্থান হয়েছে সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে। কিন্তু আজ অবধি পাইকগাছা পৌরসভা অথবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কতৃপক্ষ এই বিদ্যুতের খুঁটি অপসারনের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরন সমালোচনার যোগ্য।

এই সড়কের নিয়মিত পথচারী সঞ্জিব কুমার মন্ডল বলেন, সড়ক নির্মানের আগে থেকেই বিদ্যুতের খুঁটি‘টি এখানে রয়েছে। কিন্তু আজ অবধি এটি অপসারণ করা হয়নি। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি‘টির ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মোঃ মোক্তার হোসেন জানান। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যুতের খুঁটি’টি অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

পাইকগাছা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কমিশনার এস এম ইমদাদুল হক জানান, এই বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের। আশেপাশে জমি না পাওয়াতে এটি এখনও অপসারণ করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ। তবে তিনি বিদ্যুতের খুঁটি’টি অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিক বার গেলেও কোন কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে চাননি।

পাইকগাছায় ছাত্র শিবিরের ২০টি গোপন সিডি উদ্ধার

পাইকগাছায় ছাত্র শিবিরের ২০টি গোপন সিডি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় অফিস থেকে এসব সিডি উদ্ধার করেছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় শিবিরের কেন্দ্রীয় সংগঠন থেকে রুহুল আমিন কাগজীর নামে কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ২০টি গোপন সিডি পাঠানো হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এস.আই হারুন অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে আবস্থিত কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় অফিস থেকে এসব সিডি উদ্ধার করেছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

পাইকগাছায় বিএনপি জামায়াতের ৯ নেতাকর্মী আটক

পাইকগাছায় পৃথক ঘটনায় বিএনপি জামায়াতের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নাশকতার আশংকায় দু’জামায়াত নেতা এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার সময় ৭ পিকেটারকে আটক করা হয় বলে থানা পুলিশ সুত্র জানায়।

জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জামায়াতের ডাকা ৩য় দিনের হরতাল ও অবরোধ সমর্থনে পিকেটাররা কপিলমুনি সংলগ্ন মুচির পুকুর নামক স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ পিকেটারকে আটক করে।

অপরদিকে নাশকতার আশংকায় একই সময় হরিঢালীর জামায়াত নেতা অদুদ ও গদাইপুরের জামায়াত নেতা এয়াকুব আলীকে আটক করে।

এ ব্যাপারে ওসি এম মসিউর রহমান জানান, আটককৃত ৭ পিকেটারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি দুই জামায়াত নেতাকে নাশকতার আশংকায় আটক করা হয়েছে।

পাইকগাছায় সড়ক অবরোধ; পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

পাইকগাছায় বুধবার জামায়াত শিবির সমর্থকরা বড় বড় গাছ ফেলে প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সড়কের উপর ফেলে রাখা গাছ অপসারণ করে। 

এদিকে কাদের মোল্লার রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে রাতভর মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়াও অনেক জামায়াত নেতার বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জামায়াত নেতা কাদের মোল্যার রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে অবরোধের পঞ্চম দিন জামায়াত শিবির সমর্থকরা বুধবার দিবাগত রাতে পৌর সদরের সরল বাজার, গদাইপুরসহ কয়েকটি স্থানে রাস্তার পাশের বড় বড় গাছ কেটে প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সহায়তায় অবরোধ অপসারণ করে।

সন্ধ্যার পর উপজেলা সদরের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। জনশূন্য হয়ে পড়ে গোটা পৌর এলাকা। পরিবহন চত্ত্বর, জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে রাতভর মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয় বলে ওসি এম মসিউর রহমান জানান।

পাইকগাছায় নবাগত ইউএনও হিসাবে কবির উদ্দিনের যোগদান

পাইকগাছায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন মোঃ কবির উদ্দিন। তিনি বুধবার সকালে যোগদান করেই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান ও পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।


এর আগে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। নবাগত ইউএনও’র গ্রামের বাড়ী ময়নমনসিংহ জেলার গফরগাঁও। উল্লেখ্য এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মোঃ মোমিনুর রশীদ ইউএনও হিসাবে যোগদান করলে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বদলী করা হয়। তারস্থলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম আহসান।

শুনানি ফের বৃহস্পতিবার, ঝুলে থাকল ফাঁসি

বুধবার ফাঁসি হচ্ছে না কাদের মোল্লার। যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবচেনার আবেদন করার সুযোগ আদৌ আছে কি-না, সে বিষয়ে ‍শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের ওপর চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জানিয়েছে।

আবার ১০০ বছর পর !


একাত্তরে ওরা আমার নানাকে খুন করেছিল

‘রাজাকার’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ এখন অর্থহীন। জাতীয় জীবনে সবচেয়ে ঘৃণ্য শব্দগুলোর মধ্যে এটি এখন একটি। আমার পারিবারিক জীবনে এই কুশব্দের ওজন আর বিষাক্ততা অনেক বেশি। কারণ, আমার মা মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতৃহারা হয়েছিলেন এই শ্রেণীর কিছু অমানুষের কারণে। মায়ের ছোট ভাই-বোনেরা (টিপু মামা. মুক্ত মামা, সাথী খালা) তখনও শিশু; আর আমার সবচে’ ছোট খালা (সাবিনা ইয়াসমীন মালা) তখন ছিলেন মাতৃগর্ভে; বাবা কী, তা তাঁরা জানতেও পারেননি কোনদিন।

শেখ মাহতাব উদ্দীন (মনি) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার তৎকালীন গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৭১-এ। ‘মনি চেয়ারম্যান’ হিসেবে এক নামে তাঁকে চিনতেন পাইকগাছার সবাই। শিক্ষিত ও মানবদরদী হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল কয়েক যুগ ধরে। প্রায় ১২ বছর ধরে সুনামের সাথে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সেই মনি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শেখ বেলাল উদ্দীন (বিলু) এবং বড় ছেলে শেখ শাহাদাত হোসেন (বাচ্চু) এপ্রিল-এর শেষ দিকে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তখন থেকেই স্থানীয় রাজাকারদের চক্ষুশূল মনি চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবার। আমার বড় মামা (বাচ্চু) ছিলেন দাকোপে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার। গেরিলা অপারেশন করেছেন দক্ষিণ খুলনায়।

এদিকে পাকবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়েছিল নানার রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রতিপক্ষ ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। পাকিস্তানী সেনাসদস্যদেরকে খাবার, আশ্রয় আর আমোদ-প্রমোদের যোগান দিত তারা। আমার মামা মুক্তিযোদ্ধা জেনেও তারা নানাকে প্রস্তাব দেয় শান্তি কমিটির সদস্য হতে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে। স্বভাবত:ই নানা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

২৮ জুলাই, ১৯৭১। গভীর রাতে নানাকে খুঁজতে তাঁর ২য় বাড়িতে (যেখানে তার গর্ভবতী দ্বিতীয়া স্ত্রীকে নিয়ে তিনি তখন ছিলেন) এলো কয়েকজন লোক, একজনকে তিনি চিনতেন (নাম তার মশিউর)। মশিউররা বলল, বড়মামা তাঁর সাথে দেখা করার জন্যে নদীর পাড়ে লুকিয়ে আছেন। যাঁর ছেলে মুক্তিযুদ্ধে গেছে, তিনিও কম সাহসী নন। এদের হাতে বেয়নেট দেখে নানা হয়ত কিছু বুঝতেও পেরেছিলেন। তাই হয়ত শেষ দেখা করতে এসেছিলেন আমার নানী (তাঁর প্রথমা স্ত্রী)-র সাথে তাঁর মূল বাড়িতে। নানা বলেছিলেন, তিনি বড়মামা-র সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাই নানী তার হাতের বালা খুলে মশিউরকে দিলেন, সাথে কিছু টাকা আর খাবার। নানাকে একা ছাড়তে ভয় করছিল নানীর। তবু নানীর নিষেধ আর সাবধানবাণী উপেক্ষা করে নানা সেই অস্ত্রধারী লোকদের সাথে চললেন ছেলের সাথে দেখা করতে।

কিন্তু গিয়ে দেখেন, ছেলে নয়, তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছে তাঁর শত্রুপক্ষ। সেখানে ‘জয় বাংলা’-র পক্ষের আরো কয়েকজন স্থানীয় ভাল মানুষ। তাঁদেরকে চোখ আর হাত বেঁধে সারি করে নদীর পাড় ঘেঁষে দাঁড় করানো হলো। তারপর গুলি। গুলির শব্দ শুনে হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নানা। সেই ডুবন্ত মানুষটাকেও গুলি করল আমিন গাজীর ভাস্তে দাউদ গাজী। গুলির আঘাতে নদীর জল থেকে লাফিয়ে ওঠেন নানা “আল্লাহু আকবর” বলে। রাজাকাররা মানুষের রূপে পিশাচ, আর তাইতো বৃদ্ধ মানুষটাকে নদীর জলে গুলি খেয়ে ডুবতে দেখেও ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তাঁর রোগা শরীর।

(এ সব বর্ণনা পরে তাঁর পরিবারের কাছে করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী; যিনি নদীর পাড়ের এক গাছে উঠে পুরো ঘটনাটি দেখেছিলেন নীরবে; নানাকে বাঁচাবার দু:সাহস তিনি দেখাতে পারেননি)।

নানার মৃতদেহ পরদিন ভোরে পাওয়া যায়। আমার মা সেই গুলিবিদ্ধ, ঝাঁঝরা বিভৎস লাশ দেখে শোকে, বিস্ময়ে বোবা হয়ে যান। গুলি লেগে উড়ে গিয়েছিল নানার একটা চোখ। সেই চোখহীন কোটরে তুলা ভরা ছিল। মার মুখে কথা ফুটেছিল কয়েক ঘণ্টাপর। নানী হয়ে গিয়েছিলেন পাথর। বড় মামা তখন দেরাদুনে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প-এ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। বাবার লাশ একবার দেখতেও পাননি তিনি। বড় মামা তাঁর পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেননি। বরং স্বাধীনতার পর তাঁর বাহিনীর কাছে ১০৮টি রাইফেলসহ স্থানীয় রাজাকারবাহিনী আত্মসমর্পন করলে তিনি তাদের ছেড়ে দেন। তাঁর এই মানবতা আমাকে এখনও অবাক করে !

১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ স্বাধীন হয়েছিল খুলনা। এই ৪১ বছরে কোন শাস্তিই হয়নি ওই খুনীদের। বরং অন্য অনেক রাজাকারের মতো সে এবং তার সঙ্গীরা এদেশের সব নাগরিক সুবিধা ভোগ করেছে, রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে, নির্বাচিতও হয়েছে। সেই খুনীরা এখন বেঁচে নেই, তবে তাদের বংশধরেরা ঠিকাদারি আর রাজনীতি করে দিব্যি আছে এখনও।

আমাদের এই প্রজন্মটি বড় হয়েছে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে, যার একটি অংশ সঠিক ইতিহাস জানেনা; অন্য অংশটি বেঁচে আছে এক অদ্ভুত বিষ আর বিস্ময় বুকে নিয়ে…। আর সবচেয়ে বড় বিস্ময়, সেই খুনীদের মুক্তির প্রকাশ্য দাবী জানায় তাদের সঙ্গী ও শিষ্যরা; এটা নাকি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ! ওদেরকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ নামে অভিহিত করে ‘জাতে তুলতে’ নারাজ আমি; ওরা খুনী, ওরা ধর্ষক, ওরা দেশ ও মানবতার শত্রু।

কৃতজ্ঞতা: কাজী মনজুর