Tuesday, April 8, 2014

হরিঢালীর নোয়াকাটীতে ধর্মীয় যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত

হরিঢালীর নোয়াকাটী মালোপাড়ায় অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞ শেষে রবিবার রাত ১১টায় সার্বজনীন পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে ধর্মীয় যাত্রাপালা মায়ের পায়ে রক্ত জবা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যাত্রাপালায় শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন সুপারস্টার শাহীন, প্রভাতী দেবী, বিকাশ মন্ডল প্রমুখ। যাত্রাপালা দেখতে এলাকার শত শত নারী পূরুষ ভক্ত মন্দির প্রাঙ্গনে সমেবত হন।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বর সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, কপিলমুনি বণিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সাফায়েত হোসেন (সাবান আলী), কপিলমুনি প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ পলাশ কর্মকার, গুণীজন স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অর্জুন কর্মকার, বিধান ভদ্র, মহাদেব কুমার প্রমুখ।

পাইকগাছায় স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যা; ঘাতক স্বামী আটক

পাইকগাছায় হতাশাগ্রস্থ এক স্বামী তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে ধারালো হাসুয়া কাঁচি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। হত্যা করার পর ঘাতক স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়। বর্তমানে ঘাতক পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের দক্ষিণ সলুয়া গ্রামে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সোমবার রাতে সন্তোষ দাশ ফটিকের পুত্র দীপক দাশ (৪৫) অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ হয়ে স্ত্রী সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন রাতে স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে দেয়। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধারালো হাসুয়া কাঁচি দিয়ে হতাশাগ্রস্থ দীপক তার স্ত্রী অনিমা দাশ (৩০) ও পুত্র সজিব দাশ (৮) কে জবাই করে হত্যা করে। অনিমা দাশ তালা থানার ঘোষনগর গ্রামের মৃত নিরাপদ দাশের মেয়ে।

পরে সে বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্ঠা করলে স্থানীয় লোকজন রাতেই তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ঘটনার দিন রাতে শিশু কন্যা প্রিয়াংকা (১২) তার দাদীর নিকট অবস্থান করায় বেঁচে যায়।

মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এসএম শফিউল্লাহ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়নাতদন্তের প্রেরণ করেন। হতাশাগ্রস্থ হয়ে স্বামী দীপক দাশ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন জানান।

৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালত খুলনা থেকে পাইকগাছায় স্থানান্তরের দাবি

পাইকগাছা-কয়রা উপজেলা অধিক্ষেত্রের ৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালত খুলনা থেকে স্থানান্তর করে পাইকগাছায় স্থাপনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি। পাইকগাছা-কয়রাবাসীর এই ন্যায্য দাবিটি দীর্ঘ বছর বাস্তবায়ন না হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দু’উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে।

সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা-কয়রার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আর্থিক অধিক্ষেত্র সর্বোচ্চ চার লাখ টাকার মামলা। উক্ত এখতিয়ারের উর্দ্ধে অত্রাঞ্চলের দেওয়ানী মামলাসহ ফৌজদারী, স্পেশাল ট্রাইবুনাল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও অর্থ ঋণের অসংখ্য মামলা খুলনা ৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও পাইকগাছা-কয়রার ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালতে প্রায় ১০ সহস্রাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালে পাইকগাছা ও কয়রা সদরে ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালত স্থাপিত হয়। ১৯৯১ সালে তৎকালীন সরকারের এক নির্বাহী আদেশে দেশের সকল উপজেলা আদালত জেলা সদরে স্থানান্তর করা হলেও বিশেষ বিবেচনায় পাইকগাছা-কয়রায় সহকারী জজ আদালত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বহাল থেকে যায়। এখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পৃথক হয়ে বিচার কার্যক্রম পৃথকভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে।

পাইকগাছা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ্যাডঃ জি,এম আঃ সাত্তার বলেন, খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা এলাকাবাসীর অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটারের মাধ্যমে পাইকগাছা-কয়রার অধিক্ষেত্রের ৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালতটি পাইকগাছায় স্থাপনের জন্য জোর সুপারিশ করেছিলেন।

অথচ পাইকগাছা-কয়রাবাসীর এই দাবি অদৃশ্য কারণে আজও বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, যদিও আমরা এখনও আশা ছাড়েনি, আমরা জোর চেষ্টা ও দাবি জানিয়ে আসছি আদালতটি পাইকগাছায় অথবা কয়রায় স্থাপনের জন্য।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ জি,এম আক্কাছ আলী বলেন, যেহেতু শুধুমাত্র পাইকগাছা-কয়রা অধিক্ষেত্রের ৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালতটি খুলনায় স্থাপিত, সেহেতু অত্রাঞ্চলের বিচার প্রার্থীদের অযথা ৬৮ কিলোমিটার দূরে খুলনায় আসা-যাওয়াটা স্রেফ ভোগান্তি আর অর্থদন্ডি ছাড়া আর কিছুই না।

পাইকগাছা-কয়রা অধিক্ষেত্রের ৪র্থ যুগ্ম-জেলা জজ আদালত খুলনা থেকে স্থানান্তর করে পাইকগাছায় স্থাপনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে পাইকগাছায় আ’লীগের ভরাডুবি; পুলিশী হয়রানিতে চাপে বিএনপি

পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক দুর্বলতাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। গত ১৫ মার্চ নির্বাচনের পরে পাইকগাছায় হয়নি এখনো ফলাফল মূল্যায়ন সভাও। তবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধের আহ্বান পেলে যে কোন নৈরাজ্য রুখে দিতে প্রস্তুত। এদিকে বিজয়ের পরও পুলিশী হয়রানি অব্যাহত থাকায় তৃণমূলে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা রয়েছে চাপে।

আ’লীগের ফল বিপর্যয় সম্পর্কে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে একটি বিশেষ শ্রেণী এবং ব্যক্তি বিশেষকে মূল্যায়ন করায় পরাজয়ের মূল কারণ।

অপর দিকে, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী বললেন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দীর্ঘ দিনের পুরাতন কমিটির নিষ্ক্রিয়তার জন্য এমন ফল হচ্ছে। এছাড়া দলের পদ-পদবীধারী অনেক নেতা-কর্মীরা শুরু থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করায়ই এর প্রভাব পড়ে সর্বত্রই। এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে দল ব্যর্থ হওয়াই পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলেও তিনি মনে করেন। অবিলম্বে আ’লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ভেঙ্গে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৫ মার্চ পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর চরম ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান বিএনপি নেতৃত্বধীন জোট সমর্থিত প্রার্থী এ্যাড. স ম বাবর আলীর নিকট প্রায় ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। নির্বাচনে বিএনপি নেতা এড. স ম বাবার আলী ৫৯ হাজার ৩০৪ ভোট, মোঃ রশীদুজ্জামান ৩৮ হাজার ৩৭৮ ভোট পান।

এদিকে, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জোট সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা শেখ কামাল হোসেন ৬০ হাজার ৪৫৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী টিকেন্দ্র নাথ মন্ডল ৩৫ হাজার ১৫৬ ভোট, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোঃ মুজিবর রহমান সানা ৭ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জোট সমর্থিত শাহানারা খাতুন ৫৭ হাজার ৫৫৬ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ সমর্থিত দীপ্তি চক্রবর্ত্তী ৩৭ হাজার ৪৫৩ ভোট পান।

পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হক সাবেক এমপি (এড. সোহরাব আলী সানা) ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নেতৃবৃন্দ ভাবেননি যে আগামীতে তাদেরকে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। তাদের একটা জবাবদিহিতা রয়েছে। তারা যে কাজ করেছে তার ভিতর ন্যায়-অন্যায় মানুষ এক সময় পর্যালোচনা করবে, বিবেচনা করবে এটা কেউ আমলে আনেননি। জনগণের যে একটা শক্তি আছে এটা তারা বুঝতে পারেননি।

তিনি আরো বলেন, সাবেক এমপির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান তালমিলিয়ে চলার কারণে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। যে কারণে এ পরাজয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব শীঘ্র একটি মূল্যায়ন সভা করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হবে। তবে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ঐক্যের ডাক পেলে যেকোন প্রকার নৈরাজ্য মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রশীদুজ্জামান তার পরাজয় সম্পর্কে বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়হীনতার কারণে এ পরাজয় হয়েছে। বিগত দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারের বিজয়ী প্রার্থী এ্যাড. স ম বাবার আলী ভোট কারচুপি করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে আমাকে (রশীদুজ্জামান) পরাজিত করলেও আমি এবারের নির্বাচনে সে পথ অবলম্বন করিনি। জনগণের রায় মেনে নিয়েছি।

অপরদিকে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশী হয়রানির চাপে রয়েছে ওই বিরোধী শিবিরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন সংসদ সদস্যের অনুসারীদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাইকগাছা-কয়রা দু’টি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন খুলনা-৬ গঠিত। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিতে চার বার আ’লীগ, দুই বার বিএনপি, দুই বার জাতীয় পার্টি এবং জামায়াত ইসলামী দুই বার জয়লাভ করে।

থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জিএ সবুর বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি’র অন্তঃকোন্দল নিরাসন হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছে। ফলে এ বিজয় সহজ হয়েছে।

জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের যোগ্য প্রার্থী থাকায় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীসহ ১৯ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা এক সাথে নির্বাচনে কাজ করায় জয়লাভ করা সম্ভব হয়েছে।

পাইকগাছা থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড. আবু সাঈদ বলেন, বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৯ দলীয় জোট নেতারা এক হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছেন এবং দ্বিধা বিভক্ত বিএনপি এক কাতারে আসায় আমাদের এ বিজয় হয়েছে। তবে নির্বাচনের পরে তৃণমূলে আমার নেতা-কর্মীরা ক্ষমতাসীনদের হুমকী-ধামকী, হামলা-মামলার চাপে রয়েছে।

পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান মনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে এবং আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলে এ বিজয় সম্ভব হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. স ম বাবর আলী মহান আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ১৯ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। এ ছাড়া অধিকার বঞ্চিত মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা হতাশা বিরাজ করছিল। দেশের চলমান রাজনৈতিক দুরাবস্থা, লুটপাটেরও প্রতিকার চাইছে মানুষ। উপজেলার উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষ বিতশ্রদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ দলমত নির্বিশেষে সকল মহল এ নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়েছেন। তিনি উপজেলা পরিষদ পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।