Monday, February 27, 2017

পাইকগাছায় শিশু ধর্ষনের ঘটনায় আটক ১

পাইকগাছায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষককে আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সরল এলাকায় ধর্ষনের এ ঘটনা ঘটে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গোপালপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে বাড়ীর পাশের একটি দোকানে যায়। এ সময় সরল গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে আহম্মদ আলী গাজী (৩৫) শিশুটিকে ফুসলিয়ে আল-আমিন মসজিদ সংলগ্ন বিলের ভিতর নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় আক্রান্ত শিশুর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। 

ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আহম্মদকে আটক করা হয়েছে।

এম‌পি নুরুল হক'কে ঢাকায় পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব

পাইকগাছায় আ’লীগ নেতার বাড়ির চারপাশে উঁচু দেয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হক'কে ঢাকায় আওয়ামী লীগের পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব করেছেন সড়ক প‌রিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার দুপুরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওই এম‌পিকে ঢাকায় পা‌র্টি অ‌ফিসে তলব করে‌ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমি ওই দেয়াল ভেঙে ফেলতে পু‌লিশকে নির্দেশ দিয়ে‌ছি, রাতেই বে‌শিরভাগ অংশ ভাঙা হয়েছে।


খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ দেয়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হয়, যে কারণে রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়।

গত ক’দিন ধরে ‘উঁচু দেয়াল তৈরি করে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা’ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌছালে খোদ আ’লীগ ও প্রশাসন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। সর্বশেষ শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল হাসানের উপস্থিতিতে আলোচিত এ দেয়াল অপসারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যের অনুসারীরা পড়েছেন বিপাকে।

এমপিপুত্রের তোলা দেয়াল ভাঙলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

পাইকগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ঘিরে দলেরই সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে মনিরুল ইসলামের তোলা সেই দেয়াল ভেঙে ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফকরুল হাসানের উপস্থিতিতে এ দেয়াল অপসারণ করা হয়। এসময় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। 



পাইকগাছার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফকরুল হাসান জানান, তারা এসে আবদুল আজিজের দলিলপত্র দেখেছেন এবং বিরোধীপক্ষের বক্তব্যও শুনেছেন। এরপর দেয়াল ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজের বাড়ির চারপাশে উঁচু দেয়াল তৈরি করে বাড়িটিতে যাওয়া-আসার রাস্তা বন্ধ করে দেন এমপিপুত্র মনিরুল। ফলে মই দিয়ে দেওয়াল টপকে কিংবা দেওয়ালের নিচ দিয়ে করা সুরঙ্গ দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। এর ফলে এক প্রকার বন্দিদশায় জীবন কাটাচ্ছিলেন আবদুল আজিজসহ তার পরিবারের সাত সদস্য।



'ভয়েস অফ পাইকগাছা'সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ দেয়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিষয়টি নজরদারি করা হয়, যে কারণে রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়।

পাইকগাছা থানার ওসি মারুফ আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এমপিপুত্রের তোলা দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভুক্তভোগী আজিজ গোলদারের শ্রমিকরা দেয়াল ভেঙে বাড়িতে প্রবেশে পথ বের করেছেন। অবৈধভাবে দেয়া পুরো দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।



পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ গোলদার বলেন, এখানে তার জমির পরিমাণ ২০ দশমিক ৭৫ শতক। প্রায় ৭০ বছর ধরে বাড়িটিতে তারা বসবাস করছেন। “কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হকের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম জমির মালিকানা দাবি করে জমি ছেড়ে দিতে বলেন।” তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় অবরুদ্ধ থাকার খবর প্রকাশের পর রোববার দেয়াল ভেঙে দেওয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। এর কারণে গণমাধ্যম ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আজিজ গোলদার।



জমির প্রকৃত মালিক ঠাকুর দাশ হালদার জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তাদের দখলে ছিল। ১৯৯৬ সালের দিকে জমিটি খাস তালিকাভূক্ত হয়ে খাস খতিয়ানে যায়। এ অবস্থায় গত বছরের শুরুতে জমিটি উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় এমপির সহযোগিতা কামনা করা হয়েছিল। সে সময় জমিটি মুক্ত করার সুবিধার্থে এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলামের নামে বিনা অর্থে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া হয়েছিল।

সংসদ সদস্য শেখ মো. নুরুল হক জানান, প্রাচীর ভেঙে পথ বের করার বিষয়টি শুনেছি। সেখানে বিকল্প একটি পথ থাকলেও জনস্বার্থে আরও ২টি জায়গা থেকে পথ বের করলেও আমার কিছু বলার নেই।

আরও পড়ুন ::  'উঁচু দেওয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এমপি'

Thursday, February 23, 2017

'উঁচু দেওয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন এমপি'

খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মোহাম্মদ নুরুল হকের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারকে বাড়ি থেকে উৎখাত চেষ্টার। সে জন্য কয়েক ফুট উঁচু দেয়াল তুলে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এমপি পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে যথেষ্ট সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানাচ্ছেন বাদীপক্ষ।

পাইকগাছার স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ আজিজ এবং তার পরিবারের অভিযোগ, যে বাড়িটিতে সত্তর বছর ধরে তারা বসবাস করে আসছেন, তাকে ঘিরে গত বছরের জানুয়ারিতে বেশ কয়েক ফুট উঁচু ইটের দেয়াল তৈরি করে তাদের অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে।

আর এই অভিযোগ এসেছে খোদ খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মোহাম্মদ নুরুল হকের পরিবারের বিরুদ্ধে।

পরিবারের মহিলাদের বাইরে যেতে হচ্ছে মই দিয়ে দেওয়াল টপকে


আজিজের পরিবার বলছে, বাড়ি থেকে বের হতে হলে মইয়ের সাহায্যে প্রাচীর ডিঙোতে হয়। বাড়ির বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য বিষয়টি খুবই ঝূঁকিপূর্ণ এবং অমানবিক। বর্তমানে তারা দেয়ালের নিচে গর্ত খুঁড়ে আসা-যাওয়া করছেন বলে জানান মোহাম্মদ আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, "আমার মা-বাবা বা আমরা তো বাড়ি ছেড়ে যাইনি। শত কষ্ট হলেই এখানেই আছি। আমাদের প্রাচীর টপকে মই দিয়ে যেতে হয়। কোনও একটা রাস্তা নেই।" "আমার ভাইয়ের ছোট বাচ্চা আছে, ওকেও এভাবে স্কুলে যেতে হয়। এখন আমরা দেয়ালের নিচে একটা গর্ত খুঁড়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছি। গেলে তাদের রাস্তার ওপর দিয়ে যেতে হয়", জানান তিনি।

কখনও বা তারা বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন দেওয়ালের নিচে গর্ত খুঁড়ে


বিষয়টি তাদের জন্য চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় আজিজ পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা দুটো মামলার ‌একটির বাদী তিনি। অপর মামলাটি করেছেন তার বাবা মোঃ আজিজ নিজে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করতে গিয়েও তাদের হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে জানান মোহাম্মদ আজিজের পরিবার।

একটি মামলায় বসত-ভিটা দখলের অভিযোগ আনা হয়। দ্বিতীয় মামলা হয় বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগে। দুটো মামলাতেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম-সহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনায় এমপি শেখ নুরুল হকের পরিবারও পাল্টা মামলা করেন। অভিযোগ চাঁদাবাজির। বিষয়টিতে তদন্তও করছে পুলিশ।

মোহাম্মদ আজিজের বাড়িকে ঘিরে এই সেই বিতর্কিত দেওয়াল


কিন্তু কীভাবে এই ঘটনার সূত্রপাত?

এ প্রসঙ্গে এ মামলার একজন তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "সত্তর বছর ধরে মোঃ আজিজের পরিবার ক্রয়সূত্রে ওই জমিতে বসবাস করছে। ওই জমির পাশের অর্পিত সম্পত্তির ৫০ শতাংশ স্থানীয় এমপির ছেলের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে লিজ নেওয়ার পর শুরু হয় জমি নিয়ে বিরোধ।"

"কারণ মেপে দেখা যায় ৩০ শতাংশ আছে। ফলে বিবাদী পক্ষ দাবি করছে আজিজের বসতবাড়ির ২০ শতাংশ তাদের। এরপর তারা প্রাচীর তুলে দেয়", বলছিলেন তিনি। ওই দেয়াল ১০ ফুটের মত উঁচু বলে জানান তিনি। তবে এই জমিতে আজিজের পরিবার নিয়মিত খাজনা দেওয়া-সহ জমির আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করে আসছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে, জানান পুলিশের এই সাব ইনস্পেক্টর। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

আজিজের পরিবার বলছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর সহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। একাধিকবার তদন্তও হয়েছে। তবে সব কিছুর পরও এক বছর ধরে তাদের উঁচু দেয়ালের আড়ালে বন্দীর মত থাকতে হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তারা আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করছে পরিবারটি।

Wednesday, February 22, 2017

সাংবাদিকতায় একুশে পদক পেলেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান স্বদেশ রায়

'ভয়েস অফ পাইকগাছা'র পক্ষ থেকে দেশবরেণ্য এই সাংবাদিককে অভিনন্দন !


মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল থেকে প্রায় সাড়ে তিন দশকের প্রগতিশীল সাংবাদিকতা এবং বিরুদ্ধ সময়ে দাঁড়িয়ে কলামে-সাহিত্যে সাহসী উচ্চারণের স্বীকৃতি পেলেন পাইকগাছার কৃতি সন্তান স্বদেশ রায়। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছরের একুশে পদক পেয়েছেন দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পাওয়া এ সাংবাদিক। 

স্বদেশ রায় বলেন, ‘একুশে পদক পেয়ে ভালোই লাগছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও বেশি বেশি কাজ করতে ও ভূমিকা-অবদান রাখতে প্রেরণা যোগাবে এ পদকপ্রাপ্তি’।



পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দুঃসহ ক্রান্তিকাল প্রতিরোধে প্রতিবাদে-সংগ্রামে দ্রোহের বন্ধুর পথে হেঁটেছিলেন ১৯৬১ সালের ৫ জুন পাইকগাছায় জন্ম নেওয়া স্বদেশ রায়। খুনিদের হটানোর সশস্ত্র আন্দোলনে সহায়তার পথ ধরে যোগ দেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। পাইকগাছা, খুলনা, বাগেরহাটের শিক্ষা জীবনকালে এজন্য তার ওপর জারি হয় হুলিয়াও।

এর মধ্যেও ১৯৭৭ সালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৮১ সালে বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন।



এরপর স্বদেশ রায় চলে আসেন ঢাকায় আর ১৯৮৩ সালে এরশাদের স্বৈর শাসনামলে নিজের ভেতরকার দ্রোহের উচ্চারণের অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন কলমকে। পরিণত হন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রক্ষা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্ত স্বদেশ গড়বার বলিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, সাহসী সাংবাদিকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক করার পর আইসিএম বিষয়ে এবং এমবিএ পড়েন তিনি। ১৯৮৯ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ হয় তার।  

শুরুতে সে সময়কার জনপ্রিয় ‘সাপ্তাহিক সাংবাদিক’ ও ‘সচিত্র সন্ধানী’তে কিছুদিন রিপোর্টার হিসেবে কাজ করলেও স্বদেশ রায়ের তীক্ষ্ণ কলমের প্রকৃত ধীশক্তি ফুটে ওঠে যায় যায় দিনে। আলোড়িত-আলোচিত সাপ্তাহিক কাগজটিতে তার জনপ্রিয় সংবাদ-প্রতিবেদন, কলাম এবং সম্পাদকীয় নিবন্ধগুলো সে সময় ভিত কাঁপিয়ে দেয় স্বৈরাচার ও তাদের দোসর স্বার্থান্বেষী মুক্তবুদ্ধিবিরোধী বিভিন্ন মহলের।

এরপর দৈনিক রূপালী ও দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায়ও কাজ করেছেন এখনকার দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

সুদীর্ঘ এ সাংবাদিকতা জীবনের সব ধাপেই বিরুদ্ধ সময়ে দাঁড়িয়ে তার সাহসী উচ্চারণ সাধারণের মনে আশা জাগিয়েছে। তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দিক নির্দেশনা, সমাজ চিন্তা, সংস্কৃতির বোধ ও গবেষণা পাঠককে মুগ্ধ করে রাখে।

Tuesday, February 21, 2017

পাইকগাছায় খবরের কাগজ যিনি দেন তিনিই এখন শিরোনাম

কোনো রকম যান্ত্রিক সুবিধা ছাড়াই অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক পাঠকের হাতে সংবাদপত্র পৌঁছে দেওয়ার রেওয়াজটা পাইকগাছার নিউজ এক্সপ্রেস খ্যাত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোমিন গাইনের (৬৩)। তিনি খবরের কাগজ পরিবেশন করেন, অথচ আজ ভাগ্যচক্রে তিনিই খবরের শিরোনাম হয়েছেন। দীর্ঘ রোগ ভোগের শিকার স্ত্রী ভানু বিবির স্বামী মমিন গাইন। প্রতিদিনের পত্রিকা হাতে পাওয়ার আত্মতৃপ্তি এবং চিরচেনা ছাপাখানার ঘ্রাণটি লম্বা শ্বাসে গ্রহণ করে ছুটে চলা যেন নিত্যদিনের ব্যাপার।

পাইকগাছার কপিলমুনি গ্রামের আনছার কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান গাইনের বড় ছেলে আঃ মমিন হকার বলেন, ‘জীবিকার প্রয়োজনে ১৯৯২ সাল হতে সংবাদপত্রের পেশায় জড়িত’। তিনি আরো বলেন, ‘সংবাদপত্র পেশা হিসাবে নিলেও এটি একটি বড় দায়িত্ব বলে মনে করি। এখন বয়স হয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে; তাই এখন আর পারি না সবার সঙ্গে ছুটে চলতে। কিডনি লিভারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিত্সা করাতে পারি না পয়সার অভাবে। আমি আগের মত ছুটতে চাই। চিকিত্সার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা বড় প্রয়োজন।’
না হলে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে হকার মমিন গাইনকে। সে খুলনা জেলা হকার্স ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত। তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য কামনা করেছেন তার স্ত্রী ভানু বিবি।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা :: সাইমন গাইন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, কপিলমুনি, পাইকগাছা শাখা :: ২০৪-১২২-১১৯।

Saturday, February 18, 2017

শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর চালু হতে যাচ্ছে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের স্মৃতিবিজড়িত পাইকগাছার বোয়ালিয়া ব্রিজ। কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া ব্রিজটির এপ্রোস সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছিল না। আইনী জটিলতায় দীর্ঘদিন এপ্রোস (সংযোগ) সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। আর এতে করে পাইকগাছা সাতক্ষীরা জেলার লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বোয়ালিয় ব্রিজ চালু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তারা
পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর রাড়ুলী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মাণ করা হয়েছে বোয়ালিয়া ব্রিজ। দুদফা সময় বাড়ানোর পর কয়েক মাস আগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মাঝা মাঝি সময় ব্রিজ চালু করা সম্ভব হবে



সূত্রমতে, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্য, মিটার প্রস্থ ৯টি ইস্পান সম্বলিত এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২১ কোটি ৬১ লাখ ৯৫২ টাকা। যৌথ ভাবে ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএমবি-আইটি জয়েন্ট ভেঞ্চার। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়।
ব্রিজের কাজ শেষ হলেও এপ্রোস সড়কের কাজ এখনও শেষ হয়নি। জমি অধিগ্রহণ আইনী জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে জটিলতা কাটিয়ে সংযোগ সড়কের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এদিকে বোয়ালিয়া খেয়াঘাটের বেহালদশা কারনে সাতক্ষীরা পাইকগাছার হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন উপজেলার কাটাখালী দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে যাতয়াত করতে হচ্ছে। ব্রিজের পশ্চিম (বাঁকা-রাড়ুলী) পাশে ২৪৫ মিটার পূর্ব (বোয়ালিয়া) পাশে ১৮৬ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মোঃ মামুন বলেন, মূল ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দুপাশের সংযোগ সড়কের কাজ বাকি
উপজেল প্রকৌশলী মোঃ আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এপ্রোস সড়কের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে ব্রিজটি আগামী / মাসের মধ্যে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে
উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. বাবর আলী জানান, ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী হলে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের জন্মস্থান রাড়ুলীসহ পাশ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে বিজ্ঞানীর জন্মস্থানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে এছাড়াও এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে
--মহানন্দ অধিকারী মিন্টু

২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ পাইকগাছা ছাত্র কল্যাণ সংস্থা'র আনন্দ ভ্রমণ

ঢাকাস্থ পাইকগাছা ছাত্র কল্যাণ সংস্থা'র পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে। পাইকগাছা থেকে আগত সকলেই এই আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কুপনের মূল্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৫০ টাকা অন্যান্যদের জন্য ৫০০ টাকা।

রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।

Tuesday, February 14, 2017

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন !

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস।

শুভ ভালবাসা দিবস !

Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে সবাইকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা !


ভালবাসা প্রেমিক প্রেমিকার জন্য স্পেশালি বরাদ্দকৃত এক টুকরো জমি নয়। ভালবাসা আকাশের মত ! গার্লফ্রেন্ডকে ভালবাসি বলবেন, বলুন, কিন্তু চলুন আজ বাবা মাকেও ভালবাসি বলে ফেলি। আপনার সৃষ্টিকর্তা, তাকেও বলতে পারেন।

সারাদিন তো মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে সৃষ্টিকর্তা টাকা দাও, পাশ করিয়ে দাও, এই দাও সেই দাও ! কোনদিন হয়ত বলাই হয়নি ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তা ! সৃষ্টি করার জন্য, মানুষ বানানোর জন্য ধন্যবাদ ! অনেক অনেক ভালবাসা !

হয়তো বলাই হয়নি, চলুন, বলে ফেলি....।

আজ ১৬তম সুন্দরবন দিবস

আজ সুন্দরবন দিবস। ২০০১ সালে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনের হাত ধরে গুটিকতক মানুষের সুন্দরবন সংরক্ষণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা’ ১৫টি সুন্দরবন দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আজ সার্বজনীন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। 
খুলনাসহ সুন্দরবন প্রভাবিত জেলা এবং উপজেলাসমূহে গত ১ যুগ সুন্দরবন দিবস পালনের পর আজ সুন্দরবন দিবসের ১৬তম বর্ষ। সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের পরম ভালবাসার দিবস আজ। সুন্দরবন যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে এই অঞ্চলের মানুষকে মায়েরমত আগলে রাখে তেমনি এই অঞ্চলের মানুষও এই দিনে সুন্দরবনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে নিজেকে উজাড় করে দেয়। 

তাই ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’-এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারেও নানান অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।