বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ
ঘূর্ণিঝড়। ভারত মহাসাগরের একটি বিশাল অঞ্চলে অস্থির আবহাওয়া কারণে চলতি
সপ্তাহে দুটি উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়
দুটি বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব, মিয়ানমারে
আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশের
উপকূল অঞ্চলে এ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দুটি আঘাত হানতে পারে।
শনিবার আবহাওয়া
অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও
তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে আরো সামান্য উত্তর দিকে
সরে গিয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শনিবার সকাল
০৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮'শ ৬০ কি.মি. দক্ষিণে,
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭'শ ৭০ কি.মি. দক্ষিণে এবং মংলা
সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮'শ ৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান
করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগরে মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।
গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগরে মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।
গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।