Friday, August 29, 2014

পাইকগাছায় আলোক সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ ৩ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতে আলোক সংস্থার নির্বাহী পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন ৩ মাস করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন নারীদের কাছ থেকে নেওয়া এক লাখ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত টাকা ভূক্তভোগীদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেবাশীষ সরদারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে থানা ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খুলনার দৌলতপুর এলাকার মো. গোলাম সাত্তারের ছেলে আ.ত.ম মঞ্জুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ৩০ হাজার টাকা, প্রকল্প পরিচালক সাতক্ষীরার তালা থানার হাতবাস গ্রামের মো. হারেজ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল বারিককে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ২১ হাজার টাকা এবং শাখা ব্যবস্থাপক সাতক্ষীরার তালা থানার কানাইদিয়া গ্রামের মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হককে ৩ মাসের কারাদন্ড ও নগদ ৩০ হাজার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিস থেকে ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য, আলোক সংস্থা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চাকরি দেওয়ার নামে এলাকার ৬১ জন নারীর কাছ থেকে চার লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। গত কয়েক মাসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত মাঠ কর্মীদের বেতন ভাতা না দিতে পারায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রতারণার শিকার এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে শাখা ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, ওসি শিকদার আককাস আলী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল হক, এসআই জালাল উদ্দীন, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ ও স্নেহেন্দু বিকাশ।

কয়রায় দুই গাজা ব্যবসায়ী আটক

মাদক সম্রাট নামে খ্যাত কয়রার মফিজুল ইসলাম টুকু ও তার সহযোগী আরিফ আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ।

জানা গেছে, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ৪০০ গ্রাম গাজা সহ উপজেলার লালুয়া বাগালি গ্রামের শহিদুল গাজী ওরফে শেহের আলীর পুত্র মাদক সম্রাট মফিজুল ইসলাম টুকু (৩৭) ও তার সহযোগি একই গ্রামের নুরুল সানার পুত্র আরিফ হোসেন (২৫) কে উপজেলার আমাদি বাজার থেকে আটক করে।

এ সময় পুলিশ তাদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করে। এদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। আটককৃত টুকুর বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃতদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

পাইকগাছার অহংকার সুসাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হক

কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী আতাউল হক। কাজী ইমদাদুল হক পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর খুলনা জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯৮ সালে এফএ পাস করেন। কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে ডিগ্রি ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পাস কোর্সে বিএ পাস করেন।

১৯০৩ সালে তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নির্বাচিত হয়ে কলকাতা মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯০৬ সালে আসামের শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অফিসের উচ্চমান সহকারী পদে যোগ দেন। ১৯০৭ সালে ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োজিত হন। ১৯১১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে তিনি ঢাকা বিভাগে মুসলিম শিক্ষার সহকারী স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি প্রথম সচিব নিযুক্ত হন।

শিক্ষা বিভাগের কাজে গভীর দায়িতবোধ, অসামান্য দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরৃপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে ১৯১৯ সালে খান সাহেব ও ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করেন। ১৮৯৬ সালে কাজী ইমদাদুল হক স্কুলে পড়াকালীন কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৯০৩ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আখি জল প্রকাশিত হয়। নবী কাহিনী ও কামারের কাণ্ড তার শিশুতোষ গ্রন্থ। তিনি শিক্ষক নামে মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য সৃষ্টি হিসাবে তার সর্ব শ্রেষ্ঠ কৃতি আব্দুল্লাহ উপন্যাস।

১৯২৬ সালের ২০ মার্চ তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। কলকাতার গোবরা কবর স্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়। ইমদাদুল হকের মৃত্যুর পর আব্দুল্লাহ উপন্যাস গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে চালু হওয়া নৌপথ এখনো বন্ধ হয়নি

হুমকির মুখে জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব


সুন্দরবনের অভয়াশ্রমের মধ্য দিয়ে চালু হওয়া নৌপথ এখনও বন্ধ হয়নি। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র ও ডলফিনের অস্তিত্ব। বন পরিবেশ মন্ত্রাণালয় গত বছর সুন্দরবনের তিনটি এলাকায় ৩১.৪ কি:মি: নদী ও খাল ডলফিনের জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। অভয়াশ্রম ঘোষণার পরও এখানে অবাধে বিভিন্ন প্রকার জাল ও নেট দিয়ে মাছ শিকার চলছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এ অভয়াশ্রমের মধ্য নতুন চালু হওয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নৌ-রুটের ফলে সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে ডলফিন আশ্রয়হীন পড়েছে। এই নতুন নৌ-রুট চালুতে ডলফিনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি এনওয়াই ও বাংলাদেশ সিটাসিন ডইভারসিটি প্রজেক্টের দেশি বিদেশি প্রাণি বিশেষঞ্জ, গত সাড়ে ৩ বছর আগে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির ইরাবতিসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন ও এক প্রজাতির তিমির সন্ধান পান। এরপর প্রজেক্টেড এরিয়ার নেটওয়ার্কের ঘরসিটাসিন ডইভারসিটি (প্যানসিডি) নামক একটি প্রকল্প তৈরি করে পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

ডলফিন রক্ষায় প্যান সিডি প্রকল্প বাস্তবায়নে সুন্দরবন পূর্ব-উত্তর কোনে ঘাগড়ামারি ক্যাম্প হতে টেংরামারি স্টেশন হয়ে করমজল পেট্রোল পোস্ট পর্যন্ত ১০.১ কি: মি: চ্যানেল, সুন্দরবনের জোংড়া পেট্রোল পোষ্ট হতে পশুর নদী নন্দবালা মিরাগামারি ক্যাম্প বরাবর শ্যাওলা নদী দিয়ে আন্দরমানিক ক্যাম্প পর্যন্ত উরুবুনিয়া খাল হয়ে চাঁদপাই খাল থেকে ১৫.৮ কি: মি: চ্যানেল এবং দুধখালি ক্যাম্প সংলগ্ন খালের ২ কি: মি: উত্তরে বেতবুনিয়া খাল হতে বড়শিয়ালা খাল ও দক্ষিণে ভোলা নদী পর্যন্ত ৫.৫ কি: মি:। সর্বমোট সুন্দরবনের ৩১.৪ কি: মি:। নদী ও খাল চ্যানেলে ফাঁস জাল, কারেন্ট জাল, বেন্দী জাল, নেটজাল ও রেনু পোনা, ধরাজাল দিয়ে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে ডলফিনের অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে সোয়াস অব নৌ গ্রাউন্ডে ডলফিনের চারণক্ষেত্র বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ হাজার ৪ শত ইরাবতি ডলফিন রয়েছে। তাছাড়াও এ জলাশয়ের ১৩টি স্পটে ৪০টি ইন্দো প্যাসিফিক হ্যাম্প, ব্যাস্ট, ডলফিন দেখা গেছে। উপকূল থেকে ১১ মাইল সুন্দরবনের মধ্যে ১৩৮২টি ফিনলেস ১ হাজার ইন্দো প্যাসিফিক বটল নোস ডলফিন দেখা গেছে। সুন্দরবন উপকূলের ১৪টি স্পটে স্পিনার দেখা গেছে ৮টি স্পটে, সন্ধান মিলেছে ৮ শত স্পটেড ডলফিনের।

তাছাড়া সুন্দরবনসহ উপকূলের ১৩টি স্পটে ২২৫টি গাংগেজ রিভার ডলফিনের দেখা মিলেছে। এছাড়া ব্রাইডস হোয়েলস প্রজাতির ৫০টি তিমি দেখা গেছে। এমন কি উপকূলের কপোতাক্ষ, শিবসাসহ বিভিন্ন নদীতে মাঝে মাঝে ডলফিনের দেখা মেলে। প্যানসিডি প্রকল্পে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবনের নদ নদী পানি ও পানির উষ্ণতা ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। এই এলাকার চিংড়ি রেণু পোনা আহরণে নেট জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহারে ইরাবতি ডলফিনের বংশ বৃদ্ধিও চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

২০১১ সালের নভেম্বরে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নৌপথ চালু হয়। তখন দিনে ২০ থেকে ২৫টি নৌযান চলাচল করত। বর্তমানে কার্গো, ওয়েল ট্যাংকারসহ ১০০ থেকে ১৫০টি নৌযান চলাচল করছে। বন আইন অনুযায়ী সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে এ ধরণের চলাচল নিষিদ্ধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন অনুযায়ী সুন্দরবন আন্তর্জতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই কনভেনশনে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ঐ শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরণের তৎপরতা চালাবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, সুন্দরবনের ৩১ কি:মি: জলসীমায় ডলফিনের অভয়াশ্রমের বুক চিরে এখন অভ্যন্তরীণ ও আন্তজাতিক নৌ-রুটের বার্জ, অয়েল ট্যাংকার চলাচল করছে। বন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নতুন অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট চালু করায় ডলফিনের সংরক্ষণ ও প্রজনন চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

পাইকগাছায় অবৈধ মোটরসাইকেল চলাচল হ্রাস পেয়েছে

সম্প্রতি জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে লাইসেন্স বিহীন অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করার পর থেকে পাইকগাছার মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে। রাস্তায় কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল চলাচল তুলনা মূলক অনেক কম হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম গত ২৩ আগস্ট উপজেলা সদরে আকশ্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে কাগজপত্র বিহীন অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করেন।

জানা গেছে, পৌর সদরসহ দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে (ভাড়ায় চালিতসহ) কমপক্ষে দুই থেকে তিন সহস্রাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে। এর মধ্যে নব্বই শতাংশ মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র নেই বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

পাইকগাছার সচেতন মহল শুধু মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে নয় অবৈধ সকল যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রতিদিন না হোক প্রতি সপ্তাহে এক দু’বার এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হলে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল কমে যাবার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে হ্রাম পাবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে....

পাইকগাছায় গণশুনানীতে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের দোষ স্বীকার


পাইকগাছার কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ ভবনে বিলম্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানীতে দোষ স্বীকার করে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলন কমিটির আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খোদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় সংগঠণ স্থানীয় আ’লীগের পদ-পদবীধারী নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা কেউ মুখ খুলেননি। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে পতাকা অবমাননার অভিযোগে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবী করেছেন।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের গুরুত্বর অভিযোগ উঠে এবং এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ গণশুনানীর ব্যবস্থা করা হয়।

গতকালের শুনানীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী করে ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিঠু বলেন, ইতিপূর্বে ২৬ মার্চেও পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ১৫ আগস্ট দুপুরের পর অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে পরিষদে পতাকা উত্তোলন করা হয় বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আফছার আলী বিভিন্ন জায়গায় পতাকা টানানো হয়নি উল্লেখ করে জানান, যেহেতু ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বররা দুঃখ প্রকাশ করে ভুল স্বীকার করেছেন সে কারণে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার নেই। তিনি স্থানীয় এমপির নিকট সুপারিশ করেছেনও বলে সভায় অবহিত করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি শিকদার আককাস আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ত্রিদেব মিত্র, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ ও সম্পা আক্তার, নির্মল মজুমদার, যুগোল কিশোর দে, গোলাম মোস্তফা, বুলবুল আহমেদ, ভুমি কর্মকর্তা মাহামুদ হক’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

গড়ইখালী আয়ূব ও মূসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম

পাইকগাছার গড়ইখালী শহীদ আয়ুব ও মূসা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার শহীদ ও মূসা মোমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে একজন এমএলএসএস একজন আয়া এবং একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ১৯ আগস্ট খুলনায় আহসান উল্লাহ কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এখানে মেধার গুরুত্ব না দিয়ে অর্থবানিজ্য ও আত্মীয়করণের মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাইব্রেরিয়ান পদে নূর ইসলাম, এম,এল,এস,এস তসলিম আহম্মেদ ও আয়া পারভীন আক্তারকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কলেজের নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।

ধর্ষক মনমানসিকতা ধ্বংস ও ধর্ষণ বন্ধ হোক !

ধর্ষণ কোন পুরুষ করে না, করে 'নরপশু'


A Voice of Paikgacha Campaign.