Monday, April 25, 2016

ঢাকের তালে এল বৈশাখ (কবিতা)

মোঃ আবুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাইকগাছা।


ঢাকের তালে বৈশাখ এলো বাঙালীর ঘরে ঘরে,
বৈশাখ এল নতুনরূপে পূণ্য মনের দ্বারে।

দোকানীরা সব পূরনোকে ভুলে খুলে দিল হালখাতা,
বৈশাখী পালে ছুড়ে দিল প্রেম জীবনের ছেঁড়াপাতা।

সাজ সাজ রব পড়ে গেল যেন প্রকৃতির পটে পটে,
বৈশাখী গান উঠল বেজে জীবনের বালুতটে।

নতুনের পালে কেতন উড়িয়ে বৈশাখ দিল প্রাণ,
সারাদেশ থেকে ভেসে এল যেন বৈশাখীর আহবান।

বোশাখী মিছিল এগিয়ে চলল বাজনার তালে তালে,
লাগল হাওয়া নতুন করে জীবনের ছেঁড়া পালে।

কিশোর যুবক ঢাকের তালে দুলছে নতুন সাজে,
বাঙালীআনার পুরো পরিচয় বৈশাখী নব তাজে।

সারাদেশ আজ ভরে গেল যেন র‌্যালী মিছিলের বানে,
সম্প্রীতিমাখা বৈশাখ এল নতুন ছন্দ গানে।

ব্যানার ফেস্টুনে উঠল ভরে বোশেখী প্রভাতফেরী,
হিন্দুু-মুসলিম হাতে হাত রেখে সম্প্রীতি করে ফেরী।

চারদিকে চলে মাটির শানুকে পান্তা ইলিশভোজন,
উৎসব আমেজে নেচে কুঁদে চলে রঙিন বর্ষবরণ।

বৈশাখ দিল নতুন সর নতুন প্রাণের কল্পনা,
নতুন ছন্দ নতুন গান নতুন দেশের আল্পনা।

সম্প্রীতিমাখা এই বাংলার বোমেখী মিলনমেলা,
শেখালো মোদের নতুন করে একসাথে পথচলা।

শত বছরের বাঙালী আবেগ মিশে হল একাকার,
নতুন শপথে বলীয়ান মন দৃপ্ত ও দুর্বার।

সোনালী দিনের হিল্লোলে মোরে কল্লোলে দিনগুনি,
নতুন বছরে নতুন আলোয় সন্ধির জাল বুনি।

রুদ্ধশ্বাস হানাহানি যত দূর হোক অনাচার,
গ্লানি মুছে গিয়ে শুচি হোক ধরা ঢেকে যাক পাপাধার।

উচ্ছ্বাস ভরা বাঙালী হৃদয় ভরে যাক ফুলে ফুলে,
নতুন আগামীর হাসি লেগে থাক রমনার বটমূলে।

কমলো জ্বালানি তেলের দাম

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো সরকার। রবিবার মধ্যরাত থেকে কমানো দাম কার্যকর হবে। রবিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অকটেন ও পেট্রোল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমানো হয়েছে।এখন প্রতি লিটার ডিজেল ৬৫ টাকা, কেরোসিন ৬৫ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান দাম (অপরিশোধিত প্রতি ব্যারেল বা ১৫৯ লিটার) অনুযায়ী প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল বিপিসি কিনছে ৩০ টাকায়, অকটেন ৫৫ টাকায় ও পেট্রোল ৫০ টাকায়। ডিজেল আর কেরোসিন কিনছে ৩৮ টাকায়। কিন্তু দেশের বাজারে বিপিসি বিক্রি করছে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রোল ৯৬, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায়।

কম দামে কিনে দেশে বেশি দামে বিক্রি করায় গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বিপিসি ৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আর চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ৭ হাজার কোটি টাকা লাভের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যেই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। এ তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে, ৪৫ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৪ শতাংশ এবং গৃহস্থালী ও অন্যান্য খাতে ৭ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ২০১৪ সালের জুন থেকে। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত দাম না কমানোয় গত দুই বছর ধরে লাভ করছে বিপিসি।

গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর ২৩ দিন পর অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হলো।

খুলনা দিবস আজ

আজ খুলনা দিবস। খুলনা জেলার প্রতিষ্ঠার দিন। ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। খুলনাতে মহাকুমা করা হয়েছিলো ১৮৪২ সালে। এর আগে ১৮৩৬ সালে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় তুর্ক আফগান আমলে প্রতিষ্ঠিত ‘কিসমত খুলনা’ মৌজায় নয়াবাদ নামে একটি থানা স্থাপিত হয়। খুলনা জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন মি. ডাবলু এম. ক্লে। ১৯৬১ সালে খুলনা বিভাগে রূপ লাভ করে। 



খুলনা নাম নিয়ে আছে বেশ কয়েকটি কিংবদন্তি। ঐতিহাসিক সিরাজুদ্দীন আহমেদ লিখেছেন, ‘খুলনা জেলার প্রাচীন নাম বুড়ন দ্বীপ। গঙ্গানদের শাখা হলদিনদীর মোহনায় এ দ্বীপের সৃষ্টি। রামায়ণে হলদিনী নদীর বর্ণনা আছে। খ্রিস্টিয় প্রথম শতকে টলেমি এ নদীকে কামবেরীঘন বলে উল্লেখ করেছেন। কামবেরীঘন বর্তমান কতোতাক্ষ নদ। কুমার, ভৈরব ও বেত্রাবতী প্রাচীন হলদিনী বা কামবেরীঘনের বিভিন্ন প্রশাখা।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘প্রাগ ঐতিহাসিককালে ভৈরব, কামবেরীঘন ও বেত্রাবতীর তীরে জনবসতি গড়ে ওঠে। অস্ট্রিক, মঙ্গোলিয় ও আল পাইন প্রভৃতি এ অঞ্চলের আদি অধিবাসী।’

ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের একশ বছর পার হলেও খুলনা জেলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যতদূর জানা যায়, শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ (১৩১০-১৩২৫) প্রথম খুলনা দখল করেছিলেন। তার মুদ্রা সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া গেছে। সুলতানি আমলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা যুগান্তকারি ছিলো বলে হিন্দু-মুসলমান ঐক্য সম্প্রতি বজায় ছিলো সুন্দরভাবে। 

সম্রাট আকবরের শাসনামলে খুলনা জেলার অধিকাংশ এলাকা সরকার খলিফাতাবাদের অধীনে ছিলো। নবাব সিরাজদ্দৌলার শাসনামলে যশোরের ফৌজদার পদ বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন মুর্শিদাবাদ থেকে সরাসরি খুলনা জেলার শাসন করা হতো। ইংরেজ শাসনের প্রথম একশ বছর (১৭৫৭-১৮৫৭) খুলনা জেলায় চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিলো। অনেকে এই সময়ের শাসন কালকে ‘মগের মুল্লুকের প্রশাসন’ বলতো।

২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় প্রথম বারের মতো সরকারিভাবে খুলনা দিবস পালিত হয়। এরপর ২০১০ সালেও খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুলনা দিবস পালিত হয়েছে।

'খুলনা দিবস' পালনের গুরুত্ব রয়েছে। এটি পালনের মধ্যে দিয়ে  আমরা খুলনা জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুঁজে নিতে পারি। এ দিবস পালনের মধ্যে সব শ্রেণির মানুষ ইতিহাস সচেতন হয়ে ওঠতে পারে।

Sunday, April 24, 2016

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স সংকট; মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বর্তমান ৫০ শয্যার হাসপাতালে ২১ জন নার্সের স্থলে কর্মরত রয়েছে ৬ জন। একদিকে নার্স স্বল্পতা অপরদিকে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে দায়িত্ব অবহেলার গুরুতর অভিযোগ। ফলে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ রোগীদের সেবার পাশাপাশি মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিশু ও প্রসূতি সেবা কার্যক্রম। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালের অতিতের সকল অর্জন ও সুনাম ম্লান হতে চলেছে বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

সূত্রমতে, ১৯৯৭ সালের ২২ অক্টোবর উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রেই ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। জন বহুল এ উপজেলায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় শুধুমাত্র খাতা-কলম কিংবা ফাইল পত্রেই সিমাবদ্ধ রয়েছে ৫০ শয্যার ব্যবস্থা।

উন্নতকরণের গত ৬ বছরেও বৃদ্ধি করা হয়নি জনবল। ৫০ শয্যার হাসপাতালে নেই ৩১ শয্যারও জনবল। সবচেয়ে বেশি রয়েছে নার্স সংকট। ৫০ শয্যার হাসপাতালে যেখানে ২১জন নার্স থাকার কথা সেখানে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৬জন নার্স। যার মধ্যে ১জন রয়েছেন মাতৃকালীন ছুটিতে। ফলে ৫জন নার্সকে জরুরী বিভাগ, পুরুষ বিভাগ, মহিলা বিভাগ, ডায়রিয়া বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এরমধ্যে দিনের সিংহভাগ সময় দিতে হয় অপারেশন থিয়েটারে। ফলে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও নার্সদের দেখা মেলেনা বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসাধীন সাধারণ রোগীরা। নাজমুন নাহার বেগম জানান, হাসপাতালে নার্স স্বল্পতা যেমন আছে তেমনি যারা কর্মরত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও দায়িত্ব অবহেলার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

কিছু কিছু নার্সদের মধ্যে সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রসূতি রোগী জানান, অপারেশনের পর ডাক্তারদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় আমার এন্টিবায়েটিক ইনজেকশন দেওয়ার কথা রয়েছে, অথচ একজন নার্স এসে বলে ইনজেকশন দেওয়া লাগবে না আরেকজন বলেন, ইনজেকশন দিতে হবে। এভাবেই নার্সদের গাফিলাতির কারণে প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মূল্যবান ঔষধ পত্র মিসিং হয়।

এ ব্যাপারে নার্স স্বল্পতার কথা স্বীকার করলেও তাদের গাফিলতার বিষয়টি পরক্ষভাবে এড়িয়ে যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অতিতের সুনাম ফিরিয়ে আনতে জরুরী ভিত্তিতে নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধিসহ কর্মরতদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

পাইকগাছা হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার নেই, মহাবিপাকে প্রসূতি মায়েরা

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী ডাক্তার না থাকায় মহাবিপাকে পড়েছেন প্রসূতি মায়েরা। এছাড়াও জনবল সংকটের কারনে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যেখানে সরকার স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর, সেখানে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্রেফ জোড়াতালি দিয়ে চলছে। ৩১ শয্যা থাকালীনই প্রয়োজনীয় জনবল ছিল সংকট, সেই একই জনবল দিয়ে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য সেবার মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।



হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামো নির্মাণের পর বিগত ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। তবে অদ্যবধি প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি করা হয়নি। ৩১ শয্যার জন্য ৯ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ৫ জন। তার মধ্যে ডেপুটেশনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুজন কুমার সরকার সাতক্ষীরা ও ডাঃ ডালিয়া আক্তার খুমেক হাসাপাতালে কর্মরত রয়েছেন। হাসপাতালে বর্তমান একজনও গাইনী ডাক্তার নেই। আবার যে তিনজন ডাক্তার হাসপাতালে রয়েছেন তার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ ও পঃ পঃ কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে সার্বক্ষণিক থাকেন ব্যস্ত।

সূত্র মতে, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) পদে একজন থাকলেও তিনি প্রেসনে ঢাকায় কর্মরত। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (প্যাথলজিস্ট) দু’টি পদের কেউ নেই দীর্ঘ বছরযাবৎ। ফলে বাধ্য হয়ে চড়ামূল্যে বাইরে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা (টেস্ট) করাতে হচ্ছে রোগীর। সেক্ষেত্রে অসহায়-দরিদ্র রোগীরা কাহিল হয়ে পড়েন অতিরিক্ত ফি দিয়ে রোগ নির্ণয় করাতে গিয়ে। আবার অনেকে টাকার অভাবে টেস্ট না করিয়েই বাড়ি ফিরছেন। 

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের ডাক্তাররা বাইরের কোন না কোন প্যাথলজির সাথে (ব্যবসায়ীকভাবে) জড়িত রয়েছেন। আর সেজন্যই হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ সচল রাখা নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারোরই। 

এদিকে ৩১ শয্যার জন্য নার্সের ১২টি পদ থাকলেও (৫০ শয্যার হাসপাতালে) রয়েছেন মাত্র ৬ জন নার্স। এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে একজন এবং একজন অসুস্থ। হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পোস্ট হচ্ছে ফার্মাসিস্ট ও সুইপার। ফার্মাসিস্ট দু’টি পদের একজনও নেই বিগত দু’বছরেরও বেশি সময়। হাসপাতালের ফ্রি ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে অন্য একজনকে দিয়ে। আর পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৫টি পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র একজন। ফলে হাসপাতাল অভ্যন্তরে দুর্গন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে সারাক্ষণ। 

সূত্র জানায়, হাসপাতালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন উন্নতমানের একটি এক্সরে মেশিন থাকলেও তার সুফল পাচ্ছে না রোগীরা। এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ বছর পড়ে থাকার পর ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয়। তবে এক্স-রে মেশিন স্থাপনের পর এ পর্যন্ত (১১ বছরে) ফ্রি এক্স-রে সুবিধা পেয়েছেন মাত্র ৪০ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি বিকল অবস্থায় আর টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) পদটিও শূন্য পড়ে রয়েছে। সবমিলিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।

--এম,আর মন্টু, পাইকগাছা।

কয়রায় আংটিহারা বেড়িবাঁধের এক কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ ভাঙন

কয়রা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে শাকবাড়িয়া নদী সংলগ্ন পাউবোর ১৩-১৪/১ পোল্ডারের আংটিহারা বেড়িবাঁধের এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর আংটিহারা বেড়িবাঁধের যে অংশটি সংস্কার করেছিল সেই অংশে নুতন করে ভয়াবহ ফাটল ধরেছে। নদীর প্রবল স্রোত ও তুফানের ঢেউ কূলে আছড়ে পড়ায় বেড়িবাঁধ ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে পুরো বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আংটিহারা, জোড়শিং, ঘড়িলাল, চরামুখা এলাকা লোনা পানিতে তলিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পাক শাসন আমলে ১৯৬৮ সালে আংটিহারা গ্রামে যে আইবি ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছিল তার পশ্চিম দিকের ওয়াপদা বাঁধের সোয়া কিলোমিটারের বেশী জায়গা শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। 

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত বছর বাঁধে মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর কিনার অংশের বাঁধে ঠিকমতো স্লোভ না করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে মাটি ফেলে মোটা কাপড় ও বাঁশের তরজা দিয়ে স্লোভ ঢেকে দেয়। কয়েক মাস যেতে না যেতে তুফানে বাঁশের তরজা নষ্ট হয়ে পুরো বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। 

স্থানীয় সমাজ সেবক মিজানুর রহমান খোকা ও গাজী আব্দুস সোবহান বলেন, নদীর কিনার ড্যাম্পিং করে ব্লক বসানো সম্ভব হলে ভাঙনের হাত থেকে মানুষ পরিত্রাণ পেতে পারে। 

দক্ষিণ বেদকাশির আংটিহারা এলাকার নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানিয়েছেন, নতুন করে বেড়িবাঁধে ভাঙন লাগায় মানুষ চরমভাবে ভীত হয়ে পড়েছে। বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট পোল্ডারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাউবোর খুলনাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বজলুর রশিদ বলেন, বেড়িবাঁধের ভাঙন ঠেকাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ মিললে কাজ করা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Saturday, April 23, 2016

উফ্ খুব পড়েছে গরম

পাইকগাছায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে, জনজীবন বিপর্যস্ত

সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকলেও দেয়া হয় না, পুরস্কার লাভের আশায় !


পাইকগাছায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে পৌঁছেছে। মওসুমের ভয়াবহ ভ্যাপসা গরমে প্রাণীকূলের অবস্থা নাকাল। চলতি এইচএসসি, ডিগ্রী ও অনার্স পরীক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় চলে এসেছে চরম স্থবিরতা। ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার স্বাভাবিক উৎপাদন। বিশেষ করে চিংড়ি উৎপাদন মওসুমে স্থানীয় বরফ কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত বরফ উৎপাদন না হওয়ায় চিংড়ি চাষি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কিন্তু সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকলেও তা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। সিস্টেম লস কমাতে পুরস্কার লাভের আশায় ও মোটরভ্যান চার্জ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা লাভের আশায় দিনের বেলায় লোডশেডিং এর অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে পাইকগাছার পল্লী বিদ্যুতের অপরিকল্পিত মেইন তার (সোর্স লাইন) “রক্ষণাবেক্ষণ কাজের” অজুহাতে পাইকগাছা-কয়রার প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকদের দিনের বেলায় বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্ভোগে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ।



সংশ্লিষ্ট নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, সিস্টেম লস কমাতে পারলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কৃত করে। তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ থাকতেও দিনের বেলায় ও সন্ধ্যা থেকে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এসময়ের মধ্যে কমপক্ষে প্রতিদিন ১৫/২০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। কখনো কখনো বিদ্যুৎ গেলে অপেক্ষা করতে হয় ৩/৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।

সূত্র জানায়, জনপদে আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মটর চালিত ভ্যান। বিভিন্ন এলাকায় ঐ সকল ভ্যানের চার্জ দিতে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে চার্জ স্টেশন। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আদায় করে থাকেন নিয়মিত সুবিধা বা বখরা।

একদিকে সিস্টেম লস কমাতে পারলে পুরস্কার, অন্যদিকে চার্জ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত নজরানা আদায়। দুইয়ের কোপানলে আটকা পড়েছে জনপদের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ ভাগ্য।

পাইকগাছায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকলেই এনিয়ে দুর্ভোগে থাকলেও কারোর যেন কিছুই করার নেই। বিষয়টি যেন একেবারেই স্বাভাবিক !

এ ব্যাপারে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাজমুল, কালাম, নাদির, মিজানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে তাদের স্বাভাবিক পড়া-লেখা চরমভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্যাহ বাহার জানান, তাদের কলেজে বর্তমানে এইচএসসি, ডিগ্রী ও অনার্সসহ ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি বাড়িতে তাদের পড়া-লেখায় চরম ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় অন্যতম প্রধান বরফ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেয়া ফিসের ব্যবস্থাপক শওকাত হোসেন জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে তাদের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যায় উৎপাদন ভরা মওসুমে তাদের প্রতিদিন অতিরিক্ত দামে বরফ ক্রয় করে মাছ বাঁচাতে হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখলেও নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ চলছে পুরোদমে।

সূত্র জানায়, নতুন সংযোগে কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দালালরা অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় নিয়মিত সংযোগ প্রদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, এর কয়েক মাস আগে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কোম্পানি লি. (জাইকা) অর্থায়নে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোর্স লাইনের অপরিকল্পিত কাজ বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছিলেন দীর্ঘদিন।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কপিলমুনি লাইন ইনচার্জ মো. আসাদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে তাদের কোন হাত নেই। মূল লাইনে বিদ্যুৎ না থাকলে তারা বিদ্যুৎ দেবেন কোথা থেকে? তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মওসুমের শুরুতেই পাইকগাছায় বাগদা চিংড়িতে ব্যাপক মড়ক

ভাইরাস নাকি জলবায়ু পরিবর্তন? হিসেব মিলছেনা মৎস্য কর্তাদেরও !


পাইকগাছায় চিংড়ি ঘের গুলোতে মওসুমের শুরুতেই ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে মড়ক। চাষীরা কারণ হিসেবে ভাইরাস সংক্রমন বললেও মৎস্য অফিস বলছে মরা চিংড়িতে তারা কোন রোগ বালাইয়ের চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছেননা। কোন পদ্ধতিতেই রোধ করা যাচ্ছেনা বাগদা চিংড়ির এ মড়ক। জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহ চিংড়ির উপযোগী লবন পানির স্বাভাবিক পরিবেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরাদের কেউ কেউ। এমন অবস্থায় চিংড়ির বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ভবিষ্যত নিয়ে নানাবিধ আশংকা দেখা দিয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গোটা উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমান ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতেই লবন পানির চিংড়ি চাষ হয়। মৎস্য অফিস জানায়, এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত বছরও উৎপাদন ভাল হয়নি। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর চিংড়ি উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার মেট্রিক টন। 

তবে গতবারের ন্যায় এবারো মওসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে চিংড়ি মাছ মারা যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে অন্যদিকে এবার পোনার দাম বেশি থাকলেও বাগদা চিংড়ির দাম ভাল না থাকায় আগামীতে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন চাষীরা। 

প্রসঙ্গত ৮০’র দশক থেকে কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় লবন পানির চিংড়ি চাষ। শুরুতেই উৎপাদন ও দাম ভাল পাওয়ায় মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এর চাষাবাদ। সোনার ধান, সোনালী আঁশ, সবুজ সবজি আর শষ্যের পরিবর্তে দিগন্ত জোড়া মাঠের যে দিকেই চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। আর ফসলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা নয়, সকাল-সন্ধ্যা ঝাঁঝালো গন্ধের চিকচিকে পানির নিচ থেকে উঠতে থাকে সোনাভরা বাগদা। কিছুদিনের মধ্যে পাইকগাছাকে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য বিশেষায়িত করা হয় “সাদা সোনার রাজ্য” হিসেবে। রাতা-রাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান চিংড়ি চাষের সাথে সম্পৃক্তরা। তবে প্রকৃত জমির মালিকদের অবস্থা চলে যায় আরো নীচের দিকে। ফসলও ফলেনা জমিতে আবার চিংড়ি ঘেরের হারিও (ভাড়া) কম। এক সময় ঋণের দায়ে জমিটুকু ঘের মালিকদের কাছেই বেঁচে দিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। 

তবে ১ থেকে দেড় দশকের মধ্যে ১৯৯৫ সালের পর থেকে চিংড়ি ঘেরে শুরু হয় “ভাইরাস” বা মড়ক রোগ সংক্রমন। ধীরে ধীরে তা বিস্তার লাভ করায় পুরোপুরি লাভের মুখে থাকা চিংড়ি শিল্পে নেমে আসে আকস্মিক ধ্বস। এভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অনেকেই লাভের আশায় ধার-দেনা করে চাষাবাদ টিকিয়ে রেখে এক সময় চাপ সইতে না পেরে পালিয়ে গেছেন। অনেকেই সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। পরে কিছুটা ভাল হওয়ায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন চাষীরা। তবে মাত্র এক বছর পর মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে আবারো মড়ক অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্ধের উপক্রম হয়েছে সম্ভাবনাময় এ শিল্প। 

চিংড়ি চাষী প্রতাপকাটী গ্রামের আমিনুল ইসলাম, কাশিমনগরের লিটু, আশরাফ, জাহাঙ্গির শেখ জানান, এবছর তাদের চিংড়ি ঘের থেকে এ পর্যন্ত তারা কোন মাছ ধরতে পারেনি। মওসুমের শুরুতেই তাদের ঘেরে মাছ মারা যাচ্ছে। অনেক ঘেরে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার অবমুক্ত’র সকল মাছই মরে সাবার হয়ে গেছে। ব্যাপক হারে মড়ক আসলে কি ভাইরাস না অন্য কিছুর সংক্রমন তারা বুঝতে পারছে না। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ,এস,এম রাসেল জানান, যে সকল ঘেরের চিংড়ি মরছে ঐ সকল চিংড়িতে তারা কোন রোগের লক্ষণ বা চিহ্ন পাচ্ছেন না। তবে কি কারণে মরছে বিপুল পরিমান চিংড়ি? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও ওই কর্তা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহে চিংড়ির লবন পানির উপযুক্ত পরিবেশ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার ফলে মাছের মড়ক লাগতে পারে। 

এদিকে চিংড়ির মড়ক রোধে বিভিন্ন কোম্পানি বাহারি সব প্রচারে বাজারজাত করছে নানাবিধ প্রতিষেধক বা ওষুধ। অনেকে আবার পরিবেশ বান্ধবের ধুয়ো তুলে নিজেদেরকে চিংড়ি বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও মূলত তাদের কারো কোন প্রেসক্রিপশনে কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।

পাইকগাছায় সজনের বাম্পার ফলন

পাইকগাছায় সজনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। সজনে চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজনে গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজনে পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজনের ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজনে গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে।

সজনে বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজনের পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায় জন্যই হয় তো, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজনের পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজনে গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। 

সজনের পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধী গুন তো আছেই। সজনের পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে। তাছাড়া সজনের পাতা গুড়ো করে খাওয়ায় অন্তত ১৬টি উপকারী কথা জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম দেহে রোগ প্রতিরোধ মতা বৃদ্ধি করে, বিপাকক্রিয়া ভালো রাখে, চোখ ও মস্তিস্কের পুষ্টি যোগায় প্রভৃতি। সজনে সবজি যেমন উপদেয় এর ভেজষ গুনও অসাধারণ। মৌসুমী নানা রোগব্যাধী নিরাময় ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে জন্ডিস, বসন্ত, মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রাচীনকাল থেকে সজনে নানা ব্যবহার করে আসছে ইউনিয়ানী ও আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে প্রায় ২২ হাজার ৫ শত গাছ আছে। প্রতি বাড়ীতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো। গাছে ফলনও বেশী হয়। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। দেশে ২টি জাত আছে সজনে ও নজনে। সজনের ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজনে ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় ১৫০টি মত ফুল হয়। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪’শ থেকে ৫’শ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। গাছ প্রতি সর্বোচ্চ ৩০/৭০ কেজি ফল পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে সজনের কেজি ৭০/৮০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে ২৫/৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজনে গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজনের জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজনে গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ৬ হাজার ২ শত সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। 
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার প্রতি বাড়ীতে ২/৩টি করে সজনে গাছ আছে। সজনে পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজনে ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর উপজেলায় সজনে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চমুল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।

--প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা।

পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস

পাইকগাছার বোয়ালিয়া সাধুখা পাড়ায় ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ১৬০ বছরের জরাজীর্ণ ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি দ্বিতল ভবনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাস করছেন ৩ পরিবারের ১২ জন সদস্য। ভূমিকম্পের চরম হুমকিতে থাকা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এ ভবনটি ধ্বসে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে কোন বড় ধরণের প্রাণঘাতি দূর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকির অভাব ও পরিবারগুলির মানষিকতার অভাবে ভবনটি ভাঙ্গা সম্ভব হচ্ছেনা। 

যৌথ মালিকানার বাড়িটির এক শরিকের কারণে নাকি বাড়িটি ভাঙ্গা যাচ্ছেনা এমন অভিযোগ ও তার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বাড়িটির আরেক অংশীদার পিযুষ কান্তি সাধু।



অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গদাইপুরের বোয়ালিয়া সাধুখা পাড়ায় যৌথ মালিকানার ১৬০ বছরের জরাজীর্ণ ঐ ভবনটিতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন জনৈক রনজিত সাধুসহ তার দু’ভাইয়ের ৩ পরিবারের ১২জন সদস্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ফলে অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি কেঁপে উঠে ঐ ভবনটিও। তবে তাতে ভবনটির বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব না হলেও ভবনটির আশপাশে বসবাসরত মানুষরাও আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। 

যত দ্রুত সম্ভব স্থাপনাটি ভেঙ্গে না ফেললে তাতে বসবাসরত মানুষদের পাশাপাশি নিকটবর্তী এলাকায়ও ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের প্রাণঘাতি দূর্ঘটনা এমনটি আশংকা এলাকাবাসীর। এদিকে যৌথ মালিকানার ভবনটির অন্যতম অংশীদার ব্যবসায়ী পিযুষ কুমার সাধু প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ঐ অভিযোগটি দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল আমিন বলেন, জান মালের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নববর্ষের প্রার্থনা (‎কবিতা‬)

মোঃ আবুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাইকগাছা।


নববর্ষের নতুন পূজায় উথাল পাথাল মন,
নতুন বছর নতুন করে এনে দিল শুভক্ষণ।

নতুন প্রাণে নতুন সুরে প্রার্থণা তব তরে,
বিধাতার ধন আলো হয়ে রবে শূন্য মাটির ঘরে।

বিধির বিধান পাল্টাবে জানি নতুন স্বপ্ন হয়ে,
নবজাগরণে হৃদয়ের টানে কালো মেঘ যাবে ক্ষয়ে।

এই বাংলায় বর্ষবরণে বাঙালির প্রেমগাঁথা,
বৈশাখ যেন কোটি বাঙালির নাড়ির বাঁধনে বাঁধা।

দুচোখ ভরা স্বাধীন স্বপ্ন এঁকে যাই মনে মনে,
নববর্ষের সুখ স্মৃতিখানি নাড়া দেবে ক্ষণে ক্ষণে।

নবজীবনের পরশ দিল বাংলার মাঠে ঘাটে,
রং লহরী ছড়িয়ে পড়ল গ্রাম শহরের বাটে।

নতুন আগামীর আগমনী গান; বৈশাখী হাওয়ায় দোলে,
শ্রান্ত মেঘের গর্জণ শুনি ঈশান বায়ুর কোলে।

মেঘের ফাঁকে রোদ হেঁসে যায় নতুন ছন্দ নিয়ে,
উড়ে যায় পাখি দোয়েল, চঁড়ুই নতুন গান শুনিয়ে।

জলহীন নদী ঘাটে নেই বাঁধা নৌকার সারি সারি,
কাঠফাঁটা রোদ শ্রান্ত হৃদয় প্রকৃতির আহাজারি।

তান্ডবনাচে কালবৈশাখী সব করে ভাংচুর,
তবু হেসে যায় বাঙালী হৃদয় হারালেও সব সুর।

বিষন্ন মন আর্ত হৃদয় তবু চলে পথচলা,
নববর্ষ ঝরে পড়ো হয়ে উর্বষী মেঘমালা।

স্রষ্টার আশিস বর্ষিত হোক বাঙালির শিরে শিরে,
নববার্তায় নতুন বছর আসুক আবার ফিরে।

নতুন ধানে নব অন্নে ভরে যাক অন্তর,
নতুন হাসিতে উঠুক জেগে বাংলার প্রান্তর।

Friday, April 22, 2016

পাইকগাছায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি

বেড়েছে চুরি-ডাকাতি; দখল-পাল্টা দখল মহড়া অব্যাহত


পাইকগাছায় দু’টি প্রভাবশালী গ্রুপের দখল-পাল্টা দখলের মহড়া, পৌর সদর'সহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় সব ক’টিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে একরকম অস্থিরতা। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান-পাটে একের পর ঘটে চলেছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। পাইকগাছায় আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনি সহিংসতার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে শুরু হয়েছে সরকার দলীয় ব্যানারে দখল-পাল্টা দখলের মহড়া।

এলাকাবাসীর মধ্যে এনিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্নতা ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ এজন্য মূলত একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসিনতাকেই দায়ি করছেন। যা পুলিশের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সাধারণের কাছে। পছন্দমত ব্যক্তির মামলা রেকর্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব সহ বহুবিধ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পাইকগাছায় পৌর সদরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দরজা ভেঙ্গে দূধর্ষ চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ২৭ জানুয়ারি পৌর সদরের ৪, ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডে চুরি সংঘটিত হয়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছা পৌর সদরের এক প্রকৌশলীর বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সঙ্গবদ্ধ ডাকাতরা নগদ অর্থ ও স্বর্নালন্কার’সহ প্রায় ১১ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রকৌশলী হরেন্দ্রনাথ মন্ডলের বাড়িতে দুধর্ষ এ ডাকাতি সংঘঠিত হয়। প্রকৌশলীর বাড়িতে ডাকাতির ৩ দিন পর ১০ ফেব্রুয়ারি পাইকগাছায় একই রাতে ৩ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে দূধর্ষ চুরি ও ডাকাতি সংগঠিত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি ছুরি উদ্ধার করে। ওইদিন গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মোড় নামক স্থানে এ ডাকাতি সংগঠিত হয়। বোয়ালিয়া মোড়ের তপন দাশের তন্ময় ফার্মেসী, আবুল কালাম আজাদের সেবা ফার্মেসী ও অজিয়ার রহমানের টেইলর্সের দোকান থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও ঔষধ সামগ্রী এবং সিট কাপড় নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। অনূরুপ ভাবে একই রাতে গদাইপুর গ্রামের মৃত শৈলেন্দ্র নাথের ছেলে স্বর্ন ব্যবসায়ী শ্যাম সুন্দর ভদ্রের বাড়িতে দূধর্ষ ডাকাতির সময় বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকারে ডাকাতরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় বলে জানায় পারিবারিক সূত্র।

এরপর গত ২০ মার্চ ইউপি নির্বাচন মুহুর্তে বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক এর পৌর সদরের বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যানের পৌরসভাস্থ বাসভবনে ৮/১০ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রায় ৩০লক্ষ টাকার মালামাল (নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালংকার) নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বেদম মারপিট করে পালিয়ে যায় তারা। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল পাইকগাছায় অবসর প্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দূধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় সেনা দম্পতি সহ ৩ জন আহত হয়ে এখনো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আলহাজ্ব লিয়াকত আলী গোলদারের বাড়ির গেট ও বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে। এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে লিয়াকত আলী বের হওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা লিয়াকত (৫৫) ও তার স্ত্রী নার্গিস পারভীন (৩৮) কে কুপিয়ে জখম করে। সেনা দম্পত্তির আত্মচিৎকারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক প্রতিবেশী এগিয়ে আসেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসব ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করলেও ডাকাতি হওয়া কোন মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল আমিন বলেন, কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা সত্যিই মর্মান্তিক।

এছাড়া গত ২২ মার্চ প্রথম দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার এড়াতে কয়েকটি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রাম প্রায় পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে। ঐ সকল ঘটনায় থানায় ৭/৮ টি মামলা দায়ের হয়। 

এর আগে সরকার দলীয় এক নেতার বাড়ি দখল নেয় সরকারেরই স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে তার লোকজন। ঐ ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বেদখল হওয়া একটি ইট-ভাটা উদ্ধারের নামে পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটে। নানাবিধ ঘটনায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও তার ছেলে শেখ মনিরুল ইসলামের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ !

--আমিনুল ইসলাম বজলু, পাইকগাছা।

Thursday, April 21, 2016

উফ্ খুব পড়েছে গরম, তাই বৃষ্টি তোমায় আবার নিমন্ত্রণ !

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :: এটি সাম্প্রতিক কোন বৃষ্টির চিত্র নয়। পাঠকদের গরমানুভূতি হ্রাসের লক্ষ্যে একটি 'ভয়েস অফ পাইকগাছা' প্রচেষ্টা ! তো ছবিটি দেখুন, উপলব্ধি করুন আর গরমানুভূতি কমান !

কপিলমুনিতে বাড়ছে লবন পানির চিংড়ি ঘের, কমছে ফসলি জমি

শুরুটা ছিল ভাল; কিন্তু বর্তমানে যেন হিতে বিপরীত হতে চলেছে। পাইকগাছার কপিলমুনিতে প্রতি বছর বাড়ছে লবন পানির চিংড়ি ঘের, তাই কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমান আর পরিবেশের  উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি'সহ আশপাশের এলাকাতে ৮০’র দশকের শুরুর দিকে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে লবন পানিতে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। আজ যেখানে ফলছে সোনার ফসল, কাল সেখানে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠছে চিংড়ি ঘের। দুই তৃতীয়াংশ জমি প্রভাবশালী ঘের মালিকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং চাষ না করায় খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। 



বছরের পর বছর এ অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। চাষাবাদ না হওয়ায় হাজার হাজার শ্রমজীবি মানুষ কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাড়ি জমাচ্ছেন। শুরুতে জাতীয় অর্থনীতিতে চিংড়ি চাষ ইতিবাচক ভুমিকা রাখলেও বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষককুল। প্রতি বছর কৃষকের ফসল ফলানো জমি চিংড়ি চাষের ঘেরে পরিণত হচ্ছে। ফলে ফসলের জমি কমে যাচ্ছে, তাই এলাকায় ধান ও সবজি চাষ বন্ধ হতে চলেছে। যেটুকু ফসলি জমি আছে তাও পাশের ঘেরের লবনাক্ততার প্রভাবে আশানুরুপ ফসল ফলছে না।

কৃষক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অধিকাংশ জমিতে এখন লবন পানি তুলে চিংড়ি চাষ করো হচ্ছে, আর এই ঘেরের পাশে যে ফসলের জমিতে ফসল ফলানো হচ্ছিল সেখানে ঘেরের লবন রসের কারণে ফসল ফলছে না। ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের বাধ্য হয়েই ওই জমিতে ফসল ফলানো বন্ধ করে ঘের করতে হচ্ছে’।

বিশ্লেষকদের মতে, সরা বছর মাটিতে লবন পানি আটকে থাকায় মাটির গুণাগুন নষ্ট হয়ে উর্বতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্রের উপর। কোন কোন কৃষক আশানুরুপ ফসলের আশায় জমিতে অতিরিক্ত মাত্রায় সার ও ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কিন্তু তাতে কোন সুফল পাচ্ছেন না তাঁরা। আর তাই প্রতি বছরই দেখা দিয়েছে খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি। 

একাধিক চিংড়ি ঘের মালিক জানান, এক দিকে তাঁরা পূর্বের ন্যায় চিংড়ির বিক্রয় মূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ঘেরে ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে সাদা সোনা নামে ক্ষ্যাত এ চিংড়ি। ফলে কোন কোন বছর ঘের ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এক দিকে চিংড়ির ব্যবসায় ধ্বস, অন্যদিকে ফসল ফলছে না।

এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ১৬৫৭.৪৭ হেক্টর জমিতে ২৭২টি, হরিঢালীতে ৫৪৫.৩৩ হেক্টর জমিতে ২২২টি ও লতা ইউনিয়নে ৩৫৭৩.৪৭ হেক্টর জমিতে ৪৪৭টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রকৃতি প্রদত্তভাবে লবনাক্ততা বাড়ছে। সিডর-আইলা হওয়ায় লবন বিস্তৃত হয়েছে। যেখানে লবন পানি আছে সেখানে ফসল হবে না, পাশাপাশি চিংড়ি চাষের সুযোগ আছে। লবণ পানি যদি মিষ্টি পানিতে পরিণত করা যায় তাহলে চাষীরা ফসল ফলাতে পারবেন। তবে মিষ্টি পানি এলাকায় যদি কেউ লবণ পানি তুলে চিংড়ি চাষ করেন এমন অভিযোগ পেলে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পাইকগাছা সরঃ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফ্ফার। মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল অবসরে যান এবং একই দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মোঃ আব্দুল গফ্ফার।

উল্লেখ্য, আব্দুল গফ্ফার কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের মোঃ মোন্তাজ আলী সানার ছেলে। তিনি ১৯৮৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসাবে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং খুলনা জেলা স্কুলে কর্মরত ছিলেন।

২০০৭ সালে তিনি সহকারী শিক্ষক হিসাবে আবারো পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি একই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

Wednesday, April 20, 2016

পাইকগাছায় জলবায়ুর পরিবর্তনে ঝলসে যাওয়া প্রকৃতি

মরা নদীর তীরে চিংড়ি চাষের আগ্রাসন গিলে খাচ্ছে সবুজ। মরছে গাছপালা। ফসলের ক্ষেত বিবর্ন নোনা মাটির বিষে। পাইকগাছার শিববাটিতে মিলেছে শিবসা নদীর তিন মোহনা। কিন্তু এই মোহনায় পানি অনেক কম। ৩০ হাতের স্থলে ৭-৮ হাত। শিবসা তীরের শিববাটি এলাকা থেকে ছবি তুলেছেন :: রফিকুল মন্টু




পানি সংকটের ভয়াবহ চিত্র পাইকগাছা আর কয়রার বিভিন্ন এলাকায়

জলবায়ু পরিবর্তন পানির সংকট বাড়িয়েছে, সে বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই। লবন পানিতেই নষ্ট হয়ে গেছে পানির সব উৎস। কিন্তু জলবায়ু তহবিলের অর্থ পানি কষ্ট কতটা মেটাতে পেরেছে, সেটাই বড় প্রশ্ন। শুধু সুপেয় পানি নয়, সেচের পানিও কিনতে হয় চড়া দামে। বিপন্ন মানুষরা বলছেন, ‘‘টাকা থাকলে মিঠা পানি পাই, আর টাকা না থাকলে নোনা পানি ছাড়া উপায় নাই।’




ছবি তুলেছেন :: রফিকুল মন্টু

ভয়েস অফ পাইকগাছা

ভয়েস অফ পাইকগাছা

Tuesday, April 19, 2016

পাইকগাছা সরঃ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল’কে বিদায়ী সংবর্ধনা

পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডলের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডলকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, অপু মন্ডল ১৯৮১ সালে পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। আজ ১৯ এপ্রিল ২০১৬ প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে গেলেন অপু মন্ডল।



অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তণ শিক্ষক মুরারী মোহন ঘোষ, অখিল কুমার সরকার, শংকর কুমার সরকার, সৌমেন্দ্রনাথ মজুমদার, শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফফার, দিলিপ কুমার দাশ, মোঃ খালেকুজ্জামান, মোঃ আবু তৈয়্যাব, প্রদীপ কুমার শীল, মোঃ রহমত আলী, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ ইমরুল ইসলাম, অনিমেশ চন্দ্র হরি, শিক্ষার্থী হিমাদ্রী সেন, জাবির মাহমুদ, আসির ফয়সাল, শোয়েব আক্তার, হাচিবুল হক তোরান ও তন্ময় সেন।

Monday, April 18, 2016

পাইকগাছার ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী স্কুলে প্রকাশিত হল দেয়াল পত্রিকা 'বেলাভূমি'

পাইকগাছা উপজেলার ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রকাশিত হল ব্যতিক্রমধর্মী দেয়াল পত্রিকা 'বেলাভূমি'। ১৭ এপ্রিল দুপুরে পত্রিকাটি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের সব পড়ুয়াদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর আগে গতবছর এই বিদ্যালয়ে 'বেলাভূমি'র দু’টো সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কেউ লিখেছে সুন্দরবন নিয়ে, কেউ লিখেছে সুন্দরবনের বিলুপ্ত প্রাণী নিয়ে, কেউ লিখেছে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে।



ওদের লেখায় উঠে এলো চারপাশের নানান বিষয়। নারী নির্যাতন, বাল্য বিয়ে, বিদ্যুৎ সংকট, পানি সংকটের মত বিষয় উঠে এসেছে কোমলমতি পড়ুয়াদের প্রতিবেদনে। বিষয় নির্ধারণ থেকে প্রতিবেদন লেখা এবং দেয়াল পত্রিকা তৈরির কাজটিও করেছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

কর্মশালায় আলোচনার পর পড়ুয়ারা নিজেরাই লেখার বিষয় নির্ধারণ করে। এরপর প্রত্যেকে একটি করে লেখা জমা দেয়। সবগুলো লেখা থেকে বাছাই করা ১৯টি প্রতিবেদন দেয়াল পত্রিকায় স্থান পায়। রঙিণ পেপারে লেখাগুলো লিখে পড়ুয়ারা নিজেরাই দৃষ্টিনন্দন দেয়াল পত্রিকাটি তৈরি করে। কাঁচি দিয়ে রঙিণ কাগজ কেটে পত্রিকার চারপাশে লাগানোর ফলে দেয়াল পত্রিকাটি আরও আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। পত্রিকার ফাঁকা জায়গাগুলোতে পড়ুয়াদের কোমল হাতে রঙিণ কলমের আঁচড় বেলাভূমি’কে যেন জীবন্ত করে তোলে।



দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের আগে এ বিষয়ে ধারণা বিনিময়ের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের মালটিমিডিয়া কক্ষে লেখালেখির কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন উপকূল-সন্ধানী সংবাদকর্মী ও উপকূল জুড়ে এই দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম মন্টু। তিনি পড়ুয়াদের লেখালেখির প্রয়োজনীয়তা, লেখার বিষয় ও লেখার কলাকৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। শেষে অংশগ্রহনকারীদের দেয়াল পত্রিকা তৈরির কৌশল দেখিয়ে দেন। 

কর্মশালায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী পাড়, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মন্ডল ও স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব পাইকগাছার সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বিধান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনামূলক কথা বলেন। দেয়াল পত্রিকাটির কাজ সম্পন্ন হলে পত্রিকাটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী পাড়ের হাতে তুলে দেয় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় পড়ুয়ারা স্কুল থেকে প্রতিমাসে দেয়াল পত্রিকা ‘বেলাভূমি’ প্রকাশের আগ্রহের কথা জানালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশের সহায়ক হিসাবে এই দেয়াল পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হবে। এই লেখা দিয়ে একটি বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে পৃথক তহবিল গঠণের উদ্যোগ গ্রহনেরও আশ্বাস দেন প্রধান শিক্ষক। 

প্রসঙ্গত, উপকূল অঞ্চলের স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের সৃজনশীল মেধা বিকাশ এবং তাদেরকে চারপাশের বিষয় সম্পর্কে সচেতন করতেই দেয়াল পত্রিকা প্রকাশের এই উদ্যোগ। উপকূলের প্রায় অর্ধশত স্কুলে এই ব্যতিক্রমী দেয়াল পত্রিকা 'বেলাভূমি' প্রকাশিত হচ্ছে। আর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

পাইকগাছায় নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে কদর বেড়েছে পরিবেশ বান্ধব ঘোড়ার গাড়ির

দুই শতাধিক পরিবারের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম এটি


পাইকগাছায় নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে কদর বেড়েছে পরিবেশ বান্ধব ঘোড়ার গাড়ির। এতে একদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অপরদিকে দূষণ থেকে মুক্ত থাকছে পরিবেশ। বর্তমানে উপজেলায় ঘোড়ার গাড়ির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে দুই শতাধিক পরিবার।

সূত্রমতে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাইকগাছা উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদী পথ। আর নদী পথে মালামাল বহনের জন্য নৌযান হিসাবে ব্যবহত হতো নৌকা। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষ্ণিক উষ্ণতার ফলে ধীরে ধীরে বেশির ভাগ নদ-নদী গুলো ভরাট হয়ে যায়। আবার দু’একটি নদী সচল থাকলেও নাব্যতা সংকটের কারণে নৌযান চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। 



নৌপথ গুলো বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটে। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় মালামাল পরিবহনে উপজেলার সর্বত্রই ব্যবহত হতে থাকে আধুনিক যানবহন। বিশেষ করে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বেশির ভাগ ব্যবহার হতো ট্রাক, পিকআপ, ট্রলি, থ্রী হুইলার ও ইঞ্জিন চালিত নসিমন। এতে একদিকে যেমন বাড়তি জ্বালানি খরচ হতো তেমনি যানবাহনের ধুয়াই মারত্মক ভাবে দূষণ হতো পরিবেশ। 

এরপর মালামাল পরিবহনে গত কয়েক বছরে কদর বেড়েছে ঘোড়ার গাড়ির। বিশেষ করে অভ্যন্তরীন নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাটা গুলো থেকে বসতবাড়ী কিংবা যেখানে স্থাপনা নির্মিত হয় এর যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী যেমন, ইট, বালি, কাঁঠ, বাঁশ সহ প্রায় সব সামগ্রী বহনের জন্য ঘোড়ার গাড়িই এখন অন্যতম পরিবেশ বান্ধব পরিবহন হিসাবে প্রচলন হয়েছে। দিনে দিনে মানুষের জীবন যাত্রার মান যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে স্থাপনা নির্মাণ। আর তার সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইট ভাটা সহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসা। ফলে এসব সামগ্রী পরিবহনে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। 

বর্তমানে উপজেলার গদাইপুর, চেচুয়া, ঘোষাল, গোপালপুর, বিরাশী, মালথ, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি, কাশিম নগর, গজালিয়া, চাঁদখালী সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুইশ পরিবারের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। এতে একদিকে জ্বালানি খরচ লাগছে না। অপরদিকে পরিবেশও দূষণ হচ্ছে না। স্বল্প সময়ে অধিক আয়ের জন্য অনেকেই অন্য পেশা ছেড়ে ঝুকছে প্রাচীনতম ঘোড়ার গাড়ি চালানোর পেশায়। 

সরল গ্রামের মান্দার গাজীর ছেলে রাজ্জাক গাজী জানান, তিনি দীর্ঘদিন এ পেশায় জড়িত রয়েছেন। দিনে দুইবার ভাটা থেকে ইট বহন করে থাকেন। পুরাইকাটি ইট ভাটা থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০০ ইট (এক গাড়ি) বাবদ বহন খরচ পান ২৫০ টাকা। এতে দিনে কমপক্ষে ৫০০ টাকা আয় হয়, যার মধ্যে ঘোড়ার খাদ্যবাবদ ব্যায় হয় ১০০ টাকা। বাকি ৪০০ টাকায় তিনি সংসার চালান। দিনের অন্য সময় তিনি বাড়ীর অন্যান্য কাজ করেন। 

সব মিলিয়েই ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখেই আছেন তবে ঘোড়ার খাদ্য সংকটের কারণে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে হয় বলে অধিকাংশ ঘোড়ার গাড়ি চালকরা জানান।

বৈশাখী দুপুরে স্বস্তির আশায় পাইকগাছার একটি পরিবার !

পাইকগাছার কপিলমুনিতে কপোতাক্ষ নদ খনন কার্যক্রম

প্রবীনদের মতে, কপোতাক্ষ নদের নামকরণ হয়েছে কবুতরের চোখের জল থেকে। অর্থাৎ কবুতরের চোখের জলের ন্যায় কপোতাক্ষের জল স্বচ্ছতার আলোকে এতটাই স্বচ্ছ ও পবিত্র। সেই কপোতাক্ষের যৌবন ফুরিয়ে আজ মৃত।

ছবি তুলেছেন :: আমিনুল ইসলাম বজলু

Saturday, April 16, 2016

পাইকগাছায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি; দম্পতি’সহ আহত ৩

নববর্ষের রাতে পাইকগাছায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির হামলায় সেনা দম্পতি’সহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কয়েকজন ডাকাত গদাইপুর ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আলহাজ্ব লিয়াকত আলী গোলদারের বাড়ির গেট ও বারান্দার গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষের মালামাল তছনছ করে।
এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে লিয়াকত আলী বের হওয়ার চেষ্টা করলে এ সময় ডাকাতদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ডাকাতরা লিয়াকত (৫৫) ও তার স্ত্রী নার্গিস পারভীন (৩৮) কে কুপিয়ে জখম করে। সেনা দম্পত্তির চিৎকারে সিরাজুল ইসলাম নামে এক প্রতিবেশী এগিয়ে আসেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ পরবর্তিতে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লুটপাটের কোন পরিমাণ জানা যায়নি।

পাইকগাছায় ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল আমিন। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন রং ও আকারের নারী শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের অর্ধশতাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।



প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ইউএনও মোঃ আবুল আমিনের সভাপতিত্বে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী, প্রাক্তন অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, বি সরকার, শিক্ষক ফাতেমা খাতুন, জামিনুর ইসলাম, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হাকিম ও দিপঙ্কর মন্ডল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম।

পাইকগাছার কপিলমুনি হাটের ইজারায় আগ্রহ নেই কারো

পাইকগাছার কপিলমুনি হাটের ইজারায় চলতি বছরের জন্য সরকার নির্ধারিত টাকা এবং হাটের অবস্থা দেখে এবার আর কেউ হাটের ইজারা নেয়নি। যার কারণে সরকারিভাবে এক সপ্তাহ খাজনার টাকা উত্তোলন করবেন স্থানীয় নায়েব (তহশীলদাররা)।
পহেলা বৈশাখে তোলা ছবিতে :: কপিলমুনি হাটের একাংশ ও পাশে কপোতাক্ষ খননের মাটির স্তুপ।

ছবি তুলেছেন :: আমিনুল ইসলাম বজলু

কপিলমুনিতে মাটির নিচে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ কপোতাক্ষ খননের মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।

ছবি তুলেছেন :: আমিনুল ইসলাম বজলু

Friday, April 15, 2016

পাইকগাছায় উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ষবরণ

পাইকগাছায় পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর পরিবেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, গ্রামীন খেলাধুলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।



শোভাযাত্রায় ঘোড়ার গাড়ী, পালকি’সহ বাঙ্গালীর গ্রামীন ঐতিহ্য শোভা পায়। শোভাযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, পাইকগাছা কলেজ, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ, পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোজবার্ড কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, ইউনিভার্স্যাল কিন্ডার গার্টেন স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করে।
সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে রুই ও চিংড়ী মাছের পান্তাভোজ। সকাল ৯টায় নববর্ষের গান ও কবিতা আবৃত্তি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ১১টায় গ্রামীন খেলাধুলা ও সবশেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুরূপভাবে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবর আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গদাইপুর ফুটবল মাঠে আয়োজন করা হয় ৩দিন ব্যাপী চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল আমিনের সভাপতিত্বে পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানারা খাতুন, মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নাজমুল হক, ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আ’লীগনেতা লুৎফর রহমান, শেখ মনিরুল ইসলাম, ইউএনও পত্নী নার্গিস পারভীন, ওসি পত্নী রোমানা আফরোজ, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, উপাধ্যক্ষ সরদার মোহাম্মদ আলী, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রধান শিক্ষক অপু মন্ডল, অজিত কুমার সরকার, জেলা আ’লীগনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডাঃ শেখ মোঃ শহিদুল্লাহ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বানু ডলি। উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন অধ্যাপক জিএম আজহারুল ইসলাম, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, সাংবাদিক মোঃ আব্দুল আজিজ, তৃপ্তি রঞ্জন সেন, প্রকাশ ঘোষ বিধান’সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান মন্টু ও বজলুর রহমান।

নতুন বছরে নতুন উদ্যমে ছুটে চলা

Thursday, April 14, 2016