Monday, April 29, 2013

পাইকগাছায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার কাজীমুছা ঈদগাহ ময়দানে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক সুজয় কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ূর রহমান, ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী প্রকল্পের উর্ধতন কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাজিদ হাসান, ইউপি সদস্য হাসান বিশ্বাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার পাল, আব্দুস সাত্তার মোড়ল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার, গোলজার রহমান, রিনা আক্তার, তন্ময় মন্ডল, ফিরোজ হোসেন, আকাইদ হোসেন, রবিউল হালদার ও কৃষক মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে কাজী মুছা ব্লকের চলতি মৌসুমে ৩৩.১০ একর জমিতে আবাদকৃত ভুট্টার কর্তন শেষে একর প্রতি ১২৫ মণ উৎপাদন হয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।


পাইকগাছায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা

আইনের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে খুলনা বিভাগ ধুমপানমুক্ত করণের অংশ হিসেবে খুলনার পাইকগাছায় পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এইড ও সিয়ামের উদ্যোগে রোববার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা টার্সফোর্স কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, প্রেসক্লাব সভাপতি গাজী সালাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবুল ফজল, থানার এস,আই আব্দুল খালেক।


পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা রোববার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল। সভায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

Saturday, April 27, 2013

সাভারে নিহতদের স্মরনে পাইকগাছায় শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

গত ২৪ এপ্রিল সাভার রানা প্লাজা ধসে নিহত, আহত ও এখনও যারা আটকে আছে তাদের জন্য পাইকগাছা পৌর ইমাম পরিষদের উদ্যোগে শোকসভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শনিবার বিকালে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে পৌর ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওঃ জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন-পৌর ইমাম পরিষদের সেক্রেটারী মাওঃ সোলাইমান হোসাইন নোমানী, মাওঃ মনিরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন-মাওঃ রইসুল ইসলাম, স.ম আব্দুর জব্বার, হাফেজ নূর হোসাইন, মাওঃ মুজিবুর রহমান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, মুফতি ইয়াস হোসাইন, মাওঃ সাইফুল ইসলাম। বক্তারা অবিলম্বে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সভাপতি হাফেজ মাওঃ জালাল উদ্দিন।


এক সপ্তাহেও জমেনি খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

উদ্বোধনের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জমেনি খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। হরতাল-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া এবারের মেলা রাজনৈতিক অস্থিরতার জালে আটকে যেতে পারে এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। সেই সাথে মেলা শুরুর ৫ দিনের মাথায় সাভারে ভবন ধসে তিন শতাধিক লোকের প্রাণহানির ঘটনায়ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে শোকার্ত পরিবেশ। যে কারণে খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমতে আরও সময় লাগবে এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।


এদিকে মেলা শুরুর ৭ দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার থেকে টিকিট গ্রহণ শুরু হলেও এখনও অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়নই রয়েছে ফাঁকা। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ আয়োজিত এ মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বেনারসি মসলিন এন্ড জামদানী সোসাইটি। নগরীর সার্কিট হাউজে মাসব্যাপী চলমান এ মেলা অভ্যন্তরে গিয়ে দেখা গেছে, ১৩৬টি স্টলের প্রায় অর্ধেকই এখনও ফাঁকা। সেই সাথে ১৫টি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকলেও সেগুলোও ফাঁকা দেখা গেছে আগোছালোভাবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে মাসব্যাপী খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। মেলার ৮ম দিনে গতকাল বিকেলে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর আগে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকলেও কোন টিকিট ছিল না।

আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১০টাকা দর্শনীয়র বিনিময়ে প্রবেশ করা যাবে মেলাভ্যন্তরে।

রোববারের মধ্যে রানা গ্রেফতার না হলে বৃহস্পতিবার হরতাল

রোববারের মধ্যে সাভার ট্রাজেডির মূল হোতা যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা না হলে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা ও সিপিবি-বাসদ। শনিবার সকালে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বামমোর্চা ও সিবিপি-বাসদএ হরতালের ডাক দেয়। এর আগে শুক্রবার গণতান্ত্রিক বামমোর্চার এক সভায় সাভারে ভবনধসের ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ২৮ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নিলে হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পাইকগাছার পৌর মেয়র মালেয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম সফরে

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ১০ দিনের সফরে মালেয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম যাচ্ছেন পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি ২৮ এপ্রিল রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বিমানযোগে রওনা হবেন বলে জানাগেছে। তিনি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও নাগরিক অধিকার কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য দু'দেশে ১০ দিন অবস্থান করবেন। সময় স্বল্পতার কারনে সফরের বিষয়টি সবাইকে অবহিত করতে না পারায় সকলের কাছে তিনি দোয়া আর্শিবাদ চেয়েছেন।


সাভারে বৃষ্টি; তাঁবু চেয়ে মাইকিং

সাভারের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সবার কাছে তাঁবু চেয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সেখানে আকাশ কালো করে মেঘ করে এবং তার পরই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছে। সে কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের জন্য টানানো তাঁবুটিও খুলে নিয়ে ধ্বংস স্তূপের সুড়ঙ্গ ও ফাটল ঢেকে দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। অপরদিকে, শনিবার সকালে আরও ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিনব সাহায্য !

“টেলিভিশনে স্বজনদের আহাজারি দেখে আর সহ্য করতে পারলাম না। আমরা ও তো মানুষ। মা-বোন ভাইদের জীবিত বা মৃত উদ্ধার করতে দু’বন্ধু ছুটে আসি সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজায়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধার কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।

বাড়িতে দু’বন্ধু বলে এসেছি, শেষ মৃত বা জীবিত ব্যক্তিকে জীবনের বিনিময়ে হলেও উদ্ধার করবো। যদি প্রাণ যায় তাহলেও ফিরবো না। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের মোবাইলের চার্জ শেষ। অনেক চেষ্টা করেও মোবাইল চার্জ দিতে পারিনি। তখন অনেক চিন্তা করে দু’বন্ধু প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ করে সবার সাহায্যের জন্য মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।’’

কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে সাভারে ছুটে আসা ইলেকট্রিক মিস্ত্রী সজিব। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, উদ্ধার কাজ যখন শেষ হবে তখন বাড়ি ফিরবো, না হয় ফিরবো না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর শত শত ফোন। যখন দু’বন্ধুর ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায়, তখন ভাবলাম মনে হয় আর সাহায্য করা হবে না।”

তিনি বলেন, “যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্বজনদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল। কিন্তু অনেকের দেখলাম মোবাইলে চার্জ শেষ হয়ে গেছে। নিহতের দূর-দূরান্তের স্বজনদের অন্তত মোবাইলে মৃত্যুর সংবাদটি দিতেও অনেকেই ঘুরছেন সাভারের রাস্তায়। এ থেকে দু’বন্ধু চিন্তা করলাম, সামান্য হলেও এ দুঃখের ভাগিদার হই।’’

তিনি জানান, “চার্জ দেওয়ার প্রায় তিন হাজার টাকার সরাঞ্জামাদি কিনে অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় গেইটে তারা মোবাইলে ফ্রি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

আরেক বন্ধু নাছির বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত পাঁচ শতাধিক মোবাইলে ফ্রি চার্জ দিয়েছি। স্বজনহারা মানুষগুলো সামান্য চার্জ দিয়ে অন্তত স্বজনদের এটুকু আশ্বস্ত করতে পারছেন যে, লাশ পাওয়া যাবে।”

এটুকু আশার বাণী শোনানোর জন্য হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যতদিন অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় লাশ ও স্বজনহারাদের আনাগোনা থাকবে ততদিন এ কাজ করে যাবে বলেও তিনি জানান।

লাশ আসছে লাশ যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ খাবার, পানিসহ অন্যান্য জিনিস দিয়ে স্বজনহারাদের অন্তত শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। নাছির, সজিবের মতো শত শত মানুষ যে যেভাবে পারছেন সাহায্য করছেন অসহায় মানুষগুলোকে।

কিন্তু এত সাহায্য, এত করুণার পর কি স্বজনরা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পাবে? বিচার হবে কি সেই নর পিশাচদের? শেষ হবে কি এ ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের? এমন প্রশ্ন এখন শুধু অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসা স্বজনদের নয়, সারাদেশের মানুষের।

Friday, April 26, 2013

পাইকগাছায় চিংড়ি ঘের নিয়ে দু’পক্ষের মারপিট; আহত ৫

পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫জন কমবেশী আহত হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম দীঘা গ্রামের মৃত বাবুরাম সরদারের পুত্র অজিত সরদারের চিংড়ি ঘেরের পাশেই ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের আব্দুল করিম সানার পুত্র আবুল কালামের একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। ঘটনার আগের দিন অজিত সরদার অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে আবুল কালামের চিংড়ি ঘেরটি তলিয়ে দেয়। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে আবুল কালাম তার লোকজন নিয়ে অজিতের ঘেরের মধ্য হতে মাটি কেটে বাঁধ মেরামতের কাজ করলে অজিতের লোকজন বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অজিত সরদার, স্ত্রী খুকু রাণী, পুত্র বিশ্বজিত ও কালামের ঘেরের দু’শ্রমিক শুকুর ও বাবলু কমবেশী আহত হয়েছে বলে দু’পক্ষ জানিয়েছে।

বারাক ওবামা

এতোদিনে বুঝছি টুইন টাওয়ার ক্যান ভাংছিলো ! কোন হালায় নিচে দিয়া নাড়া দিছে আর আবুলেরা মনে করছে উপ্রের প্লেনের দোষ। হুদাই লাদেন রে মারলাম....!!!

ব্রেকিং NEWS..........

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে সুড়ঙ্গ পথে আরও ১০ জন বের হয়ে এসেছেন। এনিয়ে মোট ১৫ জনকে সুড়ঙ্গ পথে উদ্ধার করা হলো। প্রথমে ধাপে ৪ জন ও এর পর একে একে আটকেপড়া অন্যদের বের করে আনা হয়।

তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তারা নিজেরা বের হতে পারেননি। উদ্ধার কর্মীরা তাদের বের করে আনেন।

ব্রেকিং NEWS..........

ধসে পড়া রানা প্লাজার ভেতরে এক সঙ্গে অর্ধশতাধিক জীবিত লোককে উদ্ধারে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে এই সকল জীবিত ব্যক্তিদের খোঁজ পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করছেন।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া নয় পদাতিক ডিভিশনের জি-২ ইন্টিলিজেন্সের মেজর তৌহিদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা ভেতরে কাজ করা অবস্থায় জীবিত লোকদের আওয়াজ পাই। এ সময় আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। ভেতর থেকে তারা জানায় সেখানে তারা ২০০ জনের মত জীবিত অবস্থান করছেন। তবে ওই কথাটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। সেখানে ৫০ জনের মতো লোক অবস্থান করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

Thursday, April 25, 2013

টানাহেচড়াতেই ভবন ধস, অটল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (মখা) !

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তথাকথিত হরতাল সমর্থক লোকজন কারখানা বন্ধ করার জন্য ফাটল ধরা স্তম্ভ নিয়ে টানাহেচড়া করেন।" এর ফলে ধস হয়েছে কিনা বা ধস তরান্বিত হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলে তিনি জানান।

বুধবার বিবিসিকে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সাক্ষাতকারে এ ধরনের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জের ধরে সাংবাদিকরা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রশ্ন তোলেন।

বিবিসিকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে ভবন ধসের জন্য স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।

"এখানকার মৌলবাদী... বিএনপি... এদের হরতালের জন্য আহ্বান জানাচ্ছিল। আমাকে বলা হয়েছে, হরতাল-সমর্থক কতিপয় ভাড়াটে লোক সেখানে গিয়ে ওই যে ভাঙা দালান ছিল বা ফাটল ধরা দালান ছিল, সেই দালানের বিভিন্ন স্তম্ভ নিয়ে নাড়াচাড়া করে এবং যে গেট বা দরজা ছিল, সেটা নিয়েও নাড়াচাড়া করে। এটাও এ ধরনের একটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।"

ভবন ধরে নাড়াচাড়া করার কারণেই ভবনটি ধসে পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, "ভবন সম্পর্কে মনে রাখা দরকার, যখন একটি ভবন ধসে পড়া শুরু হয়, তখন তার একটি অংশ বা খানিকটা অংশ ধসে পড়লে বাকি অংশের ওপরও এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে ধরনের প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হতে পারে।"

ব্রেকিং NEWS..........

উদ্ধারকর্মীদের প্রাণপন চেষ্টার ফসল হিসাবে ধ্বসে পড়া "রানা প্লাজা" ভবনের ভিতরে আটকা পড়া একটি কক্ষ থেকে একটু আগে একসাথে ৪০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

খুলনার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নয় বছরেও ভাঙা হয়নি !

নয় বছরেও খুলনার দুই শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে না ফেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যে মহানগরীর বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বড় বাজারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নগরীর এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করলেও তার একটিও নয় বছরে ভাঙা সম্ভব হয়নি। ভবনগুলো ভেঙে ফেলার জন্য প্রত্যেক বছর তোড়জোড় করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বসবাসের অযোগ্য শত বছরের পুরানো ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে বাস করছেন কয়েক হাজার মানুষ। এসব ভবন যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে সাভারের রানা প্লাজার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।


প্রতি বছরই এসব বাড়ি নিজ খরচে ভেঙে ফেলার নোটিশ দেয় সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু সে নোটিশে আজ পর্যন্ত কারও টনক নড়েনি। এরই মধ্যে এসব ঝুকিঁপূর্ণ ভবন ধসে কয়েকবার হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে বাসিন্দাদের এরপরও সরানো যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে কয়েক শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। রয়েছে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও।

বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সবশেষ ১/১১-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ২০০৮ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মাধ্যমে ৪৪টি ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আরও ১০৭টি বাড়িকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করে। এই ১০৭টি ভবনের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের চিহ্নিত ৪৪টি ভবনের সঙ্গে আরও ৫০টি ভবন যোগ হয়ে কেসিসি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪-এ। পক্ষান্তরে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত এলাকা নওয়াপাড়া পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় নওয়াপাড়া পৌরসভা ও দামোদর ইউনিয়ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ৫৭টি। সব মিলিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২০১টিতে।

সূত্র মতে, ২০০৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে খুলনা জেলা প্রশাসন, খুলনা সিটি করপোরেশন, দামোদর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ এবং নওয়াপাড়া পৌরসভা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। সে মোতাবেক এসব ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ও বসবাসের যোগ্য নয় লিখিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এসব ভবন ভেঙে ফেলার জন্য দেওয়া হয় কয়েক দফা নোটিশও। তবে এতে সাড়া দেননি সংশ্লিষ্ট ভবনের মালিক বা ব্যবহারকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বড়বাজার এলাকায় জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ২৬টি ভবনের অধিকাংশ দোতলা বা তিনতলা। এসব ভবনের ওপরের অংশে লোকজন বসবাস করছেন এবং নিচতলায় দোকানপাট ও কাঁচামালের আড়ত। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে বসবাসকারী মানুষ ও বাজারে আসা লোকজনের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এ বাজারে ২০০৮ সালে একটি ভবন ধসে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হন। নগরীর জেলা কারাগারের পুরোনো ভবন, টুটপাড়া আনসার ক্যাম্পের ভেতরে ভূতের বাড়ি, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি তিনতলা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া খুলনা প্রেসক্লাবের অদূরে স্যার ইকবাল রোডে, বসুপাড়া, হাজি মহসিন রোড, গগনবাবু রোড, মুন্সিপাড়া, রায়পাড়া, দোলখোলা, বানিয়াখামার, টুটপাড়া, মুজগুন্নী, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। জরাজীর্ণ এসব ভবনের দেয়ালে পাকুড় ও বটগাছসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা জন্মেছে। অনেক আগেই এসব ভবনের পলেন্তারা খসে পড়ে দেয়ালগুলোয় ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এস্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বার বার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিকদের নোটিশ দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে সিটি করপোরেশন আন্তরিক। এ কারণেই এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের মালিকানা নিয়েই মামলা রয়েছে। এজন্য উদ্যোগ নিয়েও ঝুকিঁপূর্ণ ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। একদিকে ভবন ধসে পড়ার আশংকা, অন্যদিকে মাথা গোজার শেষ ঠাঁই।

স্থানীয়রা বলছেন, এই ঝুঁকি নিয়ে যারা এসব ভবনে বাস করছেন জীবন বাঁচাতে তাদের শিগগির বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। তা না হলে ঢাকার সাভারের রানা প্লাজার মতো ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরণের প্রাণহানির ঘটনা।

খুলনা জর্জ কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, “পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। মৃত্যুফাঁদ এসব ভবনে আর কোন সাভার ট্রাজেডি যেন না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

হরতালকারীরাও ভবন ধসে দায়ী হতে পারে !

হরতালকারীরাও ভবন ধসে দায়ী হতে পারে- বিবিসিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

▣ খুব ইচ্ছা করছে, আমার ১০ নম্বর বাটার জুতাটির সৎব্যবহার করতে !!!


Wednesday, April 24, 2013

▣ টি.আর.পি !

টেলিভিজুয়্যাল দুনিয়ায় মরণদৃশ্যও প্রোডাক্ট ! কাটা হাত-পা, ছেড়া স্যান্ডেল কিংবা কাপড়, ছোপছোপ স্যাঁতস্যাঁতে লাললাল রক্ত, উদ্ধার করা আহত আর ভয়ার্ত মানবদেহ, স্তূপে আটকে পড়া ছায়া মানুষের আর্তনাদ, স্বজনহারাদের হৃদয় বিদারক আহাজারি.... কে কত বেশি এই দৃশ্য দেখাতে পারলো তা নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা ! আর সেই প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারলে বাড়ে টিআরপি। তথ্যক্ষুধার্ত মধ্যবিত্ত টিভি ভোক্তারাই যোগান দেয় তার। হেজিমনি আর পলিটিক্যাল ইকোনোমির রাজত্বে সকলেই আজ মহান মিডিয়ার দাস !!!

‘রানা প্লাজা'-র ইতিহাস

'রানা প্লাজা'-র নির্মান কাজ প্রথম বন্ধ করা হয় ২০০৬ সালে৷ উল্লেখ্য, মেয়র এই কাজে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে যথাযথ সহযোগিতা করেন৷ রানা সাহেব এবং তার বাবা পৌরসভায় আসেন, তাদের কে ‘প্লান’ জিনিসটা কি, কেন তাদেরকে রাজুক এবং পৌরসভা থেকে প্লান পাস করাতে হবে ইত্যাদি বোঝানো হয়৷ এরপর তারা অনুমোদনের জন্য প্লান জমা দেন এবং যথারীতি প্লান বাতিল হয়৷ পরবর্তিতে প্লান পাসের জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠেন কারণ অনুমোদিত প্লান ছাড়া গ্যাস সাপ্লাই পাওয়া অসম্ভব৷ পরবর্তী দুই বছরে পর পর চারবার বিল্ডিং কোড অনুযায়ী তারা প্লান সংশোধন করেন এবং পৌরসভা নানা অজুহাতে সেগুলো নাকচ করতে থাকে৷ সম্ভবত ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচন এর পরে, পলিটিকাল কারনে মেয়র প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে কে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী রানা 'প্লাজা'-র ৬ তলা প্লান অনুমোদনের নির্দেশ দেন। এটাই আজকের ‘রানা প্লাজা'-র ইতিহাস৷

দুঃখিত মাননীয় রাষ্ট্রপতি !

আজ বুধবার দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আবদুল হামিদ। দেশের নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি পোস্ট করব ভেবেছিলাম। কিন্তু আজকের সাভার ট্রাজেডির ফলে যে বিভিষিকাময় মানষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অভিনন্দন জানাবার প্রবৃত্তি হারিয়ে ফেলেছি। দুঃখিত মাননীয় রাষ্ট্রপতি !

পাইকগাছায় ১৮ দলের ডাকা ২য় দিনের হরতাল পালিত

পাইকগাছায় বিএনপি’র ডাকা ২য় দিনের হরতাল পালিত হয়েছে। দুলপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি, দোকানপাট, ব্যাংক, বীমার কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। সকালে পিকেটিং, বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
 

যুবদল নেতার উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল পাইকগাছা উপজেলার ১০নং গড়ইখালী ইউনিয়নের যুবনেতা মোঃ জাকির হোসেন সরদারের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকালে থানা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে জিরো পয়েন্টে হতে এক বিক্ষোভ মিছিল পৌর সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিবহন চত্ত্বরে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।


বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক

সাভারে ভবন ধসে হতাহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার জাতীয় সংসদে এ ঘোষণা দেন। তবে এদিন ছুটি থাকবে না।


ধিক্কার !!!

মন্ত্রী মরে নাই !! এমপি মরে নাই !! মরে নাই কোন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী !!
আপনিও মরেন নাই !! আমিও মরি নাই !! মরেছে গামের্ন্টস শ্রমিক !!

আরে ওরা তো মরেই !! কয়েক দিন আগেও তো মরলো !! আগুনে পুড়ে মরলো !!
সাংবাদিক ডেকে শোক প্রকাশ করলাম !! আজকেও তো শোক প্রকাশ করলাম !!

ধিক্কার জানাই শোক প্রকাশ করার সংস্কৃতিকে !!!

পাইকগাছা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উদ্যোগে ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-মাসিক সভা ও ট্রেনিং-১ অল্টারনেটিভ ক্লাইমেট এ্যাডাবটিভ আইজিএ পৃথক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্বে করেন ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বি¤শ্বাস।

অপরদিকে ফকিরাবাদে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিভাষ চন্দ্র সাহা, সুন্দরী প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক ছফুরা খাতুন, এসএম এ রব, বন্ধু চুলা প্রোগ্রামের এডিএম দিবাকর বিশ্বাস। কর্মশালায় ১০ জন পেশাজীবীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।

পাইকগাছায় সুশীলনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় সুশীলন নিরাপদ মাতৃত্ব অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোদ প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা মঙ্গলবার সকালে গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবাসি অফ দা কিংডম অফ নেদারল্যান্ড এর সহায়তায় আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শুকলাল বৈদ্য।

উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন ও অনিরাপদ এমআর রোদ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার দিপালী বিশ্বাস, উপজেলা ব্যবস্থাপক নাদিয়া আফরিন, কর্মশালায় হরিঢালী, কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।


পাইকগাছায় বিষপানে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

পাইকগাছায় স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাড়ুলী ইউপি’র শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের আলী গাজী'র ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা তাহেরা খাতুন (১৩) নিজ বাড়ীতে মঙ্গলবার দুপুরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। মৃতের পরিবার জানিয়েছে সে মানষিক রোগ যন্ত্রনায় ভূগছিল। রাড়ুলীর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্দুল হাই জানিয়েছেন মৃত্যুর কারন সন্দেহ হওয়ায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং-১১/তাং২৩/০৪/১৩।

দ্বৈত শাসন থেকে রেহায় পেল এলাকাবাসী

পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন পুর্বের সংসদীয় সীমানা খুলনা-৬ আসনে ফিরে আসায় দ্বৈত শাসন থেকে রেহায় পেল এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অপীল শুনানী শেষে সংশ্লিষ্ঠ কর্র্তৃপক্ষ এ আদেশ দেন। এ রায়ের ফলে দেলুটিবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রায় ২৫ হাজার জনগোষ্টির দেলুটি ইউনিয়নটি ১৯৭০ সাল থেকে ২০০১ সালের সংসদীয় নির্বাচন পর্যন্ত খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। দীর্ঘ এ সময়ে পাইকগাছার সাথে ইউনিয়নবাসীর রাজনৈতিক, প্রশাসনকি, যাতয়াত, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ নানান বিষয়ে মেরুবন্ধন সৃষ্ঠি হয়।

কিন্তু, ২০০৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনের সময় এ ইউনিয়নটিকে কেটে খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনের সাথে সংযুক্ত করা হলে সর্ম্পকের বিচ্ছেদ ঘটে। আবার ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলুটি ইউনিয়নের ভোটাররা পাইকগাছা উপজেলার ভোটার হিসাবে ভোট প্রদান করেন।

সংসদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি এলাকার অধীনে এবং উপজেলা নির্বাচনে অন্য একটি সংসদীয় এলাকার অধীনে থাকার কারণে এই ইউনিয়নের জনগণ গত চার বছর ধরে দ্বৈত শাসনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবা পেতে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। এলাকায় কোনো সহিংসতার সৃষ্টি হলে বিপত্তি ঘটে।

প্রতিকারের জন্য এসব ক্ষেত্রে একপক্ষ যান খুলনা-৬ আসনের এমপি কিংবা পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে, আর অন্যপক্ষ যান খুলনা-১ আসনের এমপির কাছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের দ্বিমুখী তদ্বিরে প্রশাসনের কমকর্তারাও অনেক সময় বিপাকে পড়েন। পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে গত ৪ বছরে দ্বৈত শাসনের কারণে ইউনিয়নটির উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।

ঘাত প্রতিঘাতের পর এই ইউনিয়নটিকে খুলনা-৬ আসনে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী নির্বাচন কমিশনের বরাবরে আবেদন জানালে নির্বাচন কমিশন খুলনা-৬ আসনের সাথে সংযুক্ত করার প্রাথমিক রায় ঘোষনা দেন।

কমিশনের এ ঘোষনা পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিশনে ছিল চুড়ান্ত শুানানির দিন। শুনানি শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে কমিশন দেলুটিকে খুলনা-১ আসন থেকে কেটে পুর্বের সীমানা খুলনা-৬ আসনে অন্তুর্ভুক্ত করার আদেশ দেন।

Tuesday, April 23, 2013

▣ অষ্টম আশ্চর্য !!!

গত বছর দেখলাম সুন্দরবনকে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যে নিয়ে আসার জন্য বিশাল মুভমেন্ট। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হাসিখুশি ভাবে সায় দিয়েছিলো তাতে !

এই বছর দেখছি, সেই সুন্দরবনেই, ভারত-বাংলাদেশের জয়েন্ট ভেঞ্চারে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘প্রজেক্ট রামপাল’ এর নির্মান কাজ শুরু হয় হয় !!!

সামনের বছর যদি দেখি যে, বাংলাদেশের পলিসি মেকারদের নামই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য আইটেমে এসে পরেছে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও গিয়েছে, তখন আমরা কোথায় মুখ লুকাবো ?

Credit :: Arif R Hossain

বৃহস্পতিবারও হরতাল !

বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বৃহস্পতিবারও হরতাল দিচ্ছে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। এদিকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে মঙ্গলকার সকাল ৬টা থেকে। চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র মতে, দুই দিনের পরিস্থিতি দেখে বৃহস্পতিবারের হরতাল ঘোষণা করা হবে। তবে এ ব্যাপারটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু ৭২ ঘণ্টার হরতালের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, '‘৩৬ ঘণ্টার হরতালে যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, প্রয়োজনে ধারাবাহিক হরতাল দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল।’'

▣ বাংলাদেশ নামের পূর্ণ রূপ:


পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলায় ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে পাইকগাছা নাগরিক কমিটি দেলুটি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচীর ৫দিন পর পাইকগাছা উপজেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রধান সড়কে পালিত হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচী।
 
 

পাইকগাছায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

পাইকগাছায় মঙ্গল ও বুধবারের ৩৬ ঘন্টা হরতাল সমর্থনে পাইকগাছা বিএনপি’র বিবাদমান দু’গ্রুপ পৃথকপৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেছে।


কপিলমুনিতে হরতাল সমর্থনে বিএনপি’র পৃথক বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে ১৮ দলের ডাকা ৩৬ ঘন্টা হরতাল সমর্থনে সোমবার বিকেলে খুলনার কপিলমুনিতে বিএনপি’র দুটি গ্রুপের পৃথক পৃথক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল দুটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৃথকভাবে পথসভায় মিলিত হয়।

Monday, April 22, 2013

মঙ্গল-বুধবারের এইচএসসি পরীক্ষা ১১ ও ১০ মে

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা মঙ্গল ও বুধবারের টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের কারণে এই দু’দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।

নতুন সূচী অনুযায়ী, মঙ্গলবারের পরীক্ষা হবে ১১ মে এবং বুধবারের পরীক্ষা হবে ১০ মে। সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ২৩ এপ্রিলের পরীক্ষা ১১ মে শনিবার সকাল ১০টা ও দুপুর ২টা এবং ২৪ এপ্রিলের পরীক্ষা ১০ মে সকাল ৯টায় শুরু হবে।

▣ বিএনপির কাছে একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আকুতি

এইবার প্রায় ৯ লাখ ছাত্র-ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে আমিও একজন। কিন্তু আমাদের পরীক্ষার পড়ার চিন্তা না করে, করতে হচ্ছে হরতালে পরীক্ষা হবে কিনা। ২৩ তারিখ হরতাল দিয়েছে বিরোধী দল, এইটা সবাই জানি, কিন্তু ঐদিন আমাদের পরীক্ষা আছে। বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি যে পরীক্ষা হবে কিনা। প্রতি সপ্তাহে আমাদের মোটামুটি ২ টা করে পরীক্ষা থাকে, কিন্তু হরতাল দেয়া হইতেছে ওই পরীক্ষার দিন গুলোতে। এর আগে ইংরেজি ২য় এবং ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ ১ম পত্র পিছানো হয় হরতালের কারণে। এতে কার কত উপকার হয়েছিল আমি জানি না তবে আমারা এর ভুক্তভোগী হয়েছি। আপনারা হরতাল দেন দেশের স্বার্থে ভালো কথা, কিন্তু ঐ পরীক্ষার দিন হরতালটা না দিলে হয় না? আর যদি দেন পারলে রাত্রে দেন।

আপনারা বলে থাকেন, ‘‘হরতাল দেশের স্বার্থে”, কিন্তু এই হরতালে যে আমাদের মত ছাত্রদের কত ক্ষতি করছেন তা আপনি কি ভাবে বুজবেন? দেশের স্বার্থে হরতাল দেন আর যাই করেন, শুধু পরীক্ষার দিন হরতাল টা দিবেন না। এই আবেদন আমার বিরোধী দলের কাছে।

▣ দুঃখ নিওনা সুন্দরবন, আমাদের দেশপ্রেম এমনই !

খুলনার রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য গত শনিবার ভারতের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ প্রকল্পটি ভারতের মেঘালয়ে স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রাজ্য সরকার প্রকল্পটি স্থাপনের অনুমোদন দেয়নি।

সুন্দরবন, তোমার শরীরে আজ পুঁতে দেয়া হল ক্যান্সারের বীজ। যে বীজে শুরু হবে তোমার মরনযাত্রা। অথচ এ ভয়ংকর ঘটনাটি নিয়ে কেউ হই-চই করলো না। না রজনীতিক না মিডিয়া । রাজাকারবান্ধব মিডিয়া যেমন নিরব, মুক্তিযুদ্­ধবান্ধব বলে গলাখাঁকারি দেয়া মিডিয়াগুলোও তেমনি নিরব। এইতো আমাদের দেশপ্রেম ! ক্ষমা কর সুন্দরবন, দুঃখ নিওনা, আমাদের দেশপ্রেম এমনই !

Sunday, April 21, 2013

পাইকগাছায় দুই শিক্ষককে দুই বছরের জন্য বহিস্কার

পাইকগাছায় চলমান এইচ এস সি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি নকল কাজে সহযোগীতা করার অপরাধে দুই শিক্ষককে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধ্যক্ষসহ অপর এক শিক্ষককে পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার আর,কে বি,কে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে রবিবার চলমান এইচএসসি'র পৌরনীতি ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের নকল কাজে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে চাঁদখালী কলেজের প্রভাষক জুলফিকার ইসলাম এবং এ কাজে সহযোগীতা করার অপরাধে আর কে বি কে কলেজিয়েটের প্রভাষক ইনতাজ আলীকে দু’বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ কলেজিয়েটের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ এবং প্রভাষক লুৎফর রহমানকে পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান জানান খবর পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহন করি। তিনি আরো জানান সংশ্লিষ্ঠ পরীক্ষা কেন্দ্রের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আব্দুল মাজেদ সরদারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পাইকগাছায় নসিমন-করিমন বন্ধের দাবী বাস শ্রমিক নেতৃবৃন্দের

পাইকগাছার মেইন সড়কে অবৈধ যাত্রীবাহি নসিমন, করিমন চলাচল বন্ধ করা না হলে সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা দিবেন খুলনা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন তাদের দাবী মানা না হলে সড়কে তারা যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে যন্ত্রচালিত অবৈধ নসিমন, করিমনে প্রায়ই দূর্ঘটনা কবলে পড়ে মানুষের জীবন হানি হচ্ছে আবার কেউ পঙ্গুত্ব বরন করে বেঁচে আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বাস মালিক সমিতি এ অবৈধ যানচলাচল বন্ধের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে।

সর্বশেষ এ নিয়ে শনিবার সকালে উপজেলার জিরো পয়েন্টে বাস শ্রমিক ও নসিমন চালকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান সড়কে নসিমন, করিমন বন্ধ করা না হলে কঠোর কর্মসূচীর দেবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে শ্রমিক নেতাদের দাবীর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অবৈধ যানচলাচল বন্ধের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলে গত ২৪ ঘন্টায় ওসির নির্দেশনা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির আঞ্চলিক সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান ও লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম।

থানার ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন পাইকগাছা, কপিলমুনি প্রধান সড়কে রবিবার থেকে যাত্রীবাহি নসিমন, করিমন অপসারণের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

পাইকগাছায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পাইকগাছার পল্লীতে পানিতে ডুবে এক শিশুর করুন মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল দুপুরে উপজেলার লস্কর গ্রামে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লস্কর গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী রান্নাঘরে রান্না করতে থাকে। এসময় তার ২ বছরের শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন খেলা করার সময় পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। রান্না শেষে খোজাখুজির এক পর্যায়ে তার বড় কাকি পুকুরের ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখে।

এসময় ফাতেমা পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


মঙ্গল ও বুধবার ১৮ দলের হরতাল

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট। রোববার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের এক বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই হরতালের ঘোষণা দেন।

উপকূলীয় অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি এবং পাষ্টিক সামগ্রীর ব্যবহারের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ শিল্পের সাথে জড়িতরা তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় মনোনিবেশ করছে। যার কারনে বাঁশ ও বেত শিল্পের হাজার হাজার পরিবার চরম দূর্দিনের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।

উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের হাজার হাজার শ্রমিক ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে তারা নানা সমস্যা জর্জরিত। প্রয়োজনীয় ঋন, পুঁজি, বাঁশ ও বেতের স্বল্পতা, মুজুরী কম থাকার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প ক্রমান্বয়ে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার জীবন যাপন করছে। এসব শ্রমিক বংশানুক্রমে এ শিল্পের সাথে জড়িত। তাদের নিপুন হাতে তৈরি কুলা, চাটাই, হাঁস-মুরগীর খাচা, সাজি, ঢাকনা, চালনী, পালা, খাচা, মোড়া বেতের ধামা, পাতিল, চেয়ার, টেবিল, দোলনা, খারাই, পাখা, বই রাখার র‌্যাক, ঘুনি, ডালা ও ঝুড়ি প্রভৃতি মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে সরবরাহ করতো।


বর্তমানে বাঁশ ও বেত পাওয়া যায় না বললেই চলে। প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও প্রশিণ না থাকার কারণে বাঁশ ও বেতের ঝাঁড় মরে যাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও বাঁশ ও বেতের শো শো শব্দ সকলকে আন্দলিত করতো। বর্তমানে সে সব বাঁশ বেত ঝাঁড় চোখে পড়েনা। পৃষ্টপোষকতার অভাবে কয়েক বছরে মধ্যে বাঁশ ও বেতের বাগান হারিয়ে গেছে। এক সময় বাঁশ বেত শিল্পীরা তাদের উৎপাদিত পন্য বি ভন্ন হাট বাজার সহ রাস্থায় রাস্থায় ফেরি করে বিক্রি করতে দেখা যেত এখন আর সে দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। বাঁশ ও বেতের সংকটের কারণে এ শিল্পীর সাথে জড়িত হাজার হাজার কুঠির শিল্পী ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরি বিক্রি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বাজারে এ সামগ্রী বিক্রেতা বিমল ঋষি এ প্রতিনিধিকে বলেন, দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর যাবত এ ব্যবসা করছি, কিন্তু আগের মত এখন আর এ ব্যবসায় জৈলুস নেই। বাঁশ ও বেতের সল্পতার কারণে এ ব্যবসার ঐহিত্য ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আরও এক বাঁশ ও বেত শিল্পী শিবু বলেন, গ্রামাঞ্চলে যে বাঁশ পাওয়া যায় তা চড়া মূল্যে কিনতে হয়। আর বেত নেই বললেই চলে। জিনিসপত্র তৈরি করে সঠিক মজুরি পাওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে বাঁশ বেতের সামগ্রীর বিকল্প বিকল্প এখন পাষ্টিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। পাষ্টিক সামগ্রী ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। তার পরেও বাঁশ ও বেতের সামগ্রীর বেশ কদর রয়েছে। বাঁশ ঝাঁড় উজাড় হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ, ইট ভাটা ও টালী কারখানায় বাঁশের মুড়া তুলে ব্যাপক ভাবে পোড়ানোর কারণে বাঁশের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বাঁশ ও বেতের অভাবে এ শিল্প ধ্বংসের দারপ্রান্তে।

পাইকগাছায় পাঁঠা বিতারন কর্মসুচি-২০১৩ অনুষ্ঠিত

গ্রামের মানুষের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি করে দারিদ্র দুরীকরনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসুচির অংশ হিসেবে পাইকগাছায় প্রাণী সম্পদ অফিসের উদ্যোগে এন এ টি পি কার্যক্রমের আওতায় পাঁঠা ছাগল বিতারন করা হয়। উপজেলার দশটি ইউনিয়নের ১০ জনের মাঝে বিনামুল্যে এ ছাগল বিতারন করা হয়। অফিস প্রশিক্ষন কক্ষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান।


Saturday, April 20, 2013

২০ হাজার টাকায় আপোষরফাসহ এফিডেফিট !

অবশেষে সালিশদারদের চাপের মুখে ২০ হাজার টাকায় আপোষরফা শেষে এফিডেফিট করা হয়েছে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির শহরতলীর সলুয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু (২৫) ধর্ষন চেষ্টা মামলা। গত দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এর সাথে জড়িত ঘটনার নায়ক লম্পট নওয়াব আলীকে আটক করতে না পারায় আসামীদের চাপের মুখে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে বাদীপক্ষ আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এ ঘটনাটি মিথ্যা বলেও দাবী করেছে নওয়াব আলীর শাশুড়ি তারাবানু। আপোষ রফাসহ এফিডেফিট করার কারন কি? এমন এক পশ্নে সে জানায় পুলিশি হয়রানী এড়াতে তারা আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কপিলমুনি ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আব্বাস জানান, আপোষ মিমাংশার বিষয় একটি এফিডেফিট কপি উভয়পক্ষ জমা দিয়েছে। তবে এ মামলায় চার্জশীট প্রদানের কথা জানান তিনি। তবে দীর্ঘদিন আসামী গ্রেফতার না হওয়ার বিষয় তিনি বলেন আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের অসহায় গৃহবধু রেশমা বেগম গত ১ এপ্রিল রাত ১১:৪৫ মিঃ নিজঘরে অবস্থানকালে তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববর্তী একই এলাকার মানিক সরদারের লম্পট পুত্র নওয়াব আলী ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায় গৃহবধু’র ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তার পূর্বেই লম্পট নওয়াব আলী পলিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর থানায় মামলা হলেও সৃষ্ট ঘটনায় আসামীদের অব্যাহত চাপের মুখে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। সর্বশেষ নেক্কার জনক এ ঘটনায় আপোষরফা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১২

ডুমুরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত ও মহিলাসহ ১২জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে উপজেলার জিলেরডাঙ্গা নামকস্থানে। আহতদেরকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং মহাসড়কে স্পিডব্রেকার তৈরি করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রনে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জিলেরডাঙ্গা নামকস্থানে গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে ডুমুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবোঝাই একটি ইঞ্জিন ভ্যান এবং একটি মটর সাইকেলকে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি মুরগী বহনকারী পিকআপ ভ্যান (যার নং- খুলনা মেট্রো ন ১১-০৩৪০) নিয়োন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে চলে যেয়ে প্রথমে মটর সাইকেল এবং পরে ওই ইঞ্জিনভ্যানকে চাপা দেয়।


এতে ঘটনাস্থলে ইঞ্জিন ভ্যানের যাত্রী আরাজি ডুমুরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম রঞ্জু (৬০) ও গুটুদিয়া গ্রামের ঘন্টারাম মন্ডল (৫০) নিহত হন। এছাড়া ইঞ্জিনভ্যানের যাত্রী কমোলপুর গ্রামের শাহাদাৎ মোড়ল (৫০), রোস্তম মোড়ল (৫০), গুটুদিয়া গ্রামের গোপাল মন্ডল (৪০), তুলসী রানী মন্ডল (৪৫) এবং মটর সাইকেল আরহী পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকার হাবিবুর শেখ (৪০), আজিজুল বিশ্বাস (৬০) ও আঃ সালাম (২৫) সহ আরো কয়েকজন আহত হয়।

খবর পেয়ে ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে আজিজুল বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর এলাকার উত্তেজিত জনতা প্রায় ২ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর গুটুদিয়া থেকে জিলেরডাঙ্গা পর্যন্ত ৫টি স্পিড ব্রেকার (রাস্তায় গতিরোধক) নির্মাণ শুরু করেন।

খবর পেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান, জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আঃ কাদের বেগ, থানার ওসি এম মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

পাইকগাছায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৫ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

''যে দেশে মেঘ হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, সে দেশে ঝড় হলে এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক কোন কিছুই নয় ! বিদ্যুৎ বিভাগ একটি জনগুরুত্বপূর্ণূ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও জনগণের কাছে এদের কোন জবাবদিহিতা নেই। ফলে, প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ নিয়ে জনভোগান্তি বেড়েই চলেছেই।'' কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে পাইকগাছার গত ৫ দিনে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে গ্রাহক হারুন-অর-রশিদ এ ধরণের অভিমত ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে পুরাতন ও লংওয়ে বিদ্যুৎ লাইন, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটের কারণে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন। উল্লেখ্য, টানা ৩ দিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে গত মঙ্গলবার হতে শনিবার পর্যন্ত ৫ দিন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাইকগাছার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

প্রসঙ্গতঃ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় আঘাত হানলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। পরের দিন বুধবার বিকালে সংযোগ চালু হলেও দু’এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই সন্ধ্যায় আবারও আঘাত হানে কাল বৈশাখী। ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি স্থানের বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ও উপড়ে যাওয়া বিপাকে পড়েন বিদ্যুৎ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার বিকালে মেইন লাইন চালু করলেও বিচ্ছিন্ন থেকে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। পল্লী বিদ্যুতের কয়েকটি টিম রাত দিন চেষ্টা করে যখন সম্পূর্ণ সংযোগ চালু করেছেন ঠিক তখনই শুক্রবার সন্ধ্যায় পুনরায় আঘাত হানে কাল বৈশাখী।

শনিবার কিছুক্ষণের জন্য পুনঃরায় সংযোগ চালু করলেও বিনা মেঘে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এভাবেই বার বার আঘাত হানার ফলে কাল বৈশাখীর কাছে পরাস্ত হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।

গত ৫ দিনে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভেঙ্গে পড়েছে তথ্য সংযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ হয়ে গেছে সকল মিল, কল-কারখানা ও আইস ফ্যাক্টরী। রিচার্জের অভাবে অধিকাংশ মোবাইল বন্ধ হয়ে গেলেও বিকল্প ব্যবস্থায় কিছু কিছু মোবাইল চার্জ করা গেলেও নেটওয়ার্ক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাংলালিংক মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কমিটির সাবেক পরিচালক ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পুরাতন ও বিদ্যুৎ লাইন লংওয়ে হওয়ার কারণে যে কোন কারণে ত্র“টি দেখা দিলে তা চিহিত করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ জন্য তিনি পুরাতন লাইন পরিবর্তন করে নতুন লাইন স্থাপনের দাবী জানান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার সংযোগ চালু করা গেলেও নতুন করে ত্রুটি দেখা দেয়ায় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কখন চালু করা হবে এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় চেয়ারম্যানের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন

অবশেষে এক সপ্তাহ পর পাইকগাছার দেলুটী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান। তিনি শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান এবং এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত দু’নেতার গ্রেপ্তারের দাবী জানান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ী ঘর পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল জায়গা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা উপজেলার দেলুটী সরদার পাড়ার ১৫টি সংখ্যালঘু বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

Friday, April 19, 2013

◄▣►সহিংস রাজনীতির শিকার পাইকগাছার শিশু-কিশোরা◄▣►

সম্প্রতি দেশের সহিংস রাজনীতির শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশু-কিশোররা। লাঠি হাতে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের মিছিল কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে, হয় পুলিশের মারপিটের শিকার না হয় আটক হয়ে জেলের ঘানি টানছে।

অপরদিকে রাজনীতিক দলের ইট, পাটকেল নিক্ষেপ, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিংসহ ককটেল বিষ্ফোরনের মত সহিংস কর্মকান্ডের শিকার হয়ে আহত হচ্ছে অনেক শিশু। সম্প্রতি খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের মিছিলে অংশ নিয়ে দু’কিশোর পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। শিবিরের টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধকালে এক শিশু ও এক কিশোর অগ্নিদগ্ধ হয়।


বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সহিংস রাজনৈতক কর্মকান্ডে শিশু-কিশোররা মানষিক ও শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারনা করছে।

সুত্রমতে, গত ১৩ এপ্রিল জামায়াতের ডাকা খুলনা জেলায় অর্ধদিবস হরতালে খুলনার পাইকগাছায় শিবিরের নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার সময় টায়ারের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয় গোপালপুর গ্রামের নজরুল দপ্তরীর ১১ বছরের শিশুপুত্র জাহিদুল ইসলাম। আগুনে তার একটি পা ঝলসে যায়। ১৯ ফেব্রুয়ারী পাইকগাছা উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিল করার অপরাধে আটক হয় কয়রার কালিকাপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র কিশোর মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ৭ ফেব্রুয়ারী জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল অংশ নিয়ে লাঠিচার্জের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় কিশোর মোজাফফার হোসাইন, ৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করার সময় অগ্নিদগ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম নামের এক কিশোর শিবিরকর্মী। এভাবেই প্রতিনিয়ত কোন না কোনভাবেই সহিংস রাজনীতির শিকার হচ্ছে দেশের কোমলমতি শিশু-কিশোররা।

যা স্বাধীন দেশে বিবেকবান মানুষকে উব্দেগের কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন শিশু সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নুন্যতম বাজেট নিয়েই কপিলমুনি বাজার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে

নুন্যতম বাজেট নিয়ে কপিলমুনি বাজার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। বরাদ্ধ সীমিত হওয়ায় এ কাজ সমাপ্ত হবে কি না? তা নিয়ে রীতিমত সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু’র এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। তাদের দাবী রাজস্ব আয়ে সুনাম অর্জনকারী কপিলমুনি বাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এলাকার সংসদ এড সোহরাব আলী সানা এগিয়ে আসবেন।


জানা যায়, কপোতাক্ষ নদের অকাল মৃত্যুতে বৃহৎ এ বাজারের জায়গা নিচু হয়ে গিয়ে প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়ে আসছেন। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারা বাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু পরিষদের সাড়ে ১৬ টন চাউল বাজেট দিয়েই শুরু করেন বাজার উঁচু করনের কাজ। এরপর বাজারের ব্যবসায়ীদের সার্থে এগিয়ে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামান। তিনি বাজারের উন্নয়নে সাড়ে ১০ টন চাউল বাজেট প্রদান করেন।

অথচ ড্রেনেজ সংস্কার, চাঁদনী ও বাজার উঁচু করনে নুন্যতম বাজেট বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু। তিনি বলেন, এ কাজ শেষ হতে প্রায় ৩৫/৪০ লাখ টাকা প্রয়োজন তবুও কাজ শুরু করেছি। তিনি কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বাজার উঁচু করতে প্রায় ১ লাখ ৭০/৮০ হাজার ঘনফুট মাটির প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী মরা কপোতাক্ষ নদী কেটে মাটি বের করে নিতে হচ্ছে। এরপর ভ্যানযোগে বাজারের মধ্যেবর্তী নিচু জায়গায় ফেলতে হচ্ছে। তবে পুরো কাজ সম্পন্ন করতে সরকারী পৃষ্টপোশকতা ছাড়া সম্ভবপর না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এ বছর হাট বাজার বিক্রি করে সরকার ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। এমতাবস্থায় বাজারের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হলে আগামীতে এর তুলনায় অনেক বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সরকারের পৃষ্টপোশকতা দাবী করেন তিনি। একইভাবে এলাকার মানুষের স্বার্থে ও বাজারের সার্বিক উন্নয়নকল্পে এলাকার সংসদ এড. সোহরাব আলী সানার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় চাঁদনী শেডের পজিশন বরাদ্ধ নিয়ে পায়তারা

পাইকগাছায় চাঁদনী শেডের পজিশন নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী ও সবজি ব্যবসায়ীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল থেকে অর্ধশত খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা অবস্থান নিয়ে মৎস্য চাঁদনীটি নিয়ন্ত্রন করছে বলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়। জানাযায়, উপজেলার বাঁকা বাজারে প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গত ৫/৬ মাস পূর্বে উপজেলার বাঁকা বাজারে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য দু’টি চাঁদনী শেড নির্মাণ করেন। নির্মিত শেডের পজিশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কতিপয় কিছু সবজি ব্যবসায়ীর বিরোধ চলে আসছে। শেডদু’টি মৎস্য ব্যবসায়ীর জন্য নির্মিত হওয়ায় খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা শেড দু’টি মৎস্য ব্যবসায়ের জন্য ব্যবহার করতে চায়।

উল্লেখ্য, শেড নির্মানের পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত স্থানে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক কিছু সবজি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের উপেক্ষা করে কতিপয় সবজি ব্যবসায়ীদের নিকট পজিশন হস্তান্তরের পায়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান বিষয়টি বাজার কমিটির দায়িত্ব, টাকা গ্রহনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ শুক্রবার সকালে খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির ৫৬ জন সদস্য শেড দু’টিতে অবস্থান নিলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি সাদেক গাজী ও বিশিষ্ট মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী আরশাদ আলী বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষকে নিয়ে সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান। খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকাম বিশ্বাস জানান নির্ধারিত স্থানে তারা দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং তাদেরই ব্যবসায়ের জন্য চাঁদনী শেড দু’টি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম শহীদুল্লাহ জানান, যেহেতু মাছ ব্যবসায়ের জন্য চাঁদনী শেডটি নির্মাণ করা হয়েছে সেহেতু পজিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্য ব্যবসায়ীরাই অগ্রাধিকার পাবে। বিষয়টি তিনি সরেজমিন প্রদর্শন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।

পাইকগাছায় সুশীলনের পৃথক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

পাইকগাছায় সুশীলন সুন্দরী প্রকল্পের উদ্যোগে অর্থনৈতিক ও নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পৃথক ৪দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ এবং চাঁদখালীর ধামরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৃথক এ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সুশীলনের উপজেলা ব্যবস্থাপক ছফুরা খাতুন, এসএমএ রব ও সিবিও নেতারা। কর্মশালায় ২২ জন করে মোট ৮৮ জন সুন্দরবন পেশাজীবীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়।

"আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" স্মারক স্তম্ভ, পাইকগাছা।

সৌজন্যে: উপজেলা প্রশাসন, পাইকগাছা, খুলনা। (২১-০২-২০০০ইং)

কপিলমুনিতে গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির শহরতলীর সলুয়া গ্রামের গৃহবধু ধর্ষন চেষ্টা মামলায় গত দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এর সাথে জড়িত লম্পট নওয়াব আলীকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। অব্যাহত চাপের মুখে অসহায় পরিবারটি এখন দিকবিদিক। অন্যদিকে ঘটনাটি মিমাংশার নামে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের অসহায় গৃহবধু রেশমা বেগম গত ১ এপ্রিল রাত ১১:৪৫ মি: নিজঘরে অবস্থানকালে তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববর্তী একই এলাকার মানিক সরদারের লম্পট পুত্র নওয়াব আলী ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায় গৃহবধু’র ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তার পূর্বেই লম্পট নওয়াব আলী পলিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ঘটনার পর অসহায় গৃহবধু রেশমা বেগম বাদী হয়ে সৃষ্ট ঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি মামলা রুজু করে যার নং-০৪, তাং ০৪/০৪/১৩ইং। এদিকে মামলা করে আসামীদের অব্যাহত চাপের মুখে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে লম্পট নওয়াব ও তার সতীর্থরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অসহায় পরিবারটি।

Thursday, April 18, 2013

কয়রায় সাব রেজিষ্ট্রারের বিদায় সম্বর্ধনা

কয়রা সাব রেজিষ্ট্রার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল এর বিদায় সম্বর্ধনা দিয়েছে কয়রা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি। বুধবার কয়রা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এক আড়ম্বর বিদায়ী সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাসান এর সভাপতিত্বে এক বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।

দু’টি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কয়রার ইতিহাসে এমন ন্যায়পরায়ন অফিসার বিরল, তিনি যোগদানের পর থেকে কয়রা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে যে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন তা কয়রাবাসীর কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বক্তারা তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন। উল্লেখ্য, তিনি সম্প্রতি খুলনা জেলার ফুলতলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বদলী হয়েছেন।

পাইকগাছার কপিলমুনিতে বসছে গাজার আসর !

পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কানাইদিয়াতে প্রতিদিন বসছে গাজার আসর। ফলে এলাকার সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তারা ওই গাজার আসর বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা যায়, কপিলমুনির পাশ্ববর্তী কানাইদিয়া গ্রামের মধুপালের বাগান সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে গাজার আসর।

এই গাজার আসরে গঞ্জিকা সেবীরা যোগদানের পূর্বে ওই এলাকার বলাইয়ের মোড় নামক স্থানে এ্কত্রিত হয়ে উক্ত বাগান সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে ২০/২৫ জন সেবী নির্বিগ্নে মনের আনন্দে মাদক সেবন করে থাকে। ফলে এলাকার যুবসমাজ-কিশোর সমাজ মারাত্মক হুমকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতনরা, শুধু তাই নয়, রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়েও পড়েছেন তারা। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে ওই গাজার আসর বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

পাইকগাছা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আঃ রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

পাইকগাছা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা সহ প্রতারণতার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি, পাইকগাছা থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘোষাল গ্রামের মৃত কওসার আলী গাজীর পুত্র শওকত গাজী গংরা ঘোষাল মৌজার এস,এ ৬২ খতিয়ানের মালিকের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলিলে জমি খরিদ করেন। কিন্তু বর্তমান চলমান জরিপে সরজ আলী গাজী ও সাইফুল ইসলাম গংদের নামে রেকর্ড হয়। যার ডিপি নং ২৭১ও ২৭৬। উক্ত ডিপিতে ৩১ ধারা মোতাবেক শওকত গাজী গং বাদী হয়ে আফিল কেচ করেন যার নং ২৯২৯৩/১১, ২৯২৯৪/১১,২৯২৯৫/১১। বিবাদী থাকেন শরজ আলী গাজী ও সাইফুল ইসলাম গংরা। উক্ত আফিল কেচ গুলো শওকত আলীর পুত্র মামুন গাজী পরিচালনা করে আসছিলেন। আফিল কেচের শুনানী বিভিন্ন তারিখে অনুষ্টিত হয়। বাদীকে হয়রানীর একপর্যায অফিসার আব্দুর রশিদ, মামুন গাজীর কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করেন। মামুন গাজী অফিসার আঃ রশিদকে মামলা রায় বাদীর পক্ষে নেযার জন্য বিভিন্ন সময় ২৬ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। কিন্তু সুচতুর সেটেলমেন্ট অফিসার আঃ রশিদ বিবাদীদের কাছ থেকে দিগুন ঘুষের টাকা নিয়ে তাদের কে রায় দেন। মামুন গাজী গত ২০ ফেব্রয়ারী ঘুষের টাকা চাইতে গেলে বিবিন্ন হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। মামুন গাজী এ সব বিষয নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিযাল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে গত বুধবার মামলা করে। যার নং সিআর-৯৩/১৩। অফিসার আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাদী অহেতুক অন্যায়ভাবে আমাকে হয়রানি করার মানসে উক্ত মামলা করেছে।

সূত্র: http://www.banglapost24.com/archives/111871

দু’দিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে ৩ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পাইকগাছা

পাইকগাছায় গত দু’দিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সহ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা উপজেলা। গত মঙ্গলবার ও বুধবার সন্ধ্যায় কাল বৈশাখী ঝড় আঘাত হানলে উপজেলার ১০/১২টি ইটের ভাটার কয়েক হাজার কাঁচা ইট নষ্ট, শত শত মণ ফলন্ত আম গাছের আম পড়ে বিনষ্ট হয়।

এছাড়াও অন্যান্য মৌসুমী ফলসহ বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। দু’দিনের ঝড়ে চাঁদখালীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গত ৩ দিন যাবত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রিচার্জ করতে না পারায় প্রায় শতকরা ৮০টি মোবাইল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিরুপ প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিদ্যুতের ত্র“টি মেরামতে বিদ্যুৎ বিভাগের কয়েকটি টিম বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মনোহর চন্দ্র মন্ডল জানান। তবে কখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত কিছু বলতে পারেনি।

কাল থেকে খুলনায় শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

শুক্রবার থেকে নগরীর সার্কিট হ্উাজ ময়দানে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এ মেলার আয়োজন করছে। কাল সার্কিট হ্উাজ ময়দানে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থার প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি থাকবেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: সফিকুর রহমান ও খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।


ঝড়োহাওয়ার সতর্ক বার্তা

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে পরবর্তী ১৫ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বা কোথাও কোথাও আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে *দুই নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত* দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় খুলনা জেলায় আগাম সতর্কতা গ্রহণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র; পাইকগাছা পৌরসভা, খুলনা।


Wednesday, April 17, 2013

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলায় ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে পাইকগাছা নাগরিক কমিটি দেলুটি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে দেলুটি জিরবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে ইউনিয়ন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রভাষ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মসূচীকে প্রধান অতিথি ছিলেন পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন সোহাগ, শুকৃতি রায়, গুরুদাস রায়, কমরেড শিশির সরকার, কৃষ্ণপদ রায়, প্রদিপ গোলদার, বিউটি রায়, প্রভাষী সরকার, শ্যামল সরদার, শিখা সরদার, ও রিংকু সরদার।

সভায় বক্তারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবী জানান। পরে নাগরিক কমিটির সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর পরিদর্শন করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।


পাইকগাছায় মুজিবনগর দিবসের র‌্যালী ও আলোচনা সভা

পাইকগাছায় ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, বক্তব্য রাখেন-সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ৭১ এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাঃ হোসেন বাচ্চু, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, শিক্ষক অপু বিশ্বাস, শংকর কুমার মন্ডল। পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম ও প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টু।


১৯ এপ্রিলের এইচএসসি পরীক্ষা ৩ মে

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে ১৯ এপ্রিলের পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, “বুধবার আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধ‍ান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ এপ্রিলের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।” ১৯ এপ্রিলের সকালের পরীক্ষাগুলো ৩ মে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবং বিকেলের পরীক্ষাগুলো ৩ মে দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে।

মনস্তাত্বিক শক্তি বর্ধক !!!


আগামী সোম ও মঙ্গলবার হরতাল দিতে পারে ১৮ দল

আগামী সোম ও মঙ্গলবার (২২ এবং ২৩ এপ্রিল) হরতাল ডাকতে পারে বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল মঙ্গলবার ১৮ দলের বেঠকে নতুন এ কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ২১ এপ্রিল রোববার নিম্ন আদালতে শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের জামিন না দিলে পরের দু’দিন হরতাল ডাকা হবে।

তালিকা প্রস্তুত, ‘অপারেশন ফ্রিডম’ নিয়ে মাঠে নামছে সরকার

সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের একটি সম্মিলিত বাহিনীর মাধ্যমে জামাতী জঙ্গীদের নির্মূল করার জন্য শীঘ্রই 'অপারেশন ফ্রিডম' নামে দেশব্যাপী একটি অভিযান চালাবে সরকার। সেই সাথে বিভিন্ন নাশকতার সাথে জড়িতদের নামের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিককালে জামাত-শিবিরের ভয়াবহ আক্রমণ এবং বিশৃঙ্খলা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা, সমালোচনা ও নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে। মহা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ।

গত দুই মাস ধরে জামায়াত-শিবিরের সারাদেশে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। তার পাশাপাশি বিএনপিও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসুচীতে সহিংসতা সৃষ্টি করছে। পুলিশের উপর চালানো হচ্ছে নারকীয় হামলা। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার রেল লাইনের স্লিপার তুলে নাশকতা চালানো হচ্ছে। যানবাহনের পাশাপাশি ট্রেনের বগিতেও অগ্নিসংযোগ চলছে। তাদের ধ্বংসাতক কর্মকান্ড রুখতে গেলে ভয়াবহ সংঘর্ষের রূপ নিচ্ছে। চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

এরমধ্যে যোগ হয়েছে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। আর এই সংগঠনকে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বধীন সরকারের অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। জামাত শিবির হেফাজতিরা মসজিদের মাইকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে উসকে দিচ্ছে। সম্প্রতি ফটিক ছড়িতে সহিংস ঘটনা ঘটনার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতের পরো ইন্দন রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

দেশের প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে। হরতালকারীদের ওপর একরকম বলা যায় গুলি চালাতে বাধ্য হচ্ছে। গত কয়েকদিনে পুলিশের গুলিতে যেমন অনেক লোক মরেছে, তেমনি নৃসংসভাবে পুলিশও মরেছে জামাত শিবির হেফাজতিদের হাতে।

সরকারের বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত আটক নেতাদের মুক্ত, বিচার বানচাল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনীতির নামে এমন ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। তাদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। এজন্যই 'অপারেশন ফিড্রম' নাম দিয়ে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের সৎ মেধাবী ও যোগ্য সদস্যদের বাছাই করে একটি চৌকস বাহিনী মাঠে নামছে। এই বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা এবং ইনডেমিনিটি প্রদান করে সারাদেশের জঙ্গীদের অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য মাঠে নামানো হচ্ছে।

সূত্র মতে, অপারেশন ফ্রিডম চলাকালীন সময়ে দেশে বিশেষ ধরণের জরুরি অবস্থা জারী করা হবে। ঐ অবস্থায় অপারেশন ফ্রিডমের কর্মকান্ডের খবর প্রকাশে বিশেষ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য হবে স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গী, সন্ত্রসী, চিহ্নিত অপরাধী এবং ক্ষেত্র বিশেষ দূর্নীতিবাজদের দমন। এমনকি সরকারি দলের ছত্রছায়ায় যেসব লোক বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তাদেরকেও এই অপারেশনের আওতায় আনা হবে।

গোয়েন্দাদের প্রস্তুতকৃত নাশকতায় নেপথ্যদের নামের তালিকা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে। গত মাসেই এই তালিকার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে জামায়াতের ১২৪ জন ও বিএনপির ৬৮ জন, খুলনা বিভাগে জামায়াতের ৯৩ জন ও বিএনপির ৮ জন, রংপুর বিভাগে জামায়াতের ১শ জন, বিএনপির ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে জামায়াতের ১৩৯ জন, বিএনপির ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে জামায়াতের ১৭২ জন, বিএনপির ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগে জামায়াতের ৫৪ জন বিএনপির ১০৮ জন ও সিলেট বিভাগে জামায়াতের ৭৫ জন ও বিএনপির ৪৮ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

তালিকায় থাকা সবাইকে নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: http://www.istishon.com/node/1181

Tuesday, April 16, 2013

কপিলমুনিতে চারো ঘুরিয়ে দিয়েছে অনেকেরই ভাগ্যের চাকা !

চারো, চাই ঘুন্সি বা ঘুনি যে, যে নামেই সম্বোধন করুক না কেনো ঘের অঞ্চলে সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি ধরতে এর কোনো জুড়ি নেই। খেওলা জালের ব্যবহার অধিকহারে কমে গিয়ে মাছ ধরতে এখন প্রতিটি ঘের মালিকের প্রধান অবলম্বন ঘুন্সি, ঘুনি, চারো বা চাই।

যার ফলে ঘুনি বা চারো তৈরী করে এ অঞ্চলের অনেকেই আজ সাবলম্বী। দারিদ্রতা দুর করে ঘুরিয়ে দিয়েছে তাদের ভাগ্যের চাকা। দক্ষিণ অঞ্চল সহ পাইকগাছাতে ব্যপক ভাবে এর ব্যবহার ও প্রচলন শুরু হয়েছে। সরকারী পৃষ্টপোশকতা পেলে এ শিল্প আরোও প্রসার ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন এ পেশায় নিয়োজিত কারিগররা।


বিগত ৮০’র দশকে মাছ ধরতে যে খেওলা জালের অবাধ ব্যবহার ছিল, কালক্রমে তা এখন শখের কোটাই রয়েছে। অনেকেই নিজ পুকুরের মাছ ধরতে বা শখ বসত খেওলা জাল বাড়িতে রেখে দিয়েছে। যা সচরাচর পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। এক সময় নদী মাতৃক দেশ হিসাবে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিল খেওলা জালের ব্যবহার। সে সময় খাল, বিল, জলাশয় ছিল উন্মুক্ত। গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ ছিল এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে অতি পরিচিত বাণী। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে বাঙ্গালী তার এ ঐতিহ্য ও অতীত এ সব বাণী এক প্রকার হরিয়ে ফেলেছে। খাল, বিল, এমনকি নদী পর্যন্ত সরকারী ইজারা প্রদান করায় বাঙ্গালীর পূর্ব ঐতিহ্য এখন এক প্রকার বিলিন। জানাগেছে, এক কালের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট, ধানসহ নানা প্রকার শস্য উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়ে মুলত ৯০ এর দশক হতে দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে ব্যাপকহারে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। শুধু তাই নয়, অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ একে একে ঝুকে পড়ে চিংড়ি চাষের উপর। এমতাবস্থায় সাদা সোনা চিংড়ি ধরতে প্রথমে খেওলা জালের ব্যবহার থাকলেও প্রযুক্তিগতভাবে চারোর ব্যবহার শুরু হয়। মাছ ধরার সহজ উপায় হিসাবে চারো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে কারণে অনেকে ভিন্ন পেশা ছেড়ে চারো তৈরীর পেশাকে বেঁছে নেয়। এ কাজে মুলত জড়িয়ে আছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। পাইকগাছা উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকাসহ কপিলমুনির শ্রীরামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান, সবুজ হোসেন, নাছিরপুরের আমজাদ, পবিত্র, সুকুমার ও নোয়াকাটির আজিজসহ অনেকেই চারো তৈরী করে সাবলম্বী হয়েছে। ঘের মালিকরা সহজে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ী ধরতে এ চারো ব্যবহার করছে নিচিন্তে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর সরকারী হিসাব মতে উপজেলায় ১৬ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আর এ সকল মৎস্য ঘেরে মাছ ধরতে প্রায় ১ থেকে দেড় লক্ষ চারো উৎপাদন প্রয়োজন। যা বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘের মালিকরা প্রয়োজন মত সংগ্রহ করে থাকেন। এ পেশায় নিয়োজিত শিল্পীরা মুলত বাঁশ ও লাইলোন সুতা দ্বারা সারা বছরই চারো তৈরীর কাজ করে থাকেন। যদিও চারো তৈরী অত্যন্ত কষ্টের তবুও প্রতিটি চারোর মুল্য ১৩০ টাকা করে রাখা হয়, যা খরচ খরছা বাদে চারো প্রতি ৭০/৮০ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে বলে জানিয়েছেন চারো শিল্পী ও বিক্রিতারা।

স্যালুট !

পৃথিবীর কয়টা দেশের মানুষ পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে এই দৃশ্য দেখেছে জানা নেই। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে Voice of Paikgacha এর পক্ষ থেকে স্যালুট; পরিবর্তনের শুরুটা হউক এখান থেকেই।

সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

পাইকগাছায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সৃষ্ট ঘটনার সমাধান ও সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বজায় রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় এমপি’র হস্তক্ষেপে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি ডাকবাংলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। সভায় হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান ও সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য স্বপন রায়কে প্রধান করে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিরসন করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে জায়গাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা উপজেলার দেলুটির সরদার পাড়ায় ১৫টি সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও লুটপাট চালায়। অপরদিকে প্রতিবেদনের জন্য মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া। এছাড়াও ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষনা করেছে স্থানীয় দেলুটি নাগরিক কমিটি।

পাইকগাছায় সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু আহত

পাইকগাছায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ বছরের এক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। আহত শিশু ইয়াছির আরাফাত গত ৩দিন যাবৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানাযায়, গত রোববার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সানা’র শিশুপুত্র ইয়াছির আরাফাত প্রধান সড়ক পার হওয়ার সময় উপজেলা সদর থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি দ্রুতগামী মটরসাইকেল তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারাত্মক আহত হয়। এতে তার মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।


পাইকগাছায় ১৫ সংখ্যালঘু বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা; ভাংচুর, লুটপাট

পাইকগাছায় সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘু ১৫ বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গা-জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শনিবার বিকালে সন্ত্রাসীরা উপজেলার দেলুটি সরদার পাড়ায় এ হামলা চালায়। হামলায় মহিলাসহ প্রায় ১০জন আহত হয়। ঘটনার পর আতংকে অনেকেই বাড়ী-ঘর ছেড়ে অনত্র চলেগেছে। এ ঘটনায় চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় রয়েছে এলাকাবাসী।

ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শিবপদ ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা নিরাঞ্জন রায় বলেন, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনার দিন অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। ঘটনাস্থলের পাশেই নদীতে পুলিশ ও আ’লীগের এক প্রভাবশালী নেতা একটি ট্রলারে অবস্থান করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সমর কান্তি হালদার জানান, রোববার সন্ধ্যায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে দু’পক্ষ দু’রকম মন্তব্য করেছে বলে তিনি জানান এবং আংশিক ক্ষয়-ক্ষতির কথা স্বীকার করেন।


Monday, April 15, 2013

প্রত্যাশা !

সবার ঘরে একটি করে বাংলা দিনপঞ্জি শোভা পাক সেই প্রত্যাশায় নতুন বছর শুরু করল  
Voice of Paikgacha.

Sunday, April 14, 2013

স্মৃতিচারণ !

আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে ১৯৯৭ সালের এই নববর্ষের দিনেই দেশের মাটিতে ফেরত এসেছিলেন আকরাম, মিনহাজুল, রফিক, আমিনুল, খালেদ মাসুদরা।

এক ক্যারিবীয় গর্ডন গ্রিনিজ সেদিন সিক্ত হয়েছিলেন এদেশের লাখো-কোটি মানুষের ভালবাসায়। সেই থেকে শুরু আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালী অধ্যায়ের।

বৈশাখী শুভেচ্ছা !

Voice of Paikgacha এর পক্ষ থেকে সবাইকে বৈশাখী শুভেচ্ছা !

পাইকগাছায় বর্ষবরনে ঘোড়ার গাড়ীর শোভাযাত্রা

পাইকগাছায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ ১৪২০ বঙ্গাব্দ। বর্ষবরনে এ বছরে প্রধান আকর্ষন ছিল শতাধিক ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে রোববার সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর হতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশগ্রহন করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ। পরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজন করা হয় পান্তাভোজ। এরপর শতাধিক ঘোড়ার গাড়ীর এক শোভাযাত্রা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর হতে লস্কর পর্যন্ত প্রদক্ষিন করে।

দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ৯টায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু, লবনডাড়ী, এক্কা, দোককা, লাফদড়ি, সি-বুড়ি, বিস্কুট দৌড় ও বুদ্ধিমত্তা প্রতিযোগিতা, ১১ টায় উপজেলা পরিষদ বনাম স্থানীয় সুধী একাদশের মধ্যে ক্রীকেট প্রতিযোগিতা, ১২ টায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন বনাম পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে কাচিটানা প্রতিযোগিতা। দুপুরের পর ঐতিহ্যবাহী ঢালী(লাঠি) খেলা, বিকালে শিবসা ব্রীজ সংলগ্ন বালুর মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা, এরপর শিশু কিশোরদের মধ্যে চিত্রাংঙ্কন প্রতিযোগিতা বিষয় বাংলার প্রকৃতি। সর্বশেষ সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাতে পুরস্কার বিতরণী। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমগ্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, রাবেয়া হোসেন, ওসি শেখ আবুবকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া বানু ডলি। উপস্থিত ছিলেন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ।