Friday, February 21, 2014

বিশেষ পোষ্ট !

ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা !

 
শহীদ মিনার; পাইকগাছা পৌরসভা।

 

একুশ এলেই পড়ছে মনে, বাংলা মোদের ভাষা

একুশ এলেই পড়ছে মনে, মাস যাবে যে খাসা !

 

একুশ এলেই অফিস পাড়ায় হই হই হই রব

একুশ এলেই সমাজ সেবার দারুণ উৎসব !

 

একুশ এলেই বিগ বসেরা দিচ্ছে জোরে হাঁকি

ফেব্রুয়ারি মাস এটা যে, মনে নেই নাকি ?

 

একুশ মানেই প্রভাত ফেরী, একুশ মা্নেই গান

একুশ মানেই মধ্য রাতে অস্ত্রেতে দেয় শান।

 

একুশ মানেই শহীদ মিনার, ছাত্রদের পাহারা

একুশ মানেই যুদ্ধ জয়ের দিচ্ছে তারা মহড়া।

 

রক্তে ভেজা শহীদ মিনার গুমরে কেঁদে কঁয়

একুশ একুশ করছো সবাই, ৮ই ফাল্গুন নয় !!!


১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা কত তারিখ ছিলো জানে না অনেকেই। এখন ইংরেজি ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ৯ই ফাল্গুন। কিন্তু ১৯৫২ সালের সে ২১শে ফেব্রুয়ারি ছিলো ৮ই ফাল্গুন।

৮ই ফাল্গুন কি হারিয়ে যাবে ? আসুন বাঁচানোর একটা চেষ্টা করি।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর একক প্রার্থী নির্ধারণে তৃণমূল পর্যায়ে ভোট আহবান করা হয়। শুক্রবার দিনভর কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের মাধ্যমে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়।

চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান ১০৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী ৮৯ ভোট পান এবং তৃতীয় স্থানে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ পান ৬৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে দলীয় মনোনয়ন পান মুজিবুর রহমান সানা, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দেবব্রত রায় দেবু।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একক প্রার্থী হিসাবে দীপ্তি রাণী চক্রবর্তী’র নাম ঘোষনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৪ উপলক্ষ্যে প্রভাত ফেরী ও আলোচনা সভা

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রভাত ফেরীর পর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা।

ভাষা শহীদদের প্রতি পাইকগাছাবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদন

শহীদ মিনার; পাইকগাছা পৌরসভা, খুলনা।

বুকের রক্তে মুখের ভাষা

পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রথম নজির অমর একুশে। একুশের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের মনে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম বীজ বোনা হয়েছিল। একুশের অনন্য সাহসই প্রতিটি আন্দোলনে বাঙালিকে দুর্জয় শক্তি জুগিয়েছিল।

যেভাবে একুশ:


একুশে ফেব্রুয়ারির সেই সকালে প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনকে ঘিরে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে পরিষদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়ে ছাত্ররা সমবেত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা, মেডিকেল কলেজ হোস্টেল গেটের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে। বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রাদেশিক পরিষদের এ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।

আমতলার সভা থেকে ১৪৪ ধারা ভাঙার ঘোষণা আসামাত্র একের পর এক দশ জনের মিছিল বের হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে। শুরু হয় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তাক্ত সংঘর্ষ। একপর্যায়ে পুলিশ হঠাৎ করেই মেডিকেল হোস্টেল গেটের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে জড়ো হওয়া ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন আহমদ ও আবদুল জব্বার। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত আবদুস সালাম মারা যান ৭ এপ্রিল।

সেই থেকে একুশের দিনটি মহান শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। একের পর এক আন্দোলন চলতে থাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে। গণআন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালের শুরুতেই পাকিস্তানি সামরিক শাসক নতি স্বীকারে বাধ্য হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে গৃহীত সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

 

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি:


ভাষার জন্য বাঙালির বিরল এ আত্মত্যাগ আজ কেবল এ ভূখণ্ডের সীমানায়ই আবদ্ধ নয়, কালের পরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মর্যাদায়ও মহীয়ান হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের ৩০তম সম্মেলনে ২৮টি দেশের সমর্থনে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্যসাধারণ অর্জন।

Voice of Paikgacha’র পক্ষ থেকে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা !

পাইকগাছায় ডিসিআর'এর নামে চলছে সরকারি খাস জমি দখলের মহোৎসব

পাইকগাছা উপজেলায় ডিসিআর'এর নামে চলছে সরকারি খাস জমি দখলের মহোৎসব। স্থানীয় ভূমি অফিসের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় একসনা ডিসিআরের মাধ্যমে ভূমিদস্যুরা সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে অবৈধভাবে সেখানে বিভিন্ন প্রকার স্থাপনা নির্মান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি খাস জমি দখল প্রসঙ্গে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রার) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক
Voice of Paikgacha'কে বলেন, নামমাত্র টাকায় ডিসিআরের নামে সরকারের হাজার হাজার একর জমি বেদখল হয়ে আছে। স্থানীয় ভূমিদস্যুরা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও তহশীলদারকে ম্যানেজ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে।

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সার্ভেয়ারকে ডিসিআর দেয়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যে যাদেরকে ডিসিআর প্রদান করা হয়েছে, তাদেরকে নোটিশ করে ডিসিআরকৃত জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করার ব্যাপারেও হুঁশিয়ার করতে বলা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসনা ডিসিআরের নামে সরকারি খাস জমি সর্বোচ্চ বেদখল হয়েছে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদ ও একই ইউনিয়নের কাটাখালী নদীর চরভরাটি জায়গায়। এই এলাকার নদ-নদীর চরভরাটি জায়গায় গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে চলছে মৎস্য চাষ। অবৈধ দখলে ছেয়ে যাওয়ায় কাটাখালী নদীর চিহৃ পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

চাঁদখালী বাজারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। ডিসিআরের নামে সেখানকার কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি জায়গা দিনে দিনে দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনই নিয়ন্ত্রন করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে কাটাখালী নদীর মতো চাঁদখালীস্থ কপোতাক্ষ নদেরও কোন চিহৃ খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

ওদিকে উপজেলার কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদেরও একই অবস্থা। শুকিয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি যায়গায় চলছে অবৈধ দখলের মহোৎসব।

অবশ্য সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক পর্যায়ক্রমে এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বেদখল হওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে বলে এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেছেন। সংসদ সদস্যের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি তার বাস্তবায়ন দেখতে চায় এলাকাবাসি।