Monday, April 24, 2017

পবিত্র শবে মেরাজ আজ

আজ সোমবার দিবাভাগ পেরিয়ে রাত্রের আঁধারের সাথেই আবির্ভাব ঘটলো এক অসামান্য মহাপুণ্যে ঘেরা রজনীর। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মে’রাজের। এ রাতে নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাহিস্সালামের সঙ্গে পবিত্র কাবা শরীফ হতে ভূমধ্য সাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তুর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। মহানবীর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা  মে’রাজ।


ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও আজ কোরআনখানি, নফল সালাত, জিকির আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দুরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মে’রাজ পালন করবেন।

মে’রাজ শব্দটি আরবি, অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। বড়দাগে এর অর্থ দাঁড়ায়-সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তার চেয়ে কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ।

পারিভাষিক অর্থে নবুওয়াতের একাদশ সালের ২৭ রজবের বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে হযরত মুহাম্মদ (সা.) হযরত জিব্রাঈলের (আ.) সঙ্গে আল্লাহর নির্দেশে তার খাস রহমতে বায়তুল্লাহ হতে বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাক্বে’ ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন ও পুনরায় বায়তুল মুক্বাদ্দাস হয়ে বোরাক্বে আরোহন করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে মে’রাজ বলা হয়।

এ রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতিদিন ৫ ওয়াক্তের নামাজ ফরজ হয়। ফলে এটা খুবই ফজিলতের রাত্রি। অতএব এই রাত্রিতে যতদূর সম্ভব জেগে নফল নামাজ, জিকির-আসকার, কুরআন তিলওয়াত ও দরুদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা এবং নফল নিয়তে দিবাভাগে রোজা রাখা ভাল। এগুলো ব্যাতীত এই রাতে অন্য কোনো প্রকার শরীয়ত বিরোধী রুসম-রেওয়াজে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এ রাতকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা, আতশবাজি, আলোকসজ্জা ইত্যাদি সবই বিদআতের পর্যায়ভুক্ত বলে মত দেন মুহাক্কিক আলেমরা।

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মে’রাজ উদযাপিত হবে।

Sunday, April 23, 2017

পাইকগাছায় চেয়ারম্যানের তোলা দেয়ালে 'অবরুদ্ধ' এক পরিবার

এবার পাইকগাছায় প্রতিবেশীর চলাচলের পথে ইটের দেয়াল তুলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সোলাদানার বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম,এনামুল হক। কিছুদিন আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যের 'দেয়াল কাণ্ড'র পর পাইকগাছায় আবারও প্রকাশ পাচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের দেয়াল তুলে 'অবরুদ্ধ' করার প্রবণতা! তবে তফাত হলো, এবার প্রতিযোগিতায় বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যানের অংশগ্রহণ!



অবরুদ্ধ পরিবারটির অভিযোগ, পাইকগাছা উপজেলা পশু হাসপাতাল সংলগ্ন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ২৬৯ নাম্বার বাড়িটিতে ৩৪ বছর ধরে তারা বসবাস করে আসছেন। তারাসহ তাদের বাড়ির পিছনের দিকের আরও ৮-১০টি পরিবার যে পথটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে, হঠাৎ আজ রবিবার সকালে সেই পথে বেশ কয়েক ফুট উঁচু ইটের দেয়াল তৈরি করে তাদের অবরুদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। আর এ অভিযোগ এসেছে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম,এনামুল হকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মোঃ মইনুল ইসলামের দাবি, চলাচলের যে পথে দেয়াল তোলা হয়েছে সেই পথের জমির মালিক তিনি নিজেই।

ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম,এনামুল হক মুঠোফোনে 'ভয়েস অফ পাইকগাছা'কে জানান, 'আমি আর মইনুল ইসলাম প্লট আকারে পূর্বের মালিক কাছ থেকে জমি কিনেছিলাম, আমি আমার জমি বুঝে পাইনি। পূর্ব মালিক আমার জমি বুঝিয়ে দিলেই দেয়াল ভেঙে দেবো। আমি সমাধান চাই, দরকার হলে আমার বাড়ি ভেঙে পথ দেবো। আমি চাই বসাবসি হোক। আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের একটা বসাবসির পরিবেশ তৈরি করে দেন।'