Tuesday, September 10, 2013

আধুনিক চিংড়ি চাষ বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য

গতকাল Voice of Paikgacha-তে ”আধুনিক চাষ ব্যবস্থাপনায় আশাবাদী পাইকগাছার চিংড়ি চাষীরা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই এই চিংড়ি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।

তাই এই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্যের অবতারনা:


বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:


সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পাইকগাছা, খুলনা।

অবস্থান: সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়টি পাইকগাছা উপজেলা পরিষদে অবস্থিত।

ফোন নং- ০৪০২৭-৫৬২৬২

 


কি সেবা কিভাবে পাবেন:

# মৎস্য ও চিংড়ি চাষী এবং উদ্যোক্তাদের উন্নত প্রযুক্তি ভিত্তিক মাছ ও চিংড়ি চাষের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান।

# মুক্ত জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা এবং মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন।

# মৎস্য ও চিংড়ি চাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পের কারিগরি উপযোগিতা যাচাই ও প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষীকে ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান।

# উন্নত জাতের পোনাসহ মাছ ও চিংড়ি চাষের বিভিন্ন উৎপাদন উপকরন সংগ্রহ ও সরবরাহে সহযোগিতা প্রদান।

# উপজেলাধীন মৎস্য সম্পদের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন।

# মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

# মৎস্য মান নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা কার্যকর করার লক্ষেমাছ ও চিংড়ি চাষে অননুমোদিত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে চাষীদের উদ্ধুদ্ধকরন এবং সংক্রমনের উৎস সনাক্তকরন ও হ্যাসাপ(HACCP)কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

# আহরন উত্তর মাছ ও চিংড়ি অবতরন কেন্দ্র/ডিপো পরিদর্শণ এবং সেগুলোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় উদ্ধুদ্ধকরন।

# জনগনকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে মাছ চাষে উদ্ধুদ্ধকরার নিমিত্তে নতুন প্রযুক্তি হাতে-কলমে প্রদর্শনের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের তহবিলের সাহায্যে প্রদর্শনী মৎস্য খামার স্থাপন।

# মৎস্য ও চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিভিন্ন সম্প্রসারণ সামগ্রী মৎস্য চাষী/মৎস্যজীবিদের মধ্যে বিতরন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ: (ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ সেবা প্রকল্প)


# নির্বাচিত মৎস্যচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান
# প্রদর্শনী খামার স্থাপন ও পরিচালনা
# প্রতি ইউনিয়নে ১ জন করে স্থানীয় মৎস্য কর্মী নিয়োগ

সেবা প্রদানকারী কর্মচারীদের পদবী:

১। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা
২। ক্ষেত্র সহকারী

যথাসময়ে সেবা পাওয়া না গেলে যার সহায়তা চাইবেন:


সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পাইকগাছা, খুলনা্।
নাম- এস,এম, শহীদুল্লাহ
পদবী- সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ:দা:)
মোবাইল- ০১৭১৮৮০৯২৪৭
ফোন নং- ০৪০২৭-৫৫২৬২
ই-মেইল- shahidullahpaik79@gmail.com

চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হলে বা সময় মত সহায়তা পাওয়া না গেলে যার কাছে অভিযোগ করবেন:


জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খুলনা।
--------------------------------------------------

এছাড়াও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট (লোনাপানি কেন্দ্র), পাইকগাছা, খুলনা থেকে আধুনিক চিংড়ি চাষ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
--------------------------------------------------------------

এই সম্পর্কিত
Voice of Paikgacha-র বিগত পোস্টের লিংক:

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=725528610807678&set=a.575297339164140.152582.575287345831806&type=1&theater

মোবাইলে ভূয়া এসএমএস থেকে খুবই সাবধান

খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকার ব্যবসায়ী বুলবুল আহমেদ। বিকালে তার বাবার নম্বর থেকে ম্যাসেজ আসলো ৫ লাখ টাকা নিয়ে রয়েল মোড়ে আসার জন্য। বুলবুল কি মনে করে তার বাবাকে ফোন দিয়ে দেখলেন পুরো ঘটনাটিই সাজানো। তার বাবা তাকে কোনো এসএমএস পাঠাননি। ইন্টারনেটে ফ্রি এসএমএস সাইট ব্যবহার করে কাজটি করেছে প্রতারক চক্র।

গত সপ্তাহে নগরীর ডায়াবেটিস সেন্টারে চিকিৎসক ডা. এম.বি জামানের মোবাইলে তার তার খালাতো ভাই সিটি গার্লস কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মোঃ আজিজুল হকের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে একটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজে আজিজুলকে বিকাশ করে ৫ হাজার টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। বিপদে পড়েছে জেনে ডা. জামান ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর ফোন করে জানতে পারেন আজিজুল কোনো এসএমএস পাঠাননি। একটি প্রতারক চক্র ইন্টারনেটের সেই ফ্রি সাইটটি ব্যবহার করে ভাইয়ের নম্বর দিয়ে এসএমএসটি পাঠিয়েছে।

শুধু বুলবুল বা ডা. জামানই নয়; এসএমএসের মাধ্যমে এমন প্রতারণা ঘটছে অহরহ। খুব অল্প সময়েই তা’ প্রকাশ পাচ্ছে। মোবাইলে প্রিয়জনের নাম্বার ব্যবহার করে এসএমএস চলে যাচ্ছে অপর জনের কাছে। সেই এসএমএস কারও কাছে চাওয়া হচ্ছে টাকা। কাউকে আবার বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে দেখা করতে। এতে করে অপহরণ, মেয়েদের লাঞ্ছনা এমনকি জীবনহানিরও শংকা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত আইন-শৃংখলা নাজুক পরিস্থিতির দেশে এটি বিপজ্জনক রূপ দেয়ার আগেই বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য বিটিআরসিকে অবিলম্বে ইন্টারনেটে ফ্রি এসএমএসের সাইটটি বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সুধীমহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব অল্প সংখ্যক মানুষেরই ধারণা রয়েছে। এজন্য পরিচিত নম্বর থেকে এসএমএস আসলে সবাই সহজভাবেই সাড়া দেয়। এই উপায়ে আপনার নম্বর ব্যবহার করে আপনার পরিচিত কাউকে বিপদে ফেলা হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, বাবা বা ভাইয়ের নম্বর থেকে মেয়ে বা বোনের নম্বরে এসএমএস করে তাকে কোথাও আসতে বলা হল। সেখানে গিয়ে মেয়েটি লাঞ্ছিত হলো। অথবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তার নম্বর থেকে অন্যদের এসএমএসে হুমকি বা চাঁদা দাবির ঘটনাও ঘটছে বিভিন্ন স্থানে। এজন্য যে কোনো ধরনের এসএমএস আসার আগে অবশ্যই তা’ যাচাই-বাছাই করে নেয়া উচিত।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের খারাপ বিষয়গুলো ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করা দারুণ উদ্বেগের বিষয়। যে কোনো বড় ধরনের অঘটনের আগেই আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আগামী মাসেই গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা

দেশের টেলিকম খাতের বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন অক্টোবর মাসেই চালু করতে যাচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির (থ্রিজি) সেবা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এ সেবা পাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্রাহকরা। আগামী ডিসম্বরের মধ্যে ৭টি বিভাগীয় শহরেও এ সেবা চালু হবে।

সোমবার সকালে হোটেল সোনারগাঁয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ।

বিবেক সুদ জানান, প্রাথমিক অবস্থায় অক্টোবর মাসেই ঢাকা ও চট্রগামের কিছু কিছু এলাকার সেবা প্রধানের মাধ্যমে থ্রিজি চালু করবে গ্রামীণফোন। নভেম্বর মাসে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে এলাকায় পৌঁছে যাবে থ্রিজি সেবা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সাতটি বিভাগীয় শহরে পৌঁছে যাবে থ্রিজি।

২০১৪ সালের মধ্যেই সারা দেশের ৬৪ জেলায় গ্রামীণফোন থ্রিজি সেবা দিতে পারবে বলে জানান বিবেক সুদ।

রোববার অনুষ্ঠিত নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল। টেলিকম খাতের বহুল প্রত্যাশিত উন্নত প্রযুক্তির থ্রিজি নিলামের ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের মধ্যে ২৫ মেগাহার্টজ নিলাম বিক্রি হয়েছে। ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। আর নিলামে সরকারের আয় হয়েছে চার হাজার ৮১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

আধুনিক চাষ ব্যবস্থাপনায় আশাবাদি পাইকগাছার চিংড়ী চাষীরা

পাইকগাছায় চিংড়ী চাষের জন্য খুবই পরিচিত। অপরিকল্পিত চাষ ব্যবস্থাপনা, গুনগত মানসম্পন্ন পোনার অভাব, সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষে ভাল উৎপাদন না পাওয়ায় প্রবনতা ছিল বেশি। ২০১২ সাল থেকে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত এফটিএফ প্রকল্প চিংড়ী চাষীদের পাশে এসে দাড়ায়।

বিভিন্ন এলাকা থেকে চিংড়ী চাষীদের নিয়ে দল গঠনের মাধ্যমে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চিংড়ী চাষ ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় চাষীরা সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে এম,টি,টি পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষ আরম্ভ করে। এমটিটি পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষ করে চাষীরা এ বছর বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) ৭৫-৮০ কেজি হারে চিংড়ী উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।

চিংড়ী খামারগুলো পরিদর্শনকালে চাষীরা বলেন-অধিক চিংড়ী উৎপাদনের জন্য এম,টি,টি পদ্ধতি তথা আধুনিক পদ্ধতি চাষ করে তারা এখন অনেক লাভবান।

স্মরনখালী গ্রামের চাষী সোনাই সানা বলেন, এই প্রকল্পের কার্যক্রম যদি দীর্ঘ মেয়াদী হয় এবং চাষীরা যদি এম,টি,টি ততা আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষ করি তাহলে আমার মত সকলেই ভাল উৎপাদন পাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে চাষীরা।

পাইকগাছা ফ.র.ম. মহাবিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমানের সদ্য প্রয়াত মাতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় কলেজ ভবনে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, এসএম মোজাম্মেল হক, মনোহর চন্দ্র সানা, দাউদ শরীফ, মুনসুর হাসান, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম।

দোয়ানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হাফেজ মাওঃ জালাল উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ছাত্রী/শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ।