Thursday, September 18, 2014

কপিলমুনির পথ শিল্পী ইছার উদ্দীন আর নেই

কপিলমুনির পথ শিল্পী সরদার ইছার উদ্দীন (৬৫) আর নেই। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

তিনি ২ স্ত্রী, ৩ কন্যা ও ১ পুত্র’সহ অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন। পথ শিল্পী ইছার উদ্দীন’এর মৃত্যুতে হরিঢালী ইউনিয়ন’সহ কপিলমুনি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভালবাসার মূল্য দিতে যেয়ে মরিয়াম এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

কয়রা উপজেলা থেকে বেড়াতে এসেছিল মরিয়াম তার নিজ বোনের বাড়ীতে, পাইকগাছা উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামে। সেখানেই দেখা হয় হিতামপুর গ্রামের জনৈক আমজেদ গাজীর পুত্র সোনা গাজী (২৬) এর সাথে। সেই দেখা থেকে সে প্রায়ই উত্যাক্ত করতো মরিয়ামকে। ওখানেই থেমে থাকে নি। সোনা গাজী ছুটে যায় কয়রার বাগালি ইউনিয়নের বয়লা হারানিয়া গ্রামে। বিভিন্ন রকম ছলনার বেড়া জালে মরিয়ামকে আবদ্ধ করে ফেলে।

এক পর্যায়ে মরিয়াম সোনা গাজীর হাত এড়াতে না পেরে সোনা গাজীর হাত ধরে বাড়ী থেকে চলে আসে। এক পর্যায়ে বিয়ে করে। বিয়ের পরে সোনা গাজী মরিয়ামকে তার বাড়ীতে নিয়ে তোলে। বাড়ীতে আসার পর থেকে বিভিন্নভাবে সোনা গাজীর পিতা মাতা পুত্রকে যৌতুকের চাপ দিতে বলে এক পর্যায়ে মরিয়াম গর্ভবতি হলে সেই অবস্থায় সোনা গাজীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মুমুষ্য অবস্থায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন আশ্বাস এর মাধ্যেমে মরিয়ামকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নেয়। সেই থেকে কারণে অকারণে মরিয়মের উপর চলে অমানষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে সোনা গাজীর এহেন কর্মে ২০১০ সালে পাইকগাছা থানায় একটি সাধারণ জিডি করেন। যার জিডি নং-১০৭২, তারিখ-১৭/০৪/২০১০ইং। ঠিক তেমনিভাবে গত ইং-১৪/০৭/১৪ তারিখ সকাল আনুঃ ৯ ঘটিকার সময় মরিয়ামকে তার পিতার নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা আনিবার জন্য মোবাইল করতে বলে। উক্ত মোবাইল না করার কারণে সোনা গাজী মরিয়ামের সহিত বিভিন্ন গালি গালাজ করতে থাকে।

এক পর্যায়ে ঐ দিন বিকাল আনুঃ ৩ ঘটিকার সময় মরিয়াম সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকাবস্থায় সোনা গাজী মরিয়ামকে পুনরায় মোবাইল ফোন করতে বললে মরিয়াম অস্বীকৃতী জানায় তখন সোনা গাজী মরিয়ামকে তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। উপায়ন্ত না পেয়ে মরিয়াম তার ঘরে আত্মরা করার জন্য ঢুকলে সোনা গাজী লোহার শাবল নিয়ে মরিয়ামকে তাড়া করে এবং এক পর্যায়ে শাবল দিয়ে আঘাত করে উক্ত শাবল বেড়া ভেদ করে মরিয়ামের ডান হাতে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়। ডান হাতে মোট ১৪টি সেলাই করা হয়।

মরিয়াম তার শ্বশুর শাশুড়ীকে ডেকে চিৎকার করে বাচার আকুতি করলে সোনা গাজীর পিতা মাতার মন গলেনি। উপরন্তু সোনা গাজীকে এই বলে হুকুম করে যে, বাপের বাড়ী থেকে টাকা না আনলে মাগির চুল ধরে রাস্তায় বের করে দে। তখন মরিয়ামের চিৎকার শুনে তার আপন বোন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় বোনকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মরিয়ামের উপর ইতি পূর্বে যে নির্যাতন হয়েছে তাতে মরিয়ামের গরীব পিতা মাতার বেশকিছু অর্থ খরচ করে সুস্থ্য করে তোলে। কিন্তু যৌতুক লোভী সোনা গাজী ও তার পরিবারের মরিয়ামের প্রতি এতটুকু দয়া হয়নি। মরিয়ামের গর্ভে ৭ মাসের একটি পুত্র সন্তান আছে। সেও তার পিতার এহেন আচরন ও অত্যাচারের সহ্য করে রয়েছে। সোনা গাজী বর্তমানে তার পিতার আশ্বাসে মরিয়ামের পরিবারের প্রতি বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদর্শন করছে এবং সে নিজেকে নিয়ে গর্ভ করে বলছে আইন তার কিছুই করার ক্ষমতা রাখেনা।

বিষয়টি নিয়ে মরিয়ামের পরিবার আইনের দারস্থ হওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

চলবে....

পাইকগাছায় পুষ্ঠি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এআইএন প্রকল্পের সবজির বীজ বিতরণ

“পুষ্টির চাহিদা পুরনে ও বাড়তি আয়ের উৎস্য হিসাবে শাক সবজির ভূমিকা অপরিসিম” এরই ধারাবাহিকতায় পাইকগাছা এবং পার্শ্ববর্তী কয়রা, দাকোপ, তালা, আশাশুনি’সহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত (এআইএন) প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত চিংড়ী চাষীদের মাঝে চিংড়ির পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বাড়তি আয়ের লক্শেষ্য ঘেরের পাড়ে চাষের জন্য বিনামুল্যে সবজির বীজ বিতরণ করেছে। 

দিনভর পৃথক পৃথক কর্মসূচীতে অধিক চিংড়ী উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষ ব্যবস্থাপনার উপর ২০১২ সাল থেকে প্রশিক্ষন প্রদান ও জেন্ডার সচেতনতার উপর কাজ করে আসছে।

বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মোঃ আশরাফুল হক বলেন অধিক চিংড়ী উৎপাদনের মাধ্যমে চাষীরা একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, তেমনী তাদের জীবন যাত্রার মানও বৃদ্ধি পাবে।

সবজির চাষ করে চাষীরা নিজেদের পুষ্টিতথা সবজির চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয়ের সৃষ্টি করবে। উল্লেখ্য যে, প্রকল্পটি থেকে উপরোক্ত উপজেলার প্রকল্পের সুফলভোগী ২৩৪০ জন চিংড়ী চাষীকে সবজির বীজ বিতরণ করা হয়।

লেটস হোপ ফর দ্যা বেস্ট !

পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাসগুলো এখনও পর্যন্ত পাইকগাছা-কপিলমুনি ও তালা-খুলনা এই ২ ধাপে চলাচল করছে। গত ১৫/১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাস চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

তবে সংশ্লিষ্ট রুটের বাস মালিক সমিতির নির্ভরযোগ্য সূত্র ভয়েস অফ পাইকগাছা'কে নিশ্চিত করেছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে সরাসরি পাইকগাছা-খুলনা রুটের বাস চলাচল শুরু হবে।

গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়েছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের ২৯ নেতা-কর্মী

পুলিশের দায়ের করা মামলায় এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের ২৯ নেতা-কর্মী। উপজেলার উত্তর বেদকাশী এলাকায় সার্কাস ও পুতুল নাচ প্রদর্শনীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের অবৈধ প্রবেশ, দুই পুলিশকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ রফিকুল ইসলামকে প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এসএম শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মিজানুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তর বেদকাশি কাছারী বাড়ি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সার্কাসের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা একই স্থানে পুতুল নাচ প্রদর্শনীরও আয়োজন করে। এসব প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্র নায়ক-নায়িকাদের নৃত্য প্রদর্শন হওয়ায় আকর্ষণ বাড়ে।


এসব প্রদর্শনীতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিনা টিকিটে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রথমে মেলা কর্তৃপক্ষ পরে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সার্কাসের মালিক সেলিম রেজা ও এএসআই অলক কুমার দত্ত, মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় একে অপরকে ধাওয়া করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগান, ১৮ রাউন্ড এসএমজি, ৫ রাউন্ড সীসা ও ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে দর্শকসহ ছাত্রলীগের ১৮ জন আহত হয়। সংশ্লিষ্ট থানার এএসআই মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ২৯ জন এবং ছাত্রদলের ১ জনের নামে মামলা দায়ের করে। ১৫ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেতকাশী পরিদর্শন করে ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে।

এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বাহারুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখার আলম হিরক, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম পান্না, সদস্য রুবেল হোসেন, বেদকাশী কলেজিয়েট স্কুল শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠক শাহীন ফকির, কেসমত আলম, দিদারুল ইসলাম, অনুপ কুমার, শাহনুর ইসলাম, রমজান আলী, সোহেল রানা, ইমদাদুল হক, তৈহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মাসুদ রানা, ওহিদুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান কাজল, ইমরান আলী, কোহিনুর ঢালী, শহীদুল্লাহ সানা, বাদল সরদার, পলাশ সরদার, নিয়াজ, বায়েজিদ হোসেন, মুনজুরুল জাহিদ, মিলন, মাসুদ রানা, শাহনুর আলম ও কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পরপর আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে।

পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২ জন জেল হাজতে

বিরোধকে পুজি করে একটি মহলের সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা


পাইকগাছায় দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও আলোচিত মামলাবাজ গোলক চন্দ্র মন্ডল। বর্তমানে পৃথক দু’টি মামলায় দু’জনেই জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে সৃষ্ট বিরোধকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি মহল সমঝোতার চেষ্ঠা না করে সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যাতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এলাকার সুধী সমাজকে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, চিংড়ী ঘের ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও একই ইউনিয়নের খালিয়ারচক গ্রামের মৃত গোবিন্দলালের পুত্র গোলক চন্দ্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়ই জড়িয়ে পড়ে একাধিক মামলায়। বিভিন্ন লোককে দিয়ে মামলা করানো ও মামলার তদবিরকারক হিসাবে গোলককে অনেকেই মামলাবাজ হিসাবে বলে থাকে।

এসব নানাবিধ কারনে ইতোমধ্যে গত কয়েকবছরে গোলকের বিরুদ্ধে থানায় ১৩ টি জিআর মামলা হয়েছে। যার জিআর নং-১৪/১৪, ২০/১৩/, ৬৫/১৩, ৬৪/১৩, ২৫/১৩, ৪৮/১৩, ৩৫/১৩, ৩৪/১৩, ৫৩/১৩, ১০৬/১৩, ৯৮/০৮, ১০৬/০৮, ১৫২/০৮। এসব মামলায় গ্রেফতারের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যানরা ইতোপূর্বে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা বর্জন করে।

সর্বশেষ গত ০৭/০৯/১৪ তারিখে মারপিট ও শ্লীলতাহানির ঘটনার উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের জখারহুলা গ্রামের মৃত অতুল শীলের পুত্র ভবসিন্ধু শীল বাদী হয়ে গোলককে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করলে মামলার এজাহারনামীয় আসামী হিসাবে গোলককে গ্রেফতারের দাবী ওঠে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন গোলককে ধরে মারপিট করে পুলিশে দেয় এমন অভিযোগে গোলক বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০/১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। ঘটনার দিন এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালতে পাঠায়।

অপরদিকে ঘটনার দু’একদিন পর পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলককেও আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনার পর হতে দু’পক্ষের লোকজন পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী পালন করে আসছে। চেয়ারম্যান সমর্থকরা দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে এলাকায় পোষ্টারিংসহ প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেছে।

অপরদিকে গোলক সমর্থকরাও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। এদিকে সৃষ্ট বিরোধকে সমঝোতার উদ্যোগ না নিয়ে একটি মহল সুবিধা নেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই বলছেন আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গোলককে পুুঁজি করে বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এক কাতারে দাড়িয়েছেন। এভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সৃষ্ট বিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

পাইকগাছায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

পাইকগাছায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছে পাইকগাছা শিশু অধিকার সংরক্ষন ও সাংবাদিক ফোরামসহ পাইকগাছার প্রথম এবং দ্রুততম অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভয়েস অফ পাইকগাছা

জানা গেছে, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের বিরাশী গ্রামের মোঃ বক্কর গাজী তার ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যার ঘটা করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দিন যথাসময়ে আশাশুনি এলাকা থেকে বর পক্ষের লোকজন উপস্থিত হলে বিয়ের পূর্ব মুহুর্তে এ খবর জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দিন ছাত্রীর পিতা-মাতাকে উপজেলা পরিষদে তলব করেন।

পরে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য ফজিলাতুন্নেছাসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে বিয়ে না দেয়ার শর্তে অঙ্গিকারনামা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ খবর জানতে পেরে বর পক্ষের লোকজন খাওয়া দাওয়া করে খালি হাতে ফিরে যায় বলে এলাকাবাসী জানায়।

পাইকগাছায় ভূয়া এনজিও কর্মী ও ছদ্মবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বীকে ৬ মাসের কারাদন্ড

পাইকগাছায় এক ভূয়া এনজিও কর্মী ও ছদ্মবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বীকে ৬ মাসের করে কারাদন্ড প্রদান ও ৩ এনজিও কর্মী এবং এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মীর আব্দুল ফিরোজের কন্যা ভূয়া এনজিও কর্মী লিজা আকতার দীর্ঘদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এনজিও’র নামে অর্থ সংগ্রহ করে এলাকাবাসীকে প্রতারিত করে আসছিল। ইতোপূর্বে সে এ ধরনের ঘটনায় একাধিকবার আটকও হয়। ঘটনার দিন বুধবার সকালে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী প্রতাপকাটি এলাকা থেকে তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে দেয়।

অপরদিকে শারদিয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে খোকন মল্লিক নামের এক মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিন্দু সেজে বিভিন্ন বাড়ী থেকে চাঁদা সংগ্রহ করাকালে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভূয়া এনজিও কর্মী লিজা ও ছদ্মবেশী সনাতন ধর্মাবলম্বী খোকনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং এনজিও কর্মী মোস্তফা, গোবিন্দলাল’সহ ৩ এনজিও কর্মীকে ২৫ হাজার টাকা এবং চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করার অভিযোগে গড়ইখালী গ্রামের তাজেল ফকিরের পুত্র চিংড়ী ব্যবসায়ী মফিজুলকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ঘটনায় অবশেষে পাইকগাছা থানায় মামলা

ভিকটিম পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়


কপিলমুনিতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে থানায় মামলার পর আসামি ও সমঝোতাকারীরা দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তারা ভিকটিমের পরিবারকে প্রভাব খাটিয়ে চাপের মধ্যে ফেলে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভিকটিমের অসহায় পরিবার।

সূত্রমতে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত দোকান ঘরের অভ্যন্তরে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রী। ওই এলাকার আব্বাস আলী মোড়লের ছেলে আতিয়ার রহমান (২১) ও রহমত মোড়লের পুত্র মোমিন মোড়ল (২০) কৌশলে পার্শ্ববর্তী তানভীরকে দিয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠায়।

সেখানে ওই ছাত্রী পৌঁছানো মাত্রই আতিয়ার জোর পূর্বক দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। তানভীর বাহিরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় পথযাত্রী মোমিন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তানভীরের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওকে চলে যেতে বলে। এক পর্যায় আতিয়ার ঘরের জানালা খুলে বের হয়ে কিশোরীকে মোমিনের কাছে দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে সে পালিয়ে যায়।

এর পর সুযোগ সন্ধানী মোমিন বিভিন্ন ভাবে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জনৈক ব্যক্তির পানের বরজে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় শ্লীলতাহানী ঘটায়। বিষয়টি ওই রাতেই বাড়ি ফিরে সে তার মাসহ অন্যান্য স্বজনদের জানায়। বিষয়টি তড়িৎ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় জড়িত আতিয়ার, মোমিন ও তানভীর গা ঢাকা দেয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে যাতে থানা পুলিশ পর্যন্ত না গড়ায় সেজন্য আতিয়ারের দোসররা মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। ঘটনায় কপিলমুনির পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই হাসমত আলী ও এ.টি.এস.আই শারেজাহান ঘটনাস্থলে গেলেও পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে কোন মামলা হয়নি।

ঘটনা সর্বত্র জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দাবি ওঠে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাসমত আলী। এদিকে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভিকটিমের অসহায় পরিবার।

পাইকগাছায় ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে থানা ভবনে উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এএসপি (সার্কেল) দাকোপ মাসুদ রানা।

এস.আই জালাল উদ্দিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ওসি সিকদার আককাছ আলী, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দাউদ শরীফ, পৌর সভাপতি কাউন্সিলর শেখ আনিছুৃর রহমান মুক্ত, পরিমল চন্দ্র অধিকারী, বেনজির আহম্মেদ বাচ্চু, সরদার আনিছুর রহমান, শেখ সালাউদ্দিন, ইকবাল হোসেন খোকন, হাকিম গোলদার, শংকর দেবনাথ, বিভুতি ভূষন সানা, গাজী মিজানুর রহমান, সুনিল মন্ডল, শেখ আব্দুস সাত্তার, জয়দ্রথ বাছাড় ও প্রদীপ মহলদার।

পাইকগাছায় গাজী হ্যাচারী ও বন্ধন ব্র্যান্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের মতবিনিময় সভা

পাইকগাছায় গাজী হ্যাচারী বন্ধন ব্রান্ড ক্লাব কাপ ফুটবল টূর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা বুধবার বিকালে গাজী হ্যাচারী ভবনে সুন্দরবন স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজী হ্যাচারীর স্বত্বাধীকারি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বন্ধন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ্যাড. আবু সাঈদ, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএ গফুর, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিন্টু, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এ্যাড. মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, সাংবাদিক গাজী সালাম, এম মোসলেম উদ্দীন, স্নেহেন্দু বিকাশ, আলাউদ্দিন রাজা, তৃপ্তি রঞ্জন সেন।

উপস্থিত ছিলেন, তুষার কান্তি মন্ডল, রঞ্জন কুমার, শ্রীষ কান্তি রায়, দেবাশীষ সানা, বাচ্চু লোহানী, মঞ্জুরুল ইসলাম, তন্ময় মন্ডল, রবিউল ইসলাম, নূরুজ্জামান টিটু, খাইরুল ইসলাম, সিহাব বাবু ও আব্দুস সাত্তার।

কয়রায় ৬০টি মন্দিরে বিশ্বকর্মা পূজা

কয়রা উপজেলায় বুধবার সকাল থেকে ৬০ টি পূজা মন্দিরে ও মানত করা শতাধিক বাড়িতে বিশ্বকর্মা ও মনষা পূজা হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ভাদ্র মাসের শেষ দিনে বিশ্বকর্মা ও মনষা পূজা করে থাকেন।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বৈরাগী জানান, সারা দেশের ন্যায় কয়রায় প্রতিবার বিশ্বকর্মা ও মনষা পূজা জাকজমক সহকারে পালন করা হয়। এবার খুব আড়ম্বরের সাথে পূজা উৎসব পালনে ভক্তদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, দিনটিতে সনাতন ধর্মের শ্রমজীবি মানুষ কর্মবিরতি পালন করে দেবতার আশির্বাদ লাভের জন্য প্রার্থনা করেন। আবার অনেকে মা-মনষা দেবীর পূজা করেন। রাতের বেলায় ভক্তরা মনষা মঙ্গল যাত্রা পালা, বেহুলা লক্ষীনদার যাত্রা পালা ও ঝুমুর গানের আসর বসান।

পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একজনের ৬ মাসের জেল

প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে খোকন মল্লিক নামের একজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাইকগাছার সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ কামরুল ইসলাম গতকাল বুধবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছেন, কয়েকদিন পূর্বে হিন্দু পরিচয়ে গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে প্রতারণা করে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় গড়ইখালী গ্রামের নুর মোহাম্মদ মল্লিকের ছেলে খোকন মল্লিক। গতকাল বুধবার সে পুনরায় ঐ পরিবারের কাছে টাকা চাইতে গেলে তারা তার পরিচয় জেনে ফেলেন।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খোকন মল্লিককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।