পুলিশের দায়ের করা মামলায় এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে কয়রা উপজেলা
ছাত্রলীগের ২৯ নেতা-কর্মী। উপজেলার উত্তর বেদকাশী এলাকায় সার্কাস ও পুতুল
নাচ প্রদর্শনীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের অবৈধ প্রবেশ, দুই পুলিশকে কুপিয়ে আহত
করার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ রফিকুল ইসলামকে প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এসএম শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মিজানুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তর বেদকাশি কাছারী বাড়ি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী
বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সার্কাসের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই ৫
সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা একই স্থানে পুতুল নাচ প্রদর্শনীরও
আয়োজন করে। এসব প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্র নায়ক-নায়িকাদের নৃত্য প্রদর্শন হওয়ায়
আকর্ষণ বাড়ে।
এসব প্রদর্শনীতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিনা
টিকিটে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রথমে মেলা কর্তৃপক্ষ পরে পুলিশ বাধা দেয়। এক
পর্যায়ে সার্কাসের মালিক সেলিম রেজা ও এএসআই অলক কুমার দত্ত, মৃত্যুঞ্জয়
মন্ডলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় একে অপরকে ধাওয়া করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগান, ১৮ রাউন্ড এসএমজি, ৫
রাউন্ড সীসা ও ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে দর্শকসহ ছাত্রলীগের ১৮ জন
আহত হয়। সংশ্লিষ্ট থানার এএসআই মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ২৯
জন এবং ছাত্রদলের ১ জনের নামে মামলা দায়ের করে। ১৫ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার বেতকাশী পরিদর্শন করে ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে।
এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম
বাহারুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখার আলম হিরক, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম পান্না, সদস্য রুবেল হোসেন, বেদকাশী কলেজিয়েট স্কুল শাখার
যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠক শাহীন ফকির, কেসমত
আলম, দিদারুল ইসলাম, অনুপ কুমার, শাহনুর ইসলাম, রমজান আলী, সোহেল রানা,
ইমদাদুল হক, তৈহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মাসুদ রানা, ওহিদুল ইসলাম,
রোকনুজ্জামান কাজল, ইমরান আলী, কোহিনুর ঢালী, শহীদুল্লাহ সানা, বাদল সরদার,
পলাশ সরদার, নিয়াজ, বায়েজিদ হোসেন, মুনজুরুল জাহিদ, মিলন, মাসুদ রানা,
শাহনুর আলম ও কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ কাজল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পরপর আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে।