Friday, May 2, 2014

পাইকগাছায় দুর্ধর্ষ ৪ ডাকাত আটক

পাইকগাছায় দুর্ধর্ষ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দিনভোর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার একটি ডাকাত চক্র উপজেলার নাসিরপুর গ্রামের মৃত দীন মোহাম্মদ গাজীর পুত্র ঘের ব্যবসায়ী জি.এম. সাকীর নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার রাতে সঙ্গবদ্ধ ডাকাতরা সাকীর হিতামপুরস্থ মৎস্য ঘেরে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে ঘেরের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী জি,এম, সাকী ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় মামলা করেন। যার নং- ০২। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে থানার এস,আই জালাল উদ্দীন ও রাড়ুলী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই আব্দুল হাই বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে দিনভোর অভিযান চালিয়ে শিলেমানপুর গ্রামের ইমান গাজীর পুত্র আমিরুল গাজী (৩২), মোতাহার গাজীর পুত্র রফিকুল গাজী (৩২), কাটিপাড়া গ্রামের রহমান মোড়লের পুত্র আফছার মোড়ল (৩০) বাঁকা গ্রামের নওয়াব গোলদারের পুত্র মতিয়ার গোলদার (৩১) কে আটক করে।

এ ব্যাপারে ওসি শিকদার আককাছ আলী জানান, আটককৃতরা গত ২৮ এপ্রিল বাঁকা এলাকায় পুকুর পাহারাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করেছে। এছাড়াও অনেকের বিরুদ্ধে ফকিরহাট, তালাসহ পাইকগাছা থানায় অস্ত্র, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

পাইকগাছায় আলোচিত গাঁজা বিক্রেতা তপন শীল আটক

পাইকগাছার আলোচিত গাঁজা বিক্রেতা তপন শীল’কে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এস.আই বিশ্বজিৎ ও এ.এস.আই সোহেল রানা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে সরল গ্রামস্থ নিজ বাড়ী থেকে ২ পুরিয়া গাঁজাসহ তাকে আটক করেন। সে রমাকান্ত শীল’এর পুত্র।

এর আগেও সে একাধিকবার গাঁজাসহ আটক হয়েছে বলে ওসি শিকদার আককাছ আলী জানান।

অবহেলিত আচার্যের স্মৃতি বিজড়িত বসত বাড়ী; পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি

বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী রসায়নবিদ স্যার আচার্য প্রফুল­ চন্দ্র রায় (পি.সি রায়) ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী রাড়ুলীতে জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ-বিদেশে তার প্রতিষ্ঠত অসংখ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আজও মানব সেবা দিচ্ছে। অথচ ফাদার নাইট্রাইট খ্যাত বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পি,সি রায়ের জন্ম ভিটা বাড়ীর ভবনগুলো আজও অবহেলিত। ধসে ধসে পড়ছে ভবনের বিভিন্ন অংশ। 

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চলে পি.সি রায়ের জন্মভূমি স্মৃতি চিহ্ন বসতভিটা দখলের। সর্বশেষ ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্মৃতিচিহ্ন বসতভিটা দখল নেয় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ফুসলে উঠে পি,সি, প্রেমী এলাকার সচেতন মানুষসহ প্রসাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা। কঠোর আন্দোলনের মুখে সে সময় রাতের অন্ধকারে ঐ স্থানের মূল্যবান সম্পদ নিয়ে পালিয়ে যায় কথিত দখলদাররা।

গত কয়েক বছর যাবৎ সরকারী উদ্যোগে পালিত হয়ে আসছে তার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী। বর্তমানে পিসি রায়ের জন্ম ভিটাবাড়ি সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষণ করছে। দেশ-বিদেশে বিরল সাধনার ক্ষেত্রে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ছাড়া এমনভাবে বাঙালী মানুষকে অন্য কেউ মহিমান্বিত করতে পারেনি। পি.সি রায় ছিলেন একাধারে বিজ্ঞানী, দার্শনীক ও শিল্পী। সমাজ সংস্কারে মানবতাবোধে উজ্জীবিত ছিলেন তিনি।

খুলনা জেলা থেকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি পিসি রায়ের জন্মভূমি পর্যন্ত। পাইকগাছা উপজেলা থেকে এখনও বিছিন্ন ফাদার অব নাইট্রাইট খ্যাত বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের জন্মস্থান রাড়ুলী গ্রামটি আজও অবহেলিত। সরাসরি সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বোয়ালিয়ায় কপোতাক্ষ নদের উপর আজও সম্পন্ন হয়নি নির্মাণাধীন ব্রীজটি। ফলে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক পর্যটকরা আসেন না।

এলাকাবাসীর মতে, বিশ্ব বরেণ্য এ বিজ্ঞানীর বসত বাড়ীকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পি.সি রায় প্রেমী বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। অপর দিকে অবহেলিত এ অঞ্চলের ব্যাপক পরিচিতি ঘটবে বলে পি.সি রায় স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির অন্যতম ব্যক্তি শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ জানান। সর্বপরি বিশ্ব বরেণ্য এ বিজ্ঞানীর বসতবাড়ী সংরক্ষণসহ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন এলাকাবাসী।

Voice of Paikgacha makes you nostalgic !


(Manipulated Image)*

পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করায় তদন্ত কমিটি গঠন

পাইকগাছায় স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষককে বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।

সূত্রমতে, ঘটনার দিন সোমবার পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আসলামুজ্জামান বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এস.এম. সোহানুর রহমান হৃদয়‘কে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে পিঠে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে হৃদয়ের মাথা বেঞ্চের সাথে উপর্যপুরি আঘাত করলে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়।

এ ঘটনায় আহত ছাত্রের পিতা হায়দার আলী সরদার স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. শেখ মো. নুরুল হক বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপু মণ্ডল সহকারী শিক্ষক খালেকুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, শিক্ষক প্রদীপ কুমার ও ইমরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করার সময় কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে এসেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আসলামুজ্জামান’এর বিরুদ্ধে যেন বিভিন্ন রকমের অভিযোগের ঝুলি নিয়ে দাড়িয়ে আছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সকলেই ! এ সম্পর্কিত পরবর্তী প্রতিবেদনের জন্য
Voice of Paikgacha'র সাথেই থাকুন।