Monday, May 5, 2014

জুকারবার্গ থেকে সাবধান !

সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক জুকারবার্গের নামে একটি স্প্যাম। এতে ক্লিক করলেই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে অ্যাকাউন্ট। অনেকেই ইতিমধ্যে এ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

মূলত মার্ক জুকারবার্গের নামে একটি ভুয়া পেজ খুলে এই স্প্যাম ছড়ানো হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বন্ধুদের কাছ থেকে এ ভুয়া পেজের একটি পোস্টের ট্যাগ দেখতে পাচ্ছেন। আর তাতে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীদের নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে।

এ জন্য পেজে একটি পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা আছে। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে নিবন্ধন করা না হলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। যারাই লিঙ্কে ক্লিক করছেন তাদের অজান্তেই ফেসবুকে থাকা সব বন্ধুর কাছেই চলে যাচ্ছে একটি ট্যাগ করা কমেন্ট।

যারা এই লিঙ্কে ক্লিক করেছেন তাদেরকে দ্রুতই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলার পরমর্শ দিয়েছেন ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ফেসবুকে থাকা পেজটির নাম ‘FbCeo Mark Zuckerberg’। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে এতে ক্লিক করছেন।

অবশ্য, ইতিমধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পাতাটি বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের পাতার ব্যাপারে সাবধান থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পাইকগাছায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক বাস্তবায়নের অভাব

পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে প্রকাশ্যে চলছে ধুমপান


পাইকগাছায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। ফলে পাবলিক প্লেস, পরিবহন ও হোটেল রেস্তোরা গুলোতে প্রকাশ্যে চলছে ধুমপান। আইনের তেমন ব্যবহার না থাকায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ধুমপায়ীর সংখ্যা। 

আইন পালনে মানুষকে উৎসাহিত করতে ও পরোক্ষ ধুমপানের ক্ষতিকর দিক থেকে শিশু-নারীসহ অধুমপায়ীদের রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধুমপানমুক্ত করাসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ ব্যবহারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল হওয়া এবং পাশাপাশি আইনটি পালনে দায়িত্বশীল নাগরিকদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক মহল।

সূত্র মতে, পৃথিবীর ১০টি তামাক ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০০৯ সালে গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) এর পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশ ৪৩% মানুষ (পুরুষ ও নারী) তামাক (বিড়ি-সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি) ব্যবহার করেন।

অপর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে কর্মস্থলে ৬৩% মানুষ পরোক্ষ ধুমপানের শিকার হয়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ এর সংশোধনীতে পাবলিক প্লেস, পরিবহন সহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধুমপানমুক্ত করা বাধ্যতামূলক করলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় পাইকগাছা উপজেলার সর্বত্রই অর্থাৎ পাবলিক প্লেস, পরিবহন ও হোটেল রেস্তোরাগুলোতে প্রকাশ্যে চলছে ধুমপান। এমনকি প্রশাসনের নাকের ডগায়, উপজেলা পরিষদের সামনে ফাস্টুফুডের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে ধুমপান করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও পৌর সদরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরা, পরিবহন চত্ত্বর, বাসস্ট্যান্ড ও জিরো পয়েন্ট এলাকাসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে ধুমপান। এতে সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অধুমপায়ী ও নারী এবং শিশুরা।

এ ব্যাপারে সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে পাবলিক প্লেসগুলোতে ধুমপান বন্ধ হচ্ছে না।

উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টার্স্ক ফোর্স কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা ভবনসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে ধুমপানমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে জরিমানাও করা হয় বলে তিনি জানান।

কপিলমুনির পথশিল্পী ইছারুদ্দীন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে; সাহায্যের আবেদন

মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি পেতে পারেনা ? কপিলমুনিতে আলোচিত ও সকলের প্রিয় ব্যাক্তিত্ব পথশিল্পী ইছারুদ্দীনের জীবন বাঁচাতে সবার কাছে এই আকুতি তার পরিবারের। 

গত কয়েকদিন যাবৎ গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। একমাত্র সহধর্মীনি ছাড়া দেখার কেউ নেই। জীবনের চলার পথে মাঠে, ঘাটে, হাট বাজারে ইছারুদ্দীনের শিল্পকর্ম ছড়িয়ে থাকলেও জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আজ সে বড়ই অসহায়।

তাই যদি আপনার কিছু সাহায্য তার চিকিৎসার জন্য ব্যায়ীত হয় তাহলে অসহায় এ মানুষটির জন্য সেটি হবে বড়ই সৌভাগ্যের। আসুন আমরা পথশিল্পী ইছারুদ্দীনের পাশে দাঁড়াই। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা জনতা ব্যাংক, কপিলমুনি। সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩৫৭৫।

পাইকগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে মহিলার মৃত্যু

পাইকগাছায় টিভির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের বিনয় রায় চৌধুরী’র স্ত্রী চন্দনা রায় চৌধুরী ভিজা কাপড়ে টিভির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে আহত হন।

পরে বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাইকগাছার একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ,

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়



বিদ্যালয়ের ইতিহাস ::


১৯২৭ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী স্বর্গীয় বিনোদ বিহারী মজুমদার তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শিক্ষা বিভাগীয় উর্দ্ধতম কর্মকর্তা মরহুম আহসান উল্লাহ খান বাহাদুর এর পৃষ্টপোষকতায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন।

১৯৫৪ সালে দেশ বিভাগের পর উচ্চ বর্ণের হিন্দু শিক্ষক শিক্ষার্থী দেশ ত্যাগ করায় বিদ্যালয়টি সাময়িক বন্ধ হয়েছিল। পরবর্তী কালে দানবীর মরহুম ছেপের উদ্দীন এর নেতৃত্বে এলাকাবাসী ১৯৫৮ সালে বিদ্যালয়টি পূনঃ স্থাপিত করেন। ১৯৫৮ সাল থেকে অধ্যাবধি অত্যন্ত সুনামের সহিত এলাকার তথা দেশের শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে বিদ্যালয়টি।

সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই ভাল। এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী বর্তমানে দেশে বিদেশে জাতি গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।

শিবসায় মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ মৎস্যজীবী; দু’দিন পর লাশ উদ্ধার

শিবসা নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হবার দু’দিন পর এক মৎস্যজীবীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা-দাকোপ সীমান্তে শিবসা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মৎস্যজীবী আজিবার রহমান গাজীর (৩২) লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পাটকেলপোতা গ্রামের মৃত আলাউদ্দীন গাজীর পুত্র মৎস্যজীবী আজিবার গাজী বাড়ির পাশের শিবসা নদীতে জাল নিয়ে নামেন মাছ ধরতে। এক পর্যায়ে তিনি নিখোঁজ হন।

হতভাগা আজিবার গাজীর চাচাতো ভাই সোলাদানা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সায়েদ আলী মোড়ল কালাই জানান, নিখোঁজ হবার দু’দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় দাকোপের কামনিবাশিয়া এলাকাস্থ শিবসা নদীতে আজিবার গাজীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রভাবশালীর নিষ্ঠুর সেচ্ছাচারিতায় পানিবঞ্চিত কয়রার ৫০ পরিবার

আইলা কবলিত কয়রা উপজেলার পল্লিতে প্রায় শতাধীক মানুষের এক মাত্র খাবার পানির উৎস জোর পূর্বক তুলে নিলেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা ১০টায় উপজেলার দূর্গম জনপদ দক্ষিনবেদকাশী গ্রামের হলুদবুনিয়া গ্রামে।

সরেজমিন রোববার এলাকাটিতে গেলে, সেখানে সাংবাদিকদের উপস্তিতি জানতে পেরে মুহূর্তের মধ্যে জড়ো হয়ে গেলেন গ্রামের শতাধীক নারি, পুরুষ, বৃদ্ধ। তাদের একটাই আকুতি, "আমাদের কি অপরাধ ? দুই ভাইয়ের পারিবারিক কলহের কারনে সরকারের দেওয়া খাবার পানির কলটি অকেজো করে দিয়ে পানি বঞ্চিত করা হল আমাদের।"

গ্রামবাসী জানান, গ্রামটিতে পানির তীব্র সংকট বিবেচনা করে দুর্গম এলাকাটিতে ২০০৮ সালে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হলুদবুনিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলামের বাড়ীতে একটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে। সে মোতাবেক টিউবয়েলটি থেকে এলাকার লোকজন খাবার ও গোছলের পানিসহ নিত্যব্যবহার্য পানির চাহিদা পুরন করতো।

কিন্ত বেশ কিছুদিন যাবৎ নজরুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই মিরজাকুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক কলহের কারনে মাঝে মাঝে কলটি জোর পূর্বক বন্ধ করে রাখা হত। পানির সংকট সইতে না পেরে কয়েক দিন আগে মিরজাকুেলর সহযোগিতায় গ্রামবাসীরা মিলে নলকুপটি সংষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করে আসছিল।

হটাৎ শনিবার সকালে নজরুল ইসলাম ও তার পুত্র দক্ষিনবেদকাশী ইউনিয়ন হেলথ ইন্সপেকটর কোহিনুর ইসলাম কয়েকজন লোক নিয়ে জোর পুর্বক মাটি খুঁড়ে টিউবয়েলটির মুল পাইপের উপরের অংশ ভেঙে দিয়ে মাটির গভীরে থাকা পাইপের ভিতরে ইটের খোয়া ও বালুসহ ময়লা আবর্জনা ভরে টিউবয়েলটি অকেজো করে দেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েক গ্রামবাসী ও মিরজাকুলের স্ত্রী টিউবয়েলটি নষ্ট না করার জন্য তাদের অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালি গালাজ করে টিউবয়েলটি অকেজো করে বীর দর্পে চলে যান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দক্ষিনবেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, সরকারি টিউবয়েলটি নষ্ট করা তাদের ঠিক হয়নি। বিষয়টি গ্রামবাসী আমাকে জানালে তাদেরকে আইনের আশ্রয় গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। সরকার লক্ষ টাকা খরচ করে এ দুর্গম এলাকার গ্রামটির মানুষের সুপেয় পানির অভাব পুরনের জন্য টিউবয়েলটি স্থাপন করলেন। দু’ভাইয়ের রেষারেষির কারনে এক ভাই প্রভাব খাটিয়ে জোর পুর্বক পানির কলটি নষ্ট করে দিয়ে গ্রামবাসীকে পানি বঞ্চিত করলেন। এ ধরনের কর্মকান্ড মেনে নেওয়া যায়না। দোষীদের বিচার হওয়া উচিৎ।

টিউবয়েল নষ্টকারি নজরুল মাষ্টারের ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধা মাতা রূপবান বিবি আক্ষেপ করে বলেন, "আমি মা হয়ে কলটি নষ্ট করার সময় আমার ছেলে ও তার পুত্রকে পা ধরে অনুরোধ করেছি গ্রামবাসীর এ ক্ষতি তোরা করিসনা। আমার ছেলে, আমার ও গ্রামের মানুষের কোন অনুরোধ না রেখে কলটি নষ্ট করে দিল।"

হলুদবুনিয়া গ্রামের লিয়াকাত হোসেন মফিজ গাজীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মাষ্টার পরিবারটি প্রভাব শালী হওয়ায় গায়ের জোরে কলটি নষ্ট করেছে আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন হেলথ ইন্সপেক্টর কোহিনুর টিউবয়েলটি নষ্ট করার কথা স্বীকার করে বলে,ন সরকারি হলেও টিইবয়েলটি আমাদের টাকা দিয়ে বসানো তাই আমরা নষ্ট করেছি।

ফরমালিনে সয়লাব কপিলমুনির দুধের বাজার; ঐতিহ্যবাহী দুধ হাটা বিলুপ্তির পথে

দেশ স্বাধীনের আগে থেকে কপিলমুনি বাজারের দুধ হাটার পরিচিতি ছিল সর্বত্র। নির্ভেজাল ও খাঁটি দুধের জন্য দুর দুরান্ত থেকে লোকজন আসতো কপিলমুনির দুধ হাটায়। কপিলমুনির দুধের কদর ছিল দেশ জুড়ে। আজ জায়গা সংকোচনের কারনে ঐতিহ্যবাহী সেই দুধ হাটা বিলীনের পথে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিক্রেতাদের বসার জায়গা টুকুও নেই। তাইতো রাস্তার ধারে বিভিন্ন দোকানের সামনে খোলা জায়গায় বসে হয় দুধ বেচাকেনা। অথচ দুধ মানুষের পুষ্টি পুরনের একটি মূল্যবান অনুসঙ্গ। শিশুদের প্রধান খাদ্য এই দুধ এখন শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সেই খাঁটি দুধের দেখা এখন আর মেলেনা !

দুধ বিক্রেতারা গ্রামের পথে পথে ঘুরে দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এই দুধ বাজারে। দুধ সংগ্রহের এই দীর্ঘ সময় দুধ ভাল রাখতে তারা দুধের সাথে মেশান ফরমালিন। যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। অথচ জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়টি দেখার কেউ নেই।

ভেজাল বিরোধী নানা অভিযান মাঝে মধ্যে কপিলমুনিতে পরিচালিত হলেও মনের ভুলেও শিশুদের প্রধান এই খাদ্য দুধ নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে দুধ বিক্রেতারা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ভেজাল ব্যবসা। দীর্ঘ সময় দুধ তাজা রাখতে মেশাচ্ছেন মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক ফরমালিন। এতে আগামী প্রজন্ম আক্রান্ত হচ্ছে মারাত্মক রোগে। আর অভিভাবকরা না জেনেই তাদের আদরের সন্তানদের মুখে তুলে দিচ্ছেন ভয়ানক এই বিষ।

পাইকগাছায় জামায়াত নেতা আটক

পাইকগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত ইসলামীর চাঁদখালী ইউনিয়ন আমিরকে আটক করেছে। আটককৃত স. ম. সোয়েব আলী (৬০) চাঁদখালী ইউপির জামায়াত ইসলামীর আমির ও ফতেপুর গ্রামের মৃত কওছার আলীর ছেলে। তাকে রোববার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে স. ম. সোয়েব আলীকে এসআই হারুণ আটক করেন। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আককাছ আলী জানিয়েছেন, জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার ঈশার নামাজের পর ফতেপুর মসজিদে গোপনে বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোয়েবকে আটক করে।

পাইকগাছার একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ

 আর.কে.বি.কে. হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট ইনষ্টিটিউশন



স্থাপিত : ১৯০৩ ইং :: কলেজিয়েটে উন্নীত : ১৯৯৫ ইং
প্রতিষ্ঠাতা : স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
রাড়ুলী, পাইকগাছা, খুলনা।

পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন এখন থেকে অনলাইনে

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় এখন থেকে গ্রাহকদের অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে সংযোগ আবেদন করতে হবে। খাতা-কলমে সংযোগ আবেদন বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশে এ আবেদন পদ্ধতি বন্ধ করা হয়েছে। গত ২ মে থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গ্রাহক হয়রানি কমানো ও সারা দেশকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় গ্রাহকদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এতে গ্রাহকরা খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে। দালাল বা ঊর্ধ্বতন মহলের কোন তদবির কার্যকর হবে না। ফলে আগ্রহীরা কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন।

ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র ও যেকোন ই-সেবা কেন্দ্র থেকেই নির্ধারিত ওয়েবসাইটের (www.khulnapbs.org.bd) মাধ্যমে এ আবেদন করা যাবে। এর ফলে গ্রাহকদের আর কষ্ট ও অর্থ নষ্ট করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আবেদন গ্রহণ করা হলে একবার মাত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে এসে অনুমোদনপত্র নিলেই হবে।

জেলার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, ডুমুরিয়া উপজেলাসহ রূপসার সেনেরবাজার ও দিঘলিয়ার বারাকপুর-গাজীরহাট এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে প্রায় ১ লাখ গ্রাহক।

সমিতির জেনারেল ম্যানেজার শহীদুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রত্যয়ের অংশ হিসেবে এখন থেকে অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন পত্র জমা নেয়া হবে। ফলে কোন গ্রাহকদের সংযোগ পেতে হয়রানির শিকার হতে হবে না। তিনি বলেন, বছরে এ অঞ্চল থেকে ৬০ কোটি টাকার বিল আদায় হয়। লোকসান হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। বর্তমানে ৮৪ হাজার গ্রাহকের দৈনন্দিন চাহিদা ২১ মেগাওয়াট। পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে ৩ মেগাওয়াট।